ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূলে দেড় হাজারের বেশি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক গিয়ে পৌঁছায়। ওই সময় আচেহের স্থানীয় বাসিন্দারা কিছু নৌকা ফিরিয়েও দেয়। জাতিসংঘ জানায়, গত ৮ বছরের মধ্যে দেশটিতে এটিই রোহিঙ্গা প্রবেশের সবচেয়ে বড় ঘটনা। রোহিঙ্গাদের দেশটিতে প্রবেশের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা এবং একই সঙ্গে পথে পথে বিক্ষোভ শুরু হয়।
এ ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আচেহ প্রদেশের রাজধানী বান্দা আচেহতে বিক্ষোভ করে। এই সময় তারা একটি সরকারি স্থাপনায় আশ্রয় নেওয়া ১৩৭ রোহিঙ্গাকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে স্থানীয় অভিবাসন কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়ার দাবি জানায়। গত বছরের ১১ ও ১৪ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার নেটিজেনরা টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে দুটি জাহাজের ভিডিও শেয়ার করে দাবি করেন, বাংলাদেশ থেকে জাহাজে করে ইন্দোনেশিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছে রোহিঙ্গারা।
ভিডিও দুটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, সেখানে দৃশ্যমান জাহাজ দুটির নাম যথাক্রমে কীর্তনখোলা-১০ ও তাশরিফ-৩। ভিডিও দুটি প্রায় ১৫ লাখ বার দেখা হয়েছে। এর মধ্যে কীর্তনখোলা-১০ জাহাজের ভিডিওটিই টিকটকে দেখা হয়েছে প্রায় ১২ লাখ বার। সংবাদ সংস্থা এএফপির ফ্যাক্টচেক বিভাগ ভিডিও দুটি যাচাই করে দেখেছে। সংবাদ সংস্থাটি জানায়, রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে কীর্তনখোলা-১০ জাহাজের ভিডিওটি বাংলাদেশি ইউটিউব এক্সট্রিম লঞ্চ লাভারের চ্যানেলে খুঁজে পাওয়া যায়।
পরে চ্যানেলটিতে গিয়ে দেখা যায়, জাহাজে করে বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ায় রোহিঙ্গাদের যাওয়ার দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি এই চ্যানেলে ২০২০ সালের ১৪ জুলাই আপলোড করা হয়েছিল। ৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘হাজার হাজার যাত্রী নিয়ে মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে চরমোনাই থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল এমভি কীর্তনখোলা-১০’।
দ্বিতীয় ভিডিওটিও একই পদ্ধতিতে যাচাই করে লঞ্চ লাভার বিডি নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে খুঁজে পাওয়া যায়। চ্যানেলটিতে ৩৭ সেকেন্ডের ভিডিওটি আপলোড করা হয় ২০২০ সালের ১ নভেম্বর। ভিডিওটির ক্যাপশনে বিস্তারিত কোনো তথ্য নেই। তবে ক্যাপশন থেকে জানা যায়, লঞ্চটির নাম তাশরিফ-৩। ভিডিওটি ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ধারণ করা।
পরে লঞ্চটির নাম সূত্রে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে দেখা যায়, লঞ্চটি ঢাকা থেকে ভোলার চরফ্যাশন পর্যন্ত চলাচল করে।
অর্থাৎ প্রায় তিন বছরের পুরোনো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচলের আলাদা দুটি ভিডিওকে ইন্দোনেশিয়ার নেটিজেনরা বাংলাদেশ থেকে জাহাজে করে ইন্দোনেশিয়ায় রোহিঙ্গাদের যাওয়ার দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করেছে।
প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়া ১৯৫১ সালের জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক কনভেনশনে সই করেনি। তাই শরণার্থীদের গ্রহণ করতেও তারা বাধ্য নয়। তবে ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোও রোহিঙ্গাদের জন্য তাদের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। তাই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু গোষ্ঠীটির যাওয়ার খুব বেশি জায়গাও নেই।
মিয়ানমারের সেনা ও তাদের দোসরদের নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়ে শেষবারের মতো ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে শুরু করে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা। একপর্যায়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। প্রতিবছরের নভেম্বর থেকে এপ্রিলে যখন সমুদ্র শান্ত থাকে, তখন নির্যাতিত রোহিঙ্গারা মিয়ানমার ছেড়ে কাঠের তৈরি জরাজীর্ণ নৌকায় করে প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও মুসলিম-অধ্যুষিত বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় পালিয়ে যায়।
গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূলে দেড় হাজারের বেশি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক গিয়ে পৌঁছায়। ওই সময় আচেহের স্থানীয় বাসিন্দারা কিছু নৌকা ফিরিয়েও দেয়। জাতিসংঘ জানায়, গত ৮ বছরের মধ্যে দেশটিতে এটিই রোহিঙ্গা প্রবেশের সবচেয়ে বড় ঘটনা। রোহিঙ্গাদের দেশটিতে প্রবেশের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা এবং একই সঙ্গে পথে পথে বিক্ষোভ শুরু হয়।
এ ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আচেহ প্রদেশের রাজধানী বান্দা আচেহতে বিক্ষোভ করে। এই সময় তারা একটি সরকারি স্থাপনায় আশ্রয় নেওয়া ১৩৭ রোহিঙ্গাকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে স্থানীয় অভিবাসন কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়ার দাবি জানায়। গত বছরের ১১ ও ১৪ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার নেটিজেনরা টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে দুটি জাহাজের ভিডিও শেয়ার করে দাবি করেন, বাংলাদেশ থেকে জাহাজে করে ইন্দোনেশিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছে রোহিঙ্গারা।
ভিডিও দুটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, সেখানে দৃশ্যমান জাহাজ দুটির নাম যথাক্রমে কীর্তনখোলা-১০ ও তাশরিফ-৩। ভিডিও দুটি প্রায় ১৫ লাখ বার দেখা হয়েছে। এর মধ্যে কীর্তনখোলা-১০ জাহাজের ভিডিওটিই টিকটকে দেখা হয়েছে প্রায় ১২ লাখ বার। সংবাদ সংস্থা এএফপির ফ্যাক্টচেক বিভাগ ভিডিও দুটি যাচাই করে দেখেছে। সংবাদ সংস্থাটি জানায়, রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে কীর্তনখোলা-১০ জাহাজের ভিডিওটি বাংলাদেশি ইউটিউব এক্সট্রিম লঞ্চ লাভারের চ্যানেলে খুঁজে পাওয়া যায়।
পরে চ্যানেলটিতে গিয়ে দেখা যায়, জাহাজে করে বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ায় রোহিঙ্গাদের যাওয়ার দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি এই চ্যানেলে ২০২০ সালের ১৪ জুলাই আপলোড করা হয়েছিল। ৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘হাজার হাজার যাত্রী নিয়ে মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে চরমোনাই থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল এমভি কীর্তনখোলা-১০’।
দ্বিতীয় ভিডিওটিও একই পদ্ধতিতে যাচাই করে লঞ্চ লাভার বিডি নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে খুঁজে পাওয়া যায়। চ্যানেলটিতে ৩৭ সেকেন্ডের ভিডিওটি আপলোড করা হয় ২০২০ সালের ১ নভেম্বর। ভিডিওটির ক্যাপশনে বিস্তারিত কোনো তথ্য নেই। তবে ক্যাপশন থেকে জানা যায়, লঞ্চটির নাম তাশরিফ-৩। ভিডিওটি ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ধারণ করা।
পরে লঞ্চটির নাম সূত্রে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে দেখা যায়, লঞ্চটি ঢাকা থেকে ভোলার চরফ্যাশন পর্যন্ত চলাচল করে।
অর্থাৎ প্রায় তিন বছরের পুরোনো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচলের আলাদা দুটি ভিডিওকে ইন্দোনেশিয়ার নেটিজেনরা বাংলাদেশ থেকে জাহাজে করে ইন্দোনেশিয়ায় রোহিঙ্গাদের যাওয়ার দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করেছে।
প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়া ১৯৫১ সালের জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক কনভেনশনে সই করেনি। তাই শরণার্থীদের গ্রহণ করতেও তারা বাধ্য নয়। তবে ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোও রোহিঙ্গাদের জন্য তাদের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। তাই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু গোষ্ঠীটির যাওয়ার খুব বেশি জায়গাও নেই।
মিয়ানমারের সেনা ও তাদের দোসরদের নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়ে শেষবারের মতো ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে শুরু করে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা। একপর্যায়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। প্রতিবছরের নভেম্বর থেকে এপ্রিলে যখন সমুদ্র শান্ত থাকে, তখন নির্যাতিত রোহিঙ্গারা মিয়ানমার ছেড়ে কাঠের তৈরি জরাজীর্ণ নৌকায় করে প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও মুসলিম-অধ্যুষিত বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় পালিয়ে যায়।
ফ্যাক্টচেক, সোশ্যাল মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ভাইরাল, ভুয়া পোস্ট, সংঘর্ষ, রাজধানী, সেনাবাহিনী, বিক্ষোভ, রিকশা
১০ ঘণ্টা আগেদীপ্তির বক্তব্য দাবিতে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের নাম ও লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। দীপ্তি চৌধুরীর ছবিযুক্ত ফটোকার্ডটিতে লেখা, ‘আমার নানীর ফুফাতো বোনের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।’
১৩ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়েছে। তাতে হাসিনাকে কথা বলতে শোনা যায়, গুলি খাওয়ার পর আবু সাঈদকে চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
১ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকও। সম্প্রতি সারজিস শিশু মডেল অভিনেত্রী সিমরিন লুবাবাকে ফেসবুকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
২ দিন আগে