অনলাইন ডেস্ক
তিনজনেরই বয়স ১৩ বছর। সরকারি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের পশ্চাৎপদ কারুর জেলার একটি গ্রামে তাদের বাড়ি। দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় ব্যান্ডদল বিটিএস-এর ভক্ত এই তিন কিশোরী। শুধু ভক্ত বললেও ভুল হবে—বলতে হবে ‘পাগলপারা’। তা না হলে কি এমন কাণ্ড কেউ করে বসে!
সোমবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিটিএস ব্যান্ডের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে যেতে বাড়ি থেকে পালিয়েছিল ওই কিশোরীরা। অথচ তাদের কাছে ছিল না কোনো পাসপোর্ট, ছিল না পর্যাপ্ত অর্থও।
একটি শিশুকল্যাণ কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সমুদ্রপথে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তিন কিশোরী। এ জন্য তারা তামিল নাড়ুর থোথুকোডি ও অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তমসহ সম্ভাব্য কয়েকটি সমুদ্র বন্দরের তালিকাও করেছিল, যেখান থেকে জাহাজে চড়ে বসার পরিকল্পনা ছিল তাদের। তবে শেষ পর্যন্ত তারা বিশাখাপত্তমকেই বেছে নেয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ৪ জানুয়ারি সবার অগোচরে তারা বাড়ি ছাড়ে। কারুরের কাছাকাছি ইরোদ স্টেশন থেকে তারা চেন্নাইগামী একটি ট্রেনে চড়ে বসে। সেখান থেকেই অন্ধ্রপ্রদেশে যাওয়ার কথা ছিল তাদের।
এদিকে দীর্ঘ সময় মেয়েদের বাড়িতে না দেখে পুলিশের কাছে যায় তাদের পরিবারের সদস্যরা। কারুর পুলিশের কাছে তারা একটি অভিযোগ দায়ের করে। পরে পুলিশ বিভিন্ন রাজ্যের কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে এবং খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।
তিন কিশোরীর কাছে সব মিলিয়ে ১৪ হাজার রুপি ছিল। উদ্দেশ্যকে সফল করার জন্য এই অর্থ তারা সঞ্চয় করেছিল। ভেবেছিল, দক্ষিণ কোরিয়ায় যেতে এই পরিমাণ অর্থই যথেষ্ট। কিন্তু চেন্নাই পৌঁছেই তারা বিপদের মুখোমুখি হয়। অনেক চেষ্টার পর গত বৃহস্পতিবার রাত্রিযাপন করার জন্য একটি হোটেলে কক্ষ ভাড়া করতে সমর্থ হয় তারা।
পরদিন শুক্রবার সকালে তাদের মরিয়া প্রচেষ্টায় প্রথমবারের মতো টান পড়ে। হতোদ্যম কিশোরীরা যেন সমস্ত শক্তি হারিয়ে ফেলেছিল। উপায়ন্তর না দেখে শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় তারা এবং চেন্নাই থেকে বাড়ির পথে আবারও ট্রেনে চড়ে বসে।
কিন্তু এর মাঝেই আরেক বিপদের মুখোমুখি হয় বিটিএসপ্রেমীরা। এবার কাটপাদি নামে একটি স্টেশনে মাঝরাতে যাত্রাবিরতির জন্য ট্রেন থামালে তারা খাবার কিনতে নামে এবং ট্রেন মিস করে।
এ অবস্থায় বিপদাপন্ন কিশোরীদের মুখোমুখি হয় এক পুলিশ সদস্য। তিনি তাদের নাম-পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন। শুধু তাই নয়, শিশু বিষয়ক বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেন। অবহিত করা হয় ভেলোরের জেলা শিশুকল্যাণ কমিটিকেও। এই কমিটির প্রধান পি বেদনায়গাম জানান, খবর পেয়ে তারা ওই কিশোরীদেরকে নিজেদের জিম্মায় নেন এবং রাষ্ট্র পরিচালিত একটি সুরক্ষা কেন্দ্রে তাদের রাখা হয়। পরে সেখান থেকেই তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁরা পৌঁছালে ৩ কিশোরী সহ সবাইকে একটি কাউন্সেলিং করানো হয়।
এ বিষয়ে ভেলোর জেলা শিশুকল্যাণ কমিটির প্রধান পি বেদনায়গাম বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, মেয়েরা বিটিএস ব্যান্ডের প্রতি মুহূর্তের খবর রাখে এবং এই ব্যান্ডের তারকারা যে ধরনের পোশাক পরিধান করে কিংবা না করে সবই তাদের জানা। বিটিএস তারকারা যে ধরনের জুতা পরিধান করে, তারাও একই ধরনের জুতা পরে।’
বেদনায়গাম জানান, ৩ কিশোরীর কাছে বিটিএস ব্যান্ডই সকল অনুপ্রেরণার উৎস। নাচ এবং সংগীতের জীবন চায় তারা। তবে এই আবেশে ডুব দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিদেশে যাওয়া সিদ্ধান্তটিকে ‘মারাত্মক ভুল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন বেদনায়গাম।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত শিশুদেরকে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়ার উৎসাহ দেওয়া হয়েছে, যা তাদের স্বপ্ন পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। স্মার্টফোন ব্যবহারে সতর্ক হওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয় তাদের।
কিশোরীদের পরিবার সম্পর্কেও ধারণা দেন কর্মকর্তারা। তাদের একজনের বাবা নেই, আরেকজনের বাবা মানসিক সমস্যায় ভুগছে। আর তিনজনের মা-ই শ্রমিক হিসেবে খামারে কাজ করে। ফলে মেয়েদেরকে তাঁরা যথেষ্ট পরিমাণে সময় দিতে পারেন না।
কাউন্সেলিং শেষে ৩ কিশোরীকে তাদের মা-মায়ের সঙ্গে বাড়িতে পাঠানো হয়। গত ৬ জানুয়ারি রাতে তারা বাড়ির উদ্দেশে ট্রেনে চেপে বসে।
তিনজনেরই বয়স ১৩ বছর। সরকারি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের পশ্চাৎপদ কারুর জেলার একটি গ্রামে তাদের বাড়ি। দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় ব্যান্ডদল বিটিএস-এর ভক্ত এই তিন কিশোরী। শুধু ভক্ত বললেও ভুল হবে—বলতে হবে ‘পাগলপারা’। তা না হলে কি এমন কাণ্ড কেউ করে বসে!
সোমবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিটিএস ব্যান্ডের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে যেতে বাড়ি থেকে পালিয়েছিল ওই কিশোরীরা। অথচ তাদের কাছে ছিল না কোনো পাসপোর্ট, ছিল না পর্যাপ্ত অর্থও।
একটি শিশুকল্যাণ কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সমুদ্রপথে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তিন কিশোরী। এ জন্য তারা তামিল নাড়ুর থোথুকোডি ও অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তমসহ সম্ভাব্য কয়েকটি সমুদ্র বন্দরের তালিকাও করেছিল, যেখান থেকে জাহাজে চড়ে বসার পরিকল্পনা ছিল তাদের। তবে শেষ পর্যন্ত তারা বিশাখাপত্তমকেই বেছে নেয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ৪ জানুয়ারি সবার অগোচরে তারা বাড়ি ছাড়ে। কারুরের কাছাকাছি ইরোদ স্টেশন থেকে তারা চেন্নাইগামী একটি ট্রেনে চড়ে বসে। সেখান থেকেই অন্ধ্রপ্রদেশে যাওয়ার কথা ছিল তাদের।
এদিকে দীর্ঘ সময় মেয়েদের বাড়িতে না দেখে পুলিশের কাছে যায় তাদের পরিবারের সদস্যরা। কারুর পুলিশের কাছে তারা একটি অভিযোগ দায়ের করে। পরে পুলিশ বিভিন্ন রাজ্যের কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে এবং খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।
তিন কিশোরীর কাছে সব মিলিয়ে ১৪ হাজার রুপি ছিল। উদ্দেশ্যকে সফল করার জন্য এই অর্থ তারা সঞ্চয় করেছিল। ভেবেছিল, দক্ষিণ কোরিয়ায় যেতে এই পরিমাণ অর্থই যথেষ্ট। কিন্তু চেন্নাই পৌঁছেই তারা বিপদের মুখোমুখি হয়। অনেক চেষ্টার পর গত বৃহস্পতিবার রাত্রিযাপন করার জন্য একটি হোটেলে কক্ষ ভাড়া করতে সমর্থ হয় তারা।
পরদিন শুক্রবার সকালে তাদের মরিয়া প্রচেষ্টায় প্রথমবারের মতো টান পড়ে। হতোদ্যম কিশোরীরা যেন সমস্ত শক্তি হারিয়ে ফেলেছিল। উপায়ন্তর না দেখে শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় তারা এবং চেন্নাই থেকে বাড়ির পথে আবারও ট্রেনে চড়ে বসে।
কিন্তু এর মাঝেই আরেক বিপদের মুখোমুখি হয় বিটিএসপ্রেমীরা। এবার কাটপাদি নামে একটি স্টেশনে মাঝরাতে যাত্রাবিরতির জন্য ট্রেন থামালে তারা খাবার কিনতে নামে এবং ট্রেন মিস করে।
এ অবস্থায় বিপদাপন্ন কিশোরীদের মুখোমুখি হয় এক পুলিশ সদস্য। তিনি তাদের নাম-পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন। শুধু তাই নয়, শিশু বিষয়ক বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেন। অবহিত করা হয় ভেলোরের জেলা শিশুকল্যাণ কমিটিকেও। এই কমিটির প্রধান পি বেদনায়গাম জানান, খবর পেয়ে তারা ওই কিশোরীদেরকে নিজেদের জিম্মায় নেন এবং রাষ্ট্র পরিচালিত একটি সুরক্ষা কেন্দ্রে তাদের রাখা হয়। পরে সেখান থেকেই তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁরা পৌঁছালে ৩ কিশোরী সহ সবাইকে একটি কাউন্সেলিং করানো হয়।
এ বিষয়ে ভেলোর জেলা শিশুকল্যাণ কমিটির প্রধান পি বেদনায়গাম বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, মেয়েরা বিটিএস ব্যান্ডের প্রতি মুহূর্তের খবর রাখে এবং এই ব্যান্ডের তারকারা যে ধরনের পোশাক পরিধান করে কিংবা না করে সবই তাদের জানা। বিটিএস তারকারা যে ধরনের জুতা পরিধান করে, তারাও একই ধরনের জুতা পরে।’
বেদনায়গাম জানান, ৩ কিশোরীর কাছে বিটিএস ব্যান্ডই সকল অনুপ্রেরণার উৎস। নাচ এবং সংগীতের জীবন চায় তারা। তবে এই আবেশে ডুব দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিদেশে যাওয়া সিদ্ধান্তটিকে ‘মারাত্মক ভুল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন বেদনায়গাম।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত শিশুদেরকে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়ার উৎসাহ দেওয়া হয়েছে, যা তাদের স্বপ্ন পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। স্মার্টফোন ব্যবহারে সতর্ক হওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয় তাদের।
কিশোরীদের পরিবার সম্পর্কেও ধারণা দেন কর্মকর্তারা। তাদের একজনের বাবা নেই, আরেকজনের বাবা মানসিক সমস্যায় ভুগছে। আর তিনজনের মা-ই শ্রমিক হিসেবে খামারে কাজ করে। ফলে মেয়েদেরকে তাঁরা যথেষ্ট পরিমাণে সময় দিতে পারেন না।
কাউন্সেলিং শেষে ৩ কিশোরীকে তাদের মা-মায়ের সঙ্গে বাড়িতে পাঠানো হয়। গত ৬ জানুয়ারি রাতে তারা বাড়ির উদ্দেশে ট্রেনে চেপে বসে।
ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ আছে সেগুলোর সার্বভৌম মালিকানা ফিলিস্তিনি জনগণের। এই বিষয়টির স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটিতে পশ্চিমা বিশ্বের অনেকগুলো দেশ সমর্থন দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব পাস হয়
৯ মিনিট আগেচিকিৎসার জন্য ২০০৭ সালে ভারতের আসামে গিয়েছিল বাংলাদেশের সিলেটের এক পরিবার। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে পরিবারের এক মেয়ে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমে পড়ে। শেষমেশ তাঁকে বিয়ে করে সেখানেই থেকে যান তিনি। তবে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কখনোই প্রশস্ত ছিল না। ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার হিন্দুস
১ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আত্মঘাতী ড্রোনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর মতে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার প্রেক্ষাপটে সামরিক মতবাদেও দ্রুত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ—এর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদ
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে কুখ্যাত ৯ / ১১ এর মতো আরেকটি ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল এক মার্কিন যুবক। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগ গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনের বাসিন্দা আনাস সাইদের (২৮) বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) সন্ত্রাসীদের
২ ঘণ্টা আগে