ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ময়মনসিংহের ‘ফুলবাড়ীয়ায় ক্যানসার প্রতিরোধক করোসল গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড়’ শিরোনামে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক ইত্তেফাক। তাতে দাবি করা হয়, ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে পরিচিত করোসল ফলের গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড় করছেন রোগীদের স্বজনেরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবকের বরাত দিয়ে বলা হয়, তাঁর মা ক্যানসারে আক্রান্ত। করোসলগাছের পাতা কেমোথেরাপি চেয়ে শক্তিশালী—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বেসরকারি টেলিভিশনের খবরে তিনি এ তথ্য জেনে পাতা সংগ্রহের জন্য এসেছেন।
নিউজ পোর্টাল ঢাকা টাইমসের ফিচার ডেস্ক থেকে গত বছরের ৬ জুলাই প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‘করোসল ফল কেমোথেরাপির চেয়ে ১০ হাজার গুণ শক্তিশালী। অথচ কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।’ প্রতিবেদনটিতে বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘এই ফলের (করোসল) এতটাই গুণ, এই ফল খেলে ক্যানসার রোগীর থেরাপির প্রয়োজন হয় না।’
মানবজমিনের একটি প্রতিবেদনে করোসল ফলকে উল্লেখ করা হয়েছে ক্যানসারের ‘প্রাকৃতিক কেমোথেরাপি’ হিসেবে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ম্যাগাজিন মেডিকেল নিউজ টুডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, করোসল ফলটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রাভিওলা, সাওয়ারসপ, গুয়াবানো, গুয়ানাবানা, ব্রাজিলিয়ান পাও পাও, কাস্টার্ড আপেল নামে পরিচিত। করোসল অ্যানোনা মিউরিকাটা গোত্রের গাছের। এটি গাঢ় সবুজ বর্ণের, কাঁটাযুক্ত, হৃৎপিণ্ড আকৃতির। এর গাছ ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে জন্মায়। সাধারণত ফলটি পানীয়, আইসক্রিম ও সিরাপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। আফ্রিকা, ক্যারিবিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের লোকজন প্রাকৃতিক চিকিৎসায় এই গাছের বেশিরভাগ অংশ—যেমন পাতা, ফল ও বীজ ব্যবহার করে। এই ফলে অনেক খনিজ রয়েছে, যার মধ্যে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও আয়রন অন্তর্ভুক্ত।
করোসল ফল কি আসলেই ক্যানসারের প্রতিষেধক বা কেমোথেরাপির বিকল্প? কী বলে গবেষণা?
ভারতীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান দ্য হেলদি ইন্ডিয়ান প্রজেক্ট জানায়, ক্যানসারের চিকিৎসায় করোসল ফলের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়। যদিও ফলটিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যেগুলোকে অ্যাসিটোজেনিনস বলা হয়, যা ল্যাবে গবেষণায় কিছু ক্যানসারপ্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য দেখিয়েছে। তবে এই ফলাফলগুলো শুধু গবেষণাগারেই সীমাবদ্ধ। করোসল মানুষের ক্যানসার চিকিৎসা বা নিরাময়ের জন্য কার্যকর হতে পারে, এর কোনো ক্লিনিক্যাল বা পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রমাণ নেই।
অন্যদিকে কেমোথেরাপি নিয়ে যুগ যুগ ধরে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপির প্রভাব প্রমাণিত। তবে কেমোথেরাপির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শুধু করোসল ফল বা অন্য কোনো বিকল্প থেরাপির ওপর নির্ভর করা ঝুঁকিপূর্ণ। সর্বোপরি, করোসল ফল কেমোথেরাপির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা বিপজ্জনক। আবার করোসলের এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা স্নায়ুর ক্ষতি ঘটাতে পারে।
ক্যানসারের চিকিৎসায় করোসল ফলের কোনো ধরনের ব্যবহারকে অনুমোদন দেয় না যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও (এফডিএ)। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ক্যানসারের চিকিৎসায় অবৈধভাবে ব্যবহৃত ৮০টিরও বেশি পণ্যের তালিকা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে ১৮টি সতর্কবার্তা ও পরামর্শ দিয়েছে। এই ৮০টি পণ্যের মধ্যে আছে করোসল ফল, পাতা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পণ্য। এফডিএ জানায়, এসব পণ্য নিরাপদ কি না এবং এগুলোর সক্ষমতা যাচাই করেনি তারা এবং এসব পণ্য মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর।
১৯৯৭ সালে জার্নাল অব মেডিসিনাল কেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত এক গবেষণার বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসার সেন্টার জানায়, স্তন ক্যানসারের কোষ ধ্বংস করায় কেমোথেরাপির চেয়ে বেশি কার্যকর ছিল করোসল ফলের কিছু উপাদান। ২০১৬ সালে সায়েন্টিফিক রিপোর্টস নামে আরেকটি সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণায় ইঁদুরের প্রোস্টেট ক্যানসার কোষে করোসল ফল প্রয়োগেও ভালো ফলাফল পাওয়ার তথ্য তুলে ধরা হয়। তবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ছাড়া করোসল ফল ক্যানসার রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে—এমন দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই।
ক্যানসার সেন্টার আরও জানায়, করোসল ফল মুখে খাওয়াও নিরাপদ নয়। এই ফল খাওয়া পার্কিনসনস ডিজিজের মতো মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার বা নড়াচড়ায় বৈকল্য ঘটাতে পারে। আরেকটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, করোসল ফলের পাতার ও কাণ্ডের চা স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রম বাধা দেওয়ার পাশাপাশি অস্বাভাবিক করে দিতে পারে।
একই বক্তব্য পাওয়া যায় যুক্তরাজ্যের ক্যানসার-বিষয়ক দাতব্য প্রতিষ্ঠান ক্যানসার রিসার্চ ইউকের ওয়েবসাইট থেকে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ক্যানসারের চিকিৎসায় করোসল ফলের প্রচারণা থাকলেও এর পক্ষে পর্যাপ্ত নির্ভরযোগ্য কোনো প্রমাণ নেই।
ল্যাবরেটরি গবেষণার বরাত দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, করোসল কিছু ধরনের ক্যানসার কোষ—যেমন লিভার, স্তন ও প্রোস্টেট ক্যানসার ধ্বংস করতে সক্ষম। কিন্তু মানুষের ওপর এ ফলের প্রভাব নিয়ে কোনো গবেষণা করা হয়নি। তাই করোসল শরীরে কেমন প্রভাব ফেলে, তা এখনো জানা যায়নি। ফলটির কিছু রাসায়নিক উপাদান নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে আশঙ্কা রয়েছে। এসব উপাদান স্নায়ুতে পরিবর্তন এবং চলাফেরায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। স্নায়ু পরিবর্তনের ফলে পার্কিনসনস রোগের মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ল্যাবরেটরি গবেষণায় দেখা গেছে, করোসলের কিছু উপাদান স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে এবং রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে।
সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত হাসপাতাল মাউন্ট এলিজাবেথের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, অনেকে ধারণা করেন যে করোসল পাতা দিয়ে তৈরি পানীয় ক্যানসার কোষের সংখ্যা কমাতে সহায়ক হতে পারে, বিশেষত স্তন বা প্রোস্টেট ক্যানসারের ক্ষেত্রে। কারণ, এতে অ্যানোনাসিয়াস অ্যাসিটোজেনিন যৌগ নামে একধরনের উপাদান রয়েছে, যা নির্দিষ্ট ধরনের ক্যানসারের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। তবে গবেষণায় এখনো এটি কার্যকর চিকিৎসা কি না, তা প্রমাণ করা যায়নি। এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা করোসল ফল নিয়ে কেবল ল্যাবরেটরিতে পৃথক কোষ ও ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছেন।
তাই বিশেষজ্ঞরা করোসল ফলকে ক্যানসারের প্রমাণিত চিকিৎসা হিসেবে সুপারিশ করেন না।
ময়মনসিংহের ‘ফুলবাড়ীয়ায় ক্যানসার প্রতিরোধক করোসল গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড়’ শিরোনামে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক ইত্তেফাক। তাতে দাবি করা হয়, ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে পরিচিত করোসল ফলের গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড় করছেন রোগীদের স্বজনেরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবকের বরাত দিয়ে বলা হয়, তাঁর মা ক্যানসারে আক্রান্ত। করোসলগাছের পাতা কেমোথেরাপি চেয়ে শক্তিশালী—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বেসরকারি টেলিভিশনের খবরে তিনি এ তথ্য জেনে পাতা সংগ্রহের জন্য এসেছেন।
নিউজ পোর্টাল ঢাকা টাইমসের ফিচার ডেস্ক থেকে গত বছরের ৬ জুলাই প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‘করোসল ফল কেমোথেরাপির চেয়ে ১০ হাজার গুণ শক্তিশালী। অথচ কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।’ প্রতিবেদনটিতে বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘এই ফলের (করোসল) এতটাই গুণ, এই ফল খেলে ক্যানসার রোগীর থেরাপির প্রয়োজন হয় না।’
মানবজমিনের একটি প্রতিবেদনে করোসল ফলকে উল্লেখ করা হয়েছে ক্যানসারের ‘প্রাকৃতিক কেমোথেরাপি’ হিসেবে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ম্যাগাজিন মেডিকেল নিউজ টুডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, করোসল ফলটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রাভিওলা, সাওয়ারসপ, গুয়াবানো, গুয়ানাবানা, ব্রাজিলিয়ান পাও পাও, কাস্টার্ড আপেল নামে পরিচিত। করোসল অ্যানোনা মিউরিকাটা গোত্রের গাছের। এটি গাঢ় সবুজ বর্ণের, কাঁটাযুক্ত, হৃৎপিণ্ড আকৃতির। এর গাছ ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে জন্মায়। সাধারণত ফলটি পানীয়, আইসক্রিম ও সিরাপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। আফ্রিকা, ক্যারিবিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের লোকজন প্রাকৃতিক চিকিৎসায় এই গাছের বেশিরভাগ অংশ—যেমন পাতা, ফল ও বীজ ব্যবহার করে। এই ফলে অনেক খনিজ রয়েছে, যার মধ্যে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও আয়রন অন্তর্ভুক্ত।
করোসল ফল কি আসলেই ক্যানসারের প্রতিষেধক বা কেমোথেরাপির বিকল্প? কী বলে গবেষণা?
ভারতীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান দ্য হেলদি ইন্ডিয়ান প্রজেক্ট জানায়, ক্যানসারের চিকিৎসায় করোসল ফলের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়। যদিও ফলটিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যেগুলোকে অ্যাসিটোজেনিনস বলা হয়, যা ল্যাবে গবেষণায় কিছু ক্যানসারপ্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য দেখিয়েছে। তবে এই ফলাফলগুলো শুধু গবেষণাগারেই সীমাবদ্ধ। করোসল মানুষের ক্যানসার চিকিৎসা বা নিরাময়ের জন্য কার্যকর হতে পারে, এর কোনো ক্লিনিক্যাল বা পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রমাণ নেই।
অন্যদিকে কেমোথেরাপি নিয়ে যুগ যুগ ধরে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপির প্রভাব প্রমাণিত। তবে কেমোথেরাপির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শুধু করোসল ফল বা অন্য কোনো বিকল্প থেরাপির ওপর নির্ভর করা ঝুঁকিপূর্ণ। সর্বোপরি, করোসল ফল কেমোথেরাপির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা বিপজ্জনক। আবার করোসলের এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা স্নায়ুর ক্ষতি ঘটাতে পারে।
ক্যানসারের চিকিৎসায় করোসল ফলের কোনো ধরনের ব্যবহারকে অনুমোদন দেয় না যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও (এফডিএ)। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ক্যানসারের চিকিৎসায় অবৈধভাবে ব্যবহৃত ৮০টিরও বেশি পণ্যের তালিকা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে ১৮টি সতর্কবার্তা ও পরামর্শ দিয়েছে। এই ৮০টি পণ্যের মধ্যে আছে করোসল ফল, পাতা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পণ্য। এফডিএ জানায়, এসব পণ্য নিরাপদ কি না এবং এগুলোর সক্ষমতা যাচাই করেনি তারা এবং এসব পণ্য মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর।
১৯৯৭ সালে জার্নাল অব মেডিসিনাল কেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত এক গবেষণার বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসার সেন্টার জানায়, স্তন ক্যানসারের কোষ ধ্বংস করায় কেমোথেরাপির চেয়ে বেশি কার্যকর ছিল করোসল ফলের কিছু উপাদান। ২০১৬ সালে সায়েন্টিফিক রিপোর্টস নামে আরেকটি সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণায় ইঁদুরের প্রোস্টেট ক্যানসার কোষে করোসল ফল প্রয়োগেও ভালো ফলাফল পাওয়ার তথ্য তুলে ধরা হয়। তবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ছাড়া করোসল ফল ক্যানসার রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে—এমন দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই।
ক্যানসার সেন্টার আরও জানায়, করোসল ফল মুখে খাওয়াও নিরাপদ নয়। এই ফল খাওয়া পার্কিনসনস ডিজিজের মতো মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার বা নড়াচড়ায় বৈকল্য ঘটাতে পারে। আরেকটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, করোসল ফলের পাতার ও কাণ্ডের চা স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রম বাধা দেওয়ার পাশাপাশি অস্বাভাবিক করে দিতে পারে।
একই বক্তব্য পাওয়া যায় যুক্তরাজ্যের ক্যানসার-বিষয়ক দাতব্য প্রতিষ্ঠান ক্যানসার রিসার্চ ইউকের ওয়েবসাইট থেকে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ক্যানসারের চিকিৎসায় করোসল ফলের প্রচারণা থাকলেও এর পক্ষে পর্যাপ্ত নির্ভরযোগ্য কোনো প্রমাণ নেই।
ল্যাবরেটরি গবেষণার বরাত দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, করোসল কিছু ধরনের ক্যানসার কোষ—যেমন লিভার, স্তন ও প্রোস্টেট ক্যানসার ধ্বংস করতে সক্ষম। কিন্তু মানুষের ওপর এ ফলের প্রভাব নিয়ে কোনো গবেষণা করা হয়নি। তাই করোসল শরীরে কেমন প্রভাব ফেলে, তা এখনো জানা যায়নি। ফলটির কিছু রাসায়নিক উপাদান নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে আশঙ্কা রয়েছে। এসব উপাদান স্নায়ুতে পরিবর্তন এবং চলাফেরায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। স্নায়ু পরিবর্তনের ফলে পার্কিনসনস রোগের মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ল্যাবরেটরি গবেষণায় দেখা গেছে, করোসলের কিছু উপাদান স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে এবং রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে।
সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত হাসপাতাল মাউন্ট এলিজাবেথের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, অনেকে ধারণা করেন যে করোসল পাতা দিয়ে তৈরি পানীয় ক্যানসার কোষের সংখ্যা কমাতে সহায়ক হতে পারে, বিশেষত স্তন বা প্রোস্টেট ক্যানসারের ক্ষেত্রে। কারণ, এতে অ্যানোনাসিয়াস অ্যাসিটোজেনিন যৌগ নামে একধরনের উপাদান রয়েছে, যা নির্দিষ্ট ধরনের ক্যানসারের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। তবে গবেষণায় এখনো এটি কার্যকর চিকিৎসা কি না, তা প্রমাণ করা যায়নি। এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা করোসল ফল নিয়ে কেবল ল্যাবরেটরিতে পৃথক কোষ ও ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছেন।
তাই বিশেষজ্ঞরা করোসল ফলকে ক্যানসারের প্রমাণিত চিকিৎসা হিসেবে সুপারিশ করেন না।
ফ্যাক্টচেক, সোশ্যাল মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ভাইরাল, ভুয়া পোস্ট, সংঘর্ষ, রাজধানী, সেনাবাহিনী, বিক্ষোভ, রিকশা
১০ ঘণ্টা আগেদীপ্তির বক্তব্য দাবিতে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের নাম ও লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। দীপ্তি চৌধুরীর ছবিযুক্ত ফটোকার্ডটিতে লেখা, ‘আমার নানীর ফুফাতো বোনের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।’
১৪ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়েছে। তাতে হাসিনাকে কথা বলতে শোনা যায়, গুলি খাওয়ার পর আবু সাঈদকে চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
১ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকও। সম্প্রতি সারজিস শিশু মডেল অভিনেত্রী সিমরিন লুবাবাকে ফেসবুকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
২ দিন আগে