অনলাইন ডেস্ক
ভারতের হিমাচল, ঝাড়খণ্ড, ওডিশা ও উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নিহতদের মধ্যে হিমাচলে অন্তত ৩৬ জন, যার মধ্যে রয়েছে একই পরিবারের আট সদস্য। এ ছাড়া আহত হয়েছে ১০ জন। রাজ্যটির মান্দিতে এখনো নিখোঁজ রয়েছে ছয়জন। মানালির উপকমিশনার অরিন্দম চৌধুরী বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, মান্দিতে নিখোঁজরা সবাই সম্ভবত মারা গেছে।
উত্তরাখণ্ডে মারা গেছে চারজন। নিখোঁজ রয়েছে ১০ জন। এই রাজ্যে ব্যাপক বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন গ্রাম থেকে এবং নদীতীরবর্তী এলাকা ও ভেঙে যাওয়া সেতুর কাছাকাছি অঞ্চল থেকে প্রায় ১ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ওডিশায় চারজনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তাঁরা বলেছেন, বন্যার কবলে পড়া মহানদী অববাহিকা অঞ্চলের পাঁচ শতাধিক গ্রাম থেকে কমপক্ষে ৪ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ভারী বৃষ্টিতে ঝাড়খণ্ডের বেশ কয়েকটি জেলায় বহু গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে এবং নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। এই রাজ্যের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পশ্চিম সিংভূমে একটি মাটির বাড়ির দেয়াল ভেঙে চাপা পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে আজ রোববার সকাল থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে। বন্যার কারণে তীর্থযাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামীকাল সোমবারও মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
গতকাল হিমাচলের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক সুদেশ কুমার মুখতা জানিয়েছেন, রাজ্যটিতে সব মিলিয়ে ৩৬টি প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়া গেছে। রাজ্যের প্রায় ৭৪৩টি সড়কে চলাচল ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়া মানালি-চণ্ডীগড় মহাসড়ক এবং শিমলা-চণ্ডীগড় মহাসড়কেও যোগাযোগ ব্যাহত হয়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রবল বর্ষণ এবং ভূমিধসের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হিমাচল। রাজ্যের উদ্ধারকারী বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট স্রোতে বেশ কিছু ঘরবাড়ি ভেসে গেছে এবং এ সময়েই ওই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ভূমিধসের ঘটনা যেসব এলাকায় ঘটেছে, সেই সব এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চালু রয়েছে। হিমাচলের যোগিন্দরনগরের সঙ্গে পাঞ্জাবের পাঠানকোটের রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীরে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট স্রোতে একটি মাটির তৈরি ঘর ধসে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ওই দুই শিশুর একজনের বয়স তিন বছর এবং অন্য শিশুর বয়স মাত্র দুই মাস।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই রাজ্যগুলোতে ব্যাপক মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের কারণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে এমন ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার ঘটনা বেশ বেড়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বজুড়ে চরমভাবাপন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের মতো ভারতেও বাঁধ, বন উজাড় এবং বিভিন্ন অপরিণামদর্শী উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে সৃষ্ট এসব দুর্যোগ মানুষের মৃত্যুহারও বাড়িয়ে তুলছে।
ভারতের হিমাচল, ঝাড়খণ্ড, ওডিশা ও উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নিহতদের মধ্যে হিমাচলে অন্তত ৩৬ জন, যার মধ্যে রয়েছে একই পরিবারের আট সদস্য। এ ছাড়া আহত হয়েছে ১০ জন। রাজ্যটির মান্দিতে এখনো নিখোঁজ রয়েছে ছয়জন। মানালির উপকমিশনার অরিন্দম চৌধুরী বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, মান্দিতে নিখোঁজরা সবাই সম্ভবত মারা গেছে।
উত্তরাখণ্ডে মারা গেছে চারজন। নিখোঁজ রয়েছে ১০ জন। এই রাজ্যে ব্যাপক বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন গ্রাম থেকে এবং নদীতীরবর্তী এলাকা ও ভেঙে যাওয়া সেতুর কাছাকাছি অঞ্চল থেকে প্রায় ১ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ওডিশায় চারজনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তাঁরা বলেছেন, বন্যার কবলে পড়া মহানদী অববাহিকা অঞ্চলের পাঁচ শতাধিক গ্রাম থেকে কমপক্ষে ৪ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ভারী বৃষ্টিতে ঝাড়খণ্ডের বেশ কয়েকটি জেলায় বহু গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে এবং নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। এই রাজ্যের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পশ্চিম সিংভূমে একটি মাটির বাড়ির দেয়াল ভেঙে চাপা পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে আজ রোববার সকাল থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে। বন্যার কারণে তীর্থযাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামীকাল সোমবারও মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
গতকাল হিমাচলের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক সুদেশ কুমার মুখতা জানিয়েছেন, রাজ্যটিতে সব মিলিয়ে ৩৬টি প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়া গেছে। রাজ্যের প্রায় ৭৪৩টি সড়কে চলাচল ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়া মানালি-চণ্ডীগড় মহাসড়ক এবং শিমলা-চণ্ডীগড় মহাসড়কেও যোগাযোগ ব্যাহত হয়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রবল বর্ষণ এবং ভূমিধসের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হিমাচল। রাজ্যের উদ্ধারকারী বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট স্রোতে বেশ কিছু ঘরবাড়ি ভেসে গেছে এবং এ সময়েই ওই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ভূমিধসের ঘটনা যেসব এলাকায় ঘটেছে, সেই সব এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চালু রয়েছে। হিমাচলের যোগিন্দরনগরের সঙ্গে পাঞ্জাবের পাঠানকোটের রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীরে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট স্রোতে একটি মাটির তৈরি ঘর ধসে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ওই দুই শিশুর একজনের বয়স তিন বছর এবং অন্য শিশুর বয়স মাত্র দুই মাস।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই রাজ্যগুলোতে ব্যাপক মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের কারণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে এমন ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার ঘটনা বেশ বেড়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বজুড়ে চরমভাবাপন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের মতো ভারতেও বাঁধ, বন উজাড় এবং বিভিন্ন অপরিণামদর্শী উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে সৃষ্ট এসব দুর্যোগ মানুষের মৃত্যুহারও বাড়িয়ে তুলছে।
উত্তর-পূর্ব লেবাননের একটি জরুরি প্রতিক্রিয়া কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন উদ্ধারকর্মী নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এ হামলার ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এনএনএ বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি
১৮ মিনিট আগেস্পেনের একটি বৃদ্ধাশ্রমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ১০ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তপক্ষ। আজ শুক্রবার স্পেনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এল পেইসের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আল-জাজিরা।
১ ঘণ্টা আগেঅপ্রাপ্তবয়স্ক নারী হলেও সম্মতির ভিত্তিতে তাঁর সঙ্গে যৌনসঙ্গম ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে বলে রায় দিয়েছে মুম্বাই হাইকোর্ট। আইন অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে সম্মতিকে বৈধতার জন্য যুক্তি হিসেবে প্রদর্শন গ্রহণযোগ্য হবে না।
৫ ঘণ্টা আগেএখন থেকে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে। অতিরিক্ত ভিড় থেকে মসজিদের কার্যক্রম বিঘ্ন হওয়া ঠেকাতে এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্য সংরক্ষণের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে