জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা
আমাদের দেশে এমন একটি রাত এসেছিল, যার চেয়ে অন্ধকার রাত আর হতে পারে না। সেই অমানিশার অন্ধকারে আমরা আমাদের পরিচয় হারিয়েছিলাম। মুক্তিসংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সেদিন সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
সেই রাতে শহীদ হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, শেখ জামালের স্ত্রী রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, এসবি কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান, কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমদ, সেনাসদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হক, বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবলীগের নেতা শেখ ফজলুল হক মণি, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তাঁর কন্যা বেবী, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত ও এক আত্মীয় রেন্টু খান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যারা সেই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিল, ‘সূর্যসন্তান’ নাম দিয়ে সেই কুলাঙ্গারদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে সে সময়কার সরকার। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে তাদের বিচারের পথ বন্ধ করার চেষ্টা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগপর্যন্ত খুনিদের পৃষ্ঠপোষণা চলেছে সরকারিভাবে। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা জায়গা করে নিয়েছে আমাদের দূতাবাসগুলোয়, দেশে ফিরে তাদের কেউ কেউ রাজনীতি করেছে, বসেছে জাতীয় সংসদে। ভুলিয়ে দিতে চেষ্টা করেছে এই দেশের স্থপতির নাম। সে সময়কার সরকার বাহাদুর তাদের মদদ দিয়ে প্রমাণ করেছে, বিশ্বাসঘাতকদের পৃষ্ঠপোষকতা করার অহমিকার ভাগীদার তারা। খন্দকার মোশতাক আহমদ, জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, খালেদা জিয়া—কেউই এই দায় এড়াতে পারেন না।
১৫ আগস্ট-কেন্দ্রিক অনেক বিষয়েই আজও গবেষণা হয়নি। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য যারা প্রত্যক্ষভাবে দায়ী, যারা পরোক্ষে দায়ী, তাদের সবার নামই তো সামনে আসতে হবে। জানতে হবে তাদের কর্মকাণ্ডের স্বরূপ। জাতির জীবনে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়ের জন্ম যারা দিয়েছিল, তাদের মুখোশ উন্মোচন করা জরুরি। শুধু শোকার্ত হয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললে এই হত্যাকাণ্ডের স্বরূপ উন্মোচিত হবে না। কারণ, এ তো শুধু কয়েকজন বিপথগামী সেনা সদস্যের কাজ ছিল না, এর পেছনে ছিল দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র। এ রকম একটি ষড়যন্ত্রের কথা জেনেও সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে ছিলেন কেন, সে প্রশ্নের জবাবও তো পেতে হবে। রাজনীতিবিদেরা কী করে খন্দকার মোশতাকের পেছনে গিয়ে দাঁড়ালেন, সে প্রশ্নেরও জবাব দরকার।
বাঙালির ইতিহাস সংগ্রামের ইতিহাস। সেই ইতিহাসকে অগ্রাহ্য করে ১৫ আগস্ট নেমে এসেছিল জাতিগতভাবে আমাদের অহংকারকে বিনাশ করার জন্য। বঙ্গবন্ধুই আমাদের ইতিহাসে প্রথম বাঙালি, যাঁর অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জাতীয় ঐক্য, বাঙালি জাতিসত্তার রাষ্ট্রীয় অবয়ব। অনেক নেতাই দেখেছেন জাতিরাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন, কিন্তু বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে সে কাজটি বঙ্গবন্ধুই সম্পন্ন করতে পেরেছেন, এ কারণেই তিনি বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের জনক।
বাঙালির মুক্তি আন্দোলনে, বাঙালি জাগরণের চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশ ও শেখ মুজিব দুটি সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছিল। আমাদের প্রাত্যহিকতায় মিশে রয়েছেন তিনি। তাঁকে, তাঁর আদর্শকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এর চেয়ে বড় শোক আর নেই বাঙালির। বাঙালিদের জন্য প্রথম একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা বাংলার দীর্ঘ ইতিহাসে সবচেয়ে উজ্জ্বল ঘটনা। বাংলায় নেতা এসেছেন, নেতা গেছেন, অনেক নেতাই অনেক মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে উঠেছিলেন আপামর জনগণের কণ্ঠস্বর। তাঁর ব্যবহৃত শব্দাবলিতে ছিল কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের হৃদয়ের ভাষার অনুরণন। এ দেশের রাজনীতিতে আন্তর্জাতিক রাজনীতির কারবার ছিল যাঁদের, যাঁরা কিউবা, ভিয়েতনাম নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন, সোচ্চার হয়েছেন বিশ্ব সমাজতন্ত্র নিয়ে, তাঁরাও কিন্তু সাধারণ জনগণের হৃদয়ে এভাবে প্রবিষ্ট হতে পারেননি, যেটা পেরেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালির নিজস্ব অর্জন ও বঞ্চনার পুরোটাই ছিল তাঁর নখদর্পণে, তাই তিনি যখন বাংলার সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না নিয়ে কথা বলেছেন, তখন তা হয়ে উঠেছে বাংলার শ্বাস-প্রশ্বাস। একটি পুরো জাতিকে ধারণ করেছিলেন তিনি হৃদয়ে। তাই তাঁকে হত্যা করার মাধ্যমে এ দেশে নামিয়ে আনা হয়েছিল অন্ধকার।
তাই, এর চেয়ে বড় শোক আর নেই। কেন এই শোক? সে কি শুধু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে বলে? সেদিন শুধু ব্যক্তি মুজিবকে নয়, হত্যা করা হয়েছিল স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত আদর্শকে। সেদিন পথভ্রষ্ট হয়েছিল বাংলাদেশ। যে চার মূলনীতি বাংলার মেরুদণ্ড তৈরি করেছিল, সেগুলোকে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছিল। বাংলাদেশ পরিণত হয়েছিল মিনি পাকিস্তানে।
‘বাংলাদেশ বেতার’ রাতারাতি হয়ে গিয়েছিল ‘রেডিও বাংলাদেশ’, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান পরিবর্তিত হয়ে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ হয়েছিল পাকিস্তানের আদলে। শারীরিকভাবে তো বটেই, আদর্শিকভাবেও বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে হটিয়ে দিয়ে পরাজিত আদর্শের চাষ-বাস হয়েছে এ দেশে। একটি ধর্মকে অন্য সব ধর্ম থেকে আলাদা করে রাষ্ট্রীয় ধর্ম করেছে এক স্বৈরাচারী রাষ্ট্রপতি। অথচ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, তার মূল কথাই ছিল, এ দেশ হবে সব ধর্মের সব মানুষের। ১৫ আগস্ট সেই জায়গা থেকে সরিয়ে দিল বাংলাদেশকে।
তাই, এর চেয়ে বড় শোক আর নেই।
আমাদের দেশে এমন একটি রাত এসেছিল, যার চেয়ে অন্ধকার রাত আর হতে পারে না। সেই অমানিশার অন্ধকারে আমরা আমাদের পরিচয় হারিয়েছিলাম। মুক্তিসংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সেদিন সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
সেই রাতে শহীদ হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, শেখ জামালের স্ত্রী রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, এসবি কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান, কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমদ, সেনাসদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হক, বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবলীগের নেতা শেখ ফজলুল হক মণি, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তাঁর কন্যা বেবী, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত ও এক আত্মীয় রেন্টু খান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যারা সেই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিল, ‘সূর্যসন্তান’ নাম দিয়ে সেই কুলাঙ্গারদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে সে সময়কার সরকার। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে তাদের বিচারের পথ বন্ধ করার চেষ্টা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগপর্যন্ত খুনিদের পৃষ্ঠপোষণা চলেছে সরকারিভাবে। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা জায়গা করে নিয়েছে আমাদের দূতাবাসগুলোয়, দেশে ফিরে তাদের কেউ কেউ রাজনীতি করেছে, বসেছে জাতীয় সংসদে। ভুলিয়ে দিতে চেষ্টা করেছে এই দেশের স্থপতির নাম। সে সময়কার সরকার বাহাদুর তাদের মদদ দিয়ে প্রমাণ করেছে, বিশ্বাসঘাতকদের পৃষ্ঠপোষকতা করার অহমিকার ভাগীদার তারা। খন্দকার মোশতাক আহমদ, জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, খালেদা জিয়া—কেউই এই দায় এড়াতে পারেন না।
১৫ আগস্ট-কেন্দ্রিক অনেক বিষয়েই আজও গবেষণা হয়নি। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য যারা প্রত্যক্ষভাবে দায়ী, যারা পরোক্ষে দায়ী, তাদের সবার নামই তো সামনে আসতে হবে। জানতে হবে তাদের কর্মকাণ্ডের স্বরূপ। জাতির জীবনে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়ের জন্ম যারা দিয়েছিল, তাদের মুখোশ উন্মোচন করা জরুরি। শুধু শোকার্ত হয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললে এই হত্যাকাণ্ডের স্বরূপ উন্মোচিত হবে না। কারণ, এ তো শুধু কয়েকজন বিপথগামী সেনা সদস্যের কাজ ছিল না, এর পেছনে ছিল দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র। এ রকম একটি ষড়যন্ত্রের কথা জেনেও সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে ছিলেন কেন, সে প্রশ্নের জবাবও তো পেতে হবে। রাজনীতিবিদেরা কী করে খন্দকার মোশতাকের পেছনে গিয়ে দাঁড়ালেন, সে প্রশ্নেরও জবাব দরকার।
বাঙালির ইতিহাস সংগ্রামের ইতিহাস। সেই ইতিহাসকে অগ্রাহ্য করে ১৫ আগস্ট নেমে এসেছিল জাতিগতভাবে আমাদের অহংকারকে বিনাশ করার জন্য। বঙ্গবন্ধুই আমাদের ইতিহাসে প্রথম বাঙালি, যাঁর অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জাতীয় ঐক্য, বাঙালি জাতিসত্তার রাষ্ট্রীয় অবয়ব। অনেক নেতাই দেখেছেন জাতিরাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন, কিন্তু বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে সে কাজটি বঙ্গবন্ধুই সম্পন্ন করতে পেরেছেন, এ কারণেই তিনি বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের জনক।
বাঙালির মুক্তি আন্দোলনে, বাঙালি জাগরণের চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশ ও শেখ মুজিব দুটি সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছিল। আমাদের প্রাত্যহিকতায় মিশে রয়েছেন তিনি। তাঁকে, তাঁর আদর্শকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এর চেয়ে বড় শোক আর নেই বাঙালির। বাঙালিদের জন্য প্রথম একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা বাংলার দীর্ঘ ইতিহাসে সবচেয়ে উজ্জ্বল ঘটনা। বাংলায় নেতা এসেছেন, নেতা গেছেন, অনেক নেতাই অনেক মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে উঠেছিলেন আপামর জনগণের কণ্ঠস্বর। তাঁর ব্যবহৃত শব্দাবলিতে ছিল কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের হৃদয়ের ভাষার অনুরণন। এ দেশের রাজনীতিতে আন্তর্জাতিক রাজনীতির কারবার ছিল যাঁদের, যাঁরা কিউবা, ভিয়েতনাম নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন, সোচ্চার হয়েছেন বিশ্ব সমাজতন্ত্র নিয়ে, তাঁরাও কিন্তু সাধারণ জনগণের হৃদয়ে এভাবে প্রবিষ্ট হতে পারেননি, যেটা পেরেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালির নিজস্ব অর্জন ও বঞ্চনার পুরোটাই ছিল তাঁর নখদর্পণে, তাই তিনি যখন বাংলার সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না নিয়ে কথা বলেছেন, তখন তা হয়ে উঠেছে বাংলার শ্বাস-প্রশ্বাস। একটি পুরো জাতিকে ধারণ করেছিলেন তিনি হৃদয়ে। তাই তাঁকে হত্যা করার মাধ্যমে এ দেশে নামিয়ে আনা হয়েছিল অন্ধকার।
তাই, এর চেয়ে বড় শোক আর নেই। কেন এই শোক? সে কি শুধু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে বলে? সেদিন শুধু ব্যক্তি মুজিবকে নয়, হত্যা করা হয়েছিল স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত আদর্শকে। সেদিন পথভ্রষ্ট হয়েছিল বাংলাদেশ। যে চার মূলনীতি বাংলার মেরুদণ্ড তৈরি করেছিল, সেগুলোকে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছিল। বাংলাদেশ পরিণত হয়েছিল মিনি পাকিস্তানে।
‘বাংলাদেশ বেতার’ রাতারাতি হয়ে গিয়েছিল ‘রেডিও বাংলাদেশ’, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান পরিবর্তিত হয়ে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ হয়েছিল পাকিস্তানের আদলে। শারীরিকভাবে তো বটেই, আদর্শিকভাবেও বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে হটিয়ে দিয়ে পরাজিত আদর্শের চাষ-বাস হয়েছে এ দেশে। একটি ধর্মকে অন্য সব ধর্ম থেকে আলাদা করে রাষ্ট্রীয় ধর্ম করেছে এক স্বৈরাচারী রাষ্ট্রপতি। অথচ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, তার মূল কথাই ছিল, এ দেশ হবে সব ধর্মের সব মানুষের। ১৫ আগস্ট সেই জায়গা থেকে সরিয়ে দিল বাংলাদেশকে।
তাই, এর চেয়ে বড় শোক আর নেই।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে