ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় আগামীকাল সোমবার (৮ এপ্রিল) দেখা যাবে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, এটি সূর্যগ্রহণের একটি বিশেষ ধরন। ৫০ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ হবে এবার।
সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী যখন একই সরলরেখায় অবস্থান করে তখন সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে দেয় চাঁদ। এ সময় আকাশ এতটাই অন্ধকার হয়ে পড়ে যে, যেন মনে হয় এটি সন্ধ্যা বা শেষ রাত! এই ঘটনাকেই বলে সূর্যগ্রহণ।
৮ এপ্রিল মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হবে। বাংলাদেশ থেকে এটি দেখা যাবে না। তবুও এখানে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা–কল্পনা। যেমন, শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে ‘Rayyan’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলা হচ্ছে, ‘জনসতর্কতামূলক পোস্ট। আগামীকাল সূর্যগ্রহণের সময় ঘটতে পারে নানা দুর্ঘটনা। নিজের এবং পরিবারের ছোট বাচ্চাদের সাবধানে রাখুন, খালি চোখে গ্রহণ দেখবেন না।’
সূর্যগ্রহণ নিয়ে মানুষের মধ্যে এমন সচেতনতামূলক প্রচার অবশ্য এবারই প্রথম নয়। বিগত বিভিন্ন সময়ে ইন্টারনেটে সূর্যগ্রহণ কেন্দ্রিক বিভিন্ন ধরনের সতর্কতামূলক প্রচার দেখা গেছে। এসব প্রচারের মধ্যে আছে— অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সূর্যগ্রহণ না দেখা, ওই সময় তাঁদের দা, ছুরি, বটি দিয়ে কোনো কিছু না কাটা। সূর্যগ্রহণের সময় কোনো খাবার প্রস্তুত না করা এবং না খাওয়া। কারণ এই সময় প্রস্তুতকৃত খাবারে বিষক্রিয়া হতে পারে।
এসব প্রচার অবশ্য ইন্টারনেট আসার অনেক আগে থেকেই মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত। সূর্যগ্রহণ সম্পর্কিত এমন নানা সংস্কার ও বিশ্বাস বহু প্রাচীন।
এসবের কি কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে? উত্তর খুঁজেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
পূর্ণ সূর্যগ্রহণ না দেখার কারণ হিসেবে প্রচলিত আছে যে, পূর্ণ সূর্যগ্রহণ ক্ষতিকর রশ্মি বিকিরণ করে, যার কারণে এ সময় কেউ সূর্যের দিকে তাকালে অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এমন ধারণা প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানায়, এটি একটি প্রচলিত ভুল ধারণা। পূর্ণ সূর্যগ্রহণ কোনো ক্ষতিকর রশ্মি বিকিরণ করে না। পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় করোনা বা সূর্যের পৃষ্ঠের অপেক্ষাকৃত কম উজ্জ্বল অংশ বিদ্যুচ্চুম্বকীয় বিকিরণ নির্গত করে, যা ক্ষতিকর নয়। তবে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ ঘটার আগে সরাসরি সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের ক্ষতি হতে পারে।
একই প্রসঙ্গে দেশটির সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডে জানায়, খালি চোখে যেকোনো মুহূর্তের জন্য হলেও সূর্যগ্রহণের সময় সূর্যের দিকে তাকানো একবারেই নিরাপদ নয়। কারণ, এর ফলে চোখের রেটিনার স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। তাই সূর্যগ্রহণ দেখতে চাইলে বিশেষ চশমা পরিধান করে নেওয়া নিরাপদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নওরীন আহসান বিবিসি বাংলাকে এ প্রসঙ্গে বলেন, সূর্যগ্রহণের দিন মানুষ সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকায়, কারণ সেদিন সূর্যের প্রখরতা অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক কম থাকে। এ সময় সূর্যের দিকে মানুষের অনেকক্ষণ যাবৎ তাকিয়ে থাকার সম্ভাবনা ও সুযোগ থাকে—যেটি ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই সূর্যগ্রহণের সময় সূর্যের দিকে তাকাতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়।
সূর্যগ্রহণের সময় খাবার প্রস্তুত এবং খাওয়া প্রসঙ্গে টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে বলে, প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী সূর্য বা চন্দ্র গ্রহণের সময় পানাহার থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ, সূর্যগ্রহণ থেকে বিকিরিত রশ্মি খাবারের ক্ষতি করে। এই বিশ্বাসের বিপরীতে নাসা জানায়, এটি যদি সত্য হয়, তাহলে কেবল রান্না করা খাবার নয়, যেকোনো খাবারের—সেটা হতে পারে প্যাকেটজাত খাবার বা খেতের ফসল—সব ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য।
নাসা জানায়, পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সময়, এমন কোনো রশ্মি বিকিরণ হয় না যা খাবারের ক্ষতি করতে পারে। গ্রহণের ভয়ংকর রূপের কারণে এসব গল্প তৈরি হতে পারে। তবে খাদ্যে বিষক্রিয়ার মতো ঘটনাগুলো কাকতালীয় এবং গ্রহণের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
গর্ভবতী নারীদের সূর্যগ্রহণ দেখা থেকে বিরত থাকার ধারণাটিকেও প্রচলিত ভুল হিসেবে উল্লেখ করেছে নাসা। নাসা জানায়, এর সঙ্গেও যুক্ত রয়েছে পূর্ণ সূর্যগ্রহণের ক্ষতিকর রশ্মি নির্গত হওয়ার ভুল ধারণা। এগুলোর কোনোটিই গর্ভবতী নারী বা তাঁর গর্ভের সন্তানের কোনো ক্ষতি করে না। ইউএসএ টুডেও জানায়, গর্ভবতী নারী বা তাঁর গর্ভের সন্তানের জন্য গ্রহণ সম্পর্কিত প্রমাণিত কোনো স্বাস্থ্যবিধি নেই।
একই সংবাদমাধ্যম সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীদের দা বা ধারালো কোনো কিছু দিয়ে ফল বা সবজি কাটা প্রসঙ্গে জানায়, ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র সতর্ক করে, সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারী কাটাকাটি করলে তাঁর অনাগত সন্তানটি অসম্পূর্ণ বা কাটা অঙ্গ নিয়ে ভূমিষ্ঠ হতে পারে। কিন্তু এটি প্রমাণিত নয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনেও এমন ধারণাকে অবৈজ্ঞানিক এবং প্রচলিত ভুল হিসেবে উল্লেখ করেছে।
একই প্রসঙ্গে সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজে প্রকাশিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বলা হয়েছে, সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীকে বিশেষ বিধিনিষেধ মেনে চলতে বলা, খাওয়া, গৃহকর্ম, ছুরি বা কাঁচি ব্যবহার থেকে বিরত থাকার ব্যাপারগুলো সবই কুসংস্কার। এসবের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। মহানবী (সা.) বলেছেন, সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণ—এমন ঘটনা, যা আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। এর সঙ্গে মানুষের জন্ম বা মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই।
ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত মহিপাল হাসপাতালের ধাত্রীবিদ্যা ও মনো চিকিৎসক ডাক ইয়াশিকা ২০২০ সালে টাইমস অব ইন্ডিয়াতে সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণের সঙ্গে গর্ভধারণ সম্পর্কিত প্রচলিত ধারণাগুলো নিয়ে একটি নিবন্ধ লেখেন।
এ নিবন্ধে তিনি বলেন, একজন মনোবিদ হিসেবে, আমি দৃঢ়ভাবে সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণের সময়ে খাওয়া, পান, গোসল এবং ঘুমানোর পরামর্শ দিই। কিছু পরিবার খুবই প্রথা মেনে চলতে চায়; হয় আমাদের এই ধরনের প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত। যদি সম্ভব না হয় তবে আরও ভালো হয় যে, নিশ্চিত হয়ে নিন, আপনি নিজেকে এবং আপনার শিশুকে বিপদে ফেলছেন কিনা! দুই–তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে খালি পেটে থাকার ফলে গর্ভবতী মা অসুস্থ হতে পারেন, তাই এই ধরনের প্রথা এবং আচার থেকে বিরত থাকুন। পরিবারের শান্তির জন্য জরুরি না হলে আপনি বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন। তবে খাওয়া, পান এবং ঘুম সীমাবদ্ধ করা উচিত নয়।
অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, সূর্য বা চন্দ্র গ্রহণ নিয়ে ইন্টারনেটে বা মানুষের মুখে মুখে যেসব ধারণা প্রচলিত আছে, সেগুলোর কোনোটিই বৈজ্ঞানিক বা ধর্মীয়ভাবে প্রমাণিত না।
উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় আগামীকাল সোমবার (৮ এপ্রিল) দেখা যাবে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, এটি সূর্যগ্রহণের একটি বিশেষ ধরন। ৫০ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ হবে এবার।
সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী যখন একই সরলরেখায় অবস্থান করে তখন সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে দেয় চাঁদ। এ সময় আকাশ এতটাই অন্ধকার হয়ে পড়ে যে, যেন মনে হয় এটি সন্ধ্যা বা শেষ রাত! এই ঘটনাকেই বলে সূর্যগ্রহণ।
৮ এপ্রিল মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হবে। বাংলাদেশ থেকে এটি দেখা যাবে না। তবুও এখানে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা–কল্পনা। যেমন, শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে ‘Rayyan’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলা হচ্ছে, ‘জনসতর্কতামূলক পোস্ট। আগামীকাল সূর্যগ্রহণের সময় ঘটতে পারে নানা দুর্ঘটনা। নিজের এবং পরিবারের ছোট বাচ্চাদের সাবধানে রাখুন, খালি চোখে গ্রহণ দেখবেন না।’
সূর্যগ্রহণ নিয়ে মানুষের মধ্যে এমন সচেতনতামূলক প্রচার অবশ্য এবারই প্রথম নয়। বিগত বিভিন্ন সময়ে ইন্টারনেটে সূর্যগ্রহণ কেন্দ্রিক বিভিন্ন ধরনের সতর্কতামূলক প্রচার দেখা গেছে। এসব প্রচারের মধ্যে আছে— অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সূর্যগ্রহণ না দেখা, ওই সময় তাঁদের দা, ছুরি, বটি দিয়ে কোনো কিছু না কাটা। সূর্যগ্রহণের সময় কোনো খাবার প্রস্তুত না করা এবং না খাওয়া। কারণ এই সময় প্রস্তুতকৃত খাবারে বিষক্রিয়া হতে পারে।
এসব প্রচার অবশ্য ইন্টারনেট আসার অনেক আগে থেকেই মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত। সূর্যগ্রহণ সম্পর্কিত এমন নানা সংস্কার ও বিশ্বাস বহু প্রাচীন।
এসবের কি কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে? উত্তর খুঁজেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
পূর্ণ সূর্যগ্রহণ না দেখার কারণ হিসেবে প্রচলিত আছে যে, পূর্ণ সূর্যগ্রহণ ক্ষতিকর রশ্মি বিকিরণ করে, যার কারণে এ সময় কেউ সূর্যের দিকে তাকালে অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এমন ধারণা প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানায়, এটি একটি প্রচলিত ভুল ধারণা। পূর্ণ সূর্যগ্রহণ কোনো ক্ষতিকর রশ্মি বিকিরণ করে না। পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় করোনা বা সূর্যের পৃষ্ঠের অপেক্ষাকৃত কম উজ্জ্বল অংশ বিদ্যুচ্চুম্বকীয় বিকিরণ নির্গত করে, যা ক্ষতিকর নয়। তবে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ ঘটার আগে সরাসরি সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের ক্ষতি হতে পারে।
একই প্রসঙ্গে দেশটির সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডে জানায়, খালি চোখে যেকোনো মুহূর্তের জন্য হলেও সূর্যগ্রহণের সময় সূর্যের দিকে তাকানো একবারেই নিরাপদ নয়। কারণ, এর ফলে চোখের রেটিনার স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। তাই সূর্যগ্রহণ দেখতে চাইলে বিশেষ চশমা পরিধান করে নেওয়া নিরাপদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নওরীন আহসান বিবিসি বাংলাকে এ প্রসঙ্গে বলেন, সূর্যগ্রহণের দিন মানুষ সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকায়, কারণ সেদিন সূর্যের প্রখরতা অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক কম থাকে। এ সময় সূর্যের দিকে মানুষের অনেকক্ষণ যাবৎ তাকিয়ে থাকার সম্ভাবনা ও সুযোগ থাকে—যেটি ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই সূর্যগ্রহণের সময় সূর্যের দিকে তাকাতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়।
সূর্যগ্রহণের সময় খাবার প্রস্তুত এবং খাওয়া প্রসঙ্গে টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে বলে, প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী সূর্য বা চন্দ্র গ্রহণের সময় পানাহার থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ, সূর্যগ্রহণ থেকে বিকিরিত রশ্মি খাবারের ক্ষতি করে। এই বিশ্বাসের বিপরীতে নাসা জানায়, এটি যদি সত্য হয়, তাহলে কেবল রান্না করা খাবার নয়, যেকোনো খাবারের—সেটা হতে পারে প্যাকেটজাত খাবার বা খেতের ফসল—সব ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য।
নাসা জানায়, পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সময়, এমন কোনো রশ্মি বিকিরণ হয় না যা খাবারের ক্ষতি করতে পারে। গ্রহণের ভয়ংকর রূপের কারণে এসব গল্প তৈরি হতে পারে। তবে খাদ্যে বিষক্রিয়ার মতো ঘটনাগুলো কাকতালীয় এবং গ্রহণের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
গর্ভবতী নারীদের সূর্যগ্রহণ দেখা থেকে বিরত থাকার ধারণাটিকেও প্রচলিত ভুল হিসেবে উল্লেখ করেছে নাসা। নাসা জানায়, এর সঙ্গেও যুক্ত রয়েছে পূর্ণ সূর্যগ্রহণের ক্ষতিকর রশ্মি নির্গত হওয়ার ভুল ধারণা। এগুলোর কোনোটিই গর্ভবতী নারী বা তাঁর গর্ভের সন্তানের কোনো ক্ষতি করে না। ইউএসএ টুডেও জানায়, গর্ভবতী নারী বা তাঁর গর্ভের সন্তানের জন্য গ্রহণ সম্পর্কিত প্রমাণিত কোনো স্বাস্থ্যবিধি নেই।
একই সংবাদমাধ্যম সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীদের দা বা ধারালো কোনো কিছু দিয়ে ফল বা সবজি কাটা প্রসঙ্গে জানায়, ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র সতর্ক করে, সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারী কাটাকাটি করলে তাঁর অনাগত সন্তানটি অসম্পূর্ণ বা কাটা অঙ্গ নিয়ে ভূমিষ্ঠ হতে পারে। কিন্তু এটি প্রমাণিত নয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনেও এমন ধারণাকে অবৈজ্ঞানিক এবং প্রচলিত ভুল হিসেবে উল্লেখ করেছে।
একই প্রসঙ্গে সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজে প্রকাশিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বলা হয়েছে, সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীকে বিশেষ বিধিনিষেধ মেনে চলতে বলা, খাওয়া, গৃহকর্ম, ছুরি বা কাঁচি ব্যবহার থেকে বিরত থাকার ব্যাপারগুলো সবই কুসংস্কার। এসবের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। মহানবী (সা.) বলেছেন, সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণ—এমন ঘটনা, যা আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। এর সঙ্গে মানুষের জন্ম বা মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই।
ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত মহিপাল হাসপাতালের ধাত্রীবিদ্যা ও মনো চিকিৎসক ডাক ইয়াশিকা ২০২০ সালে টাইমস অব ইন্ডিয়াতে সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণের সঙ্গে গর্ভধারণ সম্পর্কিত প্রচলিত ধারণাগুলো নিয়ে একটি নিবন্ধ লেখেন।
এ নিবন্ধে তিনি বলেন, একজন মনোবিদ হিসেবে, আমি দৃঢ়ভাবে সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণের সময়ে খাওয়া, পান, গোসল এবং ঘুমানোর পরামর্শ দিই। কিছু পরিবার খুবই প্রথা মেনে চলতে চায়; হয় আমাদের এই ধরনের প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত। যদি সম্ভব না হয় তবে আরও ভালো হয় যে, নিশ্চিত হয়ে নিন, আপনি নিজেকে এবং আপনার শিশুকে বিপদে ফেলছেন কিনা! দুই–তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে খালি পেটে থাকার ফলে গর্ভবতী মা অসুস্থ হতে পারেন, তাই এই ধরনের প্রথা এবং আচার থেকে বিরত থাকুন। পরিবারের শান্তির জন্য জরুরি না হলে আপনি বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন। তবে খাওয়া, পান এবং ঘুম সীমাবদ্ধ করা উচিত নয়।
অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, সূর্য বা চন্দ্র গ্রহণ নিয়ে ইন্টারনেটে বা মানুষের মুখে মুখে যেসব ধারণা প্রচলিত আছে, সেগুলোর কোনোটিই বৈজ্ঞানিক বা ধর্মীয়ভাবে প্রমাণিত না।
ফ্যাক্টচেক, সোশ্যাল মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ভাইরাল, ভুয়া পোস্ট, সংঘর্ষ, রাজধানী, সেনাবাহিনী, বিক্ষোভ, রিকশা
১০ ঘণ্টা আগেদীপ্তির বক্তব্য দাবিতে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের নাম ও লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। দীপ্তি চৌধুরীর ছবিযুক্ত ফটোকার্ডটিতে লেখা, ‘আমার নানীর ফুফাতো বোনের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।’
১৩ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়েছে। তাতে হাসিনাকে কথা বলতে শোনা যায়, গুলি খাওয়ার পর আবু সাঈদকে চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
১ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকও। সম্প্রতি সারজিস শিশু মডেল অভিনেত্রী সিমরিন লুবাবাকে ফেসবুকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
২ দিন আগে