মা দিবস নিয়ে বেশি উচ্ছ্বাস নেই দিলারা জামানের। বছরের প্রতিটি দিনই মায়েদের জন্য হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। দিলারা জামান বলেন, ‘আমাদের বাঙালি মায়েদের কাছে রোজ মা দিবস। পাশ্চাত্যের অনেক কিছু আমরা গ্রহণ করেছি। তেমনি সেখানকার একটি সংস্কৃতি মা দিবস। সেটাই আমাদের দেশে এসেছে। তবে এটাকে সর্বজনীন উৎসব মনে করি না। এখন আমাদের দেশেও মা দিবসে সন্তানেরা ফুল দেয়, বিভিন্ন উপহার নিয়ে আসে।
আসলে মায়েরা এগুলোর অপেক্ষায় থাকে না। একজন মা অধীর অপেক্ষায় থাকে মা ডাক শোনার জন্য। সন্তানের জন্য বাঙালি মায়ের উন্মুখ হয়ে থাকা, অপেক্ষা বা তৃষ্ণা, সেটা কখনোই মেটার নয়। সারা দিন যেখানেই থাকুক, সন্তানদের উচিত মায়ের খোঁজখবর নেওয়া। এখন তো ফোনের যুগ। চাইলেই সব সময় কাছাকাছি থাকা সম্ভব। নিয়মিত খোঁজখবর নেওয়া, কাজ শেষে মায়ের কাছে ফেরা, কথা বলা—এতটুকুই কিন্তু মায়ের কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি।’
দিলারা জামান আরও বলেন, ‘জীবনের রূঢ় বাস্তবতা সম্পর্কের ভালোবাসা ও মায়া থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। পরিবারের বন্ধন ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। আগে আত্মীয়স্বজন একজন আরেকজনের বাসায় গিয়ে থাকত। চাচা-চাচি, মামা-মামি, খালা-খালু—এই সম্পর্কগুলোর মধ্যেও গভীরতা ছিল। এখন তো পারিবারিক সম্পর্কগুলো বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো। কোনো অনুষ্ঠান ছাড়া কারও সঙ্গে দেখাই হয় না। সম্পর্কগুলো থেকে এতটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি, প্রতিবেশীদের খোঁজও নিই না। খোঁজখবর নিতে গেলেও সমস্যা হয়। তিনিই হয়তো বিষয়টি ভালোভাবে দেখছেন না। আগে তো এমন ছিল না। আধুনিকতা যেমন আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে, তেমনি সম্পর্ক থেকেও বিচ্ছিন্ন করেছে আমাদের।’
দিলারা জামানের দুই মেয়ে। দুজনেই থাকেন দেশের বাইরে। পড়ালেখার জন্য দূরদেশে পাড়ি দেওয়া দুই সন্তান পরবর্তী সময়ে সেখানেই গড়েছেন ক্যারিয়ার।
মা দিলারাকেও নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁদের কাছে। তবে শেকড়ের টানে তিনি ফিরে এসেছেন দেশে। দিলারা জামান বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে বিদেশে থাকে।
প্রতিদিন ওদের ওখানে সকাল হলেই আমাকে ফোন করে খোঁজখবর নেয়। আমি সুস্থ আছি কি না, খেয়েছি কি না! মা দিবসেও ফোন করে উইশ করে। ভিডিওকলের কল্যাণে প্রতিদিন মেয়েদের দেখতে পাচ্ছি। মনে হয়, ওরা তো পাশেই আছে। আমেরিকায় খুব ঘটা করে মা দিবস পালিত হয়। যখন আমেরিকায় ছিলাম, সে সময় বিষয়টি কাছ থেকে দেখেছি। সেই দিনগুলো মিস করি। ভাবি, ওরা কাছে থাকলে খুব আনন্দ হতো। তবে ওরা প্রতিবছর দেশে আসে। আগামী মাসেই আমার বড় মেয়ে আমেরিকা থেকে দেশে আসবে। প্রতীক্ষার আনন্দে বসে আছি। তার পছন্দের অনেক খাবার ডিপ ফ্রিজে রেখে দিচ্ছি। কবে সে আসবে, প্রতিদিন সেই হিসাব করছি।’
শুধু নিজের সন্তানেরা নয়, পর্দার বাইরেও শোবিজের সবাই দিলারা জামানকে মা বলে ডাকেন। মায়ের মতো সম্মান করেন, খোঁজখবর রাখেন। ইন্ডাস্ট্রির এই সন্তানদের নিয়ে দিলারা বলেন, ‘আমি খুব গর্বিত মা। বাংলাদেশের সহস্র ছেলেমেয়ে আমাকে মা বলে ডাকে। এটাই আমার কাছে আনন্দের। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে! মা দিবস উপলক্ষে অনেকেই আগে থেকে ছবি তুলছে। বলছে, ফেসবুকে দেবে। আমি সবাইকে বলি, সবচেয়ে বড় মা হলো দেশ মা। নিজের মায়ের সঙ্গে সঙ্গে যেন আমরা দেশ মাকেও ভালোবাসি। এ ছাড়া এখন ভালো মানুষের খুব প্রয়োজন। আমি চাই, আমার সন্তানেরা যেন ভালো মানুষ হতে পারে।’
মা দিবস নিয়ে বেশি উচ্ছ্বাস নেই দিলারা জামানের। বছরের প্রতিটি দিনই মায়েদের জন্য হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। দিলারা জামান বলেন, ‘আমাদের বাঙালি মায়েদের কাছে রোজ মা দিবস। পাশ্চাত্যের অনেক কিছু আমরা গ্রহণ করেছি। তেমনি সেখানকার একটি সংস্কৃতি মা দিবস। সেটাই আমাদের দেশে এসেছে। তবে এটাকে সর্বজনীন উৎসব মনে করি না। এখন আমাদের দেশেও মা দিবসে সন্তানেরা ফুল দেয়, বিভিন্ন উপহার নিয়ে আসে।
আসলে মায়েরা এগুলোর অপেক্ষায় থাকে না। একজন মা অধীর অপেক্ষায় থাকে মা ডাক শোনার জন্য। সন্তানের জন্য বাঙালি মায়ের উন্মুখ হয়ে থাকা, অপেক্ষা বা তৃষ্ণা, সেটা কখনোই মেটার নয়। সারা দিন যেখানেই থাকুক, সন্তানদের উচিত মায়ের খোঁজখবর নেওয়া। এখন তো ফোনের যুগ। চাইলেই সব সময় কাছাকাছি থাকা সম্ভব। নিয়মিত খোঁজখবর নেওয়া, কাজ শেষে মায়ের কাছে ফেরা, কথা বলা—এতটুকুই কিন্তু মায়ের কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি।’
দিলারা জামান আরও বলেন, ‘জীবনের রূঢ় বাস্তবতা সম্পর্কের ভালোবাসা ও মায়া থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। পরিবারের বন্ধন ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। আগে আত্মীয়স্বজন একজন আরেকজনের বাসায় গিয়ে থাকত। চাচা-চাচি, মামা-মামি, খালা-খালু—এই সম্পর্কগুলোর মধ্যেও গভীরতা ছিল। এখন তো পারিবারিক সম্পর্কগুলো বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো। কোনো অনুষ্ঠান ছাড়া কারও সঙ্গে দেখাই হয় না। সম্পর্কগুলো থেকে এতটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি, প্রতিবেশীদের খোঁজও নিই না। খোঁজখবর নিতে গেলেও সমস্যা হয়। তিনিই হয়তো বিষয়টি ভালোভাবে দেখছেন না। আগে তো এমন ছিল না। আধুনিকতা যেমন আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে, তেমনি সম্পর্ক থেকেও বিচ্ছিন্ন করেছে আমাদের।’
দিলারা জামানের দুই মেয়ে। দুজনেই থাকেন দেশের বাইরে। পড়ালেখার জন্য দূরদেশে পাড়ি দেওয়া দুই সন্তান পরবর্তী সময়ে সেখানেই গড়েছেন ক্যারিয়ার।
মা দিলারাকেও নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁদের কাছে। তবে শেকড়ের টানে তিনি ফিরে এসেছেন দেশে। দিলারা জামান বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে বিদেশে থাকে।
প্রতিদিন ওদের ওখানে সকাল হলেই আমাকে ফোন করে খোঁজখবর নেয়। আমি সুস্থ আছি কি না, খেয়েছি কি না! মা দিবসেও ফোন করে উইশ করে। ভিডিওকলের কল্যাণে প্রতিদিন মেয়েদের দেখতে পাচ্ছি। মনে হয়, ওরা তো পাশেই আছে। আমেরিকায় খুব ঘটা করে মা দিবস পালিত হয়। যখন আমেরিকায় ছিলাম, সে সময় বিষয়টি কাছ থেকে দেখেছি। সেই দিনগুলো মিস করি। ভাবি, ওরা কাছে থাকলে খুব আনন্দ হতো। তবে ওরা প্রতিবছর দেশে আসে। আগামী মাসেই আমার বড় মেয়ে আমেরিকা থেকে দেশে আসবে। প্রতীক্ষার আনন্দে বসে আছি। তার পছন্দের অনেক খাবার ডিপ ফ্রিজে রেখে দিচ্ছি। কবে সে আসবে, প্রতিদিন সেই হিসাব করছি।’
শুধু নিজের সন্তানেরা নয়, পর্দার বাইরেও শোবিজের সবাই দিলারা জামানকে মা বলে ডাকেন। মায়ের মতো সম্মান করেন, খোঁজখবর রাখেন। ইন্ডাস্ট্রির এই সন্তানদের নিয়ে দিলারা বলেন, ‘আমি খুব গর্বিত মা। বাংলাদেশের সহস্র ছেলেমেয়ে আমাকে মা বলে ডাকে। এটাই আমার কাছে আনন্দের। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে! মা দিবস উপলক্ষে অনেকেই আগে থেকে ছবি তুলছে। বলছে, ফেসবুকে দেবে। আমি সবাইকে বলি, সবচেয়ে বড় মা হলো দেশ মা। নিজের মায়ের সঙ্গে সঙ্গে যেন আমরা দেশ মাকেও ভালোবাসি। এ ছাড়া এখন ভালো মানুষের খুব প্রয়োজন। আমি চাই, আমার সন্তানেরা যেন ভালো মানুষ হতে পারে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে