অনলাইন ডেস্ক
পর্দার আড়ালে মার্কিন কর্মকর্তাদের লবিং পাল্টে দিয়েছে ভারতের ল্যাপটপ লাইসেন্সের নীতি। সে সঙ্গে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বাধ্যবাধকতা এবং জারি করার পথে থাকা নিয়মগুলোর ব্যাপারে নয়াদিল্লির সম্মতি আছে কিনা সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে তাদের বাণিজ্য কর্মকর্তাদের পাঠানো বেশ কিছু ইমেইলে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
গত আগস্টে আমদানি করা ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ব্যক্তিগত কম্পিউটার এবং সার্ভারের সমস্ত চালানের জন্য অ্যাপল, ডেল এবং এইচপির মতো সংস্থাগুলোকে লাইসেন্স নেওয়ার জন্য কয়েকটি নিয়ম আরোপ করেছিল ভারত। এতে তৈরি হয় বিক্রি কমে যাওয়ার আশঙ্কা। নয়াদিল্লি এরপর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তাদের পুরোনো নীতিতে ফিরে গিয়ে বলেছে, নতুন নীতি অনুসারে কেবল আমদানি নিরীক্ষণ করা হবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এক বছর পর।
তবে নরেন্দ্র মোদির আপাত অনমনীয় সরকারকে নীতি পাল্টাতে রাজি করার কাজটা কীভাবে সম্ভব করল যুক্তরাষ্ট্র—সে সম্পর্কে বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ইমেইলগুলোতে। ভারতের নেওয়া নতুন নীতির ফলে ওয়াশিংটনের বাণিজ্যে যেসব অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে সেসবের ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল সেখানে। ভারতের আকস্মিক নীতি পরিবর্তন নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্বেগ ছিল যে, এতে ব্যবসায়িক পরিবেশে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে।
ভারত সাধারণত বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তাদের সকল অংশীদারের স্বার্থ বজায় রাখার চেষ্টা করে। বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করলেও নয়াদিল্লি প্রায়ই বিদেশিদের চেয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই ল্যাপটপ আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের পরিবর্তিত নীতির ঘোষণায় তাই বিস্মিত হয়েছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এতে ব্যবসায়িক পরিবেশসহ বার্ষিক ৫০ কোটি ডলার মূল্যের যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানির বাজারেও সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল বলে মার্কিন নথিতে দেখা গেছে।
গবেষণা সংস্থা কাউন্টারপয়েন্টের অনুমান, ভারতের ল্যাপটপ এবং ব্যক্তিগত কম্পিউটারের বাজারমূল্য বার্ষিক ৮০০ কোটি ডলার।
গত বছর ভারত ল্যাপটপের লাইসেন্সের নীতি ঘোষণার পরই ২৬ আগস্ট নয়াদিল্লিতে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে দেখা করেন মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) ক্যাথরিন টাই। বৈঠকে ভারতের নীতি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রকাশ করে টাই বলেন, নীতি ঘোষণার আগে অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত ছিল। বৈঠকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে পীযূষ গোয়েলকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় ভারত এই নীতি প্রত্যাহার করুক।
ক্যাথরিন টাই আরও বলেন, ভারতের এই আকস্মিক নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য সংস্থা ভারতে বাণিজ্য করার ব্যাপারে দুবার ভাবতে বাধ্য হচ্ছে।
একই সময়ে, নয়াদিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিষয়ক কূটনীতিক ট্র্যাভিস কোবারলি তার ইউএসটিআর-এর সহকর্মীদের বলেছিলেন যে, ল্যাপটপ লাইসেন্স বিষয়ক নীতির হঠাৎ পরিবর্তনের সিদ্ধান্তটি যে ভুল ছিল তা স্বীকার করেছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।
ট্র্যাভিস কোবারলি লিখেছেন, ‘ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বুঝতে পেরেছে যে, তারা (ভারত) ভুল করেছে। তারা এটা স্বীকার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো এই বিষয়ে তাদের কঠোরভাবে বলেছে।’
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ রয়টার্সকে বলেন, ভারতের বর্তমান পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত বাণিজ্যে ন্যূনতম প্রভাব ফেলেছে বলে ইউএসটিআর সন্তুষ্ট। তবে ভারতে আমদানি করা ডিভাইসগুলোর যাচাই-বাছাইয়ের পদক্ষেপ ডব্লিউটিওর বাধ্যবাধকতা অনুসারে চলছে কিনা এবং বাণিজ্য সম্পর্কের ওপর প্রকৃত নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করছে ইউএসটিআর।
পীযূষ গোয়েলের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রয়টার্সকে এক বিবৃতিতে বলেছে যে, গত আগস্টের বৈঠকের সময় ক্যাথরিন টাই কিছু বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং নয়াদিল্লিও সে সময়ে ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগ জানিয়েছিল। তবে ভারত কেন তার সিদ্ধান্ত পাল্টেছে সে সম্পর্কে বিবৃতিতে বিস্তারিত জানান হয়নি।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুজনসহ তিন ভারতীয় কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন যে, মার্কিন চাপের কারণে কোনো নীতি পরিবর্তন করেনি নয়াদিল্লি। বরং সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণ হচ্ছে—তারা বুঝতে পেরেছিল যে, স্থানীয় পর্যায়ে ভারতের ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেটের উৎপাদন সে সময় তেমন উল্লেখযোগ্য ছিল না।
পর্দার আড়ালে মার্কিন কর্মকর্তাদের লবিং পাল্টে দিয়েছে ভারতের ল্যাপটপ লাইসেন্সের নীতি। সে সঙ্গে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বাধ্যবাধকতা এবং জারি করার পথে থাকা নিয়মগুলোর ব্যাপারে নয়াদিল্লির সম্মতি আছে কিনা সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে তাদের বাণিজ্য কর্মকর্তাদের পাঠানো বেশ কিছু ইমেইলে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
গত আগস্টে আমদানি করা ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ব্যক্তিগত কম্পিউটার এবং সার্ভারের সমস্ত চালানের জন্য অ্যাপল, ডেল এবং এইচপির মতো সংস্থাগুলোকে লাইসেন্স নেওয়ার জন্য কয়েকটি নিয়ম আরোপ করেছিল ভারত। এতে তৈরি হয় বিক্রি কমে যাওয়ার আশঙ্কা। নয়াদিল্লি এরপর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তাদের পুরোনো নীতিতে ফিরে গিয়ে বলেছে, নতুন নীতি অনুসারে কেবল আমদানি নিরীক্ষণ করা হবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এক বছর পর।
তবে নরেন্দ্র মোদির আপাত অনমনীয় সরকারকে নীতি পাল্টাতে রাজি করার কাজটা কীভাবে সম্ভব করল যুক্তরাষ্ট্র—সে সম্পর্কে বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ইমেইলগুলোতে। ভারতের নেওয়া নতুন নীতির ফলে ওয়াশিংটনের বাণিজ্যে যেসব অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে সেসবের ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল সেখানে। ভারতের আকস্মিক নীতি পরিবর্তন নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্বেগ ছিল যে, এতে ব্যবসায়িক পরিবেশে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে।
ভারত সাধারণত বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তাদের সকল অংশীদারের স্বার্থ বজায় রাখার চেষ্টা করে। বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করলেও নয়াদিল্লি প্রায়ই বিদেশিদের চেয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই ল্যাপটপ আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের পরিবর্তিত নীতির ঘোষণায় তাই বিস্মিত হয়েছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এতে ব্যবসায়িক পরিবেশসহ বার্ষিক ৫০ কোটি ডলার মূল্যের যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানির বাজারেও সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল বলে মার্কিন নথিতে দেখা গেছে।
গবেষণা সংস্থা কাউন্টারপয়েন্টের অনুমান, ভারতের ল্যাপটপ এবং ব্যক্তিগত কম্পিউটারের বাজারমূল্য বার্ষিক ৮০০ কোটি ডলার।
গত বছর ভারত ল্যাপটপের লাইসেন্সের নীতি ঘোষণার পরই ২৬ আগস্ট নয়াদিল্লিতে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে দেখা করেন মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) ক্যাথরিন টাই। বৈঠকে ভারতের নীতি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রকাশ করে টাই বলেন, নীতি ঘোষণার আগে অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত ছিল। বৈঠকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে পীযূষ গোয়েলকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় ভারত এই নীতি প্রত্যাহার করুক।
ক্যাথরিন টাই আরও বলেন, ভারতের এই আকস্মিক নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য সংস্থা ভারতে বাণিজ্য করার ব্যাপারে দুবার ভাবতে বাধ্য হচ্ছে।
একই সময়ে, নয়াদিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিষয়ক কূটনীতিক ট্র্যাভিস কোবারলি তার ইউএসটিআর-এর সহকর্মীদের বলেছিলেন যে, ল্যাপটপ লাইসেন্স বিষয়ক নীতির হঠাৎ পরিবর্তনের সিদ্ধান্তটি যে ভুল ছিল তা স্বীকার করেছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।
ট্র্যাভিস কোবারলি লিখেছেন, ‘ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বুঝতে পেরেছে যে, তারা (ভারত) ভুল করেছে। তারা এটা স্বীকার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো এই বিষয়ে তাদের কঠোরভাবে বলেছে।’
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ রয়টার্সকে বলেন, ভারতের বর্তমান পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত বাণিজ্যে ন্যূনতম প্রভাব ফেলেছে বলে ইউএসটিআর সন্তুষ্ট। তবে ভারতে আমদানি করা ডিভাইসগুলোর যাচাই-বাছাইয়ের পদক্ষেপ ডব্লিউটিওর বাধ্যবাধকতা অনুসারে চলছে কিনা এবং বাণিজ্য সম্পর্কের ওপর প্রকৃত নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করছে ইউএসটিআর।
পীযূষ গোয়েলের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রয়টার্সকে এক বিবৃতিতে বলেছে যে, গত আগস্টের বৈঠকের সময় ক্যাথরিন টাই কিছু বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং নয়াদিল্লিও সে সময়ে ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগ জানিয়েছিল। তবে ভারত কেন তার সিদ্ধান্ত পাল্টেছে সে সম্পর্কে বিবৃতিতে বিস্তারিত জানান হয়নি।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুজনসহ তিন ভারতীয় কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন যে, মার্কিন চাপের কারণে কোনো নীতি পরিবর্তন করেনি নয়াদিল্লি। বরং সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণ হচ্ছে—তারা বুঝতে পেরেছিল যে, স্থানীয় পর্যায়ে ভারতের ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেটের উৎপাদন সে সময় তেমন উল্লেখযোগ্য ছিল না।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আত্মঘাতী ড্রোনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর মতে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার প্রেক্ষাপটে সামরিক মতবাদেও দ্রুত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ—এর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদ
২২ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রে কুখ্যাত ৯ / ১১ এর মতো আরেকটি ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল এক মার্কিন যুবক। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগ গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনের বাসিন্দা আনাস সাইদের (২৮) বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) সন্ত্রাসীদের
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়রকে স্বাস্থ্য ও মানবসেবা মন্ত্রণালয়ের (এইচএইচএস) প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেবেন। তিনি বলেছেন, সাবেক এই ডেমোক্র্যাট নেতা (কেনেডি জুনিয়র) এই পদে থেকে ‘ক্ষতিকর রাসায়নিক ও দূষণ থেকে সবার সুরক্ষা নিশ্চিত ক
৩ ঘণ্টা আগেস্বাধীনতা যুদ্ধের পর এই প্রথম কোনো পাকিস্তানি মালবাহী জাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়েছে। গতকাল বুধবার পাকিস্তানের করাচি থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ে। নানা কারণেই পাকিস্তানি মালবাহী জাহাজটির বাংলাদেশের বন্দরে ভেড়ার বিষয়টিকে ঐতিহাসিক বলা হচ্ছে। আর এই ঐতিহাসিক বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্
৩ ঘণ্টা আগে