অনলাইন ডেস্ক
সম্প্রতি চীন-তাইওয়ান উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছে। এ অবস্থায় শান্তিপূর্ণভাবে তাইওয়ানকে মূল চীনের সঙ্গে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। আজ শনিবার চিং বা মানচু রাজবংশের পতনের বার্ষিকীতে দেওয়া এক বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। জবাবে নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার কথা জানিয়েছে তাইওয়ান।
চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, চীনা জনগণের একটি সোনালি অতীত রয়েছে, যেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের স্থান নেই। তাইওয়ানের স্বাধীনতার দাবি মাতৃভূমির এক হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা। শান্তিপূর্ণভাবে মূল ভূমির সঙ্গে এক হওয়ার মধ্যেই তাইওয়ানের জনগণের প্রকৃত মঙ্গল রয়েছে।
রয়টার্স জানায়, আন্তর্জাতিক শক্তির দিকে ইঙ্গিত দিয়ে চীনা প্রসিডেন্ট বলেন, জাতীয় সংহতি রক্ষায় চীনা জনগণের যে সংকল্প ও সক্ষমতা রয়েছে, তা খাটো করে দেখা ঠিক হবে না। মাতৃভূমির আলাদা হয়ে যাওয়া সব অংশ এক করা আমাদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব। এ বিষয়ে আমরা অটল। এটা আমরা পূরণ করবই।
সি’র বক্তৃতার সুর জুলাইয়ের বক্তৃতার চেয়ে নরম হয়ে এসেছে। জুলাইয়ের বক্তৃতায় তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার চেষ্টাকে কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এর আগে ২০১৯ সালে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে দ্বীপটি দখলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন সি চিন পিং।
সি’র বক্তৃতার প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ান একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বলে জানায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইন-ওয়েনের অফিস। এতে বলা হয়, তাইওয়ান চীনের অংশ নয়। আমরা বেইজিংয়ের ‘এক দেশ, দুই নীতি’ স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। তাইওয়ানের জনগণই নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
আলাদা এক বিবৃতিতে তাইওয়ানের চীন বিষয়ক নীতি প্রণয়ন প্রতিষ্ঠান মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল (এমএসি) জানায়, বেইজিংয়ের উচিত উসকানিমূলক বক্তব্য, তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা সীমায় (এডিআইজেড) অনুপ্রবেশ এবং নানা ধরনের চাপ প্রয়োগের পথ পরিহার করা।
তাইওয়ান-চীনের ইতিহাস বেশ জটিল। চীনের চিং বংশের দীর্ঘ ২০০ বছরের বেশি শাসনের পর ১৮৯৫ সালে দ্বীপটি জাপানের দখলে আসে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের পর তা আবার বেইজিংয়ের হাতে আসে। কিন্তু কমিউনিস্টদের তাড়া খেয়ে ১৯৪৯ সালে দলবল নিয়ে তাইওয়ানে আশ্রয় নেন তৎকালীন চীনা নেতা চিয়াং কাই-শেক। এরপর থেকে মূল ভূখণ্ডের বা পিআরসির শাসনের বাইরে চলে যায় তাইওয়ান।
এরপর গত শতাব্দীর আশির দশক থেকে দ্বীপটির সঙ্গে চীনের সম্পর্ক কখনো ভালো-কখনো খারাপ। ২০২০ সালে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়া প্রেসিডেন্ট সাই ইন-ওয়েনের সঙ্গে বেইজিংয়ের নতুন করে সম্পর্ক খারাপ হওয়া শুরু হয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াচ্ছেন। যা বেইজিংকে ক্ষুব্ধ করছে। এ ছাড়া ইন-ওয়েন যে কোনো সময় আনুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানের স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারেন, এমন উদ্বেগ থেকে চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে টানা ৪ দিন তাইওয়ানের এডিআইজেড ১৪৮টি চীনা যুদ্ধ বিমান ঢোকে। ফলে চীন-তাইওয়ান উত্তেজনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তাপ ছড়াতে শুরু করে।
সম্প্রতি চীন-তাইওয়ান উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছে। এ অবস্থায় শান্তিপূর্ণভাবে তাইওয়ানকে মূল চীনের সঙ্গে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। আজ শনিবার চিং বা মানচু রাজবংশের পতনের বার্ষিকীতে দেওয়া এক বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। জবাবে নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার কথা জানিয়েছে তাইওয়ান।
চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, চীনা জনগণের একটি সোনালি অতীত রয়েছে, যেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের স্থান নেই। তাইওয়ানের স্বাধীনতার দাবি মাতৃভূমির এক হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা। শান্তিপূর্ণভাবে মূল ভূমির সঙ্গে এক হওয়ার মধ্যেই তাইওয়ানের জনগণের প্রকৃত মঙ্গল রয়েছে।
রয়টার্স জানায়, আন্তর্জাতিক শক্তির দিকে ইঙ্গিত দিয়ে চীনা প্রসিডেন্ট বলেন, জাতীয় সংহতি রক্ষায় চীনা জনগণের যে সংকল্প ও সক্ষমতা রয়েছে, তা খাটো করে দেখা ঠিক হবে না। মাতৃভূমির আলাদা হয়ে যাওয়া সব অংশ এক করা আমাদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব। এ বিষয়ে আমরা অটল। এটা আমরা পূরণ করবই।
সি’র বক্তৃতার সুর জুলাইয়ের বক্তৃতার চেয়ে নরম হয়ে এসেছে। জুলাইয়ের বক্তৃতায় তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার চেষ্টাকে কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এর আগে ২০১৯ সালে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে দ্বীপটি দখলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন সি চিন পিং।
সি’র বক্তৃতার প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ান একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বলে জানায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইন-ওয়েনের অফিস। এতে বলা হয়, তাইওয়ান চীনের অংশ নয়। আমরা বেইজিংয়ের ‘এক দেশ, দুই নীতি’ স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। তাইওয়ানের জনগণই নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
আলাদা এক বিবৃতিতে তাইওয়ানের চীন বিষয়ক নীতি প্রণয়ন প্রতিষ্ঠান মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল (এমএসি) জানায়, বেইজিংয়ের উচিত উসকানিমূলক বক্তব্য, তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা সীমায় (এডিআইজেড) অনুপ্রবেশ এবং নানা ধরনের চাপ প্রয়োগের পথ পরিহার করা।
তাইওয়ান-চীনের ইতিহাস বেশ জটিল। চীনের চিং বংশের দীর্ঘ ২০০ বছরের বেশি শাসনের পর ১৮৯৫ সালে দ্বীপটি জাপানের দখলে আসে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের পর তা আবার বেইজিংয়ের হাতে আসে। কিন্তু কমিউনিস্টদের তাড়া খেয়ে ১৯৪৯ সালে দলবল নিয়ে তাইওয়ানে আশ্রয় নেন তৎকালীন চীনা নেতা চিয়াং কাই-শেক। এরপর থেকে মূল ভূখণ্ডের বা পিআরসির শাসনের বাইরে চলে যায় তাইওয়ান।
এরপর গত শতাব্দীর আশির দশক থেকে দ্বীপটির সঙ্গে চীনের সম্পর্ক কখনো ভালো-কখনো খারাপ। ২০২০ সালে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়া প্রেসিডেন্ট সাই ইন-ওয়েনের সঙ্গে বেইজিংয়ের নতুন করে সম্পর্ক খারাপ হওয়া শুরু হয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াচ্ছেন। যা বেইজিংকে ক্ষুব্ধ করছে। এ ছাড়া ইন-ওয়েন যে কোনো সময় আনুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানের স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারেন, এমন উদ্বেগ থেকে চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে টানা ৪ দিন তাইওয়ানের এডিআইজেড ১৪৮টি চীনা যুদ্ধ বিমান ঢোকে। ফলে চীন-তাইওয়ান উত্তেজনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তাপ ছড়াতে শুরু করে।
উত্তর-পূর্ব লেবাননের একটি জরুরি প্রতিক্রিয়া কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন উদ্ধারকর্মী নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এ হামলার ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এনএনএ বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি
৬ ঘণ্টা আগেস্পেনের একটি বৃদ্ধাশ্রমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ১০ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তপক্ষ। আজ শুক্রবার স্পেনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এল পেইসের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আল-জাজিরা।
৭ ঘণ্টা আগেঅপ্রাপ্তবয়স্ক নারী হলেও সম্মতির ভিত্তিতে তাঁর সঙ্গে যৌনসঙ্গম ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে বলে রায় দিয়েছে মুম্বাই হাইকোর্ট। আইন অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে সম্মতিকে বৈধতার জন্য যুক্তি হিসেবে প্রদর্শন গ্রহণযোগ্য হবে না।
১১ ঘণ্টা আগেএখন থেকে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে। অতিরিক্ত ভিড় থেকে মসজিদের কার্যক্রম বিঘ্ন হওয়া ঠেকাতে এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্য সংরক্ষণের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে