ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার আলোচনা। বুধবারের এই আলোচনায় ইতিবাচক অনেক কিছুই উঠে এসেছে। মস্কো ও কিয়েভ যুদ্ধবিরতির আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। 

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা পূর্ব ইউক্রেনে ‘শর্তহীনভাবে’ একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। 

• পুতিনের ইউক্রেন অভিযান কি জানুয়ারিতেই

বৈঠক শেষে মস্কোর প্রধান আলোচক দিমিত্রি কোজাক বলেছেন, ‘যুদ্ধবিরতি অবশ্যই ‘শর্তহীনভাবে’ পালন করা উচিত। তবে পূর্ব ইউক্রেনের অন্যান্য অনেক সমস্যা এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’ 

• রাশিয়ার বিপুল সমরসজ্জা, আক্রান্ত হওয়ার ভয় ইউক্রেনের

কিয়েভের আলোচক আন্দ্রি ইয়ারমাক বলেছেন, ‘সব পক্ষই যুদ্ধবিরতির সমর্থনে রয়েছে। যুদ্ধ এড়াতে এবং সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে আলোচনার জন্য সব সময়ই প্রস্তুত রয়েছে ইউক্রেন। আমাদের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ সবারই প্রধান উদ্দেশ্য যুদ্ধ যেন বন্ধ হয় এবং আমরা যেন আমাদের অঞ্চল ফিরে পাই।’ 

কোজাক ও ইয়ারমাক দুজনই বলেছেন, বার্লিনে দুই সপ্তাহের মধ্যে আবার আলোচনা শুরু হবে। 

• বড় হামলার জন্য রাশিয়ার মোতায়েন করা সেনা যথেষ্ট নয়: ইউক্রেন

প্রসঙ্গত, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রায় এক লাখ রুশ সেনা ইউক্রেন সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, শিগ্‌গিরই ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। তবে রাশিয়া বরাবরই ইউক্রেনে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে। 

উল্লেখ্য, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ান সেনাদের সংখ্যা বাড়ায় পূর্ব ইউরোপে সেনা মোতায়েন করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। তাই ৮ হাজার ৫০০ সেনাকে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি।