নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দুই মাস পর উচ্চ আদালত চত্বরে গতকাল বুধবার আবারও বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ‘ফ্যাসিস্ট’ বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে এই বিক্ষোভের পর হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে আপাতত বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
এই বিচারপতিদের মধ্যে একজন বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে এবং বাকি ১১ জন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া। এর আগে ১০ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে ভার্চুয়ালি ফুলকোর্ট সভার দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ঢুকে বিক্ষোভ করেছিলেন। সেদিন দুপুরে পদত্যাগ করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা গতকাল বিকেল চারটার দিকে বিক্ষোভস্থলে এসে জানান, আপাতত হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতিকে কোনো বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না। তিনি এ সিদ্ধান্ত জানানোর পর আন্দোলনকারীরা আদালত প্রাঙ্গণ ছেড়ে যান। ওই ১২ বিচারপতির মধ্যে ছয়জন দুপুরে পৃথকভাবে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে দেখা করেন।
সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসন সূত্র জানায়, যে ১২ জনকে আপাতত বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাঁরা হলেন বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান, বিচারপতি খিজির হায়াত, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান, বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলন, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ।
গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আইনজীবী আশরাফ রহমান মামলার কার্যতালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ করলে তাঁর উদ্দেশে বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান অসৌজন্যমূলক মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এ নিয়ে ওই এজলাসে আইনজীবীদের হট্টগোল হয়। আইনজীবীদের লিখিত অভিযোগের পর প্রধান বিচারপতি ওই বেঞ্চ পুনর্গঠন করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ মঙ্গলবার রাতে ফেসবুক পোস্টে বুধবার বেলা ১১টায় ‘আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে’ হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন। এ কারণে গতকাল সকাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট এবং এর আশপাশে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। বেলা ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্টে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে, ১২ বিচারপতিকে চায়ের দাওয়াত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তবে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বিচারপতিদের পদত্যাগের’ দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে ঢুকে অ্যানেক্স ভবনের সামনে অবস্থান নেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের নেতৃত্বে হাজারখানেক শিক্ষার্থী হাইকোর্ট মাজার গেট দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশ করেন। তাঁরাও অ্যানেক্স ভবনের সামনে অবস্থান নেন। ‘দুর্নীতিগ্রস্ত ও আওয়ামী দলদাস বিচারকদের অপসারণ দাবিতে সেখানে আগে থেকেই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন বৈষম্য ও গণহত্যাবিরোধী আইনজীবী সমাজের ব্যানারে একদল আইনজীবী।
অ্যানেক্স ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ বিচারপতিদের স্থান আদালতে হবে না। আওয়ামী লীগের সরবরাহ করা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে যে সংগঠনের সন্ত্রাসীরা আমাদের ভাই-বোনদের ওপর গুলি চালিয়েছে, হত্যা করেছে, সেই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’ হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিবাদের যারা দোসর ছিল, তাদের দিয়ে আওয়ামী খুনি-সন্ত্রাসীদের বিচার করা সম্ভব নয়।
শিক্ষার্থী ও আইনজীবীদের বিক্ষোভ মিছিল, বক্তব্য, স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণ। বিক্ষোভের সময় সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে পুলিশের পাশাপাশি অবস্থান নেন সেনাসদস্যরাও।
দুপুর ১২টা ৩৩ মিনিটে প্রধান বিচারপতির দপ্তরে যান বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান। ১২টা ৩৮ মিনিটে যান বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান। তাঁরা আলাদাভাবে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে তাঁর খাসকামরায় দেখা করে চলে যাওয়ার পর বেলা একটার দিকে যান বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন। দুইটার কিছুক্ষণ আগে যান বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলন ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম।
একপর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে বিকেল চারটার দিকে তিনি অ্যানেক্স ভবনের সামনে এসে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, আপাতত হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতিকে প্রাথমিকভাবে বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাঁর চেম্বারে সমন্বয়কেরা বসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও এটি নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। বিচারপতির পদত্যাগ বা অপসারণের একটি প্রক্রিয়া আছে। কিন্তু বর্তমানে দেশে এ-সংক্রান্ত কোনো আইন নেই। বিগত (আওয়ামী লীগ) সরকার সংসদের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের (ষোড়শ সংশোধনী) উদ্যোগ নিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট তা বাতিল করেছেন। সরকার রিভিউ আবেদন করেছে। ২০ অক্টোবর তা আপিল বিভাগে শুনানি হবে।
আজিজ আহমদ ভূঞা আরও বলেন, ‘আশা করছি, এর মাধ্যমে পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলো শুরু হবে। বিচারপতি অপসারণের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট এককভাবে জড়িত নন। রাষ্ট্রপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও আইন উপদেষ্টা জড়িত আছেন।’ রেজিস্ট্রার জেনারেল সিদ্ধান্ত জানানোর পর আন্দোলনকারীরা হাইকোর্ট চত্বর ছেড়ে যান।
আইনজীবীর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি: বেলা একটার দিকে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ কয়েকজন আন্দোলনকারী সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে দেখা করতে ভেতরে যান। ইনার গার্ডেনে তাঁদের বাধা দেন আইনজীবী শাহ মো. বাবর। তিনি অশালীন মন্তব্য করলে হাসনাত প্রতিবাদ করেন। এ সময় ভেতরে ঢোকেন অর্ধশত আন্দোলনকারী। আইনজীবীর সঙ্গে তাঁদের প্রথমে কথা-কাটাকাটি ও একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে বিএনপিপন্থী কয়েকজন আইনজীবীর উপস্থিতিতে আইনজীবী বাবর দুঃখ প্রকাশ করলে বিষয়টির সুরাহা হয়।
দুই মাস পর উচ্চ আদালত চত্বরে গতকাল বুধবার আবারও বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ‘ফ্যাসিস্ট’ বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে এই বিক্ষোভের পর হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে আপাতত বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
এই বিচারপতিদের মধ্যে একজন বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে এবং বাকি ১১ জন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া। এর আগে ১০ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে ভার্চুয়ালি ফুলকোর্ট সভার দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ঢুকে বিক্ষোভ করেছিলেন। সেদিন দুপুরে পদত্যাগ করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা গতকাল বিকেল চারটার দিকে বিক্ষোভস্থলে এসে জানান, আপাতত হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতিকে কোনো বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না। তিনি এ সিদ্ধান্ত জানানোর পর আন্দোলনকারীরা আদালত প্রাঙ্গণ ছেড়ে যান। ওই ১২ বিচারপতির মধ্যে ছয়জন দুপুরে পৃথকভাবে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে দেখা করেন।
সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসন সূত্র জানায়, যে ১২ জনকে আপাতত বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাঁরা হলেন বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান, বিচারপতি খিজির হায়াত, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান, বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলন, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ।
গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আইনজীবী আশরাফ রহমান মামলার কার্যতালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ করলে তাঁর উদ্দেশে বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান অসৌজন্যমূলক মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এ নিয়ে ওই এজলাসে আইনজীবীদের হট্টগোল হয়। আইনজীবীদের লিখিত অভিযোগের পর প্রধান বিচারপতি ওই বেঞ্চ পুনর্গঠন করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ মঙ্গলবার রাতে ফেসবুক পোস্টে বুধবার বেলা ১১টায় ‘আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে’ হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন। এ কারণে গতকাল সকাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট এবং এর আশপাশে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। বেলা ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্টে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে, ১২ বিচারপতিকে চায়ের দাওয়াত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তবে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বিচারপতিদের পদত্যাগের’ দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে ঢুকে অ্যানেক্স ভবনের সামনে অবস্থান নেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের নেতৃত্বে হাজারখানেক শিক্ষার্থী হাইকোর্ট মাজার গেট দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশ করেন। তাঁরাও অ্যানেক্স ভবনের সামনে অবস্থান নেন। ‘দুর্নীতিগ্রস্ত ও আওয়ামী দলদাস বিচারকদের অপসারণ দাবিতে সেখানে আগে থেকেই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন বৈষম্য ও গণহত্যাবিরোধী আইনজীবী সমাজের ব্যানারে একদল আইনজীবী।
অ্যানেক্স ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ বিচারপতিদের স্থান আদালতে হবে না। আওয়ামী লীগের সরবরাহ করা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে যে সংগঠনের সন্ত্রাসীরা আমাদের ভাই-বোনদের ওপর গুলি চালিয়েছে, হত্যা করেছে, সেই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’ হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিবাদের যারা দোসর ছিল, তাদের দিয়ে আওয়ামী খুনি-সন্ত্রাসীদের বিচার করা সম্ভব নয়।
শিক্ষার্থী ও আইনজীবীদের বিক্ষোভ মিছিল, বক্তব্য, স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণ। বিক্ষোভের সময় সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে পুলিশের পাশাপাশি অবস্থান নেন সেনাসদস্যরাও।
দুপুর ১২টা ৩৩ মিনিটে প্রধান বিচারপতির দপ্তরে যান বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান। ১২টা ৩৮ মিনিটে যান বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান। তাঁরা আলাদাভাবে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে তাঁর খাসকামরায় দেখা করে চলে যাওয়ার পর বেলা একটার দিকে যান বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন। দুইটার কিছুক্ষণ আগে যান বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলন ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম।
একপর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে বিকেল চারটার দিকে তিনি অ্যানেক্স ভবনের সামনে এসে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, আপাতত হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতিকে প্রাথমিকভাবে বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাঁর চেম্বারে সমন্বয়কেরা বসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও এটি নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। বিচারপতির পদত্যাগ বা অপসারণের একটি প্রক্রিয়া আছে। কিন্তু বর্তমানে দেশে এ-সংক্রান্ত কোনো আইন নেই। বিগত (আওয়ামী লীগ) সরকার সংসদের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের (ষোড়শ সংশোধনী) উদ্যোগ নিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট তা বাতিল করেছেন। সরকার রিভিউ আবেদন করেছে। ২০ অক্টোবর তা আপিল বিভাগে শুনানি হবে।
আজিজ আহমদ ভূঞা আরও বলেন, ‘আশা করছি, এর মাধ্যমে পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলো শুরু হবে। বিচারপতি অপসারণের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট এককভাবে জড়িত নন। রাষ্ট্রপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও আইন উপদেষ্টা জড়িত আছেন।’ রেজিস্ট্রার জেনারেল সিদ্ধান্ত জানানোর পর আন্দোলনকারীরা হাইকোর্ট চত্বর ছেড়ে যান।
আইনজীবীর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি: বেলা একটার দিকে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ কয়েকজন আন্দোলনকারী সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে দেখা করতে ভেতরে যান। ইনার গার্ডেনে তাঁদের বাধা দেন আইনজীবী শাহ মো. বাবর। তিনি অশালীন মন্তব্য করলে হাসনাত প্রতিবাদ করেন। এ সময় ভেতরে ঢোকেন অর্ধশত আন্দোলনকারী। আইনজীবীর সঙ্গে তাঁদের প্রথমে কথা-কাটাকাটি ও একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে বিএনপিপন্থী কয়েকজন আইনজীবীর উপস্থিতিতে আইনজীবী বাবর দুঃখ প্রকাশ করলে বিষয়টির সুরাহা হয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে