অনলাইন ডেস্ক
পৃথিবীতে কমে গেছে রেড ওয়াইনের (মদ) চাহিদা। বর্তমানে চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত মদ মজুত আছে বিভিন্ন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সংগ্রহশালায়। ফলে ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের চাষিরা পণ্যটির অন্যতম কাঁচামাল আঙুরের খেত নষ্ট করে দিচ্ছেন। অন্যদিকে জেনারেশন জেড (১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম) মদ ছেড়ে ঝুঁকছে গাঁজা সেবনের দিকে। সেটিও মদের বাজারে ধস নামার পেছনে বড় কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার আঙুর চাষি টনি টাউনসেনড গত বছর নিজের ১৪ হেক্টর আঙুরের শ্যামল ও প্রাণবন্ত খেত ভেঙে দিয়েছেন। কারণ আঙুর পুষ্ট হওয়ার পর সেগুলো তুলতে গেলে তাঁর প্রায় ২৩ হাজার মার্কিন ডলার লোকসান হতো। দাবদাহের আশঙ্কায় বাকি খেতগুলোও তিনি নষ্ট করে দেওয়া চিন্তা করছেন।
টাউনসেন্ড নষ্ট করে দেওয়া আঙুরের খেতে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আমি মদশিল্পে থাকতে পেরে আনন্দ পেয়েছি। কিন্তু এভাবে চালিয়ে গেলে লোকসান ছাড়া কিছু দেখছি না।
টাউনসেন্ড দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার রিভারল্যান্ডে বাস করেন। এই অঞ্চলেই দেশটির মোট আঙুরের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ উৎপাদিত হয়। তবে কোভিডের কারণে ২০২০ সাল থেকে জ্বালানি খরচ এবং চীনা শুল্ক বৃদ্ধির পর দেশটিতে আঙুরের সরবরাহ এবং দাম হতাশাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে। টাউনসেন্ডের আয়ের একমাত্র উৎস আঙুর চাষ নয়। তিনি মদ এবং খাদ্য পর্যটনের সঙ্গে আংশিকভাবে জড়িত ছিলেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার সব কৃষক তাঁর মতো এতটা ভাগ্যবান নয়।
রিভারল্যান্ড ওয়াইনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার লিন্ডাল রো বলেন, ‘অনেক লোক আছে যারা ওয়াইন শিল্পের ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন না।
এই সমস্যা শুধু অস্ট্রেলিয়ায় নয়, সারা বিশ্বে চলছে। বিশ্বব্যাপী মদের উৎপাদন ২০২৩ সালে ৬০ বছরের ইতিহাসে সর্বনিম্নে পৌঁছেছে, একই সঙ্গে চাহিদা আরও দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব ভাইন অ্যান্ড ওয়াইনের তথ্য বলছে, মদ্যপান হ্রাস পাওয়ায় গত বছর বিশ্বব্যাপী মদের উৎপাদন ১৯৯৫ সালের পর সবচেয়ে কম হয়েছে। পানীয়ের ধরন পরিবর্তন এবং দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থা মদ শিল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে আঘাত করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যর সেন্ট্রাল ভ্যালিতে অবস্থিত লোডি ওয়াইনগ্রেইপ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক স্টুয়ার্ট স্পেনসার বলেছেন, ‘ক্যালিফোর্নিয়া বর্তমানে আমরা গত ৩০ বছরের মধ্যে মদের সরবরাহের তুলনায় নিম্ন খারাপ চাহিদা লক্ষ্য করছি।’
এদিকে ইন্ডাস্ট্রি গ্রুপ ওয়াইন অস্ট্রেলিয়ার গত বছরের নভেম্বরের রিপোর্ট অনুসারে, অস্ট্রেলিয়া ২০২২–২৩ মৌসুমে গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম পরিমাণে মদ উৎপাদন করেছে। এরপরেও দেশটি মদের সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্য রক্ষা করতে পারছে না।
অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় গবেষণা সংস্থা আইডব্লিউএসআরের কনজিউমার ইনসাইটসের প্রধান অপারেটিং অফিসার রিচার্ড হালস্টেড বলেছেন, কোভিড-১৯, ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও সারের বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিমার পরিমাণ বাড়ছে। এভাবে খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় মদ শিল্পকে অস্থিতিশীল করেছে।
মদ্যপানের অভ্যাস পরিবর্তন রেড ওয়াইন শিল্পে সবচেয়ে বড় আঘাত হেনেছে। ফ্রান্সের বোর্দো ওয়াইন কাউন্সিলের মুখপাত্র ক্রিস্টোফ চ্যাটো বলেছেন, বেশি ভাগ লোক এখন রেড ওয়াইনের পরিবর্তে কম অ্যালকোহলযুক্ত স্পার্কলিং, রোজ বা সাদা ওয়াইন পান করছে। জেড জেনারেশনের মধ্যেও মদের ভোক্তা কমেছে।
ফলে রিভারল্যান্ডের লিন্ডাল রো আশা করেন না যে, অঞ্চলটির রেড ওয়াইন উৎপাদকেরা চলতি মৌসুমে লাভের মুখ দেখতে সক্ষম হবেন। ফলে অনেক কৃষক এরই মধ্য আঙুরের খেত তুলে ফেলে অন্য ফসল যেমন; বাদাম বা তরমুজ চাষাবাদ শুরু করছেন।
স্পেনে শিল্প গ্রুপ ফেডার্যাসিওন এস্পানোলা দেল ভিনোর মহাপরিচালক লুইস বেনিটেজ জোসের মতে, দেশটিতে রিওজা রেড ওয়াইনের অতিরিক্ত সরবরাহ ও সাদা ওয়াইনের বেশি চাহিদা রয়েছে। ফলে কৃষকেরা এক থেকে দুই বছরের মধ্যেই সমস্যায় পড়তে যাচ্ছেন। কারণ আপনি রেড ওয়াইনকে কোনোভাবেই সাদাতে রূপান্তর করতে পারবেন না।
এদিকে ফ্রান্সে কৃষকদের দেশব্যাপী আঙুর খেত তুলে ফেলতে এবং ওয়াইনকে ইথানলে রূপান্তরিত করতে সরকার ২০ কোটি ইউরো বরাদ্দ করেছে। প্রতিটি কৃষককে প্রতি হেক্টোলিটারে ৭৫ ইউরো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। দেশটির প্রধান রেড-ওয়াইন-উৎপাদনকারী অঞ্চল বোর্দোতে ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির আঙুর খেত তোলার জন্য অতিরিক্ত তহবিল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যেও ফ্রান্স ইতালিকে ছাড়িয়ে ২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওয়াইন উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হয়েছে।
জ্বালানি ভর্তুকি এবং ইইউয়ের সবুজায়ন নীতি বাতিলের প্রতিবাদে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সারা দেশে রাস্তা অবরোধ করে শুরু হওয়া ‘ফরাসি কৃষক বিক্ষোভে’ অংশ নিয়েছিল বোর্দোর চাষিরা। আঙুর খেত উপড়ে ফেলা এবং বিকল্প ফসল রোপণের জন্য আঙুর চাষিরা আরও ১৫ কোটি ইউরো বরাদ্দ পায়।
এমন ধাক্কা ওয়াইনের মতো শিল্পে সামাল দেওয়া বেশ কঠিন। অনেক ওয়াইন প্রস্তুতকারক প্রজন্ম ধরে এটি করে আসছেন, এটি তাঁদের ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত। ফলে হঠাৎ করে আঙুর চাষ বন্ধ করে দিলে তাঁরা বিপদে পড়বেন।
রিচার্ড হালস্টেড বলেন, ‘আপনি আজ যা রোপণ করবেন তা আপনার বাচ্চাদের এমনকি আপনার নাতি-নাতনিদের আয়ের উৎস হবে। ভালোভাবে একটি আঙুর খেত রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারলে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সেখান থেকে আয় করতে পারবেন। সুতরাং যখন বাজার পরিবর্তিত হয় তখন দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন।’
ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়ের শিল্প ব্যবস্থাপক স্পিরোস মালান্দ্রাকিস বলেছেন, মদের ব্র্যান্ডগুলো পরিবর্তিত চাহিদা পূরণে যথেষ্ট কাজ করেনি। উদাহরণস্বরূপ, মদের প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড তৈরিতে গুরুত্ব দিলেও জনগণের অর্থসংকটের দিকে নজর দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ শিল্পটি মদপানকারীদের নতুন প্রজন্ম তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
মালন্দ্রাকিস আরও বলেন, সস্তা বা আর্থিক সামর্থ্যের অনুকূলে ওয়াইন ব্র্যান্ড না থাকলে ওয়াইন ব্যবসা লাটে ওঠাই স্বাভাবিক। তখন মানুষ শুধু ককটেল, বিয়ার বা সস্তা স্পিরিট ব্র্যান্ড খাওয়া শুরু করবে। এ ছাড়া জেনারেশন জেড গাঁজার দিকে ঝুঁকে পড়াতেও ওয়াইনের চাহিদা কমেছে বলে মনে করেন তিনি।
এতে অনেক কৃষকের সামনে মদ শিল্প ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। ২০২২ সালে রিভারল্যান্ড ওয়াইন পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, অঞ্চলটির প্রায় এক-চতুর্থাংশ কৃষক আগামী তিন বছরের মধ্যে আঙুর চাষ ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
পৃথিবীতে কমে গেছে রেড ওয়াইনের (মদ) চাহিদা। বর্তমানে চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত মদ মজুত আছে বিভিন্ন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সংগ্রহশালায়। ফলে ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের চাষিরা পণ্যটির অন্যতম কাঁচামাল আঙুরের খেত নষ্ট করে দিচ্ছেন। অন্যদিকে জেনারেশন জেড (১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম) মদ ছেড়ে ঝুঁকছে গাঁজা সেবনের দিকে। সেটিও মদের বাজারে ধস নামার পেছনে বড় কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার আঙুর চাষি টনি টাউনসেনড গত বছর নিজের ১৪ হেক্টর আঙুরের শ্যামল ও প্রাণবন্ত খেত ভেঙে দিয়েছেন। কারণ আঙুর পুষ্ট হওয়ার পর সেগুলো তুলতে গেলে তাঁর প্রায় ২৩ হাজার মার্কিন ডলার লোকসান হতো। দাবদাহের আশঙ্কায় বাকি খেতগুলোও তিনি নষ্ট করে দেওয়া চিন্তা করছেন।
টাউনসেন্ড নষ্ট করে দেওয়া আঙুরের খেতে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আমি মদশিল্পে থাকতে পেরে আনন্দ পেয়েছি। কিন্তু এভাবে চালিয়ে গেলে লোকসান ছাড়া কিছু দেখছি না।
টাউনসেন্ড দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার রিভারল্যান্ডে বাস করেন। এই অঞ্চলেই দেশটির মোট আঙুরের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ উৎপাদিত হয়। তবে কোভিডের কারণে ২০২০ সাল থেকে জ্বালানি খরচ এবং চীনা শুল্ক বৃদ্ধির পর দেশটিতে আঙুরের সরবরাহ এবং দাম হতাশাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে। টাউনসেন্ডের আয়ের একমাত্র উৎস আঙুর চাষ নয়। তিনি মদ এবং খাদ্য পর্যটনের সঙ্গে আংশিকভাবে জড়িত ছিলেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার সব কৃষক তাঁর মতো এতটা ভাগ্যবান নয়।
রিভারল্যান্ড ওয়াইনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার লিন্ডাল রো বলেন, ‘অনেক লোক আছে যারা ওয়াইন শিল্পের ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন না।
এই সমস্যা শুধু অস্ট্রেলিয়ায় নয়, সারা বিশ্বে চলছে। বিশ্বব্যাপী মদের উৎপাদন ২০২৩ সালে ৬০ বছরের ইতিহাসে সর্বনিম্নে পৌঁছেছে, একই সঙ্গে চাহিদা আরও দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব ভাইন অ্যান্ড ওয়াইনের তথ্য বলছে, মদ্যপান হ্রাস পাওয়ায় গত বছর বিশ্বব্যাপী মদের উৎপাদন ১৯৯৫ সালের পর সবচেয়ে কম হয়েছে। পানীয়ের ধরন পরিবর্তন এবং দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থা মদ শিল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে আঘাত করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যর সেন্ট্রাল ভ্যালিতে অবস্থিত লোডি ওয়াইনগ্রেইপ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক স্টুয়ার্ট স্পেনসার বলেছেন, ‘ক্যালিফোর্নিয়া বর্তমানে আমরা গত ৩০ বছরের মধ্যে মদের সরবরাহের তুলনায় নিম্ন খারাপ চাহিদা লক্ষ্য করছি।’
এদিকে ইন্ডাস্ট্রি গ্রুপ ওয়াইন অস্ট্রেলিয়ার গত বছরের নভেম্বরের রিপোর্ট অনুসারে, অস্ট্রেলিয়া ২০২২–২৩ মৌসুমে গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম পরিমাণে মদ উৎপাদন করেছে। এরপরেও দেশটি মদের সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্য রক্ষা করতে পারছে না।
অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় গবেষণা সংস্থা আইডব্লিউএসআরের কনজিউমার ইনসাইটসের প্রধান অপারেটিং অফিসার রিচার্ড হালস্টেড বলেছেন, কোভিড-১৯, ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও সারের বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিমার পরিমাণ বাড়ছে। এভাবে খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় মদ শিল্পকে অস্থিতিশীল করেছে।
মদ্যপানের অভ্যাস পরিবর্তন রেড ওয়াইন শিল্পে সবচেয়ে বড় আঘাত হেনেছে। ফ্রান্সের বোর্দো ওয়াইন কাউন্সিলের মুখপাত্র ক্রিস্টোফ চ্যাটো বলেছেন, বেশি ভাগ লোক এখন রেড ওয়াইনের পরিবর্তে কম অ্যালকোহলযুক্ত স্পার্কলিং, রোজ বা সাদা ওয়াইন পান করছে। জেড জেনারেশনের মধ্যেও মদের ভোক্তা কমেছে।
ফলে রিভারল্যান্ডের লিন্ডাল রো আশা করেন না যে, অঞ্চলটির রেড ওয়াইন উৎপাদকেরা চলতি মৌসুমে লাভের মুখ দেখতে সক্ষম হবেন। ফলে অনেক কৃষক এরই মধ্য আঙুরের খেত তুলে ফেলে অন্য ফসল যেমন; বাদাম বা তরমুজ চাষাবাদ শুরু করছেন।
স্পেনে শিল্প গ্রুপ ফেডার্যাসিওন এস্পানোলা দেল ভিনোর মহাপরিচালক লুইস বেনিটেজ জোসের মতে, দেশটিতে রিওজা রেড ওয়াইনের অতিরিক্ত সরবরাহ ও সাদা ওয়াইনের বেশি চাহিদা রয়েছে। ফলে কৃষকেরা এক থেকে দুই বছরের মধ্যেই সমস্যায় পড়তে যাচ্ছেন। কারণ আপনি রেড ওয়াইনকে কোনোভাবেই সাদাতে রূপান্তর করতে পারবেন না।
এদিকে ফ্রান্সে কৃষকদের দেশব্যাপী আঙুর খেত তুলে ফেলতে এবং ওয়াইনকে ইথানলে রূপান্তরিত করতে সরকার ২০ কোটি ইউরো বরাদ্দ করেছে। প্রতিটি কৃষককে প্রতি হেক্টোলিটারে ৭৫ ইউরো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। দেশটির প্রধান রেড-ওয়াইন-উৎপাদনকারী অঞ্চল বোর্দোতে ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির আঙুর খেত তোলার জন্য অতিরিক্ত তহবিল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যেও ফ্রান্স ইতালিকে ছাড়িয়ে ২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওয়াইন উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হয়েছে।
জ্বালানি ভর্তুকি এবং ইইউয়ের সবুজায়ন নীতি বাতিলের প্রতিবাদে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সারা দেশে রাস্তা অবরোধ করে শুরু হওয়া ‘ফরাসি কৃষক বিক্ষোভে’ অংশ নিয়েছিল বোর্দোর চাষিরা। আঙুর খেত উপড়ে ফেলা এবং বিকল্প ফসল রোপণের জন্য আঙুর চাষিরা আরও ১৫ কোটি ইউরো বরাদ্দ পায়।
এমন ধাক্কা ওয়াইনের মতো শিল্পে সামাল দেওয়া বেশ কঠিন। অনেক ওয়াইন প্রস্তুতকারক প্রজন্ম ধরে এটি করে আসছেন, এটি তাঁদের ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত। ফলে হঠাৎ করে আঙুর চাষ বন্ধ করে দিলে তাঁরা বিপদে পড়বেন।
রিচার্ড হালস্টেড বলেন, ‘আপনি আজ যা রোপণ করবেন তা আপনার বাচ্চাদের এমনকি আপনার নাতি-নাতনিদের আয়ের উৎস হবে। ভালোভাবে একটি আঙুর খেত রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারলে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সেখান থেকে আয় করতে পারবেন। সুতরাং যখন বাজার পরিবর্তিত হয় তখন দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন।’
ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়ের শিল্প ব্যবস্থাপক স্পিরোস মালান্দ্রাকিস বলেছেন, মদের ব্র্যান্ডগুলো পরিবর্তিত চাহিদা পূরণে যথেষ্ট কাজ করেনি। উদাহরণস্বরূপ, মদের প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড তৈরিতে গুরুত্ব দিলেও জনগণের অর্থসংকটের দিকে নজর দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ শিল্পটি মদপানকারীদের নতুন প্রজন্ম তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
মালন্দ্রাকিস আরও বলেন, সস্তা বা আর্থিক সামর্থ্যের অনুকূলে ওয়াইন ব্র্যান্ড না থাকলে ওয়াইন ব্যবসা লাটে ওঠাই স্বাভাবিক। তখন মানুষ শুধু ককটেল, বিয়ার বা সস্তা স্পিরিট ব্র্যান্ড খাওয়া শুরু করবে। এ ছাড়া জেনারেশন জেড গাঁজার দিকে ঝুঁকে পড়াতেও ওয়াইনের চাহিদা কমেছে বলে মনে করেন তিনি।
এতে অনেক কৃষকের সামনে মদ শিল্প ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। ২০২২ সালে রিভারল্যান্ড ওয়াইন পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, অঞ্চলটির প্রায় এক-চতুর্থাংশ কৃষক আগামী তিন বছরের মধ্যে আঙুর চাষ ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আত্মঘাতী ড্রোনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর মতে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার প্রেক্ষাপটে সামরিক মতবাদেও দ্রুত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ—এর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদ
১৫ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রে কুখ্যাত ৯ / ১১ এর মতো আরেকটি ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল এক মার্কিন যুবক। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগ গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনের বাসিন্দা আনাস সাইদের (২৮) বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) সন্ত্রাসীদের
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়রকে স্বাস্থ্য ও মানবসেবা মন্ত্রণালয়ের (এইচএইচএস) প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেবেন। তিনি বলেছেন, সাবেক এই ডেমোক্র্যাট নেতা (কেনেডি জুনিয়র) এই পদে থেকে ‘ক্ষতিকর রাসায়নিক ও দূষণ থেকে সবার সুরক্ষা নিশ্চিত ক
২ ঘণ্টা আগেস্বাধীনতা যুদ্ধের পর এই প্রথম কোনো পাকিস্তানি মালবাহী জাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়েছে। গতকাল বুধবার পাকিস্তানের করাচি থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ে। নানা কারণেই পাকিস্তানি মালবাহী জাহাজটির বাংলাদেশের বন্দরে ভেড়ার বিষয়টিকে ঐতিহাসিক বলা হচ্ছে। আর এই ঐতিহাসিক বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্
৩ ঘণ্টা আগে