আরজি কর-কাণ্ডের পরও পশ্চিমবঙ্গে ৬ আসনেই তৃণমূলের জয়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৭: ৫৮
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮: ২২
পশ্চিমবঙ্গে আরজি কর-কাণ্ডে নাগরিক আন্দোলনের ছাপ পড়ল না বিধানসভা উপনির্বাচনে। ছবি: সংগৃহীত

আরজি কর-কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের কোনো প্রভাব পড়েনি রাজ্যটির ছয় বিধানসভা উপনির্বাচনে। ছয় আসনেই ভূমিধস জয় পেয়েছে মমতার তৃণমূল।

মাদারিহাট আসন পদ্মশিবির ধরে রাখতে পারবে কি না তা নিয়ে বেশ কৌতূহল ছিল। ফল ঘোষণার পর দেখা গেল, তৃণমূল শুধু ছক্কাই হাঁকাল না, ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের জন্য আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট বিধানসভা আসনে তৃণমূলের জোড়া ফুল ফুটল।

ভোটের ফলাফলে বাকি পাঁচ আসনের মতো মাদারিহাটেও বিজেপির ছন্নছাড়া অবস্থা দেখা গেছে। পাশাপাশি আরও একবার ভোটের ফল প্রমাণ করে দিল পশ্চিমবঙ্গে বাম-কংগ্রেস এখন প্রান্তিক শক্তি। গ্রাম বা শহর কোনো আসনেই তাদের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

একমাত্র হাড়োয়া আসনে বাম–সমর্থিত আইএসএফ প্রার্থী পিয়ারুল ইসলাম দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। এই একটি আসনেই জামানত রয়েছে। বাকি পাঁচ আসনেই জামানত খুইয়েছেন বামপন্থী প্রার্থীরা। পৃথকভাবে লড়ে ছয়টি আসনেই জামানত খুইয়েছে কংগ্রেস।

আরজি কর নিয়ে নাগরিক আন্দোলনে ঝান্ডাহীন হয়ে সবচেয়ে বেশি সম্পৃক্ত ছিলেন বামেরা। কিন্তু দেখা গেল, এই দুই আসনেই বামপন্থীরা জামানত খুইয়েছেন। অর্থাৎ, আন্দোলনের কোনো সুফল তাঁরা ইভিএমে তুলতে পারেননি। বিজেপিও আরজি কর নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করে গিয়েছে। নাগরিক আন্দোলনে সেভাবে ভিড়তে না পারলেও পৃথকভাবে আন্দোলন জারি রেখেছিল পদ্মশিবির। বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী স্লোগান দিয়েছিলেন, ‘দফা এক দাবি এক, মমতার পদত্যাগ।’ কিন্তু কোনো কিছুতেই কিছু হলো না।

বাম ও বিজেপির প্রথম সারির নেতারা একান্ত আলোচনায় মানছেন, নির্বাচনী রাজনীতিতে তৃণমূলের গণভিত্তি অনেক গভীরে প্রোথিত। সংগঠনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক বাস্তুতন্ত্র (ইকোনমিক ইকোসিস্টেম) তৈরি করে ফেলেছে তৃণমূল।

এক প্রবীণ সিপিএম নেতার বলেছেন, ‘সরকারি বিভিন্ন ভাতা ছাড়াও তৃণমূলের সঙ্গে থাকার সুবাদে প্রতিটি এলাকার বহু মানুষ পেট চালাচ্ছেন। তাঁরা যে সবাই দুর্নীতিতে রয়েছেন, তা নয়। কিন্তু তাঁদের কাছে তৃণমূল রুটি–রুজি। এই অংশই তৃণমূলকে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে।’ সামাজিক ভাতার যে প্রভাব প্রতিটি ভোটে পড়ছে—তা মানছেন বিজেপি নেতারাও।

তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ বলেছেন, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে যাঁরা কুৎসা করেন, তাঁদের উচিত লক্ষ্মীর ভান্ডারকে প্রণাম করা। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নকল করলে হবে না। মা লক্ষ্মীদের প্রতি আরও যত্নশীল হতে হবে। এঁরাই বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত