অনলাইন ডেস্ক
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর চালানো গণহত্যার স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন মানবাধিকার সংগঠন ও অধিকারকর্মীরা। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় চলমান জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৪তম অধিবেশন চলাকালে নেদারল্যান্ডসের মানবাধিকার সংগঠন গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্স (জিএইচআরডি) এ দাবি জানায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও গণহত্যা বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুরুতেই সংক্ষেপে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্বরতার কথা তুলে ধরা হয়।
গণহত্যা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও এসব ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আলোচকেরা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এ বিষয়ে তাদের বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে অর্গানাইজেশন অব ইস্টার্ন ক্যারিবিয়ান স্টেটস (ওইসিএস), বেলজিয়াম ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সরাসরি অনলাইনে সম্প্রচার করা হয়।
শুরুতে জিএইচআরডির চেয়ারম্যান শ্রদ্ধানন্দ সিতাল বক্তব্য রাখেন। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গণহত্যা বন্ধে বৈশ্বিক প্রতিজ্ঞা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, তারপরও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ বারবার ঘটেছে। রুয়ান্ডা, বলকান অঞ্চল এবং বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এমন গণহত্যা ঘটেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ পাননি।
এ সময় গণহত্যার বিষয়টিকে স্বীকৃতি দেওয়া ও এই বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিকে এনজিও ও জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনার আহ্বান জানান তিনি।
এরপর ডাচ রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকারকর্মী হ্যারি ভন বোমেল কথা বলেন। ২০২৩ সালের মে মাসে পাকিস্তানের গণহত্যার প্রমাণ খুঁজতে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন। গণহত্যার শিকার ব্যক্তিদের পরিবার ও গণহত্যা বিষয়ক গবেষকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সফরের ফলাফল তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল, তার বিস্তৃত প্রমাণ মিলেছে। ভবিষ্যতে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সচেতনতা বাড়াতে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে এই ফলাফল উপস্থাপন করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি প্রবাসীদেরও জড়িত হওয়া উচিত বলে জানান তিনি।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে হতাহত, নির্যাতিত ও বাস্তুচ্যুত বাংলাদেশিদের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন জাতিসংঘের জেনেভা কার্যালয়ে নিযুক্ত উপ স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক।
তিনি বলেন, এই অপরাধের মাত্রা ভয়াবহ হলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি না পাওয়াটা বাংলাদেশিদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক। একইসঙ্গে বিশ্ব সম্প্রদায়ের পক্ষে তা ‘আপত্তিকর এবং অগ্রহণযোগ্য’।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর চালানো গণহত্যার স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন মানবাধিকার সংগঠন ও অধিকারকর্মীরা। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় চলমান জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৪তম অধিবেশন চলাকালে নেদারল্যান্ডসের মানবাধিকার সংগঠন গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্স (জিএইচআরডি) এ দাবি জানায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও গণহত্যা বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুরুতেই সংক্ষেপে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্বরতার কথা তুলে ধরা হয়।
গণহত্যা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও এসব ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আলোচকেরা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এ বিষয়ে তাদের বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে অর্গানাইজেশন অব ইস্টার্ন ক্যারিবিয়ান স্টেটস (ওইসিএস), বেলজিয়াম ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সরাসরি অনলাইনে সম্প্রচার করা হয়।
শুরুতে জিএইচআরডির চেয়ারম্যান শ্রদ্ধানন্দ সিতাল বক্তব্য রাখেন। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গণহত্যা বন্ধে বৈশ্বিক প্রতিজ্ঞা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, তারপরও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ বারবার ঘটেছে। রুয়ান্ডা, বলকান অঞ্চল এবং বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এমন গণহত্যা ঘটেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ পাননি।
এ সময় গণহত্যার বিষয়টিকে স্বীকৃতি দেওয়া ও এই বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিকে এনজিও ও জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনার আহ্বান জানান তিনি।
এরপর ডাচ রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকারকর্মী হ্যারি ভন বোমেল কথা বলেন। ২০২৩ সালের মে মাসে পাকিস্তানের গণহত্যার প্রমাণ খুঁজতে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন। গণহত্যার শিকার ব্যক্তিদের পরিবার ও গণহত্যা বিষয়ক গবেষকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সফরের ফলাফল তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল, তার বিস্তৃত প্রমাণ মিলেছে। ভবিষ্যতে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সচেতনতা বাড়াতে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে এই ফলাফল উপস্থাপন করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি প্রবাসীদেরও জড়িত হওয়া উচিত বলে জানান তিনি।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে হতাহত, নির্যাতিত ও বাস্তুচ্যুত বাংলাদেশিদের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন জাতিসংঘের জেনেভা কার্যালয়ে নিযুক্ত উপ স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক।
তিনি বলেন, এই অপরাধের মাত্রা ভয়াবহ হলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি না পাওয়াটা বাংলাদেশিদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক। একইসঙ্গে বিশ্ব সম্প্রদায়ের পক্ষে তা ‘আপত্তিকর এবং অগ্রহণযোগ্য’।
ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ আছে সেগুলোর সার্বভৌম মালিকানা ফিলিস্তিনি জনগণের। এই বিষয়টির স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটিতে পশ্চিমা বিশ্বের অনেকগুলো দেশ সমর্থন দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব পাস হয়
১ ঘণ্টা আগেচিকিৎসার জন্য ২০০৭ সালে ভারতের আসামে গিয়েছিল বাংলাদেশের সিলেটের এক পরিবার। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে পরিবারের এক মেয়ে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমে পড়ে। শেষমেশ তাঁকে বিয়ে করে সেখানেই থেকে যান তিনি। তবে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কখনোই প্রশস্ত ছিল না। ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার হিন্দুস
২ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আত্মঘাতী ড্রোনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর মতে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার প্রেক্ষাপটে সামরিক মতবাদেও দ্রুত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ—এর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদ
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে কুখ্যাত ৯ / ১১ এর মতো আরেকটি ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল এক মার্কিন যুবক। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগ গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনের বাসিন্দা আনাস সাইদের (২৮) বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) সন্ত্রাসীদের
৩ ঘণ্টা আগে