অরুণ কর্মকার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে তলে তলে অনেক কিছুই হয়েছে। আবার জোর চেষ্টা করা সত্ত্বেও অনেক কিছু হয়নি। যেমন সরকার ও সরকারি দলের সঙ্গে বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলার সমঝোতা হয়নি। শুধু সমঝোতা কেন, একটা আনুষ্ঠানিক আলোচনা পর্যন্ত হয়নি! এই পরিস্থিতিতে যথেষ্ট উত্তাপ-উত্তেজনা-অনিশ্চয়তা এবং একটা নিষ্ফল আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ এখন প্রায় নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। কিন্তু এখনো যে তলে তলে কিছু হচ্ছে না, তেমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।
আওয়ামী লীগ এখন ব্যস্ত ১৪-দলীয় জোটভুক্ত শরিকদের নিয়ে। শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতা, নির্বাচনী প্রতীক ইত্যাদি নিয়ে আওয়ামী লীগের ব্যস্ততার কথা কমবেশি সবাই জানে। দলটির শরিকদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যখন সেই সবের কিছু কিছু জানানো হয়, তখন কিছু খবরাখবর পাওয়া যায়; অর্থাৎ এখনো বিষয়টি নিয়ে তলে তলে কিছু না কিছু হচ্ছে। যদিও ১৪-দলীয় জোটভুক্ত শরিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের এই তলে তলে ঘটে চলা ঘটনাবলি অতল নয়। এর একটা নির্দিষ্ট তল আছে। তবে জটিলতা তো কিছু আছেই।
এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা উচিত বলে মনে হয়। বিষয়টি হলো, আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটভুক্ত অধিকাংশই বাম ধারার দল। দেশে এর বাইরেও বামপন্থী ধারার দল রয়েছে। কিন্তু এত দিনেও এর একটি দলও এমন কোনো রাজনৈতিক-সামাজিক অবস্থান তৈরি করতে পারল না, যাতে জাতীয় নির্বাচনে অন্তত একটি আসনে বিজয় নিশ্চিত হতে পারে। ওই দলগুলো এ বিষয়টিকে কীভাবে মূল্যায়ন করে, তা আমাদের জানা নেই। তবে জাতির জন্য এটা যে এক বড় দুর্ভাগ্য তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
১৪-দলীয় জোটের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ব্যস্ততা রয়েছে মহাজোট নিয়ে। কিংবা বলা যায় মহাজোটের অংশ জাতীয় পার্টিকে নিয়ে। এ ক্ষেত্রেও তলে তলে অনেক কিছু হচ্ছে এবং সেই তল ১৪-দলীয় জোটের মতো অগভীর নয়। একেবারে অতল বলা না গেলেও, সেই তল খুঁজে পাওয়া একটু কঠিন। জাতীয় পার্টির রহস্যময় আচরণেও তার প্রমাণ পাওয়া যায়। সে কারণেই বোধ হয় জাতীয় পার্টিকে নিয়ে যা হচ্ছে তার সবকিছু জনসম্মুখে আসছে না। কিন্তু ঘটনাবলি ঠিকই ঘটে চলেছে।
শোনা যায়, এই ঘটনার মূল কুশীলব আমাদের বিদেশি বন্ধুরা, যাঁরা নির্বাচন সামনে রেখে অতিতৎপর হয়ে উঠেছিলেন। তারপর তাঁরা রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেক উত্তাপ ছড়িয়ে, তফসিল ঘোষণার পর থেকে হঠাৎ করেই চুপচাপ হয়ে প্রায় লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গেছেন। আবার ফিরেও এসেছেন চুপিসারে। এখন শোনা যাচ্ছে, আসলে তাঁরা একেবারে চুপচাপ হয়ে যাননি। তলে তলে কিছু তৎপরতা এখনো অব্যাহত রেখেছেন। জনসম্মুখে সেসব তৎপরতার প্রকাশ (মেনিফেস্টেশন) ঘটছে বা দৃশ্যমান হচ্ছে ভিন্নভাবে। মানে নির্বাচনী রাজনৈতিক ময়দানে আমরা যেসব দৃশ্য অবলোকন করছি, তার পেছনে রয়েছে তলে তলে চালানো সেই সব তৎপরতার ইন্ধন।
এখন নাকি বিদেশি বন্ধুরা ভর করেছেন কিংবা বলা যায় ভরসা করছেন জাতীয় পার্টির ওপর। তাঁদের লক্ষ্য হচ্ছে, জাতীয় পার্টি যেন টাল্টিবাল্টি (শব্দটি জাতীয় পার্টির এক নেতার কাছ থেকেই শুনে মনে হলো এর প্রয়োগ যথার্থ হয়েছে। এই পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এরশাদ যখন পার্টির নেতৃত্ব দিয়েছেন, তখনো একই রকম রহস্যময় আচার-আচরণ লক্ষ্য করা গেছে। টাল্টিবাল্টি করা জাতীয় পার্টির মজ্জাগত) করে নির্বাচন থেকে সটকে পড়ে; অর্থাৎ বিদেশি বন্ধুদের তৎপরতার লক্ষ্য জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখা, যাতে নির্বাচনকে অগ্রহণযোগ্য প্রমাণ করা সহজ হয়। এই ইন্ধনেই জাতীয় পার্টির হরেক রকম বায়না এবং তা নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে একধরনের লুকোচুরি খেলা চলছে।
নির্বাচনী-প্রক্রিয়ার শুরুতে জাতীয় পার্টির মধ্যে ব্যাপক দ্বিধাবিভক্তি ছিল। তখন তারা এমন একটা ভাব ধরল যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। অনেক টাল্টিবাল্টির পর অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিল এবং মনোনয়নপত্রও দাখিল করল। এরপর এখন তাদের অবস্থান হলো আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতা চাই। দলের কোনো কোনো নেতা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতেও প্রস্তুত। তবে দলীয় নেতৃত্বের দাবি হচ্ছে, আসন সমঝোতার পর তাঁদের প্রার্থীদের আসনে নৌকা প্রতীকের কিংবা আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থী থাকতে পারবে না।
তার মানে তাঁদের একধরনের ওয়াকওভার দিতে হবে। এই পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক কথাবার্তা কিংবা বৈঠক শুরুর আগে গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতাদের এক বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে দলটির নেতারা বলেছেন, তাঁরা লাঙ্গল প্রতীকেই নির্বাচন করতে চান। তবে যে কথা এখানে ঊহ্য রাখা হয়েছে তা হলো, তাঁদের জন্য নির্ধারিত (যার সংখ্যা প্রায় ৪০) আসনগুলোতে নৌকা প্রতীকের কোনো প্রার্থী না দেওয়ার বায়না। তবে এর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সাক্ষাতে তাঁদের যে কিছু কথাবার্তা হয়েছে, তা দুই পক্ষই গোপন রেখেছে।
অবশ্য গোপন রাখলেই তো আর সবকিছু গোপন থাকে না। এগুলোও গোপন নেই।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির আসন সমঝোতা নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়ে গেছে। সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে, সেই অনুযায়ী জাতীয় পার্টির বায়না ৩৫ আসন। আর আওয়ামী লীগ শুরু করেছে ১০টি থেকে। মানে ১০টি আসন আওয়ামী লীগ ছাড়বে। বাকিগুলোতে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা করে আসতে হবে। বোঝা যাচ্ছে, এই দর-কষাকষিতে জাতীয় পার্টির বায়না কিছুটা কমবে। আর আওয়ামী লীগ আরও কিছু ছাড়বে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। কারণ জাতীয় পার্টির পেছনে অশুভ ইন্ধন রয়েছে।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন জাতীয় পার্টি সত্যিই যদি সব আসনে তাদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে পড়ে, তাহলে পরিস্থিতি ভিন্নতর হতে পারে।
তলে তলে আরেকটি তৎপরতা চলেছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে। এই দুটি দলের অবস্থা হচ্ছে ‘ছাড়ি ছাড়ি করি, তবু ছাড়িতে না পারি’র মতো। জামায়াতকে সঙ্গী করলে বিএনপির জন্য বোঝা, না করলে সমস্যা। আর জামায়াত তো জানেই যে বিএনপি ছাড়া বেশি দূর অগ্রসর হওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আসলে স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত জামায়াতের সবকিছুই হয়েছে বিএনপির সহায়তায়।
এখনো অবস্থা সে রকমই। কিন্তু এই দুই দলের জোটবদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হলো বিএনপির অন্য মিত্ররা; বিশেষ করে চলমান আন্দোলনে তাদের বামধারার সহযোগীরা। তবে এই মিত্ররা আবার জামায়াতের মতো কার্যকর সহায়ক শক্তি নয়। আন্দোলনেও না, নির্বাচনেও না। কখনো হতে পারবেও না। সুতরাং বিএনপি-জামায়াতের ঘনিষ্ঠতা তলে তলে কতটা এগোয় তা একটি পর্যবেক্ষণের বিষয় বটে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে তলে তলে অনেক কিছুই হয়েছে। আবার জোর চেষ্টা করা সত্ত্বেও অনেক কিছু হয়নি। যেমন সরকার ও সরকারি দলের সঙ্গে বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলার সমঝোতা হয়নি। শুধু সমঝোতা কেন, একটা আনুষ্ঠানিক আলোচনা পর্যন্ত হয়নি! এই পরিস্থিতিতে যথেষ্ট উত্তাপ-উত্তেজনা-অনিশ্চয়তা এবং একটা নিষ্ফল আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ এখন প্রায় নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। কিন্তু এখনো যে তলে তলে কিছু হচ্ছে না, তেমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।
আওয়ামী লীগ এখন ব্যস্ত ১৪-দলীয় জোটভুক্ত শরিকদের নিয়ে। শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতা, নির্বাচনী প্রতীক ইত্যাদি নিয়ে আওয়ামী লীগের ব্যস্ততার কথা কমবেশি সবাই জানে। দলটির শরিকদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যখন সেই সবের কিছু কিছু জানানো হয়, তখন কিছু খবরাখবর পাওয়া যায়; অর্থাৎ এখনো বিষয়টি নিয়ে তলে তলে কিছু না কিছু হচ্ছে। যদিও ১৪-দলীয় জোটভুক্ত শরিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের এই তলে তলে ঘটে চলা ঘটনাবলি অতল নয়। এর একটা নির্দিষ্ট তল আছে। তবে জটিলতা তো কিছু আছেই।
এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা উচিত বলে মনে হয়। বিষয়টি হলো, আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটভুক্ত অধিকাংশই বাম ধারার দল। দেশে এর বাইরেও বামপন্থী ধারার দল রয়েছে। কিন্তু এত দিনেও এর একটি দলও এমন কোনো রাজনৈতিক-সামাজিক অবস্থান তৈরি করতে পারল না, যাতে জাতীয় নির্বাচনে অন্তত একটি আসনে বিজয় নিশ্চিত হতে পারে। ওই দলগুলো এ বিষয়টিকে কীভাবে মূল্যায়ন করে, তা আমাদের জানা নেই। তবে জাতির জন্য এটা যে এক বড় দুর্ভাগ্য তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
১৪-দলীয় জোটের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ব্যস্ততা রয়েছে মহাজোট নিয়ে। কিংবা বলা যায় মহাজোটের অংশ জাতীয় পার্টিকে নিয়ে। এ ক্ষেত্রেও তলে তলে অনেক কিছু হচ্ছে এবং সেই তল ১৪-দলীয় জোটের মতো অগভীর নয়। একেবারে অতল বলা না গেলেও, সেই তল খুঁজে পাওয়া একটু কঠিন। জাতীয় পার্টির রহস্যময় আচরণেও তার প্রমাণ পাওয়া যায়। সে কারণেই বোধ হয় জাতীয় পার্টিকে নিয়ে যা হচ্ছে তার সবকিছু জনসম্মুখে আসছে না। কিন্তু ঘটনাবলি ঠিকই ঘটে চলেছে।
শোনা যায়, এই ঘটনার মূল কুশীলব আমাদের বিদেশি বন্ধুরা, যাঁরা নির্বাচন সামনে রেখে অতিতৎপর হয়ে উঠেছিলেন। তারপর তাঁরা রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেক উত্তাপ ছড়িয়ে, তফসিল ঘোষণার পর থেকে হঠাৎ করেই চুপচাপ হয়ে প্রায় লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গেছেন। আবার ফিরেও এসেছেন চুপিসারে। এখন শোনা যাচ্ছে, আসলে তাঁরা একেবারে চুপচাপ হয়ে যাননি। তলে তলে কিছু তৎপরতা এখনো অব্যাহত রেখেছেন। জনসম্মুখে সেসব তৎপরতার প্রকাশ (মেনিফেস্টেশন) ঘটছে বা দৃশ্যমান হচ্ছে ভিন্নভাবে। মানে নির্বাচনী রাজনৈতিক ময়দানে আমরা যেসব দৃশ্য অবলোকন করছি, তার পেছনে রয়েছে তলে তলে চালানো সেই সব তৎপরতার ইন্ধন।
এখন নাকি বিদেশি বন্ধুরা ভর করেছেন কিংবা বলা যায় ভরসা করছেন জাতীয় পার্টির ওপর। তাঁদের লক্ষ্য হচ্ছে, জাতীয় পার্টি যেন টাল্টিবাল্টি (শব্দটি জাতীয় পার্টির এক নেতার কাছ থেকেই শুনে মনে হলো এর প্রয়োগ যথার্থ হয়েছে। এই পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এরশাদ যখন পার্টির নেতৃত্ব দিয়েছেন, তখনো একই রকম রহস্যময় আচার-আচরণ লক্ষ্য করা গেছে। টাল্টিবাল্টি করা জাতীয় পার্টির মজ্জাগত) করে নির্বাচন থেকে সটকে পড়ে; অর্থাৎ বিদেশি বন্ধুদের তৎপরতার লক্ষ্য জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখা, যাতে নির্বাচনকে অগ্রহণযোগ্য প্রমাণ করা সহজ হয়। এই ইন্ধনেই জাতীয় পার্টির হরেক রকম বায়না এবং তা নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে একধরনের লুকোচুরি খেলা চলছে।
নির্বাচনী-প্রক্রিয়ার শুরুতে জাতীয় পার্টির মধ্যে ব্যাপক দ্বিধাবিভক্তি ছিল। তখন তারা এমন একটা ভাব ধরল যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। অনেক টাল্টিবাল্টির পর অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিল এবং মনোনয়নপত্রও দাখিল করল। এরপর এখন তাদের অবস্থান হলো আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতা চাই। দলের কোনো কোনো নেতা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতেও প্রস্তুত। তবে দলীয় নেতৃত্বের দাবি হচ্ছে, আসন সমঝোতার পর তাঁদের প্রার্থীদের আসনে নৌকা প্রতীকের কিংবা আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থী থাকতে পারবে না।
তার মানে তাঁদের একধরনের ওয়াকওভার দিতে হবে। এই পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক কথাবার্তা কিংবা বৈঠক শুরুর আগে গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতাদের এক বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে দলটির নেতারা বলেছেন, তাঁরা লাঙ্গল প্রতীকেই নির্বাচন করতে চান। তবে যে কথা এখানে ঊহ্য রাখা হয়েছে তা হলো, তাঁদের জন্য নির্ধারিত (যার সংখ্যা প্রায় ৪০) আসনগুলোতে নৌকা প্রতীকের কোনো প্রার্থী না দেওয়ার বায়না। তবে এর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সাক্ষাতে তাঁদের যে কিছু কথাবার্তা হয়েছে, তা দুই পক্ষই গোপন রেখেছে।
অবশ্য গোপন রাখলেই তো আর সবকিছু গোপন থাকে না। এগুলোও গোপন নেই।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির আসন সমঝোতা নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়ে গেছে। সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে, সেই অনুযায়ী জাতীয় পার্টির বায়না ৩৫ আসন। আর আওয়ামী লীগ শুরু করেছে ১০টি থেকে। মানে ১০টি আসন আওয়ামী লীগ ছাড়বে। বাকিগুলোতে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা করে আসতে হবে। বোঝা যাচ্ছে, এই দর-কষাকষিতে জাতীয় পার্টির বায়না কিছুটা কমবে। আর আওয়ামী লীগ আরও কিছু ছাড়বে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। কারণ জাতীয় পার্টির পেছনে অশুভ ইন্ধন রয়েছে।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন জাতীয় পার্টি সত্যিই যদি সব আসনে তাদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে পড়ে, তাহলে পরিস্থিতি ভিন্নতর হতে পারে।
তলে তলে আরেকটি তৎপরতা চলেছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে। এই দুটি দলের অবস্থা হচ্ছে ‘ছাড়ি ছাড়ি করি, তবু ছাড়িতে না পারি’র মতো। জামায়াতকে সঙ্গী করলে বিএনপির জন্য বোঝা, না করলে সমস্যা। আর জামায়াত তো জানেই যে বিএনপি ছাড়া বেশি দূর অগ্রসর হওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আসলে স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত জামায়াতের সবকিছুই হয়েছে বিএনপির সহায়তায়।
এখনো অবস্থা সে রকমই। কিন্তু এই দুই দলের জোটবদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হলো বিএনপির অন্য মিত্ররা; বিশেষ করে চলমান আন্দোলনে তাদের বামধারার সহযোগীরা। তবে এই মিত্ররা আবার জামায়াতের মতো কার্যকর সহায়ক শক্তি নয়। আন্দোলনেও না, নির্বাচনেও না। কখনো হতে পারবেও না। সুতরাং বিএনপি-জামায়াতের ঘনিষ্ঠতা তলে তলে কতটা এগোয় তা একটি পর্যবেক্ষণের বিষয় বটে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪৪ মিনিট আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
১ ঘণ্টা আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
১ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ ঘণ্টা আগে