অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির মালিকানাধীন একটি বন্দর সম্প্রসারণ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে লড়ছে তামিলনাড়ুর হাজার হাজার গ্রামবাসী। মাছ ধরার মাধ্যমেই জীবিকা নির্বাহ করেন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যের এসব গ্রামের অধিকাংশ মানুষ। গ্রামবাসীর দাবি, বঙ্গোপসাগরের উপকূল বরাবর তিরুভাল্লুর জেলায় অবস্থিত একটি ছোট্ট গ্রাম কাট্টুপল্লিতে বন্দর সম্প্রসারণ করা হলে তাদের জমি তলিয়ে যাবে, ধ্বংস হবে জীবিকা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে। বলা হয়েছে, ৩৩০ একর জায়গাজুড়ে আদানি বহুমুখী বন্দরটি নির্মাণ করেছে ভারতীয় সংস্থা লারসন অ্যান্ড টুব্রো (এল অ্যান্ড টি)। ২০১৮ সালে এই জায়গা অধিগ্রহণ করেছিল আদানি পোর্টস। কোম্পানিটি পরে উপকূল বরাবর জমির অংশ দাবি করে এটিকে ৬ হাজার ১১০ একর এলাকাজুড়ে ১৮ গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়।
আদানি পোর্টের মহাপরিকল্পনা অনুসারে, বন্দর সম্প্রসারণের ফলে কার্গো পরিবহনক্ষমতা প্রতিবছর ২৪.৬ মেট্রিক টন থেকে ৩২০ মেট্রিক টনে উন্নীত হবে। এতে নতুন রেল ও সড়ক নেটওয়ার্কের বিকাশ ঘটার ফলে অঞ্চলটির বাণিজ্য সংযোগ বাড়বে।
তবে উপকূলে অবস্থিত অন্তত ১০০ শহর ও গ্রামের মৎস্যজীবীরা বলছেন, বন্দর সম্প্রসারণ তাদের জীবিকার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। এই অঞ্চলের মৎস্যজীবী রাজলক্ষ্মী বলেন, ‘এখানে পাওয়া মাছের জাতের সংখ্যা ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। যেকোনো ধরনের সম্প্রসারণ এই সংখ্যাকে আরও কমিয়ে দেবে।’
বন্দর সম্প্রসারণের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে পরিবেশবাদীরাও। তাদের দাবি, পরিকল্পনাটির ফলে উপকূলীয় ক্ষয় এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হবে অনেক বেশি। কারণ, দেশীয় মাছের প্রজাতি এবং কাঁকড়া, চিংড়ি এবং ছোট কচ্ছপ এই অঞ্চলে পাওয়া যায়। পরিবেশবাদী মীরা শাহ দাবি করেছেন, ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম লবণাক্ত পানির হ্রদ পুলিকাট হ্রদকেও ধ্বংস করতে পারে এই পরিকল্পনা।
মীরা শাহ বলেন, এই মুহূর্তে হ্রদ ও বঙ্গোপসাগরের মধ্যে দেওয়াল হিসেবে কাজ করছে এই উপকূল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অঞ্চলটি ব্যাপক মাত্রায় পরিবেশদূষণ এবং উপকূলীয় ক্ষয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। এখানে বন্দর সম্প্রসারিত হলে উপকূল আরও সংকুচিত হবে। এতে মিশে যাবে হ্রদ ও সমুদ্র।
তবে এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে আদানি পোর্ট। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোম্পানির এক মুখপাত্র বলেন, স্থানীয়রা বন্দর সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে নয়। বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা লোকজন প্রচারের লোভে এসব করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিবিসিকে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বন্দর সম্প্রসারণের বিরোধিতাকারীদের দাবির পেছনে তথ্যগত কোনো ভিত্তি নেই। পরিবেশ রক্ষায় জড়িত কিছু এনজিওর এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা থাকতে পারে। পরিবেশগত ছাড়পত্রের প্রক্রিয়া চলার সময় সেসবের সমাধান করা হবে।’
বন্দর সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে গ্রামবাসী প্রথম প্রতিবাদ করে ২০১৮ সালে। বিগত কয়েক বছর ধরে তারা বিরতিহীনভাবে প্রতিবাদ করে আসছে। রাজ্য সরকার প্রকল্পটিকে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করলে গত সেপ্টেম্বরে আন্দোলনের মাত্রা তীব্র হয়। সে মাসেই রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রবল প্রতিবাদের মুখে প্রকল্পটির একটি বাধ্যতামূলক গণশুনানি স্থগিত হয়।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, বন্দর সম্প্রসারণ এই অঞ্চলের বাস্তুসংস্থানের ধ্বংস ডেকে আনতে পারে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি) মাদ্রাজের হাইড্রোজোলজির অধ্যাপক ড. ইলাঙ্গো লাক্শমানান বলেন, ‘ভারতের পূর্ব উপকূল, বিশেষ করে তামিলনাড়ু উপকূল বন্দর নির্মাণের জন্যই উপযুক্ত নয়। আর সম্প্রসারণের কথা বাদই দিন।’
বন্দর সম্প্রসারণের পক্ষে কথা বলেছেন হিন্দুস্তান চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ভালিয়াপ্পান নাগাপ্পান। তিনি বলেন, আদানির দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত কাট্টুপল্লি বন্দরে কেবল লোকসানই হচ্ছিল। এখন এটি লাভ করতে শুরু করেছে। আরও জাহাজ এলে অর্থনীতি আরও বাড়বে। তবে স্থানীয়দের ভালোভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং তাদের জীবিকার ওপর কোনো প্রভাব না ফেলার বিষয়টি কোম্পানিকে নিশ্চিত করতে হবে।
কিন্তু বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তারা এতে আশ্বস্ত নন। তাদের স্বার্থ রক্ষায় যথেষ্ট কাজ না করার জন্য তামিলনাড়ু সরকারকে দোষারোপ করেছে বিক্ষোভকারীরা। বিজয়া নামে পুলিকাটের একজন জেলে বলেন, ‘এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা যেকোনো কিছুর মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। আমাদের জীবিকা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে।’
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির মালিকানাধীন একটি বন্দর সম্প্রসারণ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে লড়ছে তামিলনাড়ুর হাজার হাজার গ্রামবাসী। মাছ ধরার মাধ্যমেই জীবিকা নির্বাহ করেন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যের এসব গ্রামের অধিকাংশ মানুষ। গ্রামবাসীর দাবি, বঙ্গোপসাগরের উপকূল বরাবর তিরুভাল্লুর জেলায় অবস্থিত একটি ছোট্ট গ্রাম কাট্টুপল্লিতে বন্দর সম্প্রসারণ করা হলে তাদের জমি তলিয়ে যাবে, ধ্বংস হবে জীবিকা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে। বলা হয়েছে, ৩৩০ একর জায়গাজুড়ে আদানি বহুমুখী বন্দরটি নির্মাণ করেছে ভারতীয় সংস্থা লারসন অ্যান্ড টুব্রো (এল অ্যান্ড টি)। ২০১৮ সালে এই জায়গা অধিগ্রহণ করেছিল আদানি পোর্টস। কোম্পানিটি পরে উপকূল বরাবর জমির অংশ দাবি করে এটিকে ৬ হাজার ১১০ একর এলাকাজুড়ে ১৮ গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়।
আদানি পোর্টের মহাপরিকল্পনা অনুসারে, বন্দর সম্প্রসারণের ফলে কার্গো পরিবহনক্ষমতা প্রতিবছর ২৪.৬ মেট্রিক টন থেকে ৩২০ মেট্রিক টনে উন্নীত হবে। এতে নতুন রেল ও সড়ক নেটওয়ার্কের বিকাশ ঘটার ফলে অঞ্চলটির বাণিজ্য সংযোগ বাড়বে।
তবে উপকূলে অবস্থিত অন্তত ১০০ শহর ও গ্রামের মৎস্যজীবীরা বলছেন, বন্দর সম্প্রসারণ তাদের জীবিকার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। এই অঞ্চলের মৎস্যজীবী রাজলক্ষ্মী বলেন, ‘এখানে পাওয়া মাছের জাতের সংখ্যা ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। যেকোনো ধরনের সম্প্রসারণ এই সংখ্যাকে আরও কমিয়ে দেবে।’
বন্দর সম্প্রসারণের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে পরিবেশবাদীরাও। তাদের দাবি, পরিকল্পনাটির ফলে উপকূলীয় ক্ষয় এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হবে অনেক বেশি। কারণ, দেশীয় মাছের প্রজাতি এবং কাঁকড়া, চিংড়ি এবং ছোট কচ্ছপ এই অঞ্চলে পাওয়া যায়। পরিবেশবাদী মীরা শাহ দাবি করেছেন, ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম লবণাক্ত পানির হ্রদ পুলিকাট হ্রদকেও ধ্বংস করতে পারে এই পরিকল্পনা।
মীরা শাহ বলেন, এই মুহূর্তে হ্রদ ও বঙ্গোপসাগরের মধ্যে দেওয়াল হিসেবে কাজ করছে এই উপকূল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অঞ্চলটি ব্যাপক মাত্রায় পরিবেশদূষণ এবং উপকূলীয় ক্ষয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। এখানে বন্দর সম্প্রসারিত হলে উপকূল আরও সংকুচিত হবে। এতে মিশে যাবে হ্রদ ও সমুদ্র।
তবে এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে আদানি পোর্ট। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোম্পানির এক মুখপাত্র বলেন, স্থানীয়রা বন্দর সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে নয়। বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা লোকজন প্রচারের লোভে এসব করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিবিসিকে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বন্দর সম্প্রসারণের বিরোধিতাকারীদের দাবির পেছনে তথ্যগত কোনো ভিত্তি নেই। পরিবেশ রক্ষায় জড়িত কিছু এনজিওর এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা থাকতে পারে। পরিবেশগত ছাড়পত্রের প্রক্রিয়া চলার সময় সেসবের সমাধান করা হবে।’
বন্দর সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে গ্রামবাসী প্রথম প্রতিবাদ করে ২০১৮ সালে। বিগত কয়েক বছর ধরে তারা বিরতিহীনভাবে প্রতিবাদ করে আসছে। রাজ্য সরকার প্রকল্পটিকে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করলে গত সেপ্টেম্বরে আন্দোলনের মাত্রা তীব্র হয়। সে মাসেই রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রবল প্রতিবাদের মুখে প্রকল্পটির একটি বাধ্যতামূলক গণশুনানি স্থগিত হয়।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, বন্দর সম্প্রসারণ এই অঞ্চলের বাস্তুসংস্থানের ধ্বংস ডেকে আনতে পারে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি) মাদ্রাজের হাইড্রোজোলজির অধ্যাপক ড. ইলাঙ্গো লাক্শমানান বলেন, ‘ভারতের পূর্ব উপকূল, বিশেষ করে তামিলনাড়ু উপকূল বন্দর নির্মাণের জন্যই উপযুক্ত নয়। আর সম্প্রসারণের কথা বাদই দিন।’
বন্দর সম্প্রসারণের পক্ষে কথা বলেছেন হিন্দুস্তান চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ভালিয়াপ্পান নাগাপ্পান। তিনি বলেন, আদানির দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত কাট্টুপল্লি বন্দরে কেবল লোকসানই হচ্ছিল। এখন এটি লাভ করতে শুরু করেছে। আরও জাহাজ এলে অর্থনীতি আরও বাড়বে। তবে স্থানীয়দের ভালোভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং তাদের জীবিকার ওপর কোনো প্রভাব না ফেলার বিষয়টি কোম্পানিকে নিশ্চিত করতে হবে।
কিন্তু বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তারা এতে আশ্বস্ত নন। তাদের স্বার্থ রক্ষায় যথেষ্ট কাজ না করার জন্য তামিলনাড়ু সরকারকে দোষারোপ করেছে বিক্ষোভকারীরা। বিজয়া নামে পুলিকাটের একজন জেলে বলেন, ‘এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা যেকোনো কিছুর মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। আমাদের জীবিকা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করেছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে তাঁরা সাক্ষাৎ করেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ইরানের দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে
২৩ মিনিট আগেইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ আছে সেগুলোর সার্বভৌম মালিকানা ফিলিস্তিনি জনগণের। এই বিষয়টির স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটিতে পশ্চিমা বিশ্বের অনেকগুলো দেশ সমর্থন দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব পাস হয়
১ ঘণ্টা আগেচিকিৎসার জন্য ২০০৭ সালে ভারতের আসামে গিয়েছিল বাংলাদেশের সিলেটের এক পরিবার। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে পরিবারের এক মেয়ে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমে পড়ে। শেষমেশ তাঁকে বিয়ে করে সেখানেই থেকে যান তিনি। তবে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কখনোই প্রশস্ত ছিল না। ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার হিন্দুস
২ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আত্মঘাতী ড্রোনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর মতে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার প্রেক্ষাপটে সামরিক মতবাদেও দ্রুত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ—এর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদ
৩ ঘণ্টা আগে