অনলাইন ডেস্ক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাটের আলোচিত বিলকিস বানুর ধর্ষণ মামলায় এক ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। দেশটির সর্বোচ্চ আদালত বলেছেন, বিলকিস বানুর ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ১১ আসামিকে মুক্তি দিয়ে গুজরাট সরকার প্রতারণামূলক কাজ করেছে। পাশাপাশি আদালত গুজরাট সরকারকে তিরস্কারও করেছে।
ভারতের গুজরাটে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বিলকিস বানু। ঘটনার পর ধর্ষণের অভিযোগে ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হলেও কিছুদিন আগে গুজরাট সরকার বিশেষ আদেশে তাদের ছেড়ে দেয়। পরে সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন বিলকিস বানু। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট ধর্ষকদের ফের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকালে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিলকিস বানুর জন্য এই রায় বিরাট অর্জন এবং গুজরাট সরকারের জন্য কড়া ধাক্কা।
বিলকিস বানুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগারথানা ও উজ্জ্বল ভূঁইয়ার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের রায়ে বলা হয়, মহারাষ্ট্র আদালত এই ঘটনার দোষীদের দণ্ড দেওয়ায় গুজরাট সরকারের কোনো অধিকার নেই দণ্ডিতদের দণ্ড মওকুফ করার।
এ সময় আদালত গুজরাট সরকারকে তিরস্কার করে বলেন, ‘গুজরাট সরকারের উচিত ছিল ২০২০ সালের আদেশ তারা দিয়েছে সেটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা এবং একই সঙ্গে এটি স্বীকার করা যে, তারা একটি যোগ্য সরকার নয়।’ এ সময় আদালত আরও বলেন, ‘ (দণ্ডিতদের) অব্যাহতির যে আদেশ দেওয়া হয়েছে তাতে সরকারের দক্ষতা বা যোগ্যতার অভাব রয়েছে।’ আদালত আরও বলেন, ‘অপরাধীদের মুক্তির আদেশ কেবল সেই স্থান (রাজ্য) দিতে পারে যেখানে তাদের বিচার করা হয়েছে।’
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ রায়ে বলা হয়, ‘পরিণাম কী হবে সে বিষয়টি মাথায় না নিয়েই আইনের শাসন যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে হবে।’
বিচারপতি বিভি নাগরথানা তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘ভুক্তভোগীর অধিকার রক্ষা সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ এবং নারীরা সম্মান পাওয়ার যোগ্য। একজন নারী যে সমাজ বা ধর্মেরই অনুসারী হোক কেন, তাঁকে সমাজে যতই উচ্চ বা নিচ হিসেবে বিবেচনা করা হোক না কেন—তিনি সম্মানের যোগ্য। নারীর বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ কী ক্ষমার যোগ্য?’
দুই বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের রায়ে বলা হয়েছে, ‘বস্তুগত তথ্যপ্রমাণগুলোকে দাবিয়ে ও বিভ্রান্তিকর তথ্য তৈরি করে এক আসামি গুজরাট রাজ্য সরকারের কাছে তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। গুজরাট সরকার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে তাঁকে মুক্তি দিলেও আদালত থেকে গুজরাট সরকারকে এই বিষয়ে কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এটি একটি প্রতারণামূলক কাজ।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাটের আলোচিত বিলকিস বানুর ধর্ষণ মামলায় এক ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। দেশটির সর্বোচ্চ আদালত বলেছেন, বিলকিস বানুর ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ১১ আসামিকে মুক্তি দিয়ে গুজরাট সরকার প্রতারণামূলক কাজ করেছে। পাশাপাশি আদালত গুজরাট সরকারকে তিরস্কারও করেছে।
ভারতের গুজরাটে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বিলকিস বানু। ঘটনার পর ধর্ষণের অভিযোগে ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হলেও কিছুদিন আগে গুজরাট সরকার বিশেষ আদেশে তাদের ছেড়ে দেয়। পরে সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন বিলকিস বানু। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট ধর্ষকদের ফের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকালে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিলকিস বানুর জন্য এই রায় বিরাট অর্জন এবং গুজরাট সরকারের জন্য কড়া ধাক্কা।
বিলকিস বানুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগারথানা ও উজ্জ্বল ভূঁইয়ার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের রায়ে বলা হয়, মহারাষ্ট্র আদালত এই ঘটনার দোষীদের দণ্ড দেওয়ায় গুজরাট সরকারের কোনো অধিকার নেই দণ্ডিতদের দণ্ড মওকুফ করার।
এ সময় আদালত গুজরাট সরকারকে তিরস্কার করে বলেন, ‘গুজরাট সরকারের উচিত ছিল ২০২০ সালের আদেশ তারা দিয়েছে সেটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা এবং একই সঙ্গে এটি স্বীকার করা যে, তারা একটি যোগ্য সরকার নয়।’ এ সময় আদালত আরও বলেন, ‘ (দণ্ডিতদের) অব্যাহতির যে আদেশ দেওয়া হয়েছে তাতে সরকারের দক্ষতা বা যোগ্যতার অভাব রয়েছে।’ আদালত আরও বলেন, ‘অপরাধীদের মুক্তির আদেশ কেবল সেই স্থান (রাজ্য) দিতে পারে যেখানে তাদের বিচার করা হয়েছে।’
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ রায়ে বলা হয়, ‘পরিণাম কী হবে সে বিষয়টি মাথায় না নিয়েই আইনের শাসন যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে হবে।’
বিচারপতি বিভি নাগরথানা তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘ভুক্তভোগীর অধিকার রক্ষা সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ এবং নারীরা সম্মান পাওয়ার যোগ্য। একজন নারী যে সমাজ বা ধর্মেরই অনুসারী হোক কেন, তাঁকে সমাজে যতই উচ্চ বা নিচ হিসেবে বিবেচনা করা হোক না কেন—তিনি সম্মানের যোগ্য। নারীর বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ কী ক্ষমার যোগ্য?’
দুই বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের রায়ে বলা হয়েছে, ‘বস্তুগত তথ্যপ্রমাণগুলোকে দাবিয়ে ও বিভ্রান্তিকর তথ্য তৈরি করে এক আসামি গুজরাট রাজ্য সরকারের কাছে তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। গুজরাট সরকার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে তাঁকে মুক্তি দিলেও আদালত থেকে গুজরাট সরকারকে এই বিষয়ে কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এটি একটি প্রতারণামূলক কাজ।’
চিকিৎসার জন্য ২০০৭ সালে ভারতের আসামে গিয়েছিল বাংলাদেশের সিলেটের এক পরিবার। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে পরিবারের এক মেয়ে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমে পড়ে। শেষমেশ তাঁকে বিয়ে করে সেখানেই থেকে যান তিনি। তবে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কখনোই প্রশস্ত ছিল না। ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার হিন্দুস
৩৭ মিনিট আগেউত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আত্মঘাতী ড্রোনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর মতে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার প্রেক্ষাপটে সামরিক মতবাদেও দ্রুত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ—এর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদ
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে কুখ্যাত ৯ / ১১ এর মতো আরেকটি ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল এক মার্কিন যুবক। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগ গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনের বাসিন্দা আনাস সাইদের (২৮) বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) সন্ত্রাসীদের
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়রকে স্বাস্থ্য ও মানবসেবা মন্ত্রণালয়ের (এইচএইচএস) প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেবেন। তিনি বলেছেন, সাবেক এই ডেমোক্র্যাট নেতা (কেনেডি জুনিয়র) এই পদে থেকে ‘ক্ষতিকর রাসায়নিক ও দূষণ থেকে সবার সুরক্ষা নিশ্চিত ক
৩ ঘণ্টা আগে