অনলাইন ডেস্ক
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১০ হাজারেরও বেশি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল ইরমগার্ড ফুরচনার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার একটি জার্মান আদালত নির্দোষ হিসেবে ৯৯ বছর বয়সী ওই নারীর একটি আপিল প্রত্যাখ্যান করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি নাৎসি বাহিনীর স্টুথফ কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের এসএস কমান্ডারের সেক্রেটারি হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মানির লাইপজিগে অবস্থিত ফেডারেল আদালতের রায়ই চূড়ান্ত। এর আগে ২০২২ সালে জার্মানির একটি রাজ্য আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তবে গত মাসে ফুরচনারের আইনজীবীরা সন্দেহ প্রকাশ করেন—তিনি সত্যিই ক্যাম্পের কমান্ডার এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের সঙ্গী ছিলেন কি-না এবং স্টুথফে কী ঘটছিল সেই সম্পর্কে তিনি সচেতন ছিলেন কি-না।
জানা যায়, কিশোরী অবস্থায় টাইপিস্ট হিসেবে স্টুথফ কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে গিয়েছিলেন ফুরচনার। সেখানে তিনি ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত কাজ করেন। নাৎসি বাহিনীর সঙ্গী হিসেবে যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচার হওয়া কয়েকজন নারীর মধ্যে তিনি অন্যতম। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে উত্তর জার্মানির ইটজেহোতে একটি রাজ্য আদালত বিচারে তাকে দুই বছরের স্থগিত কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। স্টুথফ ক্যাম্পে ফুরচনার একজন বেসামরিক কর্মী হিসেবে থাকলেও বিচারক মত দিয়েছিলেন, তিনি বন্দী শিবিরে কী ঘটছে সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত ছিলেন।
স্টুথফ কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে প্রায় ৬৫ হাজার বন্দীকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। নিহত বন্দীদের মধ্যে ছিলেন ইহুদি, পোল্যান্ডের অ-ইহুদি বাসিন্দা এবং বন্দী সোভিয়েত সেনারা। যেহেতু ফুরচনার তখন ১৮ বা ১৯ বছর বয়সী ছিলেন, তাই তাকে কিশোর আদালতে বিচার করা হয়েছিল।
স্টুথফ কনসেনট্রেশন ক্যাম্পটি ছিল বর্তমান পোল্যান্ডের গডানস্কে। এই ক্যাম্পে বন্দীদের নানা নির্মম পদ্ধতিতে হত্যা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১৯৪৪ সালের জুন মাসে কয়েক হাজার বন্দীকে গ্যাস চেম্বারে হত্যা করা হয়।
২০২২ সালে জার্মানির উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য শ্লেসউইগ-হলস্টেইনের ইটজেহো জেলা আদালতে ফুরচনারের বিচার হয়। সেই সময়ে বন্দী শিবিরে বেঁচে থাকা কয়েকজন ফুরচনারের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন অবশ্য বিচার চলাকালীন মারা গেছেন।
এর আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ফুরচনারের বিচার শুরু হলে তিনি জার্মানিতে তার নার্সিংহোম থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে পুলিশ তাঁকে হামবুর্গের একটি রাস্তায় আটক করে। বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ফুরচনার শ্লেসউইগ-হলস্টেইন প্রদেশে চলে এসেছিলেন এবং একজন টাইপিস্ট হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন।
বিচার শুরু হওয়ার পর আদালতে টানা ৪০ দিন সম্পূর্ণ নীরব ছিলেন ফুরচনার। তার আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন—নীরব থাকা তার মক্কেলের অধিকার।
শেষ পর্যন্ত ফুরচনার নীরবতা ভেঙে বলেছিলেন, ‘যা ঘটেছে তার জন্য আমি দুঃখিত। আমি সেই সময়ে স্টুথফে থাকার জন্য দুঃখিত। আমার এতটুকুই বলার ছিল।’
স্টুথফ কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের কমান্ডার পল ওয়ার্নার হোপকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৯৫৫ সালেই কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। পাঁচ বছর কারাভোগের পর তিনি মুক্তি পান।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১০ হাজারেরও বেশি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল ইরমগার্ড ফুরচনার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার একটি জার্মান আদালত নির্দোষ হিসেবে ৯৯ বছর বয়সী ওই নারীর একটি আপিল প্রত্যাখ্যান করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি নাৎসি বাহিনীর স্টুথফ কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের এসএস কমান্ডারের সেক্রেটারি হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মানির লাইপজিগে অবস্থিত ফেডারেল আদালতের রায়ই চূড়ান্ত। এর আগে ২০২২ সালে জার্মানির একটি রাজ্য আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তবে গত মাসে ফুরচনারের আইনজীবীরা সন্দেহ প্রকাশ করেন—তিনি সত্যিই ক্যাম্পের কমান্ডার এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের সঙ্গী ছিলেন কি-না এবং স্টুথফে কী ঘটছিল সেই সম্পর্কে তিনি সচেতন ছিলেন কি-না।
জানা যায়, কিশোরী অবস্থায় টাইপিস্ট হিসেবে স্টুথফ কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে গিয়েছিলেন ফুরচনার। সেখানে তিনি ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত কাজ করেন। নাৎসি বাহিনীর সঙ্গী হিসেবে যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচার হওয়া কয়েকজন নারীর মধ্যে তিনি অন্যতম। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে উত্তর জার্মানির ইটজেহোতে একটি রাজ্য আদালত বিচারে তাকে দুই বছরের স্থগিত কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। স্টুথফ ক্যাম্পে ফুরচনার একজন বেসামরিক কর্মী হিসেবে থাকলেও বিচারক মত দিয়েছিলেন, তিনি বন্দী শিবিরে কী ঘটছে সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত ছিলেন।
স্টুথফ কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে প্রায় ৬৫ হাজার বন্দীকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। নিহত বন্দীদের মধ্যে ছিলেন ইহুদি, পোল্যান্ডের অ-ইহুদি বাসিন্দা এবং বন্দী সোভিয়েত সেনারা। যেহেতু ফুরচনার তখন ১৮ বা ১৯ বছর বয়সী ছিলেন, তাই তাকে কিশোর আদালতে বিচার করা হয়েছিল।
স্টুথফ কনসেনট্রেশন ক্যাম্পটি ছিল বর্তমান পোল্যান্ডের গডানস্কে। এই ক্যাম্পে বন্দীদের নানা নির্মম পদ্ধতিতে হত্যা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১৯৪৪ সালের জুন মাসে কয়েক হাজার বন্দীকে গ্যাস চেম্বারে হত্যা করা হয়।
২০২২ সালে জার্মানির উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য শ্লেসউইগ-হলস্টেইনের ইটজেহো জেলা আদালতে ফুরচনারের বিচার হয়। সেই সময়ে বন্দী শিবিরে বেঁচে থাকা কয়েকজন ফুরচনারের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন অবশ্য বিচার চলাকালীন মারা গেছেন।
এর আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ফুরচনারের বিচার শুরু হলে তিনি জার্মানিতে তার নার্সিংহোম থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে পুলিশ তাঁকে হামবুর্গের একটি রাস্তায় আটক করে। বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ফুরচনার শ্লেসউইগ-হলস্টেইন প্রদেশে চলে এসেছিলেন এবং একজন টাইপিস্ট হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন।
বিচার শুরু হওয়ার পর আদালতে টানা ৪০ দিন সম্পূর্ণ নীরব ছিলেন ফুরচনার। তার আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন—নীরব থাকা তার মক্কেলের অধিকার।
শেষ পর্যন্ত ফুরচনার নীরবতা ভেঙে বলেছিলেন, ‘যা ঘটেছে তার জন্য আমি দুঃখিত। আমি সেই সময়ে স্টুথফে থাকার জন্য দুঃখিত। আমার এতটুকুই বলার ছিল।’
স্টুথফ কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের কমান্ডার পল ওয়ার্নার হোপকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৯৫৫ সালেই কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। পাঁচ বছর কারাভোগের পর তিনি মুক্তি পান।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করেছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে তাঁরা সাক্ষাৎ করেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ইরানের দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে
১২ মিনিট আগেইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ আছে সেগুলোর সার্বভৌম মালিকানা ফিলিস্তিনি জনগণের। এই বিষয়টির স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটিতে পশ্চিমা বিশ্বের অনেকগুলো দেশ সমর্থন দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব পাস হয়
১ ঘণ্টা আগেচিকিৎসার জন্য ২০০৭ সালে ভারতের আসামে গিয়েছিল বাংলাদেশের সিলেটের এক পরিবার। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে পরিবারের এক মেয়ে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমে পড়ে। শেষমেশ তাঁকে বিয়ে করে সেখানেই থেকে যান তিনি। তবে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কখনোই প্রশস্ত ছিল না। ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার হিন্দুস
২ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আত্মঘাতী ড্রোনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর মতে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার প্রেক্ষাপটে সামরিক মতবাদেও দ্রুত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ—এর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদ
২ ঘণ্টা আগে