অনলাইন ডেস্ক
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্বের সর্বত্র। যুক্তরাজ্যের ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি এ যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকটের আশঙ্কা প্রকাশ করে সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বের নানা প্রান্তে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম হু-হু করে বাড়ছে। এর অবধারিত ফল হিসেবে খাদ্যসংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতেই গত সোমবার অ্যান্ড্রু বেইলি ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে এ সতর্কবার্তা দেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি ব্রিটিশ সংসদ সদস্যদের সতর্ক করে বলেছেন, গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত হারে খাদ্যের দাম বাড়ছে। এটি একটি বড় ধাক্কা। এর জন্য দায়ী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং করোনা। খাদ্য সরবরাহের ঘাটতির কারণে বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলো সংকটে পড়তে পারে।
হাউস অব কমন্সের অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটির বৈঠকে অ্যান্ড্রু বেইলি বলেন, যদি ইউক্রেন শস্য ও ভোজ্যতেল রপ্তানি করতে না পারে, তাহলে যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতির হার এ বছর শেষে দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারে। তিনি বলেন, ‘এটি একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। শুধু যুক্তরাজ্য নয়, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্যও এটি বড় উদ্বেগের কারণ। দরিদ্র দেশগুলোর জন্য এটি ধ্বংস ডেকে আনতে পারে। এই মুহূর্তে ইউক্রেনের খাদ্য রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।’
কমিটিতে অ্যান্ড্রু বেইলির কাছে বেশ কিছু বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। সেখানে বেইলি জানান, ওয়াশিংটনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের একটি সভায় ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। সে আলোচনায় জরুরি বেশ কিছু খাদ্যপণ্যের ভবিষ্যৎ সরবরাহ সংকটের সংশয়ের বিষয়টি উঠে আসে। এটি ভীষণ ‘উদ্বেগের’ বিষয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বেইলি বলেন, ‘ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী দুটি কথা বলেছেন। ইউক্রেনের খাদ্য মজুত আছে। কিন্তু তারা এই মুহূর্তে তার নাগাল পাচ্ছে না। গম ও ভোজ্যতেলের অন্যতম বড় সরবরাহকারী ইউক্রেন হলেও এই মুহূর্তে এসব রপ্তানির সুযোগ তার নেই। এটি ভীষণ উদ্বেগজনক। শুধু এ দেশের (যুক্তরাজ্যের) জন্য নয়। নৈরাশ্যের জন্য দুঃখিত; কিন্তু সত্যিই এটি ভীষণ উদ্বেগজনক।’
কয়েক দিন আগে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, ইউক্রেনের বন্দরগুলোর ওপর থেকে ভ্লাদিমির পুতিন যদি এখনই অবরোধ তুলে না নেন, তাহলে গোটা বিশ্বের কোটি মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হবে। এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের বন্দরগুলোর ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডব্লিউএফপি) প্রধান ডেভিড বিসলে। এখন একই ধরনের সতর্কতা জানালেন ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের ওডেসাসহ বেশ কিছু বন্দর এ যুদ্ধে ক্ষতির শিকার হয়েছে। এ বন্দরগুলো দিয়ে দেশটির মোট রপ্তানির ৪০ শতাংশ হয়। বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ কৃষিপণ্য রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে ইউক্রেন একটি। এর কৃষিপণ্যের মধ্যে রয়েছে গম, ভুট্টা, বার্লিসহ জরুরি শস্যগুলো। এ ছাড়া ভোজ্যতেলের অন্যতম বড় উৎপাদক ও রপ্তানিকারক দেশও এটি। রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কারণে এই সব পণ্যের সরবরাহ সংকট এখন বাস্তব। সামনে এ সংকট আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
খাদ্যসংকট দেখা দিলে তা আর শুধু এখানে সীমাবদ্ধ থাকবে না বলে সতর্ক করেছেন অ্যান্ড্রু বেইলি। তিনি বলছেন, এর প্রভাবে মানুষ কর্মসংস্থান হারাবে। ব্রিটেনেই বেকারত্ব বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে মুদ্রাস্ফীতি, যা ব্রিটেনে চলতি বছরের শেষ নাগাদ দুই অঙ্কে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় উচ্চ আয়ের লোকেদের প্রতি তিনি নতুন করে চিন্তা করে তা কার্যে পরিণত করার আহ্বান জানান।
হাউস অব কমন্সের অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটিতে থাকা ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাদের তোপের মুখেও অবশ্য পড়েছেন বেইলি। তাঁদের অভিযোগ, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড কেন মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কে ঠিকঠাক পূর্বাভাস দিতে পারল না। জবাবে বেইলি ইউক্রেন যুদ্ধ ও কোভিডের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের রপ্তানি কার্যক্রম স্তিমিত হওয়ার মধ্যেই তাপপ্রবাহের কারণে ফসলের বিপুল ক্ষতি হওয়ায় গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। এতে ভবিষ্যৎ খাদ্য সরবরাহ নিয়ে সংশয় আরও বেড়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্বের সর্বত্র। যুক্তরাজ্যের ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি এ যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকটের আশঙ্কা প্রকাশ করে সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বের নানা প্রান্তে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম হু-হু করে বাড়ছে। এর অবধারিত ফল হিসেবে খাদ্যসংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতেই গত সোমবার অ্যান্ড্রু বেইলি ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে এ সতর্কবার্তা দেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি ব্রিটিশ সংসদ সদস্যদের সতর্ক করে বলেছেন, গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত হারে খাদ্যের দাম বাড়ছে। এটি একটি বড় ধাক্কা। এর জন্য দায়ী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং করোনা। খাদ্য সরবরাহের ঘাটতির কারণে বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলো সংকটে পড়তে পারে।
হাউস অব কমন্সের অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটির বৈঠকে অ্যান্ড্রু বেইলি বলেন, যদি ইউক্রেন শস্য ও ভোজ্যতেল রপ্তানি করতে না পারে, তাহলে যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতির হার এ বছর শেষে দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারে। তিনি বলেন, ‘এটি একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। শুধু যুক্তরাজ্য নয়, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্যও এটি বড় উদ্বেগের কারণ। দরিদ্র দেশগুলোর জন্য এটি ধ্বংস ডেকে আনতে পারে। এই মুহূর্তে ইউক্রেনের খাদ্য রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।’
কমিটিতে অ্যান্ড্রু বেইলির কাছে বেশ কিছু বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। সেখানে বেইলি জানান, ওয়াশিংটনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের একটি সভায় ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। সে আলোচনায় জরুরি বেশ কিছু খাদ্যপণ্যের ভবিষ্যৎ সরবরাহ সংকটের সংশয়ের বিষয়টি উঠে আসে। এটি ভীষণ ‘উদ্বেগের’ বিষয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বেইলি বলেন, ‘ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী দুটি কথা বলেছেন। ইউক্রেনের খাদ্য মজুত আছে। কিন্তু তারা এই মুহূর্তে তার নাগাল পাচ্ছে না। গম ও ভোজ্যতেলের অন্যতম বড় সরবরাহকারী ইউক্রেন হলেও এই মুহূর্তে এসব রপ্তানির সুযোগ তার নেই। এটি ভীষণ উদ্বেগজনক। শুধু এ দেশের (যুক্তরাজ্যের) জন্য নয়। নৈরাশ্যের জন্য দুঃখিত; কিন্তু সত্যিই এটি ভীষণ উদ্বেগজনক।’
কয়েক দিন আগে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, ইউক্রেনের বন্দরগুলোর ওপর থেকে ভ্লাদিমির পুতিন যদি এখনই অবরোধ তুলে না নেন, তাহলে গোটা বিশ্বের কোটি মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হবে। এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের বন্দরগুলোর ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডব্লিউএফপি) প্রধান ডেভিড বিসলে। এখন একই ধরনের সতর্কতা জানালেন ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের ওডেসাসহ বেশ কিছু বন্দর এ যুদ্ধে ক্ষতির শিকার হয়েছে। এ বন্দরগুলো দিয়ে দেশটির মোট রপ্তানির ৪০ শতাংশ হয়। বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ কৃষিপণ্য রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে ইউক্রেন একটি। এর কৃষিপণ্যের মধ্যে রয়েছে গম, ভুট্টা, বার্লিসহ জরুরি শস্যগুলো। এ ছাড়া ভোজ্যতেলের অন্যতম বড় উৎপাদক ও রপ্তানিকারক দেশও এটি। রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কারণে এই সব পণ্যের সরবরাহ সংকট এখন বাস্তব। সামনে এ সংকট আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
খাদ্যসংকট দেখা দিলে তা আর শুধু এখানে সীমাবদ্ধ থাকবে না বলে সতর্ক করেছেন অ্যান্ড্রু বেইলি। তিনি বলছেন, এর প্রভাবে মানুষ কর্মসংস্থান হারাবে। ব্রিটেনেই বেকারত্ব বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে মুদ্রাস্ফীতি, যা ব্রিটেনে চলতি বছরের শেষ নাগাদ দুই অঙ্কে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় উচ্চ আয়ের লোকেদের প্রতি তিনি নতুন করে চিন্তা করে তা কার্যে পরিণত করার আহ্বান জানান।
হাউস অব কমন্সের অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটিতে থাকা ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাদের তোপের মুখেও অবশ্য পড়েছেন বেইলি। তাঁদের অভিযোগ, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড কেন মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কে ঠিকঠাক পূর্বাভাস দিতে পারল না। জবাবে বেইলি ইউক্রেন যুদ্ধ ও কোভিডের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের রপ্তানি কার্যক্রম স্তিমিত হওয়ার মধ্যেই তাপপ্রবাহের কারণে ফসলের বিপুল ক্ষতি হওয়ায় গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। এতে ভবিষ্যৎ খাদ্য সরবরাহ নিয়ে সংশয় আরও বেড়েছে।
ইউটিউবে ‘রডিকুলাস’ নামে নিজের একটি পডকাস্টে দৈনন্দিন জীবন নিয়ে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের বাসিন্দা রোসানা পানসিনো। পাঁচ বছর আগে লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তাঁর বাবা মারা গিয়েছিলেন। এবার তিনি মৃত বাবার ছাইভস্ম গাঁজার সঙ্গে মিশিয়ে ধূমপান করে উড়িয়ে দিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত দূরপাল্লার ATACMS ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার মাটিতে হামলা করতে ইউক্রেনকে অনুমতি দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তের জের ধরে ইতিমধ্যেই মস্কো এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে।
১৩ ঘণ্টা আগেভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে অনুষ্ঠিত একটি স্বদেশি মেলা থেকে মুসলিম ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করার অভিযোগ উঠেছে। উচ্ছেদের শিকার ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের দামোহ জেলার একটি মাঠে আয়োজিত ওই মেলায় অংশ নিতে গিলে ‘মুসলিমদের অনুমতি নেই’ উল্লেখ করে তাঁদের বের করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
১৫ ঘণ্টা আগেওমরাহ পালনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১ হাজার জনকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আরব আমিরাত ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।
১৬ ঘণ্টা আগে