অনলাইন ডেস্ক
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রেকর্ড তাপমাত্রায় জনজীবন রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। অনেক দেশেই দাবানলে পুড়ছে হাজার হাজার হেক্টর জমি। গরমজনিত কারণে মৃত্যুও বাড়ছে। শুধু পর্তুগালেই ১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) সতর্ক করে বলেছে, সামনে আরও খারাপ পরিস্থিতি আসতে পারে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তাপমাত্রা রেকর্ড ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দেশটিতে সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। জার্মানিও গতকাল মঙ্গলবার তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে গরম দিন অতিবাহিত করেছে। গত সোমবার ফ্রান্সের ৬৪টি জায়গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বেলজিয়ামে তীব্র দাবদাহে পুড়ে গেছে একটি রিসোর্টের কিছু অংশ। নেদারল্যান্ডসে গতকাল মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। পর্তুগালেও তাপমাত্রা বাড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার পর্তুগালের তাপমাত্রা ছিল রেকর্ড ৪৭ ডিগ্রি। গত সোমবার স্পেনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র দাবদাহে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, গ্রিস, স্পেনসহ বেশ কয়েকটি দেশে। ফ্রান্সে দাবানলে ১৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমি পুড়েছে। এরই মধ্যে ৩৪ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়ার এমন বিরূপ পরিস্থিতির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে দায়ী করেছেন আবহাওয়াবিদেরা।
উল্লেখ্য, ১৯ শতকের শিল্পবিপ্লবের পর ভারী কলকারখানা হু হু করে বেড়েছে। এর পর থেকে বৈশ্বিক উষ্ণতা ইতিমধ্যে ১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। চলতি শতাব্দীতে তা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে ধরে রাখা না গেলে পৃথিবীর অনেক নিচু দেশ বা অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে। ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন অংশে সম্প্রতি তাপপ্রবাহ, দাবদাহ, বন্যা, অতিবৃষ্টি, খরার মতো যেসব দুর্যোগ চলছে, তার জন্য অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ মোটাদাগে দায়ী।
তবে গত চার দশকে ইউরোপে তাপপ্রবাহ, দাবদাহ, অতিবৃষ্টিসহ নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা বেড়েছে, যার জন্য অতিরিক্ত কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের বাইরে অন্য কারণ রয়েছে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যামন্ট-ডোহার্টি আর্থ অবজারভেটরি গবেষণা কেন্দ্রের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপের চলতি দাবদাহের জন্য নদী ও সাগর থেকে পশ্চিমা বাতাসের প্রবাহের গতিপথ পরিবর্তন, আর্টিকের তাপমাত্রার দ্রুত বৃদ্ধি ও আটলান্টিকের স্রোতোধারা বদলে যাওয়া অন্যতম প্রধান কারণ।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রেকর্ড তাপমাত্রায় জনজীবন রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। অনেক দেশেই দাবানলে পুড়ছে হাজার হাজার হেক্টর জমি। গরমজনিত কারণে মৃত্যুও বাড়ছে। শুধু পর্তুগালেই ১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) সতর্ক করে বলেছে, সামনে আরও খারাপ পরিস্থিতি আসতে পারে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তাপমাত্রা রেকর্ড ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দেশটিতে সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। জার্মানিও গতকাল মঙ্গলবার তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে গরম দিন অতিবাহিত করেছে। গত সোমবার ফ্রান্সের ৬৪টি জায়গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বেলজিয়ামে তীব্র দাবদাহে পুড়ে গেছে একটি রিসোর্টের কিছু অংশ। নেদারল্যান্ডসে গতকাল মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। পর্তুগালেও তাপমাত্রা বাড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার পর্তুগালের তাপমাত্রা ছিল রেকর্ড ৪৭ ডিগ্রি। গত সোমবার স্পেনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র দাবদাহে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, গ্রিস, স্পেনসহ বেশ কয়েকটি দেশে। ফ্রান্সে দাবানলে ১৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমি পুড়েছে। এরই মধ্যে ৩৪ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়ার এমন বিরূপ পরিস্থিতির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে দায়ী করেছেন আবহাওয়াবিদেরা।
উল্লেখ্য, ১৯ শতকের শিল্পবিপ্লবের পর ভারী কলকারখানা হু হু করে বেড়েছে। এর পর থেকে বৈশ্বিক উষ্ণতা ইতিমধ্যে ১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। চলতি শতাব্দীতে তা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে ধরে রাখা না গেলে পৃথিবীর অনেক নিচু দেশ বা অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে। ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন অংশে সম্প্রতি তাপপ্রবাহ, দাবদাহ, বন্যা, অতিবৃষ্টি, খরার মতো যেসব দুর্যোগ চলছে, তার জন্য অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ মোটাদাগে দায়ী।
তবে গত চার দশকে ইউরোপে তাপপ্রবাহ, দাবদাহ, অতিবৃষ্টিসহ নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা বেড়েছে, যার জন্য অতিরিক্ত কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের বাইরে অন্য কারণ রয়েছে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যামন্ট-ডোহার্টি আর্থ অবজারভেটরি গবেষণা কেন্দ্রের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপের চলতি দাবদাহের জন্য নদী ও সাগর থেকে পশ্চিমা বাতাসের প্রবাহের গতিপথ পরিবর্তন, আর্টিকের তাপমাত্রার দ্রুত বৃদ্ধি ও আটলান্টিকের স্রোতোধারা বদলে যাওয়া অন্যতম প্রধান কারণ।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
উত্তর-পূর্ব লেবাননের একটি জরুরি প্রতিক্রিয়া কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন উদ্ধারকর্মী নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এ হামলার ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এনএনএ বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি
৩ ঘণ্টা আগেস্পেনের একটি বৃদ্ধাশ্রমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ১০ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তপক্ষ। আজ শুক্রবার স্পেনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এল পেইসের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আল-জাজিরা।
৪ ঘণ্টা আগেঅপ্রাপ্তবয়স্ক নারী হলেও সম্মতির ভিত্তিতে তাঁর সঙ্গে যৌনসঙ্গম ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে বলে রায় দিয়েছে মুম্বাই হাইকোর্ট। আইন অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে সম্মতিকে বৈধতার জন্য যুক্তি হিসেবে প্রদর্শন গ্রহণযোগ্য হবে না।
৮ ঘণ্টা আগেএখন থেকে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে। অতিরিক্ত ভিড় থেকে মসজিদের কার্যক্রম বিঘ্ন হওয়া ঠেকাতে এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্য সংরক্ষণের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে