এম মনসুর আলী, সরাইল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ও নাসিরনগর উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে কান্তার খাল। খালটির কারণে বিচ্ছিন্ন দুই উপজেলা। খালের এক পাড়ে সরাইল উপজেলার সর্ববৃহৎ অরুয়াইল বাজার এবং অন্য পাড়ে নাসিরনগর উপজেলার প্রাচীন ও বৃহত্তম বাজার চাতলপাড়। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষকে এই খাল পার হয়ে চলাচল করতে হয়। তবে যুগের পর যুগ কেটে গেলেও খালে সেতু নির্মাণ করতে দুই উপজেলাবাসীর দাবি পূরণ হয়নি।
এদিকে খাল পারাপারে সেতু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি সহ্য করতে হচ্ছে ৫০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষকে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়েই ছোট ছোট নৌকায় খাল পার হতে হচ্ছে। এ ছাড়া জরুরি চিকিৎসায় বেগ পেতে হচ্ছে এখানকার মানুষকে।
ভুক্তভোগী মানুষের দাবি, রাতের বেলা কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে এই খালের কাছে আটকে যায় মানুষ। কারণ তখন খেয়াঘাটে নৌকা থাকে না। এমনও হয়েছে খেয়া ভাড়া দেওয়ার সামর্থ্য না থাকায় অনেক ছেলেমেয়ে নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে না। এতে শিক্ষায় পিছিয়ে পড়ছে এই দুই উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এসব কারণে খালটি এখন লাখো মানুষের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, নাসিরনগর উপজেলা চাতলপাড় ইউনিয়নের ২০ গ্রামের মানুষ খালটি পার হয়ে সরাইল উপজেলার অরুয়াইল বাজারে যায়। আবার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল, পাকশিমুল ও চুন্টা ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামের মানুষকে খাল পার হয়ে চাতলপাড় বাজারে আসতে হয়। একইভাবে অসুস্থ মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও খাল পার হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়।
দুই উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চাতলপাড় বাজারের আশপাশের অর্ধশতাধিক গ্রাম নাসিরনগর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত হলেও, এসব গ্রাম তাদের উপজেলা সদর থেকে অন্তত ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তাই এসব গ্রামের মানুষ খালের ঠিক ওপারে অবস্থিত সরাইল উপজেলার অরুয়াইল বাজারেই বাজার-সওদা থেকে শুরু করে শিক্ষা-চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকে। এসব মানুষের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠেছে অরুয়াইল বাজারে। এ দুই উপজেলার মানুষকে প্রতিদিনই ব্যবসা-চিকিৎসা-শিক্ষাসহ নানা কাজে ও আত্মীয়তার সূত্রে অরুয়াইল বাজারে আসতে হয়। এ অবস্থায় একটি সেতুর অভাবে তাদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, এই একটি সেতুর জন্য দুটি উপজেলার মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে এই খালে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। সেতুর দুই পাড়ে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি কোনো কাজে আসেনি। আস্তে আস্তে সেটি ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে। তবে মানুষের সেই দুর্ভোগ আগের মতোই রয়ে গেছে।
নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, সরাইল ও নাসিরনগর উপজেলা পাশাপাশি হওয়ায় সরাইল উপজেলার মানুষ নাসিরনগর ও নাসিরনগর উপজেলার মানুষ সরাইল উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে যায় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। এ ছাড়া দুই উপজেলা পাশাপাশি হওয়ায় আত্মীয়স্বজনও বেশি। কিন্তু খালটিতে সেতু না থাকায় দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, দাবি জানাতে জানাতে এখনকার সাধারণ মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছে।
নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় গ্রামের বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, ‘দুই পাশে রাস্তা আছে সেতু নেই। তাই সারা পথ পার হয়ে কান্তার খালে এসে আটকে যেতে হয়। আমরা এ দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ চাই।’
সরাইলের ধামাউড়া গ্রামের গৃহিণী খোদেজা বেগম জানান, আবহাওয়া খারাপ হলে কান্তার খালে নৌকা থাকে না। অন্য নৌকা গেলে তখন ডেকে এনে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে খালটি পার হতে হয়।
সরাইল উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম মিয়া বলেন, ‘আমি সরাইলে যোগদান করেছি কয়েক দিন হলো মাত্র। আমি কয়েক দিনের মধ্যেই ওখানে আসব। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ও নাসিরনগর উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে কান্তার খাল। খালটির কারণে বিচ্ছিন্ন দুই উপজেলা। খালের এক পাড়ে সরাইল উপজেলার সর্ববৃহৎ অরুয়াইল বাজার এবং অন্য পাড়ে নাসিরনগর উপজেলার প্রাচীন ও বৃহত্তম বাজার চাতলপাড়। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষকে এই খাল পার হয়ে চলাচল করতে হয়। তবে যুগের পর যুগ কেটে গেলেও খালে সেতু নির্মাণ করতে দুই উপজেলাবাসীর দাবি পূরণ হয়নি।
এদিকে খাল পারাপারে সেতু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি সহ্য করতে হচ্ছে ৫০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষকে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়েই ছোট ছোট নৌকায় খাল পার হতে হচ্ছে। এ ছাড়া জরুরি চিকিৎসায় বেগ পেতে হচ্ছে এখানকার মানুষকে।
ভুক্তভোগী মানুষের দাবি, রাতের বেলা কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে এই খালের কাছে আটকে যায় মানুষ। কারণ তখন খেয়াঘাটে নৌকা থাকে না। এমনও হয়েছে খেয়া ভাড়া দেওয়ার সামর্থ্য না থাকায় অনেক ছেলেমেয়ে নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে না। এতে শিক্ষায় পিছিয়ে পড়ছে এই দুই উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এসব কারণে খালটি এখন লাখো মানুষের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, নাসিরনগর উপজেলা চাতলপাড় ইউনিয়নের ২০ গ্রামের মানুষ খালটি পার হয়ে সরাইল উপজেলার অরুয়াইল বাজারে যায়। আবার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল, পাকশিমুল ও চুন্টা ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামের মানুষকে খাল পার হয়ে চাতলপাড় বাজারে আসতে হয়। একইভাবে অসুস্থ মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও খাল পার হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়।
দুই উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চাতলপাড় বাজারের আশপাশের অর্ধশতাধিক গ্রাম নাসিরনগর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত হলেও, এসব গ্রাম তাদের উপজেলা সদর থেকে অন্তত ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তাই এসব গ্রামের মানুষ খালের ঠিক ওপারে অবস্থিত সরাইল উপজেলার অরুয়াইল বাজারেই বাজার-সওদা থেকে শুরু করে শিক্ষা-চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকে। এসব মানুষের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠেছে অরুয়াইল বাজারে। এ দুই উপজেলার মানুষকে প্রতিদিনই ব্যবসা-চিকিৎসা-শিক্ষাসহ নানা কাজে ও আত্মীয়তার সূত্রে অরুয়াইল বাজারে আসতে হয়। এ অবস্থায় একটি সেতুর অভাবে তাদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, এই একটি সেতুর জন্য দুটি উপজেলার মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে এই খালে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। সেতুর দুই পাড়ে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি কোনো কাজে আসেনি। আস্তে আস্তে সেটি ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে। তবে মানুষের সেই দুর্ভোগ আগের মতোই রয়ে গেছে।
নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, সরাইল ও নাসিরনগর উপজেলা পাশাপাশি হওয়ায় সরাইল উপজেলার মানুষ নাসিরনগর ও নাসিরনগর উপজেলার মানুষ সরাইল উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে যায় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। এ ছাড়া দুই উপজেলা পাশাপাশি হওয়ায় আত্মীয়স্বজনও বেশি। কিন্তু খালটিতে সেতু না থাকায় দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, দাবি জানাতে জানাতে এখনকার সাধারণ মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছে।
নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় গ্রামের বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, ‘দুই পাশে রাস্তা আছে সেতু নেই। তাই সারা পথ পার হয়ে কান্তার খালে এসে আটকে যেতে হয়। আমরা এ দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ চাই।’
সরাইলের ধামাউড়া গ্রামের গৃহিণী খোদেজা বেগম জানান, আবহাওয়া খারাপ হলে কান্তার খালে নৌকা থাকে না। অন্য নৌকা গেলে তখন ডেকে এনে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে খালটি পার হতে হয়।
সরাইল উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম মিয়া বলেন, ‘আমি সরাইলে যোগদান করেছি কয়েক দিন হলো মাত্র। আমি কয়েক দিনের মধ্যেই ওখানে আসব। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে