ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
চট্টগ্রাম নগরীর টেরিবাজার এলাকায় হিন্দু অধ্যুষিত হাজারী গলিতে ইসকন নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় একদল দুষ্কৃতকারী। এর আগে ওই পোস্টকে কেন্দ্র করে স্থানীয় একদল সনাতন ধর্মাবলম্বী পোস্টদাতা ব্যবসায়ীর দোকান ভাঙচুর করেন। তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় তাঁরা ওই যুবকের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনী এগিয়ে গেলে তাদের ওপরও হামলা হয়। পরে কোতোয়ালি ও পাঁচলাইশ থানা–পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে দাবি করা হচ্ছে, চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর হাতে অমিত নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ভিডিওটি অমিতের মরদেহ বাড়িতে আনার।
‘পঞ্চমী রয়’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাত ৯টায় ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ভিডিওটির ওপরে লেখা, ‘চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর হাতে নিহত অমিতের লাশ বাড়িতে আনা হয়েছে।’ ভিডিওটি আজ শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২ লাখ ৬৪ হাজার বার দেখা হয়েছে, শেয়ার হয়েছে প্রায় ৫ হাজার, রিয়েকশন পড়েছে ২০ হাজারের বেশি।
ভিডিওটি নিয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভাইরাল ভিডিওটি চট্টগ্রামের নয়।
ফেসবুকে প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে মৌলভীবাজার চ্যানেল নামের একটি ফেসবুক পেজে গত বুধবার রাত সোয়া ১১টায় পোস্ট করা একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওটির সঙ্গে চট্টগ্রামের দাবিতে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন দৃশ্য, বাড়ি, নিহতের লাশ ঘিরে মানুষের আহাজারির মিল পাওয়া যায়।
ভিডিওটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, ঘটনাটি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার। একটি শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে অমিত সূত্রধর নামে এক কলেজশিক্ষার্থী নিহত হন। অমিত কমলগঞ্জ গণ মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ভিডিওটির ইনসেটে নিহত অমিতের দাবিতে একটি ছবিও যুক্ত করা হয়েছে।
ফেসবুক পেজটিতে পাওয়া এসব তথ্যের সূত্রে দৈনিক কালের কণ্ঠের ওয়েবসাইটে গত বুধবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে শ্রীমঙ্গল–কমলগঞ্জ সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা উল্টে দুই কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও তিনজন। নিহতরা হলেন— শ্রীমঙ্গলের কালাপুর ইউনিয়নের মাইজদিহি এলাকার কাশেম মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ আল সায়েম (১৭) ও ভাগলপুর এলাকার রবি সূত্রধরের ছেলে অমিত সূত্রধর (১৮)। তাঁরা কমলগঞ্জ সরকারি গণমহাবিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
প্রতিবেদনে নিহত সায়েম ও অমিতের ছবি রয়েছে। এ ছবির সঙ্গে মৌলভীবাজার চ্যানেলের ভিডিওটির ইনসেটে থাকা অমিতের ছবির মিল রয়েছে।
কমলগঞ্জ সরকারি গণমহাবিদ্যালয়ের নামে পরিচালিত একটি ফেসবুক পেজের শোক ব্যানারেও অমিত সূত্রধরের ছবি পাওয়া যায়। শোক ব্যানারটি থেকে জানা যায়, কমলগঞ্জ সরকারি গণ মহাবিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আব্দুল্লাহ আল সায়েম ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অমিত সূত্রধর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামের হাজারী গলিতে ঘটা ঘটনাটির সময় সেনাবাহিনীর হাতে কোনো হিন্দু ধর্মাবলম্বী নিহত হয়েছেন বলে কোনো তথ্যও পাওয়া যায়নি। আজকের পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরোর নিজস্ব প্রতিবেদক সবুর শুভও নিশ্চিত করেছেন, এ ঘটনায় নিহতের কোনো তথ্য নেই। গুরুতর আহত কাউকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়নি। তবে এ ঘটনার সময় দুষ্কৃতকারীদের হামলায় সেনাবাহিনীর পাঁচজন ও ৭ পুলিশ সদস্য আহত হন।
সুতরাং এটি নিশ্চিত যে, চট্টগ্রামে হাজারী গলিতে যৌথবাহিনীর অভিযানের সময় সেনাবাহিনীর হাতে কোনো হিন্দু ধর্মাবলম্বী নিহত হননি। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এক তরুণের মৃত্যুকে চট্টগ্রামের দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার হাজারী গলি এলাকায় যৌথ বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় ৮০ জনকে আটক করা হয়। বুধবার দুপুরে নগরের দামপাড়ায় সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে যৌথ বাহিনী এই তথ্য জানায়।
চট্টগ্রাম নগরীর টেরিবাজার এলাকায় হিন্দু অধ্যুষিত হাজারী গলিতে ইসকন নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় একদল দুষ্কৃতকারী। এর আগে ওই পোস্টকে কেন্দ্র করে স্থানীয় একদল সনাতন ধর্মাবলম্বী পোস্টদাতা ব্যবসায়ীর দোকান ভাঙচুর করেন। তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় তাঁরা ওই যুবকের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনী এগিয়ে গেলে তাদের ওপরও হামলা হয়। পরে কোতোয়ালি ও পাঁচলাইশ থানা–পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে দাবি করা হচ্ছে, চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর হাতে অমিত নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ভিডিওটি অমিতের মরদেহ বাড়িতে আনার।
‘পঞ্চমী রয়’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাত ৯টায় ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ভিডিওটির ওপরে লেখা, ‘চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর হাতে নিহত অমিতের লাশ বাড়িতে আনা হয়েছে।’ ভিডিওটি আজ শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২ লাখ ৬৪ হাজার বার দেখা হয়েছে, শেয়ার হয়েছে প্রায় ৫ হাজার, রিয়েকশন পড়েছে ২০ হাজারের বেশি।
ভিডিওটি নিয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভাইরাল ভিডিওটি চট্টগ্রামের নয়।
ফেসবুকে প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে মৌলভীবাজার চ্যানেল নামের একটি ফেসবুক পেজে গত বুধবার রাত সোয়া ১১টায় পোস্ট করা একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওটির সঙ্গে চট্টগ্রামের দাবিতে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন দৃশ্য, বাড়ি, নিহতের লাশ ঘিরে মানুষের আহাজারির মিল পাওয়া যায়।
ভিডিওটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, ঘটনাটি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার। একটি শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে অমিত সূত্রধর নামে এক কলেজশিক্ষার্থী নিহত হন। অমিত কমলগঞ্জ গণ মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ভিডিওটির ইনসেটে নিহত অমিতের দাবিতে একটি ছবিও যুক্ত করা হয়েছে।
ফেসবুক পেজটিতে পাওয়া এসব তথ্যের সূত্রে দৈনিক কালের কণ্ঠের ওয়েবসাইটে গত বুধবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে শ্রীমঙ্গল–কমলগঞ্জ সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা উল্টে দুই কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও তিনজন। নিহতরা হলেন— শ্রীমঙ্গলের কালাপুর ইউনিয়নের মাইজদিহি এলাকার কাশেম মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ আল সায়েম (১৭) ও ভাগলপুর এলাকার রবি সূত্রধরের ছেলে অমিত সূত্রধর (১৮)। তাঁরা কমলগঞ্জ সরকারি গণমহাবিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
প্রতিবেদনে নিহত সায়েম ও অমিতের ছবি রয়েছে। এ ছবির সঙ্গে মৌলভীবাজার চ্যানেলের ভিডিওটির ইনসেটে থাকা অমিতের ছবির মিল রয়েছে।
কমলগঞ্জ সরকারি গণমহাবিদ্যালয়ের নামে পরিচালিত একটি ফেসবুক পেজের শোক ব্যানারেও অমিত সূত্রধরের ছবি পাওয়া যায়। শোক ব্যানারটি থেকে জানা যায়, কমলগঞ্জ সরকারি গণ মহাবিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আব্দুল্লাহ আল সায়েম ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অমিত সূত্রধর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামের হাজারী গলিতে ঘটা ঘটনাটির সময় সেনাবাহিনীর হাতে কোনো হিন্দু ধর্মাবলম্বী নিহত হয়েছেন বলে কোনো তথ্যও পাওয়া যায়নি। আজকের পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরোর নিজস্ব প্রতিবেদক সবুর শুভও নিশ্চিত করেছেন, এ ঘটনায় নিহতের কোনো তথ্য নেই। গুরুতর আহত কাউকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়নি। তবে এ ঘটনার সময় দুষ্কৃতকারীদের হামলায় সেনাবাহিনীর পাঁচজন ও ৭ পুলিশ সদস্য আহত হন।
সুতরাং এটি নিশ্চিত যে, চট্টগ্রামে হাজারী গলিতে যৌথবাহিনীর অভিযানের সময় সেনাবাহিনীর হাতে কোনো হিন্দু ধর্মাবলম্বী নিহত হননি। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এক তরুণের মৃত্যুকে চট্টগ্রামের দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার হাজারী গলি এলাকায় যৌথ বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় ৮০ জনকে আটক করা হয়। বুধবার দুপুরে নগরের দামপাড়ায় সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে যৌথ বাহিনী এই তথ্য জানায়।
ফ্যাক্টচেক, সোশ্যাল মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ভাইরাল, ভুয়া পোস্ট, সংঘর্ষ, রাজধানী, সেনাবাহিনী, বিক্ষোভ, রিকশা
১০ ঘণ্টা আগেদীপ্তির বক্তব্য দাবিতে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের নাম ও লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। দীপ্তি চৌধুরীর ছবিযুক্ত ফটোকার্ডটিতে লেখা, ‘আমার নানীর ফুফাতো বোনের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।’
১৪ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়েছে। তাতে হাসিনাকে কথা বলতে শোনা যায়, গুলি খাওয়ার পর আবু সাঈদকে চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
১ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকও। সম্প্রতি সারজিস শিশু মডেল অভিনেত্রী সিমরিন লুবাবাকে ফেসবুকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
২ দিন আগে