অনলাইন ডেস্ক
শিল্পকর্মের বিখ্যাত নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সোথবিজের বিরুদ্ধে বিশাল অঙ্কের প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন রুশ ধনকুবের দিমিত্রি রাইবোলভলেভ। আর এই কাজে সোথবিজ দল বেধেছিল তারই বিশ্বাসভাজন আর্ট ডলার ইভেস বুভিয়ারের সঙ্গে। গতকাল শুক্রবার প্রতারিত হওয়ার গল্প বলতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন রাইবোলভলেভ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
সারের ব্যবসায়ী রুশ ধনকুবের রাইবোলভলেভ ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালতে সোথবিজের বিরুদ্ধে করা মামলায় দুই দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেছেন শুক্রবার। এর একপর্যায়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। চিত্রশিল্পের বাজারে যে ধরনের প্রতারণা অনেক ক্ষেত্রেই হয় থাকে, সেরকম এক ফাঁদেই তিনি পড়েছিলেন—এমনটি দাবি করে রাইবোলভলেভ বলেন, এই জায়গায় আরও স্বচ্ছতা থাকা প্রয়োজন।
এক সময় ৭০০ কোটি ডলারের মালিক ছিলেন রুশ এই ধনকুবের। তার দাবি, প্রতারণার শিকার হয়ে ১৬ কোটি ডলারের বেশি খুইয়েছেন তিনি। আর এর জন্য দায়ী করেছেন সোথবিজকে। রাইবোলভলেভের আইনি দলের দাবি, তাকে ঠকিয়েছে তারই এক সময়ের আস্থাভাজন ইভেস বুভিয়ার। নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সোথবিজ বেশ কয়েকটি বিখ্যাত পেইন্টিং রাইবোলভলেভের কাছে বিক্রি করার আগেই সেগুলো কিনেছিলেন বুভিয়ার। তারপর সেগুলো আরও চড়া মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে রাইবোলভলেভের কাছে।
রুশ ধনকুবেরের দাবি, সোথবিজের থেকে ৩৮টি শিল্পকর্ম কেনার সময়ই তিনি প্রতারিত হন। এতে প্রধান ভূমিকা রাখেন ইভেস বুভিয়ার এবং সোথবিজের লন্ডনভিত্তিক এক কর্মচারী। রাইবোলভলেভের আইনি দল বলছে, বুভিয়ার সোথবিজের কাছ থেকে ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলারে একটি শিল্পকর্ম কেনার পরদিনই রাইবোলভলেভের কাছে ১২ কোটি ৭ লাখ ডলারে তা পুনরায় বিক্রি করেন।
২০০২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত শিল্পকর্মের সংগ্রহশালা গড়ে তুলতে রাইবোলভলেভ খরচ করেছেন প্রায় ২০০ কোটি ডলার। সাক্ষ্যগ্রহণের একপর্যায়ে অশ্রুসিক্ত চোখে তিনি বলেন, সহজে কাউকে বিশ্বাস করেন না তিনি। কিন্তু বুভিয়ারকে করেছিলেন। বুভিয়ার তার পরিবারের মতোই হয়ে গিয়েছিলেন। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শিল্পকর্ম কেনাবেচার জগতে অসততার কারণেই আর্থিকভাবে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন বলে দাবি করেন রাইবোলভলেভ।
শুদ্ধি পরীক্ষা করতে গিয়ে সোথবিজের এক আইনজীবী রাইবোলভলেভকে স্বীকার করাতে পেরেছিলেন যে, তিনি (রাইবোলভলেভ) তার উপদেষ্টাদের বিশ্বাস করতেন। এমনকি যখন তিনি কয়েক কোটি ডলার মূল্যের শিল্পকর্ম কিনছেন তখনো গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথি ঘেঁটে দেখার জন্য তিনি তার উপদেষ্টাদের চাপ দেননি। সেই নথিগুলো দেখলে হয়তো তার হারানো অর্থ কোথায় যাচ্ছে তার হদিস পাওয়া যেত।
সোথবিজের বিরুদ্ধে কেন মামলা করেছেন—এ প্রশ্নের জবাবে রাইবোলভলেভ বলেন, ‘এটা কেবল অর্থের ব্যাপার নয়। যখন শিল্পকর্মের বাজারের সবচেয়ে বড় নামটিই এমন কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকে তখন আমার মতো ক্রেতাদের অবস্থাও নাজুক হয়ে দাঁড়ায়—যাদের এই বাজার সম্পর্কে দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতা আছে।’
রাইবোলভলেভের আইনজীবী ড্যানিয়েল কর্নস্টেইন বলেন, জালিয়াতির এক বিস্তৃত জালে জড়িয়েছে সোথবিজ। তিনি বলেন, সোথবিজের হাতে অনেক কিছুই বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু তারা বেছে নিয়েছে লোভকে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে সোথবিজের আইনজীবী সারা শুডোফস্কি বলেছিলেন যে, রাইবোলভলেভের সঙ্গে একজন অন্যায় করেছে আর তার জন্য তিনি অভিযুক্ত করছেন আরেকজনকে।
অন্যদিকে, গত ডিসেম্বরে বুভিয়েরের আইনজীবীরা ঘোষণা দেন যে, বুভিয়ার রাইবোলভলেভের সঙ্গে শর্ত সাপেক্ষে অতীতের বিরোধ মীমাংসা করে ফেলেছেন। তা ছাড়া, প্রতারণার অভিযোগও অস্বীকার করেছেন বুভিয়ার।
শিল্পকর্মের বিখ্যাত নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সোথবিজের বিরুদ্ধে বিশাল অঙ্কের প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন রুশ ধনকুবের দিমিত্রি রাইবোলভলেভ। আর এই কাজে সোথবিজ দল বেধেছিল তারই বিশ্বাসভাজন আর্ট ডলার ইভেস বুভিয়ারের সঙ্গে। গতকাল শুক্রবার প্রতারিত হওয়ার গল্প বলতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন রাইবোলভলেভ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
সারের ব্যবসায়ী রুশ ধনকুবের রাইবোলভলেভ ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালতে সোথবিজের বিরুদ্ধে করা মামলায় দুই দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেছেন শুক্রবার। এর একপর্যায়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। চিত্রশিল্পের বাজারে যে ধরনের প্রতারণা অনেক ক্ষেত্রেই হয় থাকে, সেরকম এক ফাঁদেই তিনি পড়েছিলেন—এমনটি দাবি করে রাইবোলভলেভ বলেন, এই জায়গায় আরও স্বচ্ছতা থাকা প্রয়োজন।
এক সময় ৭০০ কোটি ডলারের মালিক ছিলেন রুশ এই ধনকুবের। তার দাবি, প্রতারণার শিকার হয়ে ১৬ কোটি ডলারের বেশি খুইয়েছেন তিনি। আর এর জন্য দায়ী করেছেন সোথবিজকে। রাইবোলভলেভের আইনি দলের দাবি, তাকে ঠকিয়েছে তারই এক সময়ের আস্থাভাজন ইভেস বুভিয়ার। নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সোথবিজ বেশ কয়েকটি বিখ্যাত পেইন্টিং রাইবোলভলেভের কাছে বিক্রি করার আগেই সেগুলো কিনেছিলেন বুভিয়ার। তারপর সেগুলো আরও চড়া মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে রাইবোলভলেভের কাছে।
রুশ ধনকুবেরের দাবি, সোথবিজের থেকে ৩৮টি শিল্পকর্ম কেনার সময়ই তিনি প্রতারিত হন। এতে প্রধান ভূমিকা রাখেন ইভেস বুভিয়ার এবং সোথবিজের লন্ডনভিত্তিক এক কর্মচারী। রাইবোলভলেভের আইনি দল বলছে, বুভিয়ার সোথবিজের কাছ থেকে ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলারে একটি শিল্পকর্ম কেনার পরদিনই রাইবোলভলেভের কাছে ১২ কোটি ৭ লাখ ডলারে তা পুনরায় বিক্রি করেন।
২০০২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত শিল্পকর্মের সংগ্রহশালা গড়ে তুলতে রাইবোলভলেভ খরচ করেছেন প্রায় ২০০ কোটি ডলার। সাক্ষ্যগ্রহণের একপর্যায়ে অশ্রুসিক্ত চোখে তিনি বলেন, সহজে কাউকে বিশ্বাস করেন না তিনি। কিন্তু বুভিয়ারকে করেছিলেন। বুভিয়ার তার পরিবারের মতোই হয়ে গিয়েছিলেন। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শিল্পকর্ম কেনাবেচার জগতে অসততার কারণেই আর্থিকভাবে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন বলে দাবি করেন রাইবোলভলেভ।
শুদ্ধি পরীক্ষা করতে গিয়ে সোথবিজের এক আইনজীবী রাইবোলভলেভকে স্বীকার করাতে পেরেছিলেন যে, তিনি (রাইবোলভলেভ) তার উপদেষ্টাদের বিশ্বাস করতেন। এমনকি যখন তিনি কয়েক কোটি ডলার মূল্যের শিল্পকর্ম কিনছেন তখনো গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথি ঘেঁটে দেখার জন্য তিনি তার উপদেষ্টাদের চাপ দেননি। সেই নথিগুলো দেখলে হয়তো তার হারানো অর্থ কোথায় যাচ্ছে তার হদিস পাওয়া যেত।
সোথবিজের বিরুদ্ধে কেন মামলা করেছেন—এ প্রশ্নের জবাবে রাইবোলভলেভ বলেন, ‘এটা কেবল অর্থের ব্যাপার নয়। যখন শিল্পকর্মের বাজারের সবচেয়ে বড় নামটিই এমন কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকে তখন আমার মতো ক্রেতাদের অবস্থাও নাজুক হয়ে দাঁড়ায়—যাদের এই বাজার সম্পর্কে দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতা আছে।’
রাইবোলভলেভের আইনজীবী ড্যানিয়েল কর্নস্টেইন বলেন, জালিয়াতির এক বিস্তৃত জালে জড়িয়েছে সোথবিজ। তিনি বলেন, সোথবিজের হাতে অনেক কিছুই বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু তারা বেছে নিয়েছে লোভকে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে সোথবিজের আইনজীবী সারা শুডোফস্কি বলেছিলেন যে, রাইবোলভলেভের সঙ্গে একজন অন্যায় করেছে আর তার জন্য তিনি অভিযুক্ত করছেন আরেকজনকে।
অন্যদিকে, গত ডিসেম্বরে বুভিয়েরের আইনজীবীরা ঘোষণা দেন যে, বুভিয়ার রাইবোলভলেভের সঙ্গে শর্ত সাপেক্ষে অতীতের বিরোধ মীমাংসা করে ফেলেছেন। তা ছাড়া, প্রতারণার অভিযোগও অস্বীকার করেছেন বুভিয়ার।
ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ আছে সেগুলোর সার্বভৌম মালিকানা ফিলিস্তিনি জনগণের। এই বিষয়টির স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটিতে পশ্চিমা বিশ্বের অনেকগুলো দেশ সমর্থন দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব পাস হয়
১ ঘণ্টা আগেচিকিৎসার জন্য ২০০৭ সালে ভারতের আসামে গিয়েছিল বাংলাদেশের সিলেটের এক পরিবার। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে পরিবারের এক মেয়ে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমে পড়ে। শেষমেশ তাঁকে বিয়ে করে সেখানেই থেকে যান তিনি। তবে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কখনোই প্রশস্ত ছিল না। ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার হিন্দুস
২ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আত্মঘাতী ড্রোনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর মতে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার প্রেক্ষাপটে সামরিক মতবাদেও দ্রুত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ—এর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদ
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে কুখ্যাত ৯ / ১১ এর মতো আরেকটি ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল এক মার্কিন যুবক। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগ গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনের বাসিন্দা আনাস সাইদের (২৮) বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) সন্ত্রাসীদের
৩ ঘণ্টা আগে