অনলাইন ডেস্ক
রাশিয়ার মস্কোর উপকণ্ঠের শহরে অবস্থিত ক্রাসনোগরস্কের ক্রোকাস সিটি হলে সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, তারা আগেই রাশিয়াকে এ ধরনের হামলা ব্যাপারে সতর্ক করেছিল। মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যও বলছে, এই হামলার পেছনে আইএসের মধ্য এশিয়া অঞ্চলের শাখা ইসলামিক স্টেট-খোরাসান বা আইএসকে জড়িত।
গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সংঘটিত ওই হামলায় এখন পর্যন্ত ৬০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১১৫ জন।
আইএস-কে মূলত প্রাচীন খোরাসান অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে। খোরাসান অঞ্চলটি আজকের ইরান, তুর্কমিনিস্তান ও আফগানিস্তানের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত। ২০১৪ সালের আফগানিস্তানে হামলার মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে আইএস-কে। শুরু থেকেই এই গোষ্ঠী নির্মমতার জন্য বেশ কুখ্যাতি অর্জন করেছে।
আফগানিস্তানকে কেন্দ্র করে কার্যক্রম চালানো এই গোষ্ঠী ২০১৮ সাল পর্যন্ত ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু তারপর থেকে দেশটিতে মার্কিন সেনাবাহিনী ও তালেবানদের আক্রমণের মুখে পড়ে গোষ্ঠীটি ক্রমেই শক্তিহীন হয়ে পড়তে থাকে। তবে আইএসই রাশিয়ায় হামলা চালিয়েছে কি না, সে বিষয়টি এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।
তবে আইএস-কে তাদের সংবাদ সংস্থা ‘আমাক’ নিউজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক ভিডিওতে দাবি করেছে, মস্কোর ক্রাসনোগরস্কে হামলার পেছনে তারা দায়ী। মার্কিন গোয়েন্দারাও বিষয়টিকে সমর্থন করছে। আমাক নিউজের ওই ভিডিওতে বলা হয়েছে, তাদের ‘যোদ্ধারা’ মস্কোর উপকণ্ঠে হামলা চালিয়েছে। ভিডিওতে তারা আরও দাবি করেছে, তাদের হামলায় কয়েক শ হতাহতেরে ঘটনা ঘটেছে এবং হামলাকারীরা নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরেছে।
রাশিয়ার হামলা চালানোর পেছনে আইএসের মোটিফ কী?
রাশিয়ার আইএসের হামলার পেছনে সম্ভাব্য কিছু কারণের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তার মধ্যে একটি হলো—বিগত কয়েক বছর ধরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধিতা করছে আইএস। এ বিষয়ে ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সওফান সেন্টারের কলিন ক্লার্ক বলেছেন, ‘আইএস-কে বিগত দুই বছর ধরেই রাশিয়ার পেছনে লেগে আছে এবং তাদের প্রোপাগান্ডায় পুতিনের বিরোধিতা করছে।’
ওয়াশিংটনভিত্তিক অপর একটি থিংকট্যাংক উইলসন সেন্টারের মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, আইএস-কে রাশিয়াকে এমন সব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে বিবেচনা করে, যা আসলে নিয়মিতভাবে মুসলিমদের নিপীড়ন করছে। এ ছাড়া এশিয়ার মধ্যাঞ্চলে অনেক আইএস সদস্যের অভিযোগ, রাশিয়ার কারণে তাদের জীবন কঠিন হয়ে গেছে।
এ ছাড়া ২০১৫ সালের দিকে ইসলামিক স্টেট যখন সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়ছিল, সেখানে হস্তক্ষেপ করে রাশিয়া। সেই সময় পুতিন বাশারের পক্ষ নিয়ে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে লড়াই মূলত দ্বিপক্ষীয় নয়, ত্রিপক্ষীয় ছিল। বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে ‘গণতন্ত্রপন্থীরা’ সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে ২০১১ সালে।
বাশারকে সে সময় দুই ফ্রন্টের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছিল বিধায় ২০১৩ সাল নাগাদ আইএস সিরিয়া ও ইরাকের একটি বড় অংশ দখল করে নেয়। একপর্যায়ে ইসলামিক স্টেট সিরিয়ার এক-তৃতীয়াংশ ও ইরাকের মোট আয়তনের ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ শুরু করে। কিন্তু ২০১৭ সাল নাগাদ তাদের দখলে থাকা ৯৫ শতাংশ ভূখণ্ডই হারিয়ে ফেলে।
এ ছাড়া, আইএস খোরাসান ছাড়াও আইএস-এর ককেশাস শাখাও আছে। এই শাখাটি রাশিয়ার উত্তর ককেশাস অঞ্চলের মুসলিম এলাকায় কার্যক্রম চালায়। বিশেষ করে, চেচনিয়া, দাগেস্তান, ইঙ্গুশেটিয়া ও কাবারদিনো-বালকারিয়া এলাকায় আইএস-ককেশাসের কার্যক্রম।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের দীর্ঘ ইতিহাস আছে চেচনিয়ার। ২০০৭ থেকে ২০১৭ সাল সময়ের মধ্যে কট্টর ইসলামপন্থীদের উত্থানের ফলে রাশিয়ার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া, রাশিয়া এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত বিভিন্ন দেশ থেকে ‘যোদ্ধা’ নিয়োগ দেওয়ার ইতিহাস আছে আইএসের।
সব মিলিয়ে আইএসের চিন্তা, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে আইএস-বিরোধী রুশ প্রভাব; চেচনিয়া, দাগেস্তান, ইঙ্গুশেটিয়া ও কাবারদিনো-বালকারিয়ায় মুসলিম নিপীড়নসহ—যেমনটা দাবি করে আইএস—নানা কারণেই আসলে রাশিয়ায় এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে আইএস। তবে, এ বিষয়ে রাশিয়ার ভাষ্য এখনো জানা যায়নি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স ও এবিসি অস্ট্রেলিয়া
রাশিয়ার মস্কোর উপকণ্ঠের শহরে অবস্থিত ক্রাসনোগরস্কের ক্রোকাস সিটি হলে সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, তারা আগেই রাশিয়াকে এ ধরনের হামলা ব্যাপারে সতর্ক করেছিল। মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যও বলছে, এই হামলার পেছনে আইএসের মধ্য এশিয়া অঞ্চলের শাখা ইসলামিক স্টেট-খোরাসান বা আইএসকে জড়িত।
গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সংঘটিত ওই হামলায় এখন পর্যন্ত ৬০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১১৫ জন।
আইএস-কে মূলত প্রাচীন খোরাসান অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে। খোরাসান অঞ্চলটি আজকের ইরান, তুর্কমিনিস্তান ও আফগানিস্তানের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত। ২০১৪ সালের আফগানিস্তানে হামলার মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে আইএস-কে। শুরু থেকেই এই গোষ্ঠী নির্মমতার জন্য বেশ কুখ্যাতি অর্জন করেছে।
আফগানিস্তানকে কেন্দ্র করে কার্যক্রম চালানো এই গোষ্ঠী ২০১৮ সাল পর্যন্ত ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু তারপর থেকে দেশটিতে মার্কিন সেনাবাহিনী ও তালেবানদের আক্রমণের মুখে পড়ে গোষ্ঠীটি ক্রমেই শক্তিহীন হয়ে পড়তে থাকে। তবে আইএসই রাশিয়ায় হামলা চালিয়েছে কি না, সে বিষয়টি এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।
তবে আইএস-কে তাদের সংবাদ সংস্থা ‘আমাক’ নিউজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক ভিডিওতে দাবি করেছে, মস্কোর ক্রাসনোগরস্কে হামলার পেছনে তারা দায়ী। মার্কিন গোয়েন্দারাও বিষয়টিকে সমর্থন করছে। আমাক নিউজের ওই ভিডিওতে বলা হয়েছে, তাদের ‘যোদ্ধারা’ মস্কোর উপকণ্ঠে হামলা চালিয়েছে। ভিডিওতে তারা আরও দাবি করেছে, তাদের হামলায় কয়েক শ হতাহতেরে ঘটনা ঘটেছে এবং হামলাকারীরা নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরেছে।
রাশিয়ার হামলা চালানোর পেছনে আইএসের মোটিফ কী?
রাশিয়ার আইএসের হামলার পেছনে সম্ভাব্য কিছু কারণের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তার মধ্যে একটি হলো—বিগত কয়েক বছর ধরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধিতা করছে আইএস। এ বিষয়ে ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সওফান সেন্টারের কলিন ক্লার্ক বলেছেন, ‘আইএস-কে বিগত দুই বছর ধরেই রাশিয়ার পেছনে লেগে আছে এবং তাদের প্রোপাগান্ডায় পুতিনের বিরোধিতা করছে।’
ওয়াশিংটনভিত্তিক অপর একটি থিংকট্যাংক উইলসন সেন্টারের মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, আইএস-কে রাশিয়াকে এমন সব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে বিবেচনা করে, যা আসলে নিয়মিতভাবে মুসলিমদের নিপীড়ন করছে। এ ছাড়া এশিয়ার মধ্যাঞ্চলে অনেক আইএস সদস্যের অভিযোগ, রাশিয়ার কারণে তাদের জীবন কঠিন হয়ে গেছে।
এ ছাড়া ২০১৫ সালের দিকে ইসলামিক স্টেট যখন সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়ছিল, সেখানে হস্তক্ষেপ করে রাশিয়া। সেই সময় পুতিন বাশারের পক্ষ নিয়ে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে লড়াই মূলত দ্বিপক্ষীয় নয়, ত্রিপক্ষীয় ছিল। বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে ‘গণতন্ত্রপন্থীরা’ সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে ২০১১ সালে।
বাশারকে সে সময় দুই ফ্রন্টের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছিল বিধায় ২০১৩ সাল নাগাদ আইএস সিরিয়া ও ইরাকের একটি বড় অংশ দখল করে নেয়। একপর্যায়ে ইসলামিক স্টেট সিরিয়ার এক-তৃতীয়াংশ ও ইরাকের মোট আয়তনের ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ শুরু করে। কিন্তু ২০১৭ সাল নাগাদ তাদের দখলে থাকা ৯৫ শতাংশ ভূখণ্ডই হারিয়ে ফেলে।
এ ছাড়া, আইএস খোরাসান ছাড়াও আইএস-এর ককেশাস শাখাও আছে। এই শাখাটি রাশিয়ার উত্তর ককেশাস অঞ্চলের মুসলিম এলাকায় কার্যক্রম চালায়। বিশেষ করে, চেচনিয়া, দাগেস্তান, ইঙ্গুশেটিয়া ও কাবারদিনো-বালকারিয়া এলাকায় আইএস-ককেশাসের কার্যক্রম।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের দীর্ঘ ইতিহাস আছে চেচনিয়ার। ২০০৭ থেকে ২০১৭ সাল সময়ের মধ্যে কট্টর ইসলামপন্থীদের উত্থানের ফলে রাশিয়ার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া, রাশিয়া এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত বিভিন্ন দেশ থেকে ‘যোদ্ধা’ নিয়োগ দেওয়ার ইতিহাস আছে আইএসের।
সব মিলিয়ে আইএসের চিন্তা, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে আইএস-বিরোধী রুশ প্রভাব; চেচনিয়া, দাগেস্তান, ইঙ্গুশেটিয়া ও কাবারদিনো-বালকারিয়ায় মুসলিম নিপীড়নসহ—যেমনটা দাবি করে আইএস—নানা কারণেই আসলে রাশিয়ায় এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে আইএস। তবে, এ বিষয়ে রাশিয়ার ভাষ্য এখনো জানা যায়নি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স ও এবিসি অস্ট্রেলিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করেছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে তাঁরা সাক্ষাৎ করেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ইরানের দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে
১ ঘণ্টা আগেইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ আছে সেগুলোর সার্বভৌম মালিকানা ফিলিস্তিনি জনগণের। এই বিষয়টির স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটিতে পশ্চিমা বিশ্বের অনেকগুলো দেশ সমর্থন দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব পাস হয়
২ ঘণ্টা আগেচিকিৎসার জন্য ২০০৭ সালে ভারতের আসামে গিয়েছিল বাংলাদেশের সিলেটের এক পরিবার। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে পরিবারের এক মেয়ে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমে পড়ে। শেষমেশ তাঁকে বিয়ে করে সেখানেই থেকে যান তিনি। তবে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কখনোই প্রশস্ত ছিল না। ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার হিন্দুস
৩ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আত্মঘাতী ড্রোনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর মতে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার প্রেক্ষাপটে সামরিক মতবাদেও দ্রুত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ—এর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদ
৩ ঘণ্টা আগে