আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতের মণিপুরে মেইতি ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংসতার জেরে একের পর এক হত্যাকাণ্ড এবং গণধর্ষণের মতো ঘটনা প্রকাশ পাচ্ছে। এবার আরও একটি গণধর্ষণের রোমহর্ষক ঘটনা সামনে এল। এক নারী পুলিশের কাছে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। বর্ণনা করেছেন তাঁর ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি গত বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত মে মাসে মেইতি ও কুকিদের মধ্যে জাতিগত সংঘাত শুরু হয়। তিন সপ্তাহ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুই নারীকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো ও গণধর্ষণের ঘটনা ভাইরাল হয়। এর পর থেকে নারীরা পুলিশের কাছে একের পর এক অভিযোগ নিয়ে আসছে। কর্তৃপক্ষ তাঁদের কথা বলতে উৎসাহিত করায় নারীরা যে বর্বরতার মুখোমুখি হয়েছিলেন সেসব বর্ণনা করছেন।
সবশেষ অভিযোগকারী ৩৭ বছর বয়সী নারী মণিপুরের চূড়চন্দ্রপূরের বাসিন্দা। ওই নারী বলেছেন—গত ৩ মে তাঁর বাড়িতে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর দুই ছেলে, ভাগনি এবং ননদকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় একদল পুরুষের কাছে ধরা পড়েন তিনি। এরপর তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। ওই দিনই মণিপুরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গা বেঁধে যায়।
তবে এত দিন গণধর্ষণের শিকার হওয়ার বিষয়টি ওই নারী কাউকে জানাননি। কিন্তু যখন দেখছেন, অনেকেই এ বিষয়গুলো নিয়ে মুখ খুলছেন তখন তিনি নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘটনাটি সামনে এনেছেন।
গত বুধবার বিষ্ণুপুর থানায় দায়ের করা অভিযোগে ওই নারী উল্লেখ করেন, ‘নিজেকে, পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে এবং একঘরে হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচতে আমি বিষয়টি কাউকে জানাইনি। আমি এমনকি নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম।’
ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতের দণ্ডবিধি ৩৭৬ ডি,৩৫৪, ১২০বি এবং ৩৪ ধারায় বিষ্ণুপুর থানায় মামলা (জিরো এফআইআর) করা হয়েছে।
বর্তমানে ওই নারী বাস্তুচ্যুতদের জন্য তৈরি একটি আশ্রয় কেন্দ্রে আছেন। এফআইআরে ওই নারী বলেছেন, ‘৩ মে বাড়িতে আগুন দেওয়ার পর আমি ভাগনিকে আমার পেছনে নেই এবং দুই ছেলের হাত ধরে আমার ননদকে নিয়ে পালিয়ে যেতে থাকি। আমার ননদও একটি শিশুকে কোলে নিয়েছিলেন এবং সে আমার আগে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে আমি রাস্তায় পড়ে যাই এবং উঠে দাঁড়াতে পারছিলাম না। তখন আমার ননদ আমার কথা অনুযায়ী, ভাগনি ও আমার দুই ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যেতে থাকেন।’
এফআইআরে ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, ‘যখন আমি ওঠে দাঁড়াতে সমর্থ হই, পাঁচ থেকে ছয়জন দুর্বৃত্ত আমাকে ধরে ফেলে। তাঁরা আমাকে গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করা শুরু করেন এবং হামলা করেন। বাধা দিলে তাঁরা আমাকে মাটিতে ফেলে দেন। এরপর যৌন নির্যাতন শুরু করেন।’
ওই নারী আরও জানিয়েছেন, এ ঘটনার পর তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।
গত মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মণিপুরের দুই নারীকে বিবস্ত্র করে সড়কে হাঁটানোর একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ভারতজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠে।
ভিডিওতে দেখে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর থানায় অভিযোগ আসা শুরু করে। মণিপুর পুলিশ গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে, ৩ মে থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত সাড়ে ছয় হাজারের বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভারতের মণিপুরে মেইতি ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংসতার জেরে একের পর এক হত্যাকাণ্ড এবং গণধর্ষণের মতো ঘটনা প্রকাশ পাচ্ছে। এবার আরও একটি গণধর্ষণের রোমহর্ষক ঘটনা সামনে এল। এক নারী পুলিশের কাছে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। বর্ণনা করেছেন তাঁর ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি গত বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত মে মাসে মেইতি ও কুকিদের মধ্যে জাতিগত সংঘাত শুরু হয়। তিন সপ্তাহ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুই নারীকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো ও গণধর্ষণের ঘটনা ভাইরাল হয়। এর পর থেকে নারীরা পুলিশের কাছে একের পর এক অভিযোগ নিয়ে আসছে। কর্তৃপক্ষ তাঁদের কথা বলতে উৎসাহিত করায় নারীরা যে বর্বরতার মুখোমুখি হয়েছিলেন সেসব বর্ণনা করছেন।
সবশেষ অভিযোগকারী ৩৭ বছর বয়সী নারী মণিপুরের চূড়চন্দ্রপূরের বাসিন্দা। ওই নারী বলেছেন—গত ৩ মে তাঁর বাড়িতে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর দুই ছেলে, ভাগনি এবং ননদকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় একদল পুরুষের কাছে ধরা পড়েন তিনি। এরপর তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। ওই দিনই মণিপুরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গা বেঁধে যায়।
তবে এত দিন গণধর্ষণের শিকার হওয়ার বিষয়টি ওই নারী কাউকে জানাননি। কিন্তু যখন দেখছেন, অনেকেই এ বিষয়গুলো নিয়ে মুখ খুলছেন তখন তিনি নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘটনাটি সামনে এনেছেন।
গত বুধবার বিষ্ণুপুর থানায় দায়ের করা অভিযোগে ওই নারী উল্লেখ করেন, ‘নিজেকে, পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে এবং একঘরে হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচতে আমি বিষয়টি কাউকে জানাইনি। আমি এমনকি নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম।’
ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতের দণ্ডবিধি ৩৭৬ ডি,৩৫৪, ১২০বি এবং ৩৪ ধারায় বিষ্ণুপুর থানায় মামলা (জিরো এফআইআর) করা হয়েছে।
বর্তমানে ওই নারী বাস্তুচ্যুতদের জন্য তৈরি একটি আশ্রয় কেন্দ্রে আছেন। এফআইআরে ওই নারী বলেছেন, ‘৩ মে বাড়িতে আগুন দেওয়ার পর আমি ভাগনিকে আমার পেছনে নেই এবং দুই ছেলের হাত ধরে আমার ননদকে নিয়ে পালিয়ে যেতে থাকি। আমার ননদও একটি শিশুকে কোলে নিয়েছিলেন এবং সে আমার আগে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে আমি রাস্তায় পড়ে যাই এবং উঠে দাঁড়াতে পারছিলাম না। তখন আমার ননদ আমার কথা অনুযায়ী, ভাগনি ও আমার দুই ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যেতে থাকেন।’
এফআইআরে ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, ‘যখন আমি ওঠে দাঁড়াতে সমর্থ হই, পাঁচ থেকে ছয়জন দুর্বৃত্ত আমাকে ধরে ফেলে। তাঁরা আমাকে গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করা শুরু করেন এবং হামলা করেন। বাধা দিলে তাঁরা আমাকে মাটিতে ফেলে দেন। এরপর যৌন নির্যাতন শুরু করেন।’
ওই নারী আরও জানিয়েছেন, এ ঘটনার পর তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।
গত মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মণিপুরের দুই নারীকে বিবস্ত্র করে সড়কে হাঁটানোর একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ভারতজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠে।
ভিডিওতে দেখে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর থানায় অভিযোগ আসা শুরু করে। মণিপুর পুলিশ গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে, ৩ মে থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত সাড়ে ছয় হাজারের বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করেছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে তাঁরা সাক্ষাৎ করেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ইরানের দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে
১ ঘণ্টা আগেইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ আছে সেগুলোর সার্বভৌম মালিকানা ফিলিস্তিনি জনগণের। এই বিষয়টির স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটিতে পশ্চিমা বিশ্বের অনেকগুলো দেশ সমর্থন দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব পাস হয়
২ ঘণ্টা আগেচিকিৎসার জন্য ২০০৭ সালে ভারতের আসামে গিয়েছিল বাংলাদেশের সিলেটের এক পরিবার। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে পরিবারের এক মেয়ে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমে পড়ে। শেষমেশ তাঁকে বিয়ে করে সেখানেই থেকে যান তিনি। তবে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কখনোই প্রশস্ত ছিল না। ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার হিন্দুস
৩ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আত্মঘাতী ড্রোনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর মতে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার প্রেক্ষাপটে সামরিক মতবাদেও দ্রুত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ—এর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদ
৩ ঘণ্টা আগে