অনলাইন ডেস্ক
ইয়েমেন সীমান্ত দিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশের সময় শত শত ইথিওপীয় অভিবাসী সৌদি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে। গত জুন পর্যন্ত এক বছরের বেশি সময়ে গুলি চালিয়ে ও মর্টার শেল ছুঁড়ে তাঁদের হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেছে নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
২০২২ সালের মার্চ থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ইয়েমেন হয়ে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টাকারী ৩৮ ইথিওপীয়র সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি এক প্রতিবেদনে এইচআরডব্লিউ এই অভিযোগ করেছে। এসব হত্যাকাণ্ডকে ‘নিয়মতান্ত্রিক’ ও ‘মানবতবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
এইচআরডব্লিউর গবেষক নাদিয়া হার্ডম্যান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সৌদি আরবের কর্মকর্তারা বিশ্ববাসীর দৃষ্টির আড়ালে প্রত্যন্ত সীমান্ত অঞ্চলে শত শত অভিবাসী ও শরণার্থীকে হত্যা করছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শত শত কোটি ডলার খরচ করে পেশাদার গলফ, ফুটবল ক্লাব ও বিশাল বিনোদন অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে ভাবমূর্তি উন্নয়নের চেষ্টা করে এসব জঘন্য অপরাধ সৌদি আরব ঢাকতে পারবে না।’
সাক্ষাৎকারের সৌদি আরবের বাহিনীর পক্ষ থেকে মর্টার হামলাসহ ২৮টি বিস্ফোরণের ঘটনার কথা তুলে ধরেছেন ইথিওপীয়রা। সাক্ষাৎকারদাতাদের অনেকেই বলেন, শরীরের কোন জায়গায় গুলিবিদ্ধ হতে আগ্রহী তাও জিজ্ঞেস করতেন সৌদি সীমান্তরক্ষীরা।
ওই প্রতিবেদনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলের বিভৎসতার বিবরণও তুলে ধরা হয়। নারী, পুরুষ ও শিশুদের ছিন্ন–ভিন্ন অঙ্গ পাহাড়ি এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। কেউ ছিল গুরুতর আহত, কেউ বা মৃত। প্রতিবেদনে স্যাটেইলাইট থেকে পাওয়া ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।
‘এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও এর কোনো বিশ্বস্ত সূত্র নেই’ বলে সৌদি কর্মকর্তারা অস্বীকার করেছেন। এর আগে চলতি বছর জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনকেও অস্বীকার করে সৌদি আরব।
গত বছর অক্টোবরের ওই প্রতিবেদনে সৌদি আরবের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সীমান্তে বোমা বিস্ফোরণ ও গুলি করে প্রায় ৪৩০ অভিবাসীকে হত্যা করার অভিযোগ ছিল।
২০২২ সালের প্রথম চার মাসে সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলে ও ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
চলতি বছরের শুরুতে সৌদি আরবের মিশন জেনেভায় অবস্থিত জাতিসংঘের সদর দপ্তরে চিঠি পাঠায়। সে চিঠিতে বলা হয়, ‘সৌদি আরব এসব সীমান্ত নৃশংসতার অভিযোগ স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘বিশ্ব সংস্থাটির দেওয়া খণ্ডিত তথ্যের কারণে তাঁরা অভিযোগগুলোর প্রমাণ পায়নি।’
ইয়েমেনে চলমান গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এ নৃশংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সৌদি সামরিক জোট ইয়েমেনে ইরানের মদদপুষ্ট হুতি বিদ্রোহীদের দমন করার চেষ্টা করছে। এই বিদ্রোহীরা রাজধানী সানা দখল করে রেখেছিল। শান্তি চুক্তির কারণে সংঘর্ষ কিছুটা স্তিমিত ছিল। তবে এ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় গত বছরের অক্টোবর।
এদিকে ইথিওপিয়ার তিগ্রে অঞ্চলে দুই বছর ধরে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে প্রায় দশ হাজার ইথিওপীয় বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। এসব অভিবাসীকে সীমান্ত দিয়ে সৌদি আরবে পাচার করে হুতি বিদ্রোহীরা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০ হাজার ডলার আয় করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম) ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে এখন প্রায় দেড় লাখ ইথিওপীয় বসবাস করছে। এর মধ্যে সাড়ে চার লাখই অবৈধ।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, প্রায় এক দশক ধরে সৌদি আরব ও ইয়েমেন ইথিওপীয় অভিবাসীদের ওপর নিপীড়ন চলছে।
ইয়েমেন সীমান্ত দিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশের সময় শত শত ইথিওপীয় অভিবাসী সৌদি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে। গত জুন পর্যন্ত এক বছরের বেশি সময়ে গুলি চালিয়ে ও মর্টার শেল ছুঁড়ে তাঁদের হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেছে নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
২০২২ সালের মার্চ থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ইয়েমেন হয়ে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টাকারী ৩৮ ইথিওপীয়র সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি এক প্রতিবেদনে এইচআরডব্লিউ এই অভিযোগ করেছে। এসব হত্যাকাণ্ডকে ‘নিয়মতান্ত্রিক’ ও ‘মানবতবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
এইচআরডব্লিউর গবেষক নাদিয়া হার্ডম্যান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সৌদি আরবের কর্মকর্তারা বিশ্ববাসীর দৃষ্টির আড়ালে প্রত্যন্ত সীমান্ত অঞ্চলে শত শত অভিবাসী ও শরণার্থীকে হত্যা করছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শত শত কোটি ডলার খরচ করে পেশাদার গলফ, ফুটবল ক্লাব ও বিশাল বিনোদন অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে ভাবমূর্তি উন্নয়নের চেষ্টা করে এসব জঘন্য অপরাধ সৌদি আরব ঢাকতে পারবে না।’
সাক্ষাৎকারের সৌদি আরবের বাহিনীর পক্ষ থেকে মর্টার হামলাসহ ২৮টি বিস্ফোরণের ঘটনার কথা তুলে ধরেছেন ইথিওপীয়রা। সাক্ষাৎকারদাতাদের অনেকেই বলেন, শরীরের কোন জায়গায় গুলিবিদ্ধ হতে আগ্রহী তাও জিজ্ঞেস করতেন সৌদি সীমান্তরক্ষীরা।
ওই প্রতিবেদনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলের বিভৎসতার বিবরণও তুলে ধরা হয়। নারী, পুরুষ ও শিশুদের ছিন্ন–ভিন্ন অঙ্গ পাহাড়ি এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। কেউ ছিল গুরুতর আহত, কেউ বা মৃত। প্রতিবেদনে স্যাটেইলাইট থেকে পাওয়া ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।
‘এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও এর কোনো বিশ্বস্ত সূত্র নেই’ বলে সৌদি কর্মকর্তারা অস্বীকার করেছেন। এর আগে চলতি বছর জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনকেও অস্বীকার করে সৌদি আরব।
গত বছর অক্টোবরের ওই প্রতিবেদনে সৌদি আরবের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সীমান্তে বোমা বিস্ফোরণ ও গুলি করে প্রায় ৪৩০ অভিবাসীকে হত্যা করার অভিযোগ ছিল।
২০২২ সালের প্রথম চার মাসে সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলে ও ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
চলতি বছরের শুরুতে সৌদি আরবের মিশন জেনেভায় অবস্থিত জাতিসংঘের সদর দপ্তরে চিঠি পাঠায়। সে চিঠিতে বলা হয়, ‘সৌদি আরব এসব সীমান্ত নৃশংসতার অভিযোগ স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘বিশ্ব সংস্থাটির দেওয়া খণ্ডিত তথ্যের কারণে তাঁরা অভিযোগগুলোর প্রমাণ পায়নি।’
ইয়েমেনে চলমান গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এ নৃশংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সৌদি সামরিক জোট ইয়েমেনে ইরানের মদদপুষ্ট হুতি বিদ্রোহীদের দমন করার চেষ্টা করছে। এই বিদ্রোহীরা রাজধানী সানা দখল করে রেখেছিল। শান্তি চুক্তির কারণে সংঘর্ষ কিছুটা স্তিমিত ছিল। তবে এ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় গত বছরের অক্টোবর।
এদিকে ইথিওপিয়ার তিগ্রে অঞ্চলে দুই বছর ধরে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে প্রায় দশ হাজার ইথিওপীয় বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। এসব অভিবাসীকে সীমান্ত দিয়ে সৌদি আরবে পাচার করে হুতি বিদ্রোহীরা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০ হাজার ডলার আয় করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম) ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে এখন প্রায় দেড় লাখ ইথিওপীয় বসবাস করছে। এর মধ্যে সাড়ে চার লাখই অবৈধ।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, প্রায় এক দশক ধরে সৌদি আরব ও ইয়েমেন ইথিওপীয় অভিবাসীদের ওপর নিপীড়ন চলছে।
স্পেনের একটি বৃদ্ধাশ্রমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ১০ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তপক্ষ। আজ শুক্রবার স্পেনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এল পেইসের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আল-জাজিরা।
৩৯ মিনিট আগেঅপ্রাপ্তবয়স্ক নারী হলেও সম্মতির ভিত্তিতে তাঁর সঙ্গে যৌনসঙ্গম ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে বলে রায় দিয়েছে মুম্বাই হাইকোর্ট। আইন অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে সম্মতিকে বৈধতার জন্য যুক্তি হিসেবে প্রদর্শন গ্রহণযোগ্য হবে না।
৫ ঘণ্টা আগেএখন থেকে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে। অতিরিক্ত ভিড় থেকে মসজিদের কার্যক্রম বিঘ্ন হওয়া ঠেকাতে এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্য সংরক্ষণের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেকোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এই পতনের প্রধান কারণ। জাতীয় দারিদ্র্য হ্রাস ত্বরান্বিতকরণ টিমের নীতি বিশেষজ্ঞ এগা কুরনিয়া ইয়াজিদ বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তঃসংযুক্ত কারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংকোচনের জন্য দায়ী। মধ্যবিত্তরা মূলত কর রাজস্বে বড় অবদান রাখে। কিন্তু তারা খুবই সীমিত
৬ ঘণ্টা আগে