ডা. মো. আরমান বিন আজিজ
কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গু জ্বরের নতুন একটি সমস্যা দেখা যাচ্ছে, তা হলো—লিভার আক্রান্ত হওয়া। এতে রোগী দুর্বল বোধ করে, খেতে পারে না, বমি হয়, লিভারে ব্যথা করে। এটি সাধারণত জ্বর কমে যাওয়ার পরপর দেখা দেয় এবং পাঁচ থেকে সাত দিন থাকতে পারে। এই রোগে কয়েক বছরে বেশ কিছু মানুষ মারা গেছে।
ডেঙ্গু ভাইরাস হলো ফ্ল্যাভিভাইরিডি পরিবার ও ফ্ল্যাভিভাইরাসের অন্তর্ভুক্ত মশাবাহিত এক সূত্রক আরএনএ ভাইরাস। এটি ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী। এই ভাইরাসের পাঁচটি সেরোটাইপ পাওয়া গেছে, যাদের প্রতিটিই পূর্ণরূপে রোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম। এডিস ইজিপ্টি মশা এই ভাইরাসের বাহক। একই মশা ইয়েলো ফিভার ভাইরাস, জিকা ভাইরাস, চিকুনগুনিয়া ভাইরাসেরও বাহক।
ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। তারপর আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটি ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
ডেঙ্গু প্রধানত দুই ধরনের হয়:
এক. ক্ল্যাসিক্যাল ডেঙ্গু ফিভার।
দুই. হেমোরেজিক ফিভার।
ডেঙ্গু জ্বর কখন ও কাদের বেশি হয়
মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত, বিশেষ করে গরম ও বর্ষার সময় ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে। তবে অপরিচ্ছন্নতা ও অব্যবস্থাপনার দরুন বর্তমানে কমবেশি সারা বছরই এর প্রকোপ দেখা যায়।
ডেঙ্গুর ভাইরাস চার ধরনের হয়। তাই ডেঙ্গু জ্বরও চারবার হতে পারে। তবে যারা আগেও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে পরে এ রোগ হওয়া মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়।
লক্ষণ
ক্ল্যাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর
এ অবস্থা সবচেয়ে জটিল। এই জ্বরে ক্ল্যাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গের পাশাপাশি আরও বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়।
ডেঙ্গু শক সিনড্রোম
এটি ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহ রূপ। ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারের সঙ্গে সার্কুলেটরি ফেইলিউর হয়ে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম হয়।
লক্ষণ
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন
ডেঙ্গু জ্বরের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। এই জ্বর সাধারণত নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। তাই উপসর্গ অনুযায়ী সাধারণ চিকিৎসা যথেষ্ট। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
যেমন:
যেসব পরীক্ষা করা দরকার
চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বেশির ভাগ
রোগী সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নিজে নিজেই ভালো হয়ে
যায়। তবে রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে, যাতে ডেঙ্গুজনিত কোনো মারাত্মক জটিলতা না হয়।
সাধারণত লক্ষণ বুঝে এর চিকিৎসা দেওয়া হয়।
প্রতিরোধই সর্বোত্তম ব্যবস্থা
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হলো এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে তার ব্যবস্থা করা। ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী জায়গা পরিষ্কার রাখতে হবে এবং একই সঙ্গে মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
এডিস মশা এ দেশে আগেও ছিল, এখনো আছে; প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির পরিবেশও আছে। তাই সচেতনতা ও প্রতিরোধের মাধ্যমেই এর হাত থেকে বাঁচা সম্ভব।
লেখক: চক্ষুরোগ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সাবেক ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও প্রশিক্ষক, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গু জ্বরের নতুন একটি সমস্যা দেখা যাচ্ছে, তা হলো—লিভার আক্রান্ত হওয়া। এতে রোগী দুর্বল বোধ করে, খেতে পারে না, বমি হয়, লিভারে ব্যথা করে। এটি সাধারণত জ্বর কমে যাওয়ার পরপর দেখা দেয় এবং পাঁচ থেকে সাত দিন থাকতে পারে। এই রোগে কয়েক বছরে বেশ কিছু মানুষ মারা গেছে।
ডেঙ্গু ভাইরাস হলো ফ্ল্যাভিভাইরিডি পরিবার ও ফ্ল্যাভিভাইরাসের অন্তর্ভুক্ত মশাবাহিত এক সূত্রক আরএনএ ভাইরাস। এটি ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী। এই ভাইরাসের পাঁচটি সেরোটাইপ পাওয়া গেছে, যাদের প্রতিটিই পূর্ণরূপে রোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম। এডিস ইজিপ্টি মশা এই ভাইরাসের বাহক। একই মশা ইয়েলো ফিভার ভাইরাস, জিকা ভাইরাস, চিকুনগুনিয়া ভাইরাসেরও বাহক।
ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। তারপর আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটি ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
ডেঙ্গু প্রধানত দুই ধরনের হয়:
এক. ক্ল্যাসিক্যাল ডেঙ্গু ফিভার।
দুই. হেমোরেজিক ফিভার।
ডেঙ্গু জ্বর কখন ও কাদের বেশি হয়
মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত, বিশেষ করে গরম ও বর্ষার সময় ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে। তবে অপরিচ্ছন্নতা ও অব্যবস্থাপনার দরুন বর্তমানে কমবেশি সারা বছরই এর প্রকোপ দেখা যায়।
ডেঙ্গুর ভাইরাস চার ধরনের হয়। তাই ডেঙ্গু জ্বরও চারবার হতে পারে। তবে যারা আগেও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে পরে এ রোগ হওয়া মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়।
লক্ষণ
ক্ল্যাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর
এ অবস্থা সবচেয়ে জটিল। এই জ্বরে ক্ল্যাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গের পাশাপাশি আরও বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়।
ডেঙ্গু শক সিনড্রোম
এটি ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহ রূপ। ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারের সঙ্গে সার্কুলেটরি ফেইলিউর হয়ে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম হয়।
লক্ষণ
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন
ডেঙ্গু জ্বরের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। এই জ্বর সাধারণত নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। তাই উপসর্গ অনুযায়ী সাধারণ চিকিৎসা যথেষ্ট। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
যেমন:
যেসব পরীক্ষা করা দরকার
চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বেশির ভাগ
রোগী সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নিজে নিজেই ভালো হয়ে
যায়। তবে রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে, যাতে ডেঙ্গুজনিত কোনো মারাত্মক জটিলতা না হয়।
সাধারণত লক্ষণ বুঝে এর চিকিৎসা দেওয়া হয়।
প্রতিরোধই সর্বোত্তম ব্যবস্থা
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হলো এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে তার ব্যবস্থা করা। ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী জায়গা পরিষ্কার রাখতে হবে এবং একই সঙ্গে মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
এডিস মশা এ দেশে আগেও ছিল, এখনো আছে; প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির পরিবেশও আছে। তাই সচেতনতা ও প্রতিরোধের মাধ্যমেই এর হাত থেকে বাঁচা সম্ভব।
লেখক: চক্ষুরোগ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সাবেক ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও প্রশিক্ষক, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
শীত এসে গেছে। এ ঋতুতে আবহাওয়া দীর্ঘ সময়ের জন্য বদলে যায়। ফলে এর প্রভাব পড়ে শরীরের ওপর। শীতের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে শক্তিশালী করে তুলতে হবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা।
২ ঘণ্টা আগে‘যব কই বাত বিগার যায়ে...’ বরেণ্য ভারতীয় সংগীতশিল্পী কুমার শানুর এই গান ক্যানসার রোগ উপশমের জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে বাজানো হয়। মূলত রোগ উপশমের জন্য মিউজিক থেরাপি এখন পৃথিবীতে স্বীকৃত একটি পদ্ধতি। সংগীতের মতো শিল্পকর্মও মানুষের মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরনের অনুভূতির সৃষ্টি করে। অনেক গবেষণায় উঠে এসেছে, এমন অভ
২ ঘণ্টা আগেবয়স বাড়ার সঙ্গে জীবনের সঙ্গী হয় বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা। পুরুষের প্রোস্টেট সমস্যা তেমনই একটি। এ সমস্যার রয়েছে প্রাকৃতিক সমাধান।
২ ঘণ্টা আগেজ্বর, শরীরে ব্যথা এবং ক্লান্তি ফ্লুর সাধারণ লক্ষণ। এগুলো হলে বুঝতে হবে, আপনি ফ্লুতে আক্রান্ত। সাধারণত ফ্লু প্রাণঘাতী নয়। তবে কখনো কখনো বিশেষ কোনো কারণে এটি বেশি হয়ে গেলে হাসপাতালে যেতে হতে পারে। ফ্লুর সংক্রমণের সঙ্গে নিউমোনিয়া হলে সেটি আর সাধারণ থাকে না। তখন হাসপাতালে যেতে হয়।
২ ঘণ্টা আগে