ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
পাকিস্তানের লাহোরে আয়োজিত এক বইমেলায় ১ হাজার ২০০ শর্মা, ৮০০ প্লেট বিরিয়ানি বিক্রির বিপরীতে বই বিক্রি হয়েছে মাত্র ৩৫টি—‘বইবাগ-BoiBag’ নামের ফেসবুকে পেজে এমন দাবিতে একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হয়। গত ২৩ অক্টোবর করা ফটোকার্ডটিরক্যাপশনে লেখা, ‘পাকিস্তানের লাহোরের বইমেলা পরিণত হয়েছে খাদ্য উৎসবে।’ আজ শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত ফটোকার্ডটি সাড়ে আট শতাধিক শেয়ার হয়েছে, রিয়েকশন পড়েছে ২১ হাজারের বেশি।
ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির উর্দু সংস্করণে গত ২২ অক্টোবরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়ায় গত কয়েক দিন ধরে লাহোর বইমেলার একটি ছবি এবং পাকিস্তানি টিভি অভিনেতা খালিদ আনামের এ সম্পর্কিত একটি বক্তব্য খুবই ভাইরাল হয়েছে। ছবিটি শেয়ার করে দাবি করা হয়েছে, লাহোরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বইমেলা খাদ্য উৎসবে পরিণত হয়েছে। বইমেলায় আসা লোকেরা বইয়ের তুলনায় খাবার বেশি কিনেছেন। ফলে পুরো বইমেলায় মাত্র ৩৫টি বই বিক্রির বিপরীতে ১ হাজার ২০০ শর্মা এবং ৮০০ প্লেট বিরিয়ানি বিক্রি হয়েছে।
দাবিটি প্রসঙ্গে বিবিসি উর্দু জানায়, সম্প্রতি লাহোরে কোনো বইমেলা হয়নি। এখানে বইমেলার আয়োজন করা হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে। তাহলে আট মাসেরও বেশি সময় পার হয়ে যাওয়ার পর লাহোর বইমেলার বই বিক্রি নিয়ে কেন আলোচনা হচ্ছে? এটি হয়েছে পাকিস্তানি টিভি অভিনেতা খালিদ আনামের সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া পোস্টের কারণে।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য খালিদ আনামের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি উর্দু। তিনি জানান, ‘লাহোর বইমেলার কোনো সত্যতা নেই। তিনি ভুলবশত লাহোর বইমেলা নিয়ে একটি ইংরেজি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে সেটির উর্দু অনুবাদ করে যাচাই না করেই মজাচ্ছলে দাবিটি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছিলেন।’
খালিদ আনাম বিবিসি উর্দুকে আরও জানান, এক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি তার স্ট্যাটাস মুছে ফেলেছিলেন, কিন্তু ততক্ষণে সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।
পরে খালিদ আনামের ভেরিফায়েড এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্টে গত ২২ অক্টোবর একটি ভিডিও বার্তা পাওয়া যায়। ভিডিও বার্তায় খালিদ আনাম বলেন, ‘লাহোর বইমেলা নিয়ে আমার করা পোস্টটা ভুল ছিল। আমি যাচাই ছাড়াই তথ্যটি শেয়ার করেছি, আমি এ জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। লাহোর বইমেলা সম্পর্কিত তথ্যগুলো মজার জন্য শেয়ার করেছিলাম।’
পাকিস্তানের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান আই ভেরিফাইও দাবিটির সত্যতা যাচাই করেছে। দাবিটির উৎস সম্পর্কে আই ভেরিফাই জানায়, স্টার্টআপ করাচি নামের একটি ফেসবুক পেজ গত ২০ অক্টোবর লাহোরে বইমেলায় বই বিক্রির তুলনায় খাবার বেশি বিক্রির দাবিটি নিয়ে পোস্ট করে। পরে অন্যান্য ফেসবুক পেজে দাবিটি ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফও দাবিটিকে সত্য ধরে এক্সে পোস্ট করেছেন। তাদেরও সূত্র অভিনেতা খালিদ আনাম।
আই ভেরিফাই জানায়, লাহোর বইমেলার বইয়ের বিপরীতে খাদ্য বিক্রির ধুম পড়ার কথিত দাবিটির কোনো সত্যতা নেই। প্রতিষ্ঠানটি দাবিটির সত্যতা সম্পর্কে জানতে লাহোর আন্তর্জাতিক বইমেলার ভাইস চেয়ারম্যান কাশিফ মীর জুবায়েরের সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করে।
কাশিফ মীর জুবায়ের আই ভেরিফাইকে বলেন, ‘কথিত এই সংবাদের উৎপত্তি ক্লিকবেইট সোশ্যাল মিডিয়া বা ওয়েবসাইট থেকে হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এই সংবাদ শতভাগ মিথ্যা। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে লাহোর এক্সপো সেন্টারে ৩৭তম লাহোর আন্তর্জাতিক বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ২০০টিরও বেশি স্টল ছিল। পাঁচ দিনের এই ইভেন্টে লাখ লাখ লোকের সমাগম ছিল এবং দশ লাখেরও বেশি রুপি মূল্যের বই বিক্রি হয় বিশাল ছাড়ে। পাকিস্তানের সব প্রধান প্রকাশক এবং বই বিক্রেতা এই বইমেলায় অংশগ্রহণ করে। লাহোর আন্তর্জাতিক বইমেলাতে কখনো খাবারের স্টল ছিল না এবং ভবিষ্যতে কখনো হবে না। কারণ আমরা কেবল প্রকাশক বা বই বিক্রেতাদের অংশগ্রহণের অনুমতি দিই।’
পাকিস্তানের লাহোরে আয়োজিত এক বইমেলায় ১ হাজার ২০০ শর্মা, ৮০০ প্লেট বিরিয়ানি বিক্রির বিপরীতে বই বিক্রি হয়েছে মাত্র ৩৫টি—‘বইবাগ-BoiBag’ নামের ফেসবুকে পেজে এমন দাবিতে একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হয়। গত ২৩ অক্টোবর করা ফটোকার্ডটিরক্যাপশনে লেখা, ‘পাকিস্তানের লাহোরের বইমেলা পরিণত হয়েছে খাদ্য উৎসবে।’ আজ শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত ফটোকার্ডটি সাড়ে আট শতাধিক শেয়ার হয়েছে, রিয়েকশন পড়েছে ২১ হাজারের বেশি।
ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির উর্দু সংস্করণে গত ২২ অক্টোবরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়ায় গত কয়েক দিন ধরে লাহোর বইমেলার একটি ছবি এবং পাকিস্তানি টিভি অভিনেতা খালিদ আনামের এ সম্পর্কিত একটি বক্তব্য খুবই ভাইরাল হয়েছে। ছবিটি শেয়ার করে দাবি করা হয়েছে, লাহোরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বইমেলা খাদ্য উৎসবে পরিণত হয়েছে। বইমেলায় আসা লোকেরা বইয়ের তুলনায় খাবার বেশি কিনেছেন। ফলে পুরো বইমেলায় মাত্র ৩৫টি বই বিক্রির বিপরীতে ১ হাজার ২০০ শর্মা এবং ৮০০ প্লেট বিরিয়ানি বিক্রি হয়েছে।
দাবিটি প্রসঙ্গে বিবিসি উর্দু জানায়, সম্প্রতি লাহোরে কোনো বইমেলা হয়নি। এখানে বইমেলার আয়োজন করা হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে। তাহলে আট মাসেরও বেশি সময় পার হয়ে যাওয়ার পর লাহোর বইমেলার বই বিক্রি নিয়ে কেন আলোচনা হচ্ছে? এটি হয়েছে পাকিস্তানি টিভি অভিনেতা খালিদ আনামের সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া পোস্টের কারণে।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য খালিদ আনামের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি উর্দু। তিনি জানান, ‘লাহোর বইমেলার কোনো সত্যতা নেই। তিনি ভুলবশত লাহোর বইমেলা নিয়ে একটি ইংরেজি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে সেটির উর্দু অনুবাদ করে যাচাই না করেই মজাচ্ছলে দাবিটি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছিলেন।’
খালিদ আনাম বিবিসি উর্দুকে আরও জানান, এক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি তার স্ট্যাটাস মুছে ফেলেছিলেন, কিন্তু ততক্ষণে সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।
পরে খালিদ আনামের ভেরিফায়েড এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্টে গত ২২ অক্টোবর একটি ভিডিও বার্তা পাওয়া যায়। ভিডিও বার্তায় খালিদ আনাম বলেন, ‘লাহোর বইমেলা নিয়ে আমার করা পোস্টটা ভুল ছিল। আমি যাচাই ছাড়াই তথ্যটি শেয়ার করেছি, আমি এ জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। লাহোর বইমেলা সম্পর্কিত তথ্যগুলো মজার জন্য শেয়ার করেছিলাম।’
পাকিস্তানের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান আই ভেরিফাইও দাবিটির সত্যতা যাচাই করেছে। দাবিটির উৎস সম্পর্কে আই ভেরিফাই জানায়, স্টার্টআপ করাচি নামের একটি ফেসবুক পেজ গত ২০ অক্টোবর লাহোরে বইমেলায় বই বিক্রির তুলনায় খাবার বেশি বিক্রির দাবিটি নিয়ে পোস্ট করে। পরে অন্যান্য ফেসবুক পেজে দাবিটি ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফও দাবিটিকে সত্য ধরে এক্সে পোস্ট করেছেন। তাদেরও সূত্র অভিনেতা খালিদ আনাম।
আই ভেরিফাই জানায়, লাহোর বইমেলার বইয়ের বিপরীতে খাদ্য বিক্রির ধুম পড়ার কথিত দাবিটির কোনো সত্যতা নেই। প্রতিষ্ঠানটি দাবিটির সত্যতা সম্পর্কে জানতে লাহোর আন্তর্জাতিক বইমেলার ভাইস চেয়ারম্যান কাশিফ মীর জুবায়েরের সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করে।
কাশিফ মীর জুবায়ের আই ভেরিফাইকে বলেন, ‘কথিত এই সংবাদের উৎপত্তি ক্লিকবেইট সোশ্যাল মিডিয়া বা ওয়েবসাইট থেকে হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এই সংবাদ শতভাগ মিথ্যা। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে লাহোর এক্সপো সেন্টারে ৩৭তম লাহোর আন্তর্জাতিক বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ২০০টিরও বেশি স্টল ছিল। পাঁচ দিনের এই ইভেন্টে লাখ লাখ লোকের সমাগম ছিল এবং দশ লাখেরও বেশি রুপি মূল্যের বই বিক্রি হয় বিশাল ছাড়ে। পাকিস্তানের সব প্রধান প্রকাশক এবং বই বিক্রেতা এই বইমেলায় অংশগ্রহণ করে। লাহোর আন্তর্জাতিক বইমেলাতে কখনো খাবারের স্টল ছিল না এবং ভবিষ্যতে কখনো হবে না। কারণ আমরা কেবল প্রকাশক বা বই বিক্রেতাদের অংশগ্রহণের অনুমতি দিই।’
ফ্যাক্টচেক, সোশ্যাল মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ভাইরাল, ভুয়া পোস্ট, সংঘর্ষ, রাজধানী, সেনাবাহিনী, বিক্ষোভ, রিকশা
১০ ঘণ্টা আগেদীপ্তির বক্তব্য দাবিতে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের নাম ও লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। দীপ্তি চৌধুরীর ছবিযুক্ত ফটোকার্ডটিতে লেখা, ‘আমার নানীর ফুফাতো বোনের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।’
১৪ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়েছে। তাতে হাসিনাকে কথা বলতে শোনা যায়, গুলি খাওয়ার পর আবু সাঈদকে চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
১ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকও। সম্প্রতি সারজিস শিশু মডেল অভিনেত্রী সিমরিন লুবাবাকে ফেসবুকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
২ দিন আগে