ক্লাসে শিক্ষার্থীদের মাথায় ফিলিস্তিনি কেফিয়া, ভাইরাল ছবিটি হার্ভার্ডের নয়

ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১: ০০
আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯: ১৪

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ফিলিস্তিনি কেফিয়া পরে কিছু শিক্ষার্থী এবং একজন শিক্ষকসহ একটি শ্রেণিকক্ষের ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিটিতে লেখা রয়েছে, ‘এটি গাজার কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বরং আমেরিকার হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বের সকল তরুণের মনে আবু উবায়দা (ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ–গোষ্ঠী হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র) জায়গা করে নিয়েছে।’

ভিডিওটি দেখুন এখানে, এখানে এখানে

রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) গত ১৪ ডিসেম্বর অনুরূপ ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। ছবিটি শেয়ার করেন আব্দুর রহমান বিন সালামাহ নামে এক ব্যক্তি। এক্স অ্যাকাউন্টটির লোকেশন দেওয়া রয়েছে জর্ডান। তিনি ছবিটি শেয়ার করে লিখেছেন, কেফিয়া পরে যিনি ক্লাস নিচ্ছেন তাঁর নাম ড. মুহান্নাদ আল রুশদা। তিনি পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটির মেকানিক্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি মারকাভা ট্যাংক যেসব বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা করছিলেন।  

ড:  মুহান্নাদ আল রুশদার ক্লাসের ছবি। ছবি: এক্সড. মুহান্নাদ আল রুশদা নাম ধরে অনুসন্ধানে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান মিসবারে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এ থেকে জানা যায়, মুহান্নাদ আল–রাওয়াশদেহ গত ১৪ ডিসেম্বর জর্ডানের আল–বালকা অ্যাপ্লায়েড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধীনস্থ পলিটেকনিক কলেজে গত ১৪ ডিসেম্বর এই ক্লাস নেন। 

পরে আল–বালকা অ্যাপ্লায়েড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে মুহান্নাদ উসমান আল রুশদার প্রোফাইল খুঁজে পাওয়া যায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি অনুষদের সহকারী অধ্যাপক।

অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নামে কোনো শিক্ষক খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির মুখপাত্র জেসন নিউটন মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডেকে এই ছবিটি হার্ভার্ডের নয় বলে নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এরপরই ১০ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিবৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪টি ছাত্র সংগঠনের একটি জোট। বিবৃতিতে সংঘাতের জন্য এককভাবে ইসরায়েলকে দায়ী করে সংগঠনগুলো। পাশাপাশি ইসরায়েলকে একটি বর্ণবাদী রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যা দেন তাঁরা। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা [email protected]

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত