কলকাতা প্রতিনিধি
কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে যতই জল ঘোলা হোক না কেন, দলের লাগাম থাকছে গান্ধী পরিবারের হাতেই। এমনকি, বর্তমান সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী দলীয় নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকার কথা বললেও আসলে তাঁদের ইচ্ছাই যে শেষ কথা, সেটি মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
কংগ্রেসে বিদ্রোহী শিবিরের নেতা বলে পরিচিত শশী থারুরের বিরুদ্ধে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ নেতা অশোক গেহলট, দ্বিগ্বিজয় সিংয়ের পর রাজ্যসভার বিরোধীদলয়ী নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম উঠে আসাতেই বিষয়টি অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যায়। এই তিনজনই গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তবে শেষ হাসি হেসেছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।
কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট পদে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠজন বসতে পারে বিষয়টি কেবল এখানেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে রাহুল গান্ধী ব্যস্ত থাকলেও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ভূমিকা নিয়েও কংগ্রেস শিবিরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তাই কংগ্রেসেরই একটি বড় অংশই কেবল দলীয় প্রেসিডেন্ট বদলকে ব্যক্তিগত আলোচনায় গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
দুই শকেরও বেশি সময় পর আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দলটির শীর্ষ পদে বসতে চলেছেন গান্ধী পরিবারের বাইরের কোনো ব্যক্তি। কিন্তু ক্ষমতার লাগাম থাকছে ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর উত্তরসূরিদের হাতেই। তবু নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক চালবাজির কমতি নেই। বর্তমানে ভারতের ২৮টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে কংগ্রেস শুধু দুটি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। অভ্যন্তরীণ অশান্তির জেরে রাজস্থানেও দলের অবস্থা শোচনীয়। দলে যে বিন্দুমাত্র অনুশাসন নেই, সেটা আরও স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ঘনিষ্ঠ বিধায়কেরাই। অথচ এই অশোককেই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি করা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল।
বছর দুয়েক আগে কংগ্রেসের সভাপতি পদপ্রার্থী শশী থারুরসহ দলের ২৩ জন প্রথম সারির নেতা নির্বাচিত ও স্থায়ী সভাপতির দাবিতে চিঠি লিখে জি-২৩ তকমা নিয়ে দলে বিরুদ্ধ মতাবলম্বী বলে পরিচিতি লাভ করেন। সেই বিদ্রোহীদের অন্যতম গুলাম নবী আজাদ ইতিমধ্যে কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দল তৈরি করেছেন। তবে শশী থারুরু বলেছেন, তিনি জি-২৩ নয়, বরং কংগ্রেসের দলীয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। কেবল তাই নয়, জি-২৩ বলে পরিচিত নেতাদের অনককেই দেখা গেছে শশী থারুরের প্রার্থিতার বিরোধিতা করতে।
তবে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। গান্ধী পরিবারের ইচ্ছায়ই সভাপতির দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন প্রবীণ নেতা অশোক গেহলট, দ্বিগ্বিজয় সিং। এমনকি প্রিয়াঙ্কার ইচ্ছাতেই নাকি অশোক গেহলট শচীন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করে সামনের বছর রাজস্থানের বিধানসভা ভোটে দলকে জয়ী করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
কংগ্রেস নেতাদের অনেকের কাছেই অবশ্য কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের পদ আসলে ‘রামায়ণে রামের পাদুকা সিংহাসনে রেখে ভরতের রাজ্য শাসনের’ থেকেও কম সুখের। কারণ আসল ক্ষমতা থাকছে গান্ধী পরিবারের হাতে। দায়িত্বটুকুই শুধু নতুন সভাপতির। তবে ব্যর্থতার দায় পুরোটাই তাঁর। তাই ১৭ অক্টোবরের নির্বাচন বা ১৯ অক্টোবরের ফল ঘোষণা নিয়ে সাধারণ কংগ্রেস কর্মীদের তেমন কোনো উৎসাহ নেই।
কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে যতই জল ঘোলা হোক না কেন, দলের লাগাম থাকছে গান্ধী পরিবারের হাতেই। এমনকি, বর্তমান সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী দলীয় নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকার কথা বললেও আসলে তাঁদের ইচ্ছাই যে শেষ কথা, সেটি মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
কংগ্রেসে বিদ্রোহী শিবিরের নেতা বলে পরিচিত শশী থারুরের বিরুদ্ধে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ নেতা অশোক গেহলট, দ্বিগ্বিজয় সিংয়ের পর রাজ্যসভার বিরোধীদলয়ী নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম উঠে আসাতেই বিষয়টি অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যায়। এই তিনজনই গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তবে শেষ হাসি হেসেছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।
কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট পদে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠজন বসতে পারে বিষয়টি কেবল এখানেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে রাহুল গান্ধী ব্যস্ত থাকলেও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ভূমিকা নিয়েও কংগ্রেস শিবিরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তাই কংগ্রেসেরই একটি বড় অংশই কেবল দলীয় প্রেসিডেন্ট বদলকে ব্যক্তিগত আলোচনায় গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
দুই শকেরও বেশি সময় পর আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দলটির শীর্ষ পদে বসতে চলেছেন গান্ধী পরিবারের বাইরের কোনো ব্যক্তি। কিন্তু ক্ষমতার লাগাম থাকছে ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর উত্তরসূরিদের হাতেই। তবু নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক চালবাজির কমতি নেই। বর্তমানে ভারতের ২৮টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে কংগ্রেস শুধু দুটি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। অভ্যন্তরীণ অশান্তির জেরে রাজস্থানেও দলের অবস্থা শোচনীয়। দলে যে বিন্দুমাত্র অনুশাসন নেই, সেটা আরও স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ঘনিষ্ঠ বিধায়কেরাই। অথচ এই অশোককেই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি করা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল।
বছর দুয়েক আগে কংগ্রেসের সভাপতি পদপ্রার্থী শশী থারুরসহ দলের ২৩ জন প্রথম সারির নেতা নির্বাচিত ও স্থায়ী সভাপতির দাবিতে চিঠি লিখে জি-২৩ তকমা নিয়ে দলে বিরুদ্ধ মতাবলম্বী বলে পরিচিতি লাভ করেন। সেই বিদ্রোহীদের অন্যতম গুলাম নবী আজাদ ইতিমধ্যে কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দল তৈরি করেছেন। তবে শশী থারুরু বলেছেন, তিনি জি-২৩ নয়, বরং কংগ্রেসের দলীয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। কেবল তাই নয়, জি-২৩ বলে পরিচিত নেতাদের অনককেই দেখা গেছে শশী থারুরের প্রার্থিতার বিরোধিতা করতে।
তবে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। গান্ধী পরিবারের ইচ্ছায়ই সভাপতির দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন প্রবীণ নেতা অশোক গেহলট, দ্বিগ্বিজয় সিং। এমনকি প্রিয়াঙ্কার ইচ্ছাতেই নাকি অশোক গেহলট শচীন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করে সামনের বছর রাজস্থানের বিধানসভা ভোটে দলকে জয়ী করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
কংগ্রেস নেতাদের অনেকের কাছেই অবশ্য কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের পদ আসলে ‘রামায়ণে রামের পাদুকা সিংহাসনে রেখে ভরতের রাজ্য শাসনের’ থেকেও কম সুখের। কারণ আসল ক্ষমতা থাকছে গান্ধী পরিবারের হাতে। দায়িত্বটুকুই শুধু নতুন সভাপতির। তবে ব্যর্থতার দায় পুরোটাই তাঁর। তাই ১৭ অক্টোবরের নির্বাচন বা ১৯ অক্টোবরের ফল ঘোষণা নিয়ে সাধারণ কংগ্রেস কর্মীদের তেমন কোনো উৎসাহ নেই।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিসানায়েকের নেতৃত্বে বামপন্থী দল ন্যাশনাল পিপল পাওয়ার (এনপিপি) আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেছে। এই জয়ের মার্ক্সবাদী প্রেসিডেন্ট দিসানায়েকে কঠোর ব্যয় সংকোচন নীতি শিথিল করার জন্য ম্যান্ডেট পেয়েছেন
৩৪ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করেছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে তাঁরা সাক্ষাৎ করেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ইরানের দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে
২ ঘণ্টা আগেইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ আছে সেগুলোর সার্বভৌম মালিকানা ফিলিস্তিনি জনগণের। এই বিষয়টির স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটিতে পশ্চিমা বিশ্বের অনেকগুলো দেশ সমর্থন দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব পাস হয়
৩ ঘণ্টা আগেচিকিৎসার জন্য ২০০৭ সালে ভারতের আসামে গিয়েছিল বাংলাদেশের সিলেটের এক পরিবার। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে পরিবারের এক মেয়ে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমে পড়ে। শেষমেশ তাঁকে বিয়ে করে সেখানেই থেকে যান তিনি। তবে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কখনোই প্রশস্ত ছিল না। ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার হিন্দুস
৪ ঘণ্টা আগে