এম এস রানা
কেন থিয়েটার আর্টিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ঢাকা (টাড) গড়ার পরিকল্পনা করলেন?
দেশের নাট্যশিল্পীদের অবস্থা খুব ভালো নয়। হয়তো ঢাকার শিল্পীরা একটু সুযোগ-সুবিধা বেশি পান, তবে সামগ্রিক চিত্রে খুব বেশি পরিবর্তন নেই। সবখানেই নাট্যশিল্পীরা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। নাট্যশিল্পীদের লড়াইয়ের প্রেক্ষাপট অঞ্চলভেদে স্বতন্ত্র। তাই নাট্যশিল্পীদের স্থানীয়ভাবে নিজ নিজ অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়াটা জরুরি। এ লক্ষ্য নিয়েই আমরা যারা ঢাকায় কাজ করি, এমন কয়েকজন বসে ঢাকা মহানগরীর থিয়েটারচর্চায় যুক্ত নাট্যশিল্পীদের এই প্ল্যাটফর্ম গড়ার উদ্যোগ নিই। নাট্যশিল্পীদের অধিকার, স্বার্থ ও দাবি আদায় এবং তাঁদের শৈল্পিক উৎকর্ষ উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করবে সংগঠনটি।
সংগঠনটির নেতৃত্ব দেবেন কারা?
আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত সাত সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি সংগঠনটির নেতৃত্ব দেবে। জানুয়ারিতে ইলেকশন অথবা সিলেকশনের মাধ্যমে সংগঠনের সদস্যদের মধ্য থেকে কার্যকরী কমিটি গঠন করা হবে।
আহ্বায়ক কমিটিতে কে কে আছেন?
তৌফিকুল ইসলাম ইমন, আসাদুল ইসলাম, শামীম সাগর, কাজী রোকসানা রুমা, রেজা আরিফ, সাইফ সুমন এবং আমি।
কারা সদস্য হতে পারবেন?
ঢাকার যেকোনো নাট্যকর্মী যাঁরা কমপক্ষে পাঁচ বছর থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত আছেন, তাঁরাই সদস্য হতে পারবেন।
সংগঠনের আর্থিক জোগান কীভাবে হবে?
সদস্যদের চাঁদা থেকে। যাঁরা সদস্য হবেন, তাঁরা এক হাজার টাকা জমা দিয়ে সদস্য হবেন এবং মাসিক ২০০ টাকা করে সদস্য ফি দেবেন। এ ছাড়া কেউ চাইলে এককালীন কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে আজীবন সদস্য হতে পারবেন।
কেবল ঢাকার সদস্যদের নিয়ে সংগঠন গড়ার কারণ কী?
আগেই বলেছি, নাট্যশিল্পীদের লড়াইয়ের প্রেক্ষাপট অঞ্চলভেদে স্বতন্ত্র হয়। তাই নাট্যশিল্পীদের স্থানীয়ভাবে নিজ নিজ অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়াটা জরুরি। আমরা অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে চাই। আশা রাখি ঢাকার মতো চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, গাজীপুর কিংবা নারায়ণগঞ্জসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের নাট্যশিল্পীরাও এক হবেন। নিজেদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলবেন।
সুনির্দিষ্ট কোন কোন বিষয়ে কাজ করবে টাড?
সারা দেশের নাট্যশিল্পীদের মধ্যে আন্তসম্পর্ক গড়ে তোলা, তাঁদের সামগ্রিক কল্যাণ ও স্বার্থ রক্ষা করা, অসচ্ছল বা অসুস্থ সদস্যদের আপৎকালীন সাহায্যের জন্য কল্যাণ তহবিল পরিচালনা করা, ক্যাফে ও লাইব্রেরি সুবিধাসহ থিয়েটার ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা, থিয়েটারকে পেশা হিসেবে দাঁড় করানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, থিয়েটার কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা, নাট্যশিল্পীদের দক্ষতা ও মানোন্নয়নে প্রশিক্ষণ, সভা, সেমিনার আয়োজন করা এবং দেশি-বিদেশি নাট্যশিল্পীদের মধ্যে নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা।
নাট্যকর্মীদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে সংগঠনের কী ধরনের ভূমিকা থাকবে?
এটা আসলে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যার যেমন সহযোগিতা দরকার, সে বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা চাই শিল্পীদের মাঝে পারস্পরিক শৈল্পিক সম্পর্কটা যেন বজায় থাকে। রাজনৈতিক কারণেও শিল্পীদের মাঝে দূরত্ব তৈরি হতে দেখেছি। যেকোনো শিল্পীর রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতেই পারে। যে কেউ যে দলই করুক, আমাদের চাওয়া—শেষ পর্যন্ত আমরা শিল্পী, এটা যেন বজায় থাকে।
দেশি-বিদেশি শিল্পীদের মাঝে নেটওয়ার্ক তৈরির কথা বললেন। এটা কীভাবে করা হবে?
নাট্যচর্চা নিয়ে বিদেশি শিল্পীদের সঙ্গে ভাবনা বা পরিকল্পনার আদান-প্রদান করতেই এমন পরিকল্পনা নেওয়া। এখন তো অনলাইনের যুগ। অনলাইনে যুক্ত হয়ে বা সরাসরি কোনো আয়োজনের মাধ্যমে করা যেতে পারে।
ঢাকার নাট্যমঞ্চগুলো একই এলাকায় অবস্থিত। নাট্যমঞ্চ সম্প্রসারণের মাধ্যমে নাট্যচর্চাকে আরও ছড়িয়ে দেওয়া বা পেশাগত নাট্যচর্চায় শিল্পীদের সম্মানী বা বেতনের ব্যবস্থা করা নিয়ে কথা উঠছে। এ বিষয়ে আপনাদের সংগঠনের কোনো ভূমিকা থাকবে?
এসব তো হুট করেই করে ফেলা সম্ভব নয়। সঠিক পরিকল্পনা লাগে। এসব নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি কাজ করছে। প্রয়োজনে আমরাও সহযোগিতা করব। সরকারের সঙ্গে বসব, আলোচনা ও দেনদরবার করব। প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের নাট্যচর্চাকে আরও সমৃদ্ধ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
কেন থিয়েটার আর্টিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ঢাকা (টাড) গড়ার পরিকল্পনা করলেন?
দেশের নাট্যশিল্পীদের অবস্থা খুব ভালো নয়। হয়তো ঢাকার শিল্পীরা একটু সুযোগ-সুবিধা বেশি পান, তবে সামগ্রিক চিত্রে খুব বেশি পরিবর্তন নেই। সবখানেই নাট্যশিল্পীরা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। নাট্যশিল্পীদের লড়াইয়ের প্রেক্ষাপট অঞ্চলভেদে স্বতন্ত্র। তাই নাট্যশিল্পীদের স্থানীয়ভাবে নিজ নিজ অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়াটা জরুরি। এ লক্ষ্য নিয়েই আমরা যারা ঢাকায় কাজ করি, এমন কয়েকজন বসে ঢাকা মহানগরীর থিয়েটারচর্চায় যুক্ত নাট্যশিল্পীদের এই প্ল্যাটফর্ম গড়ার উদ্যোগ নিই। নাট্যশিল্পীদের অধিকার, স্বার্থ ও দাবি আদায় এবং তাঁদের শৈল্পিক উৎকর্ষ উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করবে সংগঠনটি।
সংগঠনটির নেতৃত্ব দেবেন কারা?
আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত সাত সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি সংগঠনটির নেতৃত্ব দেবে। জানুয়ারিতে ইলেকশন অথবা সিলেকশনের মাধ্যমে সংগঠনের সদস্যদের মধ্য থেকে কার্যকরী কমিটি গঠন করা হবে।
আহ্বায়ক কমিটিতে কে কে আছেন?
তৌফিকুল ইসলাম ইমন, আসাদুল ইসলাম, শামীম সাগর, কাজী রোকসানা রুমা, রেজা আরিফ, সাইফ সুমন এবং আমি।
কারা সদস্য হতে পারবেন?
ঢাকার যেকোনো নাট্যকর্মী যাঁরা কমপক্ষে পাঁচ বছর থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত আছেন, তাঁরাই সদস্য হতে পারবেন।
সংগঠনের আর্থিক জোগান কীভাবে হবে?
সদস্যদের চাঁদা থেকে। যাঁরা সদস্য হবেন, তাঁরা এক হাজার টাকা জমা দিয়ে সদস্য হবেন এবং মাসিক ২০০ টাকা করে সদস্য ফি দেবেন। এ ছাড়া কেউ চাইলে এককালীন কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে আজীবন সদস্য হতে পারবেন।
কেবল ঢাকার সদস্যদের নিয়ে সংগঠন গড়ার কারণ কী?
আগেই বলেছি, নাট্যশিল্পীদের লড়াইয়ের প্রেক্ষাপট অঞ্চলভেদে স্বতন্ত্র হয়। তাই নাট্যশিল্পীদের স্থানীয়ভাবে নিজ নিজ অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়াটা জরুরি। আমরা অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে চাই। আশা রাখি ঢাকার মতো চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, গাজীপুর কিংবা নারায়ণগঞ্জসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের নাট্যশিল্পীরাও এক হবেন। নিজেদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলবেন।
সুনির্দিষ্ট কোন কোন বিষয়ে কাজ করবে টাড?
সারা দেশের নাট্যশিল্পীদের মধ্যে আন্তসম্পর্ক গড়ে তোলা, তাঁদের সামগ্রিক কল্যাণ ও স্বার্থ রক্ষা করা, অসচ্ছল বা অসুস্থ সদস্যদের আপৎকালীন সাহায্যের জন্য কল্যাণ তহবিল পরিচালনা করা, ক্যাফে ও লাইব্রেরি সুবিধাসহ থিয়েটার ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা, থিয়েটারকে পেশা হিসেবে দাঁড় করানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, থিয়েটার কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা, নাট্যশিল্পীদের দক্ষতা ও মানোন্নয়নে প্রশিক্ষণ, সভা, সেমিনার আয়োজন করা এবং দেশি-বিদেশি নাট্যশিল্পীদের মধ্যে নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা।
নাট্যকর্মীদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে সংগঠনের কী ধরনের ভূমিকা থাকবে?
এটা আসলে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যার যেমন সহযোগিতা দরকার, সে বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা চাই শিল্পীদের মাঝে পারস্পরিক শৈল্পিক সম্পর্কটা যেন বজায় থাকে। রাজনৈতিক কারণেও শিল্পীদের মাঝে দূরত্ব তৈরি হতে দেখেছি। যেকোনো শিল্পীর রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতেই পারে। যে কেউ যে দলই করুক, আমাদের চাওয়া—শেষ পর্যন্ত আমরা শিল্পী, এটা যেন বজায় থাকে।
দেশি-বিদেশি শিল্পীদের মাঝে নেটওয়ার্ক তৈরির কথা বললেন। এটা কীভাবে করা হবে?
নাট্যচর্চা নিয়ে বিদেশি শিল্পীদের সঙ্গে ভাবনা বা পরিকল্পনার আদান-প্রদান করতেই এমন পরিকল্পনা নেওয়া। এখন তো অনলাইনের যুগ। অনলাইনে যুক্ত হয়ে বা সরাসরি কোনো আয়োজনের মাধ্যমে করা যেতে পারে।
ঢাকার নাট্যমঞ্চগুলো একই এলাকায় অবস্থিত। নাট্যমঞ্চ সম্প্রসারণের মাধ্যমে নাট্যচর্চাকে আরও ছড়িয়ে দেওয়া বা পেশাগত নাট্যচর্চায় শিল্পীদের সম্মানী বা বেতনের ব্যবস্থা করা নিয়ে কথা উঠছে। এ বিষয়ে আপনাদের সংগঠনের কোনো ভূমিকা থাকবে?
এসব তো হুট করেই করে ফেলা সম্ভব নয়। সঠিক পরিকল্পনা লাগে। এসব নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি কাজ করছে। প্রয়োজনে আমরাও সহযোগিতা করব। সরকারের সঙ্গে বসব, আলোচনা ও দেনদরবার করব। প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের নাট্যচর্চাকে আরও সমৃদ্ধ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে