অনলাইন ডেস্ক
ইরান সরকারের হাতে ১৩ বার গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। এর মধ্যে পাঁচবার তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। শাস্তি হিসাবে মোট ৩১ বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে তাঁকে ১৫৪টি দোররাও মারা হয়েছে। এমন নিপীড়নের শিকার যিনি হয়েছেন, তিনি নারগিস মোহাম্মদি। নোবেল ফাউন্ডেশনের কল্যাণে নামটি এর মধ্যেই সুপরিচিত। ইরানের কারাগারে বন্দী এই নারীকেই এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। নারী অধিকার রক্ষা, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই ও মানবাধিকার রক্ষায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে এই পুরস্কার দিয়েছে নোবেল পিস কমিটি।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মাহসা জিনা আমিনি নামে এক কুর্দি নারী ইরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে মারা যান। তাঁর মৃত্যু ধর্মীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক বিক্ষোভের সূচনা করে। ১৯৭৯ সালে আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনির নেতৃত্বে ইরানে ধর্মতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে চলছিল নারীর ওপর নিপীড়ন।
কিন্তু মাহসা আমিনির প্রতি নৃশংসতার ওই ঘটনা ইরানে বিস্ফোরণ ছড়িয়ে দেয়। বছরের পর বছর ধরে নিপীড়নের বিরুদ্ধে ‘নারী-জীবন-মুক্তি’ স্লোগানে রাজপথে অবস্থান হাজার হাজার মানুষ। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয় সরকার। এতে পাঁচ শরও বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হন। হাজারো মানুষ আহত হন। অনেকে পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটের আঘাতে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। অন্তত ২০ হাজার বিক্ষোভকারীকে বন্দী করে রাখা হয়।
‘নারী-জীবন-মুক্তি’ নামে যে স্লোগান বিক্ষোভকারীরা দিয়েছেন, নারগিস মোহাম্মদির নিষ্ঠা এবং কাজের মধ্যে তার জোরালো প্রকাশ ঘটেছে।
নারী—তিনি নারীদের জন্য নিয়মতান্ত্রিক বৈষম্য এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করেন।
জীবন—নারীদের সসম্মানে বেঁচে থাকার অধিকারের জন্য লড়াইয়ের সমর্থন করেন তিনি। তবে ইরানে এ লড়াইয়ের পরিণাম—নিপীড়ন, কারাবন্দী, নির্যাতন, এমনকি মৃত্যুও।
মুক্তি—বাকস্বাধীনতা ও স্বাধীনতা এবং নারীদের দৃষ্টির বাইরে থাকার ও শরীর ঢেকে রাখার আইনের বিরুদ্ধেও সোচ্চার তিনি। বিক্ষোভকারীদের স্বাধীনতার চাহিদা কেবল নারীদের ক্ষেত্রেই না বরং সমগ্র জাতির জন্যই প্রযোজ্য।
নব্বইয়ের দশকে পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীর পাশাপাশি সম-অধিকার এবং নারী অধিকারকর্মী হিসেবে নিজের পরিচয় তৈরি করেন নারগিস মোহাম্মদি। পড়ালেখা শেষে তিনি প্রকৌশলের পাশাপাশি সংস্কারধর্মী পত্রিকায় কলাম লিখতেন।
২০০৩ সালে নোবেলজয়ী আরেক ইরানি শিরিন এবাদির প্রতিষ্ঠিত সংগঠন তেহরানের হিউম্যান রাইটস সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন তিনি। ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার হন নারগিস। কারাবন্দী কর্মী ও তাঁদের পরিবারকে সহযোগিতার জন্য তাঁকে বেশ কয়েক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দুই বছর পর জামিনে মুক্তির পর নারগিস মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। দীর্ঘকাল ধরেই ইরান বার্ষিক সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে স্থান দখল করে আছে। শুধু ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকেই দেশটিতে ৮৬০ বন্দীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কারণে ২০১৫ সালে নারগিসকে আবার গ্রেপ্তার করা হয় এবং কয়েক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কারাগারে ফিরে তিনি রাজনৈতিক বন্দীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নির্যাতন ও যৌন সহিংসতার নিয়মতান্ত্রিক ব্যবহারের বিরোধিতা শুরু করেন। ইরানের কারাগারগুলোতে এ ধরনের চর্চা বছরের পর বছর ধরে চালু রয়েছে।
গত বছর তেহরানের কুখ্যাত এভিন কারাগারের রাজনৈতিক বন্দীদের আন্দোলন বেশ আলোচিত হয়। এ আন্দোলনেও নেতৃত্ব দেন নারগিস। বন্দী অবস্থা থেকেই নারগিস বিক্ষোভকারী এবং সহবন্দীদের সুসংগঠিত সংহতি কর্মসূচির প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন।
এ বিক্ষোভের জবাবে কারা কর্তৃপক্ষ আরও কঠোর শর্ত আরোপ করা শুরু করে। নারগিসের কোনো ধরনের ফোনকল বা সাক্ষাৎ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। কঠোর নজরদারি ভেদ করে তিনি মাহসা আমিনি হত্যার এক বছর পূর্তিতে নিউইয়র্ক টাইমসে এক কলাম লিখে পাঠান। সে কলামে তাঁর বার্তা ছিল, ‘আমাদের যত বেশি বন্দী করবে আমরা তত শক্তিশালী হয়ে উঠব।’ এ আন্দোলন যেন নিভে না যায় বন্দিদশা থেকেই তিনি তা নিশ্চিত করেছেন।
নোবেল কর্তৃপক্ষ সব সময় এমন ব্যক্তিদের গুরুত্ব এবং সম্মানিত করতে চেয়েছে, যাঁরা মানবাধিকার রক্ষা, সামাজিক ন্যায় ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার। নারগিস মোহাম্মদি এমন এক নারী যিনি অদম্য সাহসের সঙ্গে নারীদের অধিকার, স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই করে যাচ্ছেন। সমান অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমেই আলফ্রেড নোবেল যে বৈশ্বিক ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন তা অর্জন করা সম্ভব।
ইরান সরকারের হাতে ১৩ বার গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। এর মধ্যে পাঁচবার তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। শাস্তি হিসাবে মোট ৩১ বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে তাঁকে ১৫৪টি দোররাও মারা হয়েছে। এমন নিপীড়নের শিকার যিনি হয়েছেন, তিনি নারগিস মোহাম্মদি। নোবেল ফাউন্ডেশনের কল্যাণে নামটি এর মধ্যেই সুপরিচিত। ইরানের কারাগারে বন্দী এই নারীকেই এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। নারী অধিকার রক্ষা, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই ও মানবাধিকার রক্ষায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে এই পুরস্কার দিয়েছে নোবেল পিস কমিটি।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মাহসা জিনা আমিনি নামে এক কুর্দি নারী ইরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে মারা যান। তাঁর মৃত্যু ধর্মীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক বিক্ষোভের সূচনা করে। ১৯৭৯ সালে আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনির নেতৃত্বে ইরানে ধর্মতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে চলছিল নারীর ওপর নিপীড়ন।
কিন্তু মাহসা আমিনির প্রতি নৃশংসতার ওই ঘটনা ইরানে বিস্ফোরণ ছড়িয়ে দেয়। বছরের পর বছর ধরে নিপীড়নের বিরুদ্ধে ‘নারী-জীবন-মুক্তি’ স্লোগানে রাজপথে অবস্থান হাজার হাজার মানুষ। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয় সরকার। এতে পাঁচ শরও বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হন। হাজারো মানুষ আহত হন। অনেকে পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটের আঘাতে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। অন্তত ২০ হাজার বিক্ষোভকারীকে বন্দী করে রাখা হয়।
‘নারী-জীবন-মুক্তি’ নামে যে স্লোগান বিক্ষোভকারীরা দিয়েছেন, নারগিস মোহাম্মদির নিষ্ঠা এবং কাজের মধ্যে তার জোরালো প্রকাশ ঘটেছে।
নারী—তিনি নারীদের জন্য নিয়মতান্ত্রিক বৈষম্য এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করেন।
জীবন—নারীদের সসম্মানে বেঁচে থাকার অধিকারের জন্য লড়াইয়ের সমর্থন করেন তিনি। তবে ইরানে এ লড়াইয়ের পরিণাম—নিপীড়ন, কারাবন্দী, নির্যাতন, এমনকি মৃত্যুও।
মুক্তি—বাকস্বাধীনতা ও স্বাধীনতা এবং নারীদের দৃষ্টির বাইরে থাকার ও শরীর ঢেকে রাখার আইনের বিরুদ্ধেও সোচ্চার তিনি। বিক্ষোভকারীদের স্বাধীনতার চাহিদা কেবল নারীদের ক্ষেত্রেই না বরং সমগ্র জাতির জন্যই প্রযোজ্য।
নব্বইয়ের দশকে পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীর পাশাপাশি সম-অধিকার এবং নারী অধিকারকর্মী হিসেবে নিজের পরিচয় তৈরি করেন নারগিস মোহাম্মদি। পড়ালেখা শেষে তিনি প্রকৌশলের পাশাপাশি সংস্কারধর্মী পত্রিকায় কলাম লিখতেন।
২০০৩ সালে নোবেলজয়ী আরেক ইরানি শিরিন এবাদির প্রতিষ্ঠিত সংগঠন তেহরানের হিউম্যান রাইটস সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন তিনি। ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার হন নারগিস। কারাবন্দী কর্মী ও তাঁদের পরিবারকে সহযোগিতার জন্য তাঁকে বেশ কয়েক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দুই বছর পর জামিনে মুক্তির পর নারগিস মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। দীর্ঘকাল ধরেই ইরান বার্ষিক সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে স্থান দখল করে আছে। শুধু ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকেই দেশটিতে ৮৬০ বন্দীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কারণে ২০১৫ সালে নারগিসকে আবার গ্রেপ্তার করা হয় এবং কয়েক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কারাগারে ফিরে তিনি রাজনৈতিক বন্দীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নির্যাতন ও যৌন সহিংসতার নিয়মতান্ত্রিক ব্যবহারের বিরোধিতা শুরু করেন। ইরানের কারাগারগুলোতে এ ধরনের চর্চা বছরের পর বছর ধরে চালু রয়েছে।
গত বছর তেহরানের কুখ্যাত এভিন কারাগারের রাজনৈতিক বন্দীদের আন্দোলন বেশ আলোচিত হয়। এ আন্দোলনেও নেতৃত্ব দেন নারগিস। বন্দী অবস্থা থেকেই নারগিস বিক্ষোভকারী এবং সহবন্দীদের সুসংগঠিত সংহতি কর্মসূচির প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন।
এ বিক্ষোভের জবাবে কারা কর্তৃপক্ষ আরও কঠোর শর্ত আরোপ করা শুরু করে। নারগিসের কোনো ধরনের ফোনকল বা সাক্ষাৎ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। কঠোর নজরদারি ভেদ করে তিনি মাহসা আমিনি হত্যার এক বছর পূর্তিতে নিউইয়র্ক টাইমসে এক কলাম লিখে পাঠান। সে কলামে তাঁর বার্তা ছিল, ‘আমাদের যত বেশি বন্দী করবে আমরা তত শক্তিশালী হয়ে উঠব।’ এ আন্দোলন যেন নিভে না যায় বন্দিদশা থেকেই তিনি তা নিশ্চিত করেছেন।
নোবেল কর্তৃপক্ষ সব সময় এমন ব্যক্তিদের গুরুত্ব এবং সম্মানিত করতে চেয়েছে, যাঁরা মানবাধিকার রক্ষা, সামাজিক ন্যায় ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার। নারগিস মোহাম্মদি এমন এক নারী যিনি অদম্য সাহসের সঙ্গে নারীদের অধিকার, স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই করে যাচ্ছেন। সমান অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমেই আলফ্রেড নোবেল যে বৈশ্বিক ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন তা অর্জন করা সম্ভব।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করেছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে তাঁরা সাক্ষাৎ করেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ইরানের দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে
২১ মিনিট আগেইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ আছে সেগুলোর সার্বভৌম মালিকানা ফিলিস্তিনি জনগণের। এই বিষয়টির স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটিতে পশ্চিমা বিশ্বের অনেকগুলো দেশ সমর্থন দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব পাস হয়
১ ঘণ্টা আগেচিকিৎসার জন্য ২০০৭ সালে ভারতের আসামে গিয়েছিল বাংলাদেশের সিলেটের এক পরিবার। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে পরিবারের এক মেয়ে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমে পড়ে। শেষমেশ তাঁকে বিয়ে করে সেখানেই থেকে যান তিনি। তবে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কখনোই প্রশস্ত ছিল না। ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার হিন্দুস
২ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আত্মঘাতী ড্রোনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর মতে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার প্রেক্ষাপটে সামরিক মতবাদেও দ্রুত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ—এর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদ
৩ ঘণ্টা আগে