অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র ও ভিয়েতনামের মধ্যে অস্ত্র চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। সম্ভাব্য এই চুক্তি সম্পর্কে অবহিত এমন দুই ব্যক্তির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে স্নায়ুযুদ্ধ কালের অন্যতম এই দুই প্রতিপক্ষের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় অস্ত্র চুক্তি হবে। তবে এ চুক্তির ফলে চীন বিব্রত হতে পারে এবং আরও কোণঠাসা হতে পারে রাশিয়া। যেখানে দক্ষিণ চীন সাগরে সীমানা নিয়ে বিরোধ থাকলেও ভিয়েতনামের সঙ্গে চীনের পাশাপাশি রাশিয়ারও সম্পর্ক বেশ ভালো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, আগামী বছর সম্ভাব্য এ চুক্তি বাস্তবায়িত হতে পারে। মার্কিন এফ-১৬ ফাইটার জেট হস্তান্তরের মাধ্যমে ওয়াশিংটন ও হ্যানয়ের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটির সঙ্গে চীনের বৈরীভাব আরও বেড়ে যেতে পারে।
চুক্তিটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। মূল আলোচনা শেষে তা বাস্তবায়িত না-ও হতে পারে। তবে, গত এক মাসে এটিই হ্যানয়, নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে অবস্থিত ভিয়েতনাম ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মূল আলোচনার বিষয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, এ অস্ত্রগুলোর মূল্য পরিশোধের জন্য ওয়াশিংটন বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে, যেন বৈদেশিক মুদ্রা সংকটে ভোগা ভিয়েতনাম স্বল্পমূল্যের রুশ অস্ত্রের প্রতি নির্ভরতা কমাতে পারে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ভিয়েতনামের সঙ্গে আমাদের বেশ কার্যকর ও প্রতিশ্রুতিশীল নিরাপত্তা সম্পর্ক রয়েছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু ব্যবস্থায় তাদের আগ্রহ দেখতে পাই, বিশেষ করে সমুদ্রসীমা, পরিবহন উড়োজাহাজ ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম—এমন ক্ষেত্রে আরও ভালো পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করতে সহায়ক হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার বর্তমানে ভিয়েতনামের জন্য কার্যকর অর্থ পরিশোধের উপায় খুঁজছে, যেন তারা প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিতে পারে।’
চীনকে জব্দ করার পশ্চিমা প্রচেষ্টা নিয়ে ভিয়েতনামের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী দেশ চীন বেশ উদ্বিগ্ন। সমুদ্রসীমা নিয়ে ভিয়েতনাম ও চীনের মধ্যকার দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব, দক্ষিণ চীন সাগরে এই উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, ভিয়েতনাম তার সমুদ্রসীমায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করার উপায় খুঁজছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র-ভিয়েতনামের মধ্যকার অস্ত্র চুক্তি বেইজিং-হ্যানয় উত্তেজনা বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টোকিও ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা গবেষণার সহযোগী অধ্যাপক জেফ্রি ওরডানিয়েল বলেন, ‘ভিয়েতনাম অসম প্রতিরক্ষা সক্ষমতা গড়ে তুলছে। কিন্তু তা চীনকে উত্তেজিত না করেই সেটি তারা করতে চায়। এটি ভারসাম্য রক্ষার খুবই সূক্ষ্ম চেষ্টা।’
জেফ্রি প্যাসিফিক ফোরাম ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের সামুদ্রিক নিরাপত্তাবিষয়ক পরিচালক। তিনি আরও বলেন, ওয়াশিংটন এখন মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক খাতের তহবিল ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থানান্তর করার প্রয়োজন বোধ করছে। বেইজিংকে প্রতিরোধ করতে যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও তাইওয়ানের মতো মিত্র দেশগুলোর অস্ত্রাগার সমৃদ্ধ করার সক্ষমতা তৈরি করবে।
বাইডেন প্রশাসন বলছে, ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের পাশাপাশি চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় একটি ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য তৈরি করার চেষ্টা করছে তারা। সেই সঙ্গে দুই সুপার পাওয়ারের মধ্যকার সম্পর্কেও ভারসাম্য রক্ষার কৌশল অবলম্বন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ভিয়েতনামের মধ্যে অস্ত্র চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। সম্ভাব্য এই চুক্তি সম্পর্কে অবহিত এমন দুই ব্যক্তির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে স্নায়ুযুদ্ধ কালের অন্যতম এই দুই প্রতিপক্ষের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় অস্ত্র চুক্তি হবে। তবে এ চুক্তির ফলে চীন বিব্রত হতে পারে এবং আরও কোণঠাসা হতে পারে রাশিয়া। যেখানে দক্ষিণ চীন সাগরে সীমানা নিয়ে বিরোধ থাকলেও ভিয়েতনামের সঙ্গে চীনের পাশাপাশি রাশিয়ারও সম্পর্ক বেশ ভালো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, আগামী বছর সম্ভাব্য এ চুক্তি বাস্তবায়িত হতে পারে। মার্কিন এফ-১৬ ফাইটার জেট হস্তান্তরের মাধ্যমে ওয়াশিংটন ও হ্যানয়ের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটির সঙ্গে চীনের বৈরীভাব আরও বেড়ে যেতে পারে।
চুক্তিটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। মূল আলোচনা শেষে তা বাস্তবায়িত না-ও হতে পারে। তবে, গত এক মাসে এটিই হ্যানয়, নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে অবস্থিত ভিয়েতনাম ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মূল আলোচনার বিষয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, এ অস্ত্রগুলোর মূল্য পরিশোধের জন্য ওয়াশিংটন বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে, যেন বৈদেশিক মুদ্রা সংকটে ভোগা ভিয়েতনাম স্বল্পমূল্যের রুশ অস্ত্রের প্রতি নির্ভরতা কমাতে পারে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ভিয়েতনামের সঙ্গে আমাদের বেশ কার্যকর ও প্রতিশ্রুতিশীল নিরাপত্তা সম্পর্ক রয়েছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু ব্যবস্থায় তাদের আগ্রহ দেখতে পাই, বিশেষ করে সমুদ্রসীমা, পরিবহন উড়োজাহাজ ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম—এমন ক্ষেত্রে আরও ভালো পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করতে সহায়ক হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার বর্তমানে ভিয়েতনামের জন্য কার্যকর অর্থ পরিশোধের উপায় খুঁজছে, যেন তারা প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিতে পারে।’
চীনকে জব্দ করার পশ্চিমা প্রচেষ্টা নিয়ে ভিয়েতনামের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী দেশ চীন বেশ উদ্বিগ্ন। সমুদ্রসীমা নিয়ে ভিয়েতনাম ও চীনের মধ্যকার দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব, দক্ষিণ চীন সাগরে এই উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, ভিয়েতনাম তার সমুদ্রসীমায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করার উপায় খুঁজছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র-ভিয়েতনামের মধ্যকার অস্ত্র চুক্তি বেইজিং-হ্যানয় উত্তেজনা বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টোকিও ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা গবেষণার সহযোগী অধ্যাপক জেফ্রি ওরডানিয়েল বলেন, ‘ভিয়েতনাম অসম প্রতিরক্ষা সক্ষমতা গড়ে তুলছে। কিন্তু তা চীনকে উত্তেজিত না করেই সেটি তারা করতে চায়। এটি ভারসাম্য রক্ষার খুবই সূক্ষ্ম চেষ্টা।’
জেফ্রি প্যাসিফিক ফোরাম ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের সামুদ্রিক নিরাপত্তাবিষয়ক পরিচালক। তিনি আরও বলেন, ওয়াশিংটন এখন মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক খাতের তহবিল ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থানান্তর করার প্রয়োজন বোধ করছে। বেইজিংকে প্রতিরোধ করতে যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও তাইওয়ানের মতো মিত্র দেশগুলোর অস্ত্রাগার সমৃদ্ধ করার সক্ষমতা তৈরি করবে।
বাইডেন প্রশাসন বলছে, ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের পাশাপাশি চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় একটি ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য তৈরি করার চেষ্টা করছে তারা। সেই সঙ্গে দুই সুপার পাওয়ারের মধ্যকার সম্পর্কেও ভারসাম্য রক্ষার কৌশল অবলম্বন করেছে।
ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ আছে সেগুলোর সার্বভৌম মালিকানা ফিলিস্তিনি জনগণের। এই বিষয়টির স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটিতে পশ্চিমা বিশ্বের অনেকগুলো দেশ সমর্থন দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব পাস হয়
৪২ মিনিট আগেচিকিৎসার জন্য ২০০৭ সালে ভারতের আসামে গিয়েছিল বাংলাদেশের সিলেটের এক পরিবার। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে পরিবারের এক মেয়ে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমে পড়ে। শেষমেশ তাঁকে বিয়ে করে সেখানেই থেকে যান তিনি। তবে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কখনোই প্রশস্ত ছিল না। ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার হিন্দুস
২ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আত্মঘাতী ড্রোনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর মতে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার প্রেক্ষাপটে সামরিক মতবাদেও দ্রুত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ—এর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদ
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে কুখ্যাত ৯ / ১১ এর মতো আরেকটি ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল এক মার্কিন যুবক। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগ গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনের বাসিন্দা আনাস সাইদের (২৮) বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) সন্ত্রাসীদের
৩ ঘণ্টা আগে