অনলাইন ডেস্ক
বিগত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে চীনের জনসংখ্যা কমেছে ২০ লাখেরও বেশি। এ নিয়ে টানা দুই বছর ধরে কমছে চীনের জনসংখ্যা। কোভিড মহামারির কারণে ব্যাপক প্রাণহানি ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা কমে যাওয়ার মতো নেতিবাচক বিষয়ের সঙ্গে বাড়তি দুশ্চিন্তা হিসেবে যুক্ত হয়েছে এই জনসংখ্যা কমে যাওয়ার বিষয়টি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চীনের ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস জানিয়েছে, ২০২৩ সালে চীনের জনসংখ্যা কমেছে ২০ লাখ ৮০ হাজারের বেশি। যা চীনের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৪১ কোটির দশমিক ১৫ শতাংশ। এর আগে, ২০২২ সালে চীনের জনসংখ্যা কমেছিল ৮ লাখ ৫০ হাজারের মতো। যা ১৯৬১ সালের চেয়ে অনেক বেশি। মাও সে তুংয়ের আমলে সেই সময় চীনে দুর্ভিক্ষের কারণে বিপুলসংখ্যক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।
কোভিড-১৯ মহামারি শুরুর পর টানা তিন বছর ধরে চীন কঠোর লকডাউনসহ অন্যান্য সর্তকতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু তারপরও ২০২৩ সালে এসে দেশটিতে কোভিডের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। চীন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই প্রাদুর্ভাব বেশি মৃত্যুহারের অন্যতম কারণ।
চীন ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস জানিয়েছে, আগের বছরের তুলনায় মৃত্যুহার প্রায় ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে চীনে ২০২৩ সালে মোট মানুষ মারা গেছেন প্রায় ১ কোটি ১১ লাখ। ১৯৭৪ সালে চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পর এই হার সবচেয়ে বেশি।
এদিকে, চীনে শিশু জন্মের হারও ব্যাপক কমে গেছে। ২০২৩ সালে চীনে শিশু জন্মহার কমেছে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। সে বছর দেশটি নতুন শিশুর জন্ম হয়েছে ৯০ লাখ ২০ হাজার। গত বছর চীনের প্রতি ১ হাজার জনে শিশু জন্মের হার ছিল ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অথচ ২০২২ সালে এই হার ছিল ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
শেষবার চীনে রেকর্ড জনসংখ্যা কমেছিল ১৯৬০ সালে। ওই সময় দেশটি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছিল। গ্রেট লিপ ফরওয়ার্ড নামে পরিচিত মাও সেতুং কৃষি নীতির কারণেই এই বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্ট হয়েছিল। পরে বিপুল জনসংখ্যার কারণে ১৯৮০ সালে চীন ‘এক সন্তান নীতি’ আরোপ করে। ২০১৬ সালে তারা এই নীতি থেকে সরে এসে ২০২১ সালে দম্পতিদের তিনটি সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে শিশু জন্মের হার কমছে আশঙ্কাজনকভাবে। ২০২১ সালে চীনে ১ কোটি ৬০ লাখ শিশুর জন্ম হয়েছিল। এই সংখ্যা ২০২০ সালের চেয়ে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ কম। চীনের এই পরিস্থিতি বৈশ্বিক অর্থনীতি ও বিশ্বব্যবস্থায় বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চীনের জীবনযাত্রার ব্যয় দ্রুত বাড়ছে। একই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে নারীর সংখ্যাও বাড়ছে। এ ছাড়া চীনের নারীরা এখন উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এসব কারণে দেশটিতে শিশু জন্মের হার কমছে। তবে শিশু জন্মের হার কমার পেছনে চীনের মানুষের দীর্ঘদিনের অভ্যাসও দায়ী বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষক শিউজিয়ান পেং বলেন, চীনা জনগণও ‘কয়েক দশক এক সন্তান নীতির কারণে ছোট পরিবারে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে।’ তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে চীনা সরকারকে উপায় বের করতে হবে। তা না হলে শিশু জন্মের হার আরও কমবে।
বিগত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে চীনের জনসংখ্যা কমেছে ২০ লাখেরও বেশি। এ নিয়ে টানা দুই বছর ধরে কমছে চীনের জনসংখ্যা। কোভিড মহামারির কারণে ব্যাপক প্রাণহানি ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা কমে যাওয়ার মতো নেতিবাচক বিষয়ের সঙ্গে বাড়তি দুশ্চিন্তা হিসেবে যুক্ত হয়েছে এই জনসংখ্যা কমে যাওয়ার বিষয়টি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চীনের ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস জানিয়েছে, ২০২৩ সালে চীনের জনসংখ্যা কমেছে ২০ লাখ ৮০ হাজারের বেশি। যা চীনের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৪১ কোটির দশমিক ১৫ শতাংশ। এর আগে, ২০২২ সালে চীনের জনসংখ্যা কমেছিল ৮ লাখ ৫০ হাজারের মতো। যা ১৯৬১ সালের চেয়ে অনেক বেশি। মাও সে তুংয়ের আমলে সেই সময় চীনে দুর্ভিক্ষের কারণে বিপুলসংখ্যক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।
কোভিড-১৯ মহামারি শুরুর পর টানা তিন বছর ধরে চীন কঠোর লকডাউনসহ অন্যান্য সর্তকতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু তারপরও ২০২৩ সালে এসে দেশটিতে কোভিডের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। চীন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই প্রাদুর্ভাব বেশি মৃত্যুহারের অন্যতম কারণ।
চীন ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস জানিয়েছে, আগের বছরের তুলনায় মৃত্যুহার প্রায় ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে চীনে ২০২৩ সালে মোট মানুষ মারা গেছেন প্রায় ১ কোটি ১১ লাখ। ১৯৭৪ সালে চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পর এই হার সবচেয়ে বেশি।
এদিকে, চীনে শিশু জন্মের হারও ব্যাপক কমে গেছে। ২০২৩ সালে চীনে শিশু জন্মহার কমেছে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। সে বছর দেশটি নতুন শিশুর জন্ম হয়েছে ৯০ লাখ ২০ হাজার। গত বছর চীনের প্রতি ১ হাজার জনে শিশু জন্মের হার ছিল ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অথচ ২০২২ সালে এই হার ছিল ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
শেষবার চীনে রেকর্ড জনসংখ্যা কমেছিল ১৯৬০ সালে। ওই সময় দেশটি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছিল। গ্রেট লিপ ফরওয়ার্ড নামে পরিচিত মাও সেতুং কৃষি নীতির কারণেই এই বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্ট হয়েছিল। পরে বিপুল জনসংখ্যার কারণে ১৯৮০ সালে চীন ‘এক সন্তান নীতি’ আরোপ করে। ২০১৬ সালে তারা এই নীতি থেকে সরে এসে ২০২১ সালে দম্পতিদের তিনটি সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে শিশু জন্মের হার কমছে আশঙ্কাজনকভাবে। ২০২১ সালে চীনে ১ কোটি ৬০ লাখ শিশুর জন্ম হয়েছিল। এই সংখ্যা ২০২০ সালের চেয়ে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ কম। চীনের এই পরিস্থিতি বৈশ্বিক অর্থনীতি ও বিশ্বব্যবস্থায় বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চীনের জীবনযাত্রার ব্যয় দ্রুত বাড়ছে। একই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে নারীর সংখ্যাও বাড়ছে। এ ছাড়া চীনের নারীরা এখন উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এসব কারণে দেশটিতে শিশু জন্মের হার কমছে। তবে শিশু জন্মের হার কমার পেছনে চীনের মানুষের দীর্ঘদিনের অভ্যাসও দায়ী বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষক শিউজিয়ান পেং বলেন, চীনা জনগণও ‘কয়েক দশক এক সন্তান নীতির কারণে ছোট পরিবারে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে।’ তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে চীনা সরকারকে উপায় বের করতে হবে। তা না হলে শিশু জন্মের হার আরও কমবে।
যুক্তরাষ্ট্রে কুখ্যাত ৯ / ১১ এর মতো আরেকটি ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল এক মার্কিন যুবক। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগ গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনের বাসিন্দা আনাস সাইদের (২৮) বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) সন্ত্রাসীদের
২০ মিনিট আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়রকে স্বাস্থ্য ও মানবসেবা মন্ত্রণালয়ের (এইচএইচএস) প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেবেন। তিনি বলেছেন, সাবেক এই ডেমোক্র্যাট নেতা (কেনেডি জুনিয়র) এই পদে থেকে ‘ক্ষতিকর রাসায়নিক ও দূষণ থেকে সবার সুরক্ষা নিশ্চিত ক
২ ঘণ্টা আগেস্বাধীনতা যুদ্ধের পর এই প্রথম কোনো পাকিস্তানি মালবাহী জাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়েছে। গতকাল বুধবার পাকিস্তানের করাচি থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ে। নানা কারণেই পাকিস্তানি মালবাহী জাহাজটির বাংলাদেশের বন্দরে ভেড়ার বিষয়টিকে ঐতিহাসিক বলা হচ্ছে। আর এই ঐতিহাসিক বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্
২ ঘণ্টা আগেতুলসী গ্যাবার্ডকে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। তুলসী গ্যাবার্ড কে? নিয়োগ পেলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হওয়া প্রথম হিন্দু নারী। সাবেক এই মার্কিন সেনা একসময় রাজনীতি করেছ
১১ ঘণ্টা আগে