শেখ আবু হাসান, খুলনা
আহ্বায়ক কমিটি দিয়েই চলছে খুলনা মহানগর বিএনপি। এ কমিটির মেয়াদ ছয় মাস অতিবাহিত হলেও তারা এখনো কাউন্সিল করতে পারেনি। নগরীর থানা ও ওয়ার্ড কমিটিগুলোরও সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি।
নগর আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের দাবি, ধারাবাহিক বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে নগর, থানা ও ওয়ার্ড কমিটিগুলোর সম্মেলন করা দেরি হচ্ছে। তবে তারা চেষ্টা করছেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নগর কমিটির সম্মেলন করার।
দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি’র সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে সভাপতি ও শেখ মনিরুজ্জামান মণিকে সাধারণ সম্পাদক করে নগর বিএনপি’র পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়। এর পর দীর্ঘ এক যুগ ধরে চলেছে এই কমিটি। নানা কারণ দেখিয়ে সে সময় কাউন্সিল করা সম্ভব হয়নি বলে পুরোনো কমিটির নেতারা দাবি করেছিলেন।
দীর্ঘ দিন ধরে নগর কমিটির কাউন্সিল না হওয়ায় মঞ্জু-মনি’র প্রতি পক্ষ গ্রুপের মধ্যে তীব্র কোন্দল দেখা দেয়। এ সময় প্রতি পক্ষ গ্রুপ হিসেবে শাহারুজ্জামান মুর্তজা-শফিকুল আলম তুহিনের নেতৃত্বে দলের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি দলীয় সব কর্মসূচি পালন করতে থাকে। এই গ্রুপকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন, ছাত্রদলে সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ রকিবুল ইসলাম বকুল ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল বারী হেলাল। এ দু’জন নেতার সরাসরি সহযোগিতায় মুর্তজা-তুহিন গ্রুপ দলের মধ্যে শক্ত অবস্থান দাঁড় করায়। এই গ্রুপ একে একে নগর ছাত্রদল, যুবদল ও মহিলা দল তাদের পক্ষে আনতে সক্ষম হয়। পাশাপাশি মঞ্জু-মনা গ্রুপের আধিপত্য ক্রমেই খর্ব হতে থাকে।
এরই এক পর্যায় গত বছরের ৯ ডিসেম্বর দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে নজরুল ইসলাম মঞ্জু–মনিরুজ্জামান মনি’র নগর কমিটি ভেঙে দিয়ে খুলনা জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি শফিকুল আলম মনাকে আহ্বায়ক ও নগর কমিটির সাবেক নেতা শফিকুল আলম তুহিনকে সদস্যসচিব করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট নগর আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটি মেনে না নিয়ে মঞ্জু-মনি গ্রুপ পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামার চেষ্টা করলে কেন্দ্র কমিটি নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে কেন্দ্রীয় বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকেও অব্যাহতি দেয়। ফলে গ্রুপটি কোণঠাসা হয়ে পড়ে।
নতুন আহ্বায়ক কমিটি ইতিমধ্যে ৭১ সদস্যে উন্নীত করা হয়। কিন্তু নগর বিএনপি’র সম্মেলন করতে পারেনি। এ ব্যাপারে নগর বিএনপি’র সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ধারাবাহিক কেন্দ্রীয় কর্মসূচি স্থানীয় বিভিন্ন ইস্যুতে কর্মসূচি থাকায় কাউন্সিল করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নগর কমিটির কাউন্সিল করার চেষ্টা চলছে। এর আগে নগরীর সকল থানা, ওয়ার্ড ও ৩টি ইউনিয়নের সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে। তিনি আরও বলেন, আগের সকল থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি নগর আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের দিয়ে থানা কমিটিগুলোর ছায়া কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নগরীতে সদস্য সংগ্রহের ফরম বিতরণ শুরু করা হয়েছে। পরবর্তীকালে যখন ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হবে তখন যাচাই বাছাই করে তৃণমূল নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে সদস্য নির্বাচন করা হবে। আগামী জুন মাস থেকে ওয়ার্ড কমিটি করা শুরু হবে। ওয়ার্ড কমিটিগুলোর সম্মেলন শেষে থানা কমিটির সম্মেলন করা হবে।
এদিকে মঞ্জু-মনি’র নেতৃত্বাধীন গ্রুপটি দলের মধ্যে পাল্টা কোনো কর্মসূচি না দিলেও রমজান মাসে একই দিনে বর্তমান নগর কমিটির ইফতার মাহফিলের দিনেই তারা পাল্টা ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। এ ছাড়া আগামী ৩০ মে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে মঞ্জু গ্রুপের অন্যতম নেতা নগর কমিটির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক তারিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এর আগে তাদের প্রতি পক্ষ গ্রুপটি পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচি দিয়ে দলের মধ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল। সে সময় এসব খবর দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে।
এ ছাড়া তারা লিখিতভাবে কেন্দ্রকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু কেন্দ্র থেকে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তারা মনে করেন, তারা অন্যদের তুলনায় দলের পরীক্ষিত, ত্যাগী এবং আদর্শবাদী রাজনীতি করেন। সেই দায়িত্ববোধ থেকে তারা আচরণ করে যাচ্ছেন। তারা মনে করেন, দলের শীর্ষ নেতারা বিশেষ করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তিনি প্রকৃত বিষয়ে প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য সংগ্রহ করবেন এবং দ্রুতই দলের স্বার্থে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আহ্বায়ক কমিটি দিয়েই চলছে খুলনা মহানগর বিএনপি। এ কমিটির মেয়াদ ছয় মাস অতিবাহিত হলেও তারা এখনো কাউন্সিল করতে পারেনি। নগরীর থানা ও ওয়ার্ড কমিটিগুলোরও সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি।
নগর আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের দাবি, ধারাবাহিক বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে নগর, থানা ও ওয়ার্ড কমিটিগুলোর সম্মেলন করা দেরি হচ্ছে। তবে তারা চেষ্টা করছেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নগর কমিটির সম্মেলন করার।
দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি’র সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে সভাপতি ও শেখ মনিরুজ্জামান মণিকে সাধারণ সম্পাদক করে নগর বিএনপি’র পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়। এর পর দীর্ঘ এক যুগ ধরে চলেছে এই কমিটি। নানা কারণ দেখিয়ে সে সময় কাউন্সিল করা সম্ভব হয়নি বলে পুরোনো কমিটির নেতারা দাবি করেছিলেন।
দীর্ঘ দিন ধরে নগর কমিটির কাউন্সিল না হওয়ায় মঞ্জু-মনি’র প্রতি পক্ষ গ্রুপের মধ্যে তীব্র কোন্দল দেখা দেয়। এ সময় প্রতি পক্ষ গ্রুপ হিসেবে শাহারুজ্জামান মুর্তজা-শফিকুল আলম তুহিনের নেতৃত্বে দলের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি দলীয় সব কর্মসূচি পালন করতে থাকে। এই গ্রুপকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন, ছাত্রদলে সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ রকিবুল ইসলাম বকুল ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল বারী হেলাল। এ দু’জন নেতার সরাসরি সহযোগিতায় মুর্তজা-তুহিন গ্রুপ দলের মধ্যে শক্ত অবস্থান দাঁড় করায়। এই গ্রুপ একে একে নগর ছাত্রদল, যুবদল ও মহিলা দল তাদের পক্ষে আনতে সক্ষম হয়। পাশাপাশি মঞ্জু-মনা গ্রুপের আধিপত্য ক্রমেই খর্ব হতে থাকে।
এরই এক পর্যায় গত বছরের ৯ ডিসেম্বর দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে নজরুল ইসলাম মঞ্জু–মনিরুজ্জামান মনি’র নগর কমিটি ভেঙে দিয়ে খুলনা জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি শফিকুল আলম মনাকে আহ্বায়ক ও নগর কমিটির সাবেক নেতা শফিকুল আলম তুহিনকে সদস্যসচিব করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট নগর আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটি মেনে না নিয়ে মঞ্জু-মনি গ্রুপ পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামার চেষ্টা করলে কেন্দ্র কমিটি নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে কেন্দ্রীয় বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকেও অব্যাহতি দেয়। ফলে গ্রুপটি কোণঠাসা হয়ে পড়ে।
নতুন আহ্বায়ক কমিটি ইতিমধ্যে ৭১ সদস্যে উন্নীত করা হয়। কিন্তু নগর বিএনপি’র সম্মেলন করতে পারেনি। এ ব্যাপারে নগর বিএনপি’র সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ধারাবাহিক কেন্দ্রীয় কর্মসূচি স্থানীয় বিভিন্ন ইস্যুতে কর্মসূচি থাকায় কাউন্সিল করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নগর কমিটির কাউন্সিল করার চেষ্টা চলছে। এর আগে নগরীর সকল থানা, ওয়ার্ড ও ৩টি ইউনিয়নের সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে। তিনি আরও বলেন, আগের সকল থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি নগর আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের দিয়ে থানা কমিটিগুলোর ছায়া কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নগরীতে সদস্য সংগ্রহের ফরম বিতরণ শুরু করা হয়েছে। পরবর্তীকালে যখন ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হবে তখন যাচাই বাছাই করে তৃণমূল নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে সদস্য নির্বাচন করা হবে। আগামী জুন মাস থেকে ওয়ার্ড কমিটি করা শুরু হবে। ওয়ার্ড কমিটিগুলোর সম্মেলন শেষে থানা কমিটির সম্মেলন করা হবে।
এদিকে মঞ্জু-মনি’র নেতৃত্বাধীন গ্রুপটি দলের মধ্যে পাল্টা কোনো কর্মসূচি না দিলেও রমজান মাসে একই দিনে বর্তমান নগর কমিটির ইফতার মাহফিলের দিনেই তারা পাল্টা ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। এ ছাড়া আগামী ৩০ মে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে মঞ্জু গ্রুপের অন্যতম নেতা নগর কমিটির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক তারিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এর আগে তাদের প্রতি পক্ষ গ্রুপটি পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচি দিয়ে দলের মধ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল। সে সময় এসব খবর দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে।
এ ছাড়া তারা লিখিতভাবে কেন্দ্রকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু কেন্দ্র থেকে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তারা মনে করেন, তারা অন্যদের তুলনায় দলের পরীক্ষিত, ত্যাগী এবং আদর্শবাদী রাজনীতি করেন। সেই দায়িত্ববোধ থেকে তারা আচরণ করে যাচ্ছেন। তারা মনে করেন, দলের শীর্ষ নেতারা বিশেষ করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তিনি প্রকৃত বিষয়ে প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য সংগ্রহ করবেন এবং দ্রুতই দলের স্বার্থে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে