অনলাইন ডেস্ক
সেন্ট্রাল আফ্রিকার দেশ নিরক্ষীয় গিনির আর্থিক তদন্ত সংস্থার পরিচালক বালতাসার অ্যাবাং এনগোঙ্গাকে অনেকেই ‘বেলো’ নামেও ডাকেন। ইতালি এবং স্প্যানিশ ভাষায় মূলত সুপুরুষ ব্যক্তিদের নির্দেশ করতে এই ডাকনামটি ব্যবহার করা হয়।
রোববার বিবিসি জানিয়েছে, আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্তা এনগোঙ্গার কয়েক শ যৌনদৃশ্য অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ভিডিওতে তাঁর সঙ্গে সঙ্গমরত অবস্থায় দেশটির অনেক মন্ত্রী-এমপি, এমনকি প্রেসিডেন্টের অনেক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের স্ত্রীদেরও দেখা গেছে। ভিডিওগুলোর বেশির ভাগই দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়, এনগোঙ্গার অফিস, সরকারি বাংলো এবং বিভিন্ন হোটেল কক্ষে ধারণ করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, চাঞ্চল্যকর এই ফাঁসের ঘটনাটি নিরক্ষীয় গিনি রাজনীতিকে ওলট-পালট করে দিতে পারে। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত দেশটির রাজনৈতিক অভিজাতদের মধ্যে ক্ষমতার জন্য একটি বৃহত্তর লড়াইয়ের অংশ হতে পারে।
পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার সম্ভাবনা ছিল এনগোঙ্গারও। কারণ তিনি দেশটির দীর্ঘদিনের শাসক তিওডোরো ওবিয়াং এনগুয়েমা এমবাসোগোর ভাতিজা। ৮২ বছর বয়সী এমবাসোগো ১৯৭৯ সাল থেকে প্রায় ৪৫ বছর ধরে গিনির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গিনির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো প্লাবিত হয়ে গেছে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের স্ত্রী, আত্মীয়-স্বজন সহ অসংখ্য নারীর সঙ্গে এনগোঙ্গার যৌনতার ভিডিওতে। এসব ভিডিও হতবাক করে দিয়েছে দেশটির সাধারণ মানুষকে। কিছু কিছু ভিডিও দেখে মনে হয়েছে, যৌনতায় অংশ নেওয়া নারী ভিডিও ধারণের বিষয়ে সচেতন ছিলেন।
ঘটনার জের ধরে নিরক্ষীয় গিনির আলোচনার কেন্দ্রে এখন এনগোঙ্গা। ইতিমধ্যে তাঁকে পাবলিক ফান্ড আত্মসাৎ এবং গোপনে বিদেশে অর্থপাচারের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বরখাস্ত করা হয়েছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের দায়িত্ব থেকেও। তাঁকে কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ফাঁস হওয়া ভিডিওতে প্রেসিডেন্টের এক আত্মীয়াকেও তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা গেছে। এ ছাড়া পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তার স্ত্রী এবং ভ্রাতৃবধূর সঙ্গেও এনগোঙ্গাকে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে দেখা গেছে।
অনেকেই ধারণা করছেন, একটি রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবেই এনগোঙ্গার সেক্স টেপগুলো ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে। কারণ এগুলো প্রেসিডেন্ট এমবাসোগোর উত্তরসূরি হিসাবে তাঁর সম্ভাবনাকে হ্রাস করে দেবে। এমবাসোগোর শাসন নিয়েও ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
প্রেসিডেন্ট এমবাসোগোর ছেলে তেওডোরো ওবিয়াং ম্যাঙ্গু দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, সেক্স টেপ ফাঁসের ঘটনায় তাঁরও হাত থাকতে পারে। কারণ তিনি সম্ভবত প্রতিদ্বন্দ্বীদের নির্মূল করতে চাইছেন। যদিও ভিডিওগুলো অনলাইন থেকে সরাতে বিভিন্ন মাধ্যমকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এনগোঙ্গার সেক্স টেপগুলো প্রাথমিকভাবে টেলিগ্রামে প্রচারিত হতে শুরু করেছিল। পরে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও এসব ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে ভিডিওগুলোর ছড়িয়ে পড়া থামাতে টেলিকম কোম্পানিগুলোকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির প্রশাসন।
সেক্স টেপ ফাঁস হওয়ার নেপথ্যে এনগোঙ্গার কোনো আর্থিক জালিয়াতি তদন্তের ঘটনা জড়িত আছে কি-না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে, মন্ত্রী বা মন্ত্রী-পত্নীরা এই ধরনের তদন্তের মুখে ছিলেন কি-না বোঝার চেষ্টা চলেছে। আবার এমনও হতে পারে, এসব তদন্তের জালে ফেলে নারীদের ব্ল্যাকমেল শয্যাসঙ্গী করেছেন এনগোঙ্গা।
টেপগুলো ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিরক্ষীয় গিনির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত রয়ে গেছে। ক্ষমতাকেন্দ্রিক অন্তর্দ্বন্দ্ব, দুর্নীতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো দেশটির নেতৃত্বের ওপর দীর্ঘ ছায়া ফেলেছে। গুটি কয়েক অভিজাত দীর্ঘকাল ধরে নিরক্ষীয় গিনির সম্পদ ভোগ করছে। যদিও দেশটির অধিকাংশ মানুষই চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে।
সেন্ট্রাল আফ্রিকার দেশ নিরক্ষীয় গিনির আর্থিক তদন্ত সংস্থার পরিচালক বালতাসার অ্যাবাং এনগোঙ্গাকে অনেকেই ‘বেলো’ নামেও ডাকেন। ইতালি এবং স্প্যানিশ ভাষায় মূলত সুপুরুষ ব্যক্তিদের নির্দেশ করতে এই ডাকনামটি ব্যবহার করা হয়।
রোববার বিবিসি জানিয়েছে, আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্তা এনগোঙ্গার কয়েক শ যৌনদৃশ্য অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ভিডিওতে তাঁর সঙ্গে সঙ্গমরত অবস্থায় দেশটির অনেক মন্ত্রী-এমপি, এমনকি প্রেসিডেন্টের অনেক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের স্ত্রীদেরও দেখা গেছে। ভিডিওগুলোর বেশির ভাগই দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়, এনগোঙ্গার অফিস, সরকারি বাংলো এবং বিভিন্ন হোটেল কক্ষে ধারণ করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, চাঞ্চল্যকর এই ফাঁসের ঘটনাটি নিরক্ষীয় গিনি রাজনীতিকে ওলট-পালট করে দিতে পারে। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত দেশটির রাজনৈতিক অভিজাতদের মধ্যে ক্ষমতার জন্য একটি বৃহত্তর লড়াইয়ের অংশ হতে পারে।
পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার সম্ভাবনা ছিল এনগোঙ্গারও। কারণ তিনি দেশটির দীর্ঘদিনের শাসক তিওডোরো ওবিয়াং এনগুয়েমা এমবাসোগোর ভাতিজা। ৮২ বছর বয়সী এমবাসোগো ১৯৭৯ সাল থেকে প্রায় ৪৫ বছর ধরে গিনির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গিনির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো প্লাবিত হয়ে গেছে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের স্ত্রী, আত্মীয়-স্বজন সহ অসংখ্য নারীর সঙ্গে এনগোঙ্গার যৌনতার ভিডিওতে। এসব ভিডিও হতবাক করে দিয়েছে দেশটির সাধারণ মানুষকে। কিছু কিছু ভিডিও দেখে মনে হয়েছে, যৌনতায় অংশ নেওয়া নারী ভিডিও ধারণের বিষয়ে সচেতন ছিলেন।
ঘটনার জের ধরে নিরক্ষীয় গিনির আলোচনার কেন্দ্রে এখন এনগোঙ্গা। ইতিমধ্যে তাঁকে পাবলিক ফান্ড আত্মসাৎ এবং গোপনে বিদেশে অর্থপাচারের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বরখাস্ত করা হয়েছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের দায়িত্ব থেকেও। তাঁকে কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ফাঁস হওয়া ভিডিওতে প্রেসিডেন্টের এক আত্মীয়াকেও তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা গেছে। এ ছাড়া পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তার স্ত্রী এবং ভ্রাতৃবধূর সঙ্গেও এনগোঙ্গাকে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে দেখা গেছে।
অনেকেই ধারণা করছেন, একটি রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবেই এনগোঙ্গার সেক্স টেপগুলো ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে। কারণ এগুলো প্রেসিডেন্ট এমবাসোগোর উত্তরসূরি হিসাবে তাঁর সম্ভাবনাকে হ্রাস করে দেবে। এমবাসোগোর শাসন নিয়েও ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
প্রেসিডেন্ট এমবাসোগোর ছেলে তেওডোরো ওবিয়াং ম্যাঙ্গু দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, সেক্স টেপ ফাঁসের ঘটনায় তাঁরও হাত থাকতে পারে। কারণ তিনি সম্ভবত প্রতিদ্বন্দ্বীদের নির্মূল করতে চাইছেন। যদিও ভিডিওগুলো অনলাইন থেকে সরাতে বিভিন্ন মাধ্যমকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এনগোঙ্গার সেক্স টেপগুলো প্রাথমিকভাবে টেলিগ্রামে প্রচারিত হতে শুরু করেছিল। পরে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও এসব ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে ভিডিওগুলোর ছড়িয়ে পড়া থামাতে টেলিকম কোম্পানিগুলোকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির প্রশাসন।
সেক্স টেপ ফাঁস হওয়ার নেপথ্যে এনগোঙ্গার কোনো আর্থিক জালিয়াতি তদন্তের ঘটনা জড়িত আছে কি-না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে, মন্ত্রী বা মন্ত্রী-পত্নীরা এই ধরনের তদন্তের মুখে ছিলেন কি-না বোঝার চেষ্টা চলেছে। আবার এমনও হতে পারে, এসব তদন্তের জালে ফেলে নারীদের ব্ল্যাকমেল শয্যাসঙ্গী করেছেন এনগোঙ্গা।
টেপগুলো ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিরক্ষীয় গিনির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত রয়ে গেছে। ক্ষমতাকেন্দ্রিক অন্তর্দ্বন্দ্ব, দুর্নীতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো দেশটির নেতৃত্বের ওপর দীর্ঘ ছায়া ফেলেছে। গুটি কয়েক অভিজাত দীর্ঘকাল ধরে নিরক্ষীয় গিনির সম্পদ ভোগ করছে। যদিও দেশটির অধিকাংশ মানুষই চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে।
তুলসী গ্যাবার্ডকে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। তুলসী গ্যাবার্ড কে? নিয়োগ পেলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হওয়া প্রথম হিন্দু নারী। সাবেক এই মার্কিন সেনা একসময় রাজনীতি করেছ
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক দিন পর থেকেই আভাস পাওয়া যাচ্ছিল, এবার মার্কিন আইনসভা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণও যাচ্ছে রিপাবলিকানদের হাতে। শেষমেশ তা-ই হলো। গত বুধবার মার্কিন গণমাধ্যমগুলো নিশ্চিত করেছে, এই হাউসের নিয়ন্ত্রণও পেল নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের
৩ ঘণ্টা আগেহিজাব আইন অমান্যকারীদের মানসিক রোগী হিসেবে বিবেচনার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। এমন নারীদের জন্য ‘মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্র’ চালুর ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। ইরানের নারী ও পরিবার বিভাগের নীতি ও অনৈতিকতা প্রতিরোধ দপ্তরের প্রধান মেহরি তালেবি দারেস্তানি গত মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেন।
৫ ঘণ্টা আগেজনগণের ভোটাধিকার হরণ, অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার ও সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী পাসের প্রতিবাদে ২৪ নভেম্বর (বুধবার) দেশব্যাপী ‘চূড়ান্ত’ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন কারান্তরীণ পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) তাঁর মুক্তি ও নির্বাচনে কথিত কারচুপির বিরুদ্ধে বিক্ষ
৭ ঘণ্টা আগে