অর্চি হক, ঢাকা
চিকিৎসার প্রয়োজনে মাকে নিয়ে আগামী এপ্রিলে ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তানজির ইসলামের। কিন্তু ১২ মার্চ তিনি জানতে পারেন, এপ্রিল মাসজুড়ে পাঁচ ধাপে নেওয়া হবে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা, যে পরীক্ষার জন্য ২০২০ সাল থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। পরিবারের হাল ধরতে চাকরিটা খুব দরকার। তাই বাধ্য হয়েই এপ্রিলে ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেন তানজির। কিন্তু যেই পরীক্ষার জন্য সব পরিকল্পনা এলোমেলো হয়ে গেছে, সেই পরীক্ষাই এখন অনিশ্চয়তায়।
আজকের পত্রিকাকে তানজির বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হলো ১ এপ্রিল শুরু হবে পরীক্ষা। সেভাবেই সব প্রস্তুতি নিলাম। এখন দেখছি, ১ এপ্রিল পরীক্ষা তো হবেই না। কবে শুরু হবে তা নিয়েও ঝেড়ে কাশছে না কেউ।’
তানজিরের মতোই প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তায় দিন পার করছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী। শুধু পরীক্ষার তারিখ নয়, পরীক্ষার স্থান নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।
সারা দেশে ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এরপর ১০ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভায় ৩২ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। প্রাথমিকের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় নিয়োগ। এই নিয়োগ পরীক্ষার অপেক্ষায় দিন গুনছেন ১৩ লাখ চাকরিপ্রত্যাশী।
১০ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ১ এপ্রিল থেকে পাঁচ ধাপে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় নেওয়া হবে পরীক্ষা। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে এখন বলা হচ্ছে, পরীক্ষার স্থান ও তারিখ নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা হবে। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
তবে কবে এই সভা হবে তা স্পষ্ট করে জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
অন্যদিকে, মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকায় মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পরও পরীক্ষা নেওয়া যাচ্ছে না।
আর প্রার্থীদের অভিযোগ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের মধ্যে সমন্বয়হীনতাই পরীক্ষা জটিলতার কারণ।
তামান্না রহমান নামের একজন প্রার্থী বলেন, মন্ত্রণালয় সভা করে সিদ্ধান্ত নিল ১ এপ্রিল থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় শুরু হবে পরীক্ষা। অধিদপ্তরের প্রস্তুতি কতদূর, তা তো মন্ত্রণালয় জানেই না। তাহলে এই সিদ্ধান্ত আসত না।
রাসেল আহমেদ নামের আরেক প্রার্থী বলেন, মন্ত্রণালয় আর অধিদপ্তরের কাজের তো কোনো সমন্বয়ই নেই। মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দিল, অথচ তা বাস্তবায়ন করতে পারছে না অধিদপ্তর। প্রস্তুতি না জেনেই একজন সিদ্ধান্ত দিয়ে দেন, আরেকজন সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে তালগোল পাকান।
এসব বিষয়ে জানতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। ক্ষুদেবার্তারও কোনো উত্তর দেননি তিনি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ-সংক্রান্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি।
তবে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের একটি সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই বাতিল হয়ে গেছে। আরেকটিও বাতিলের পর্যায়ে। প্রথমটি হলো ১ এপ্রিল পরীক্ষা নেওয়া। আর দ্বিতীয়টি কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় পরীক্ষা নেওয়া।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, অধিদপ্তর সারা দেশের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিয়ে গত রোববার ভার্চুয়াল সভা করেছে। সেখানে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় নয়, বরং আগের মতো জেলা সদরেই হবে নিয়োগ পরীক্ষা।
তবে অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয় কোনো পক্ষই এটা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কিছু বলছে না।
প্রার্থীরা বলছেন, এই পরীক্ষার দিন, তারিখ ও স্থান নিয়ে বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন তাঁদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। তাঁদের দাবি—সিদ্ধান্ত যেটাই হোক না কেন, দ্রুত সবাইকে যেন জানিয়ে দেওয়া হয়।
চিকিৎসার প্রয়োজনে মাকে নিয়ে আগামী এপ্রিলে ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তানজির ইসলামের। কিন্তু ১২ মার্চ তিনি জানতে পারেন, এপ্রিল মাসজুড়ে পাঁচ ধাপে নেওয়া হবে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা, যে পরীক্ষার জন্য ২০২০ সাল থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। পরিবারের হাল ধরতে চাকরিটা খুব দরকার। তাই বাধ্য হয়েই এপ্রিলে ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেন তানজির। কিন্তু যেই পরীক্ষার জন্য সব পরিকল্পনা এলোমেলো হয়ে গেছে, সেই পরীক্ষাই এখন অনিশ্চয়তায়।
আজকের পত্রিকাকে তানজির বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হলো ১ এপ্রিল শুরু হবে পরীক্ষা। সেভাবেই সব প্রস্তুতি নিলাম। এখন দেখছি, ১ এপ্রিল পরীক্ষা তো হবেই না। কবে শুরু হবে তা নিয়েও ঝেড়ে কাশছে না কেউ।’
তানজিরের মতোই প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তায় দিন পার করছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী। শুধু পরীক্ষার তারিখ নয়, পরীক্ষার স্থান নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।
সারা দেশে ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এরপর ১০ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভায় ৩২ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। প্রাথমিকের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় নিয়োগ। এই নিয়োগ পরীক্ষার অপেক্ষায় দিন গুনছেন ১৩ লাখ চাকরিপ্রত্যাশী।
১০ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ১ এপ্রিল থেকে পাঁচ ধাপে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় নেওয়া হবে পরীক্ষা। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে এখন বলা হচ্ছে, পরীক্ষার স্থান ও তারিখ নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা হবে। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
তবে কবে এই সভা হবে তা স্পষ্ট করে জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
অন্যদিকে, মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকায় মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পরও পরীক্ষা নেওয়া যাচ্ছে না।
আর প্রার্থীদের অভিযোগ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের মধ্যে সমন্বয়হীনতাই পরীক্ষা জটিলতার কারণ।
তামান্না রহমান নামের একজন প্রার্থী বলেন, মন্ত্রণালয় সভা করে সিদ্ধান্ত নিল ১ এপ্রিল থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় শুরু হবে পরীক্ষা। অধিদপ্তরের প্রস্তুতি কতদূর, তা তো মন্ত্রণালয় জানেই না। তাহলে এই সিদ্ধান্ত আসত না।
রাসেল আহমেদ নামের আরেক প্রার্থী বলেন, মন্ত্রণালয় আর অধিদপ্তরের কাজের তো কোনো সমন্বয়ই নেই। মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দিল, অথচ তা বাস্তবায়ন করতে পারছে না অধিদপ্তর। প্রস্তুতি না জেনেই একজন সিদ্ধান্ত দিয়ে দেন, আরেকজন সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে তালগোল পাকান।
এসব বিষয়ে জানতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। ক্ষুদেবার্তারও কোনো উত্তর দেননি তিনি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ-সংক্রান্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি।
তবে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের একটি সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই বাতিল হয়ে গেছে। আরেকটিও বাতিলের পর্যায়ে। প্রথমটি হলো ১ এপ্রিল পরীক্ষা নেওয়া। আর দ্বিতীয়টি কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় পরীক্ষা নেওয়া।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, অধিদপ্তর সারা দেশের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিয়ে গত রোববার ভার্চুয়াল সভা করেছে। সেখানে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় নয়, বরং আগের মতো জেলা সদরেই হবে নিয়োগ পরীক্ষা।
তবে অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয় কোনো পক্ষই এটা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কিছু বলছে না।
প্রার্থীরা বলছেন, এই পরীক্ষার দিন, তারিখ ও স্থান নিয়ে বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন তাঁদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। তাঁদের দাবি—সিদ্ধান্ত যেটাই হোক না কেন, দ্রুত সবাইকে যেন জানিয়ে দেওয়া হয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে