অনলাইন ডেস্ক
আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের প্রশ্রয় পেয়ে দেশটিতে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় আছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা। এখন তারা আঞ্চলিক মিত্রদের সংগঠিত করে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে।
গত ২৫ জুলাই প্রকাশিত ‘দ্য অ্যানালিটিক্যাল সাপোর্ট অ্যান্ড স্যাংশন্স মনিটরিং টিম অব দ্য ১২৬৭ আইএসআইএল (দায়েশ)’ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আল-কায়েদা স্যাংশন্স কমিটির ৩২তম প্রতিবেদনে এমন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
আল কায়েদা ও অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের বর্তমান তৎপরতা নিয়ে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রদের পর্যবেক্ষণ এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
একটি রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক জঙ্গিবাদের স্থান হিসেবে আফগানিস্তান এখনো গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে রয়ে গেছে। এ দেশে বর্তমানে প্রায় ২০টি জঙ্গি গ্রুপ সক্রিয় আছে। এই জঙ্গি গ্রুপগুলোর উদ্দেশ্য এই অঞ্চলে তাদের নিজ নিজ প্রভাব বিস্তার এবং আধা–রাষ্ট্রের মতো একটি নিজস্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-কায়েদার মূল ঘাঁটি আফগানিস্তানে এখনো তাদের ৩০ থেকে ৬০ জন সদস্য এবং প্রায় ৪০০ যোদ্ধা রয়েছে। পরিবারের সদস্য ও সমর্থক মিলিয়ে এ সংখ্যা ২ হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে আল কায়েদার সম্পর্ক এখনো বেশ ঘনিষ্ঠ এবং মিথোজীবিতামূলক। আফগানিস্তানে তারা অত্যন্ত গোপনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জঙ্গি তৎপরতায় আল কায়েদা আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করবে না— তালেবান সরকারের এই প্রচার যেন সত্য মনে হয় সে জন্য আল কায়েদা গোপনে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তালেবান সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মদদে আল কায়েদার সদস্যরা আফগানিস্তানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনে অনুপ্রবেশ করেছে। এতে করে আফগানিস্তানে আল কায়েদার নিরাপদ সম্প্রসারণ সম্ভব হচ্ছে।
বড় আকারের সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য আল-কায়েদার সক্ষমতা কমে গেছে। এখন তাদের উদ্দেশ্য স্থিতিশীল অবস্থায় থাকা। আফগানিস্তানকে তারা এখন আদর্শিক এবং গোপনে পুনর্গঠিত হওয়ার জন্য নতুন যোদ্ধা সংগ্রহ ও সমাবেশ ঘটানোর লজিস্টিক হাব হিসেবে ব্যবহার করছে।
এই পুনর্গঠনের পর্যায়ে কুনার ও নুরিস্তান প্রদেশে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করেছে আল কায়েদা। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পর্যবেক্ষণ হলো, আল-কায়েদা পুনর্গঠিত ও বিকাশের এই সময়টাতে স্বল্পমেয়াদে নীরবে সক্ষমতা অর্জন এবং কার্যক্রম সম্প্রসারণের কাজ করবে।
আল-কায়েদা নেতারা আফগানিস্তানে অবস্থিত অ-আফগান আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে (ইসলামিক মুভমেন্ট অব উজবেকিস্তান এবং জামাত আনসারুল্লাহ) মধ্য এশিয়ায় অনুপ্রবেশ ও শক্তিশালী ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।
জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদার প্রায় ২০০ যোদ্ধা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এই এলাকায় আল কায়েদার নেতা ওসামা মেহমুদ।
সতর্ক করে বলা হয়েছে, আল কায়েদা এখন আল-কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টকে (একিউআইএস) সংগঠিত করছে। তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং মিয়ানমারে কার্যক্রম বিস্তৃত করা।
ওই সদস্য রাষ্ট্রের ধারণা, একিউআইএসের অল্প কিছু সদস্য ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ত-খোরাসানের (আইএসআইএল-কে) সঙ্গে যোগ দিতে বা তাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ বলছে, আল-কায়েদা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হওয়ার পর খুব সম্ভবত তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সাইফ আল-আদল। তিনি বর্তমানে ইরানে অবস্থান করছেন।
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো আইএসআইএল-কে আফগানিস্তান ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখছে। তারা আফগানিস্তানে থেকেই শক্তিবৃদ্ধি করছে। আফগানিস্তানে তাদের পরিবারের সদস্যসহ ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার সদস্য রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
সানাউল্লাহ গাফারি ওরফে শাহাব আল-মুহাজিরকে আইএসআইএল-কের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী নেতা হিসেবে মনে করা হয়। একটি সদস্য রাষ্ট্র জানিয়েছে, গত জুনে আফগানিস্তানে নিহত হয়েছেন গাফারি। অবশ্য এই তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি রাষ্ট্রটি।
আর আইএসআইএল-কের এক্সটার্নাল অপারেশনের নেতা মৌলভি রজব।
২০০১ সালে নিউইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র (টুইন টাওয়ার), পেন্টাগন এবং পেনসিলভানিয়ায় আত্মঘাতী বিমান হামলা হয়। সেই হামলায় ৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। এর জন্য দায়ী করা হয় আল-কায়েদাকে। ওই সময় আফগানিস্তানে ক্ষমতায় তালেবান সরকার। আর আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন ছিলেন সেই সরকারের প্রশ্রয়ে। তালেবান সরকার বিন লাদেনকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করতে অস্বীকার করলে শুরু হয় সামরিক হামলা। দীর্ঘ ২০ বছর চলে সেই যুদ্ধ।
ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালে পাকিস্তানে নিহত হন। এরপর আল-কায়েদার প্রভাব কিছুটা কমে আসে। মধ্যপ্রাচ্যে উত্থান ঘটে আরেক সন্ত্রাসী সংগঠন আইএস–এর। আল-কায়েদার সঙ্গে এই দলের আদর্শিক পার্থক্য রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
বিন লাদেনের মৃত্যুর পর আল-কায়েদার নেতৃত্বে আসেন আয়মান আল-জাওয়াহিরি। ২০২২ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে সিআইএর ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হন।
এক দশক আগে বাংলাদেশে একের পর জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করে আল কায়েদা বিবৃতি দিয়েছিল। যদিও সেসব হামলায় জড়িতরা সবাই স্থানীয় উগ্রবাদী বলে দাবি করে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০১৪ সালে এক অডিও বার্তায় আল-কায়েদার ভারতীয় শাখা গড়ে বাংলাদেশেও কাজ করার ঘোষণা দেন আয়মান আল জাওয়াহিরি।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছিল আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী দল আইএস। বাংলাদেশে কার্যক্রম সম্প্রসারিত করার ঘোষণা দিয়েছিল তারা। অবশ্য গুলশানে হামলাকারীরা সরাসরি আইএসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমন কোনো তথ্য নেই বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের প্রশ্রয় পেয়ে দেশটিতে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় আছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা। এখন তারা আঞ্চলিক মিত্রদের সংগঠিত করে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে।
গত ২৫ জুলাই প্রকাশিত ‘দ্য অ্যানালিটিক্যাল সাপোর্ট অ্যান্ড স্যাংশন্স মনিটরিং টিম অব দ্য ১২৬৭ আইএসআইএল (দায়েশ)’ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আল-কায়েদা স্যাংশন্স কমিটির ৩২তম প্রতিবেদনে এমন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
আল কায়েদা ও অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের বর্তমান তৎপরতা নিয়ে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রদের পর্যবেক্ষণ এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
একটি রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক জঙ্গিবাদের স্থান হিসেবে আফগানিস্তান এখনো গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে রয়ে গেছে। এ দেশে বর্তমানে প্রায় ২০টি জঙ্গি গ্রুপ সক্রিয় আছে। এই জঙ্গি গ্রুপগুলোর উদ্দেশ্য এই অঞ্চলে তাদের নিজ নিজ প্রভাব বিস্তার এবং আধা–রাষ্ট্রের মতো একটি নিজস্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-কায়েদার মূল ঘাঁটি আফগানিস্তানে এখনো তাদের ৩০ থেকে ৬০ জন সদস্য এবং প্রায় ৪০০ যোদ্ধা রয়েছে। পরিবারের সদস্য ও সমর্থক মিলিয়ে এ সংখ্যা ২ হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে আল কায়েদার সম্পর্ক এখনো বেশ ঘনিষ্ঠ এবং মিথোজীবিতামূলক। আফগানিস্তানে তারা অত্যন্ত গোপনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জঙ্গি তৎপরতায় আল কায়েদা আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করবে না— তালেবান সরকারের এই প্রচার যেন সত্য মনে হয় সে জন্য আল কায়েদা গোপনে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তালেবান সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মদদে আল কায়েদার সদস্যরা আফগানিস্তানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনে অনুপ্রবেশ করেছে। এতে করে আফগানিস্তানে আল কায়েদার নিরাপদ সম্প্রসারণ সম্ভব হচ্ছে।
বড় আকারের সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য আল-কায়েদার সক্ষমতা কমে গেছে। এখন তাদের উদ্দেশ্য স্থিতিশীল অবস্থায় থাকা। আফগানিস্তানকে তারা এখন আদর্শিক এবং গোপনে পুনর্গঠিত হওয়ার জন্য নতুন যোদ্ধা সংগ্রহ ও সমাবেশ ঘটানোর লজিস্টিক হাব হিসেবে ব্যবহার করছে।
এই পুনর্গঠনের পর্যায়ে কুনার ও নুরিস্তান প্রদেশে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করেছে আল কায়েদা। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পর্যবেক্ষণ হলো, আল-কায়েদা পুনর্গঠিত ও বিকাশের এই সময়টাতে স্বল্পমেয়াদে নীরবে সক্ষমতা অর্জন এবং কার্যক্রম সম্প্রসারণের কাজ করবে।
আল-কায়েদা নেতারা আফগানিস্তানে অবস্থিত অ-আফগান আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে (ইসলামিক মুভমেন্ট অব উজবেকিস্তান এবং জামাত আনসারুল্লাহ) মধ্য এশিয়ায় অনুপ্রবেশ ও শক্তিশালী ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।
জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদার প্রায় ২০০ যোদ্ধা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এই এলাকায় আল কায়েদার নেতা ওসামা মেহমুদ।
সতর্ক করে বলা হয়েছে, আল কায়েদা এখন আল-কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টকে (একিউআইএস) সংগঠিত করছে। তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং মিয়ানমারে কার্যক্রম বিস্তৃত করা।
ওই সদস্য রাষ্ট্রের ধারণা, একিউআইএসের অল্প কিছু সদস্য ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ত-খোরাসানের (আইএসআইএল-কে) সঙ্গে যোগ দিতে বা তাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ বলছে, আল-কায়েদা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হওয়ার পর খুব সম্ভবত তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সাইফ আল-আদল। তিনি বর্তমানে ইরানে অবস্থান করছেন।
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো আইএসআইএল-কে আফগানিস্তান ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখছে। তারা আফগানিস্তানে থেকেই শক্তিবৃদ্ধি করছে। আফগানিস্তানে তাদের পরিবারের সদস্যসহ ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার সদস্য রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
সানাউল্লাহ গাফারি ওরফে শাহাব আল-মুহাজিরকে আইএসআইএল-কের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী নেতা হিসেবে মনে করা হয়। একটি সদস্য রাষ্ট্র জানিয়েছে, গত জুনে আফগানিস্তানে নিহত হয়েছেন গাফারি। অবশ্য এই তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি রাষ্ট্রটি।
আর আইএসআইএল-কের এক্সটার্নাল অপারেশনের নেতা মৌলভি রজব।
২০০১ সালে নিউইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র (টুইন টাওয়ার), পেন্টাগন এবং পেনসিলভানিয়ায় আত্মঘাতী বিমান হামলা হয়। সেই হামলায় ৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। এর জন্য দায়ী করা হয় আল-কায়েদাকে। ওই সময় আফগানিস্তানে ক্ষমতায় তালেবান সরকার। আর আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন ছিলেন সেই সরকারের প্রশ্রয়ে। তালেবান সরকার বিন লাদেনকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করতে অস্বীকার করলে শুরু হয় সামরিক হামলা। দীর্ঘ ২০ বছর চলে সেই যুদ্ধ।
ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালে পাকিস্তানে নিহত হন। এরপর আল-কায়েদার প্রভাব কিছুটা কমে আসে। মধ্যপ্রাচ্যে উত্থান ঘটে আরেক সন্ত্রাসী সংগঠন আইএস–এর। আল-কায়েদার সঙ্গে এই দলের আদর্শিক পার্থক্য রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
বিন লাদেনের মৃত্যুর পর আল-কায়েদার নেতৃত্বে আসেন আয়মান আল-জাওয়াহিরি। ২০২২ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে সিআইএর ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হন।
এক দশক আগে বাংলাদেশে একের পর জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করে আল কায়েদা বিবৃতি দিয়েছিল। যদিও সেসব হামলায় জড়িতরা সবাই স্থানীয় উগ্রবাদী বলে দাবি করে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০১৪ সালে এক অডিও বার্তায় আল-কায়েদার ভারতীয় শাখা গড়ে বাংলাদেশেও কাজ করার ঘোষণা দেন আয়মান আল জাওয়াহিরি।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছিল আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী দল আইএস। বাংলাদেশে কার্যক্রম সম্প্রসারিত করার ঘোষণা দিয়েছিল তারা। অবশ্য গুলশানে হামলাকারীরা সরাসরি আইএসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমন কোনো তথ্য নেই বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করেছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে তাঁরা সাক্ষাৎ করেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ইরানের দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে
১ ঘণ্টা আগেইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ আছে সেগুলোর সার্বভৌম মালিকানা ফিলিস্তিনি জনগণের। এই বিষয়টির স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটিতে পশ্চিমা বিশ্বের অনেকগুলো দেশ সমর্থন দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব পাস হয়
২ ঘণ্টা আগেচিকিৎসার জন্য ২০০৭ সালে ভারতের আসামে গিয়েছিল বাংলাদেশের সিলেটের এক পরিবার। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে পরিবারের এক মেয়ে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমে পড়ে। শেষমেশ তাঁকে বিয়ে করে সেখানেই থেকে যান তিনি। তবে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কখনোই প্রশস্ত ছিল না। ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার হিন্দুস
৩ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আত্মঘাতী ড্রোনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর মতে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার প্রেক্ষাপটে সামরিক মতবাদেও দ্রুত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ—এর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদ
৩ ঘণ্টা আগে