বোরহানুজ্জামান, নগরকান্দা (ফরিদপুর)
আগামী নির্বাচনে বড় দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সাবেক দুই এমপির দুই উত্তরসূরির লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে ফরিদপুর-২ আসনে। একজন হলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, এ আসনের বর্তমান এমপি শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী; আরেকজন হলেন বিএনপির সাবেক মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য, সাবেক মন্ত্রী কে এম ওবায়দুর রহমানের মেয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু।
নির্বাচনের প্রায় ৯ মাস বাকি। এ আসনের ভোটের মাঠ নগরকান্দা, সালথা ও সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন এরই মধ্যে সরগরম হয়ে উঠেছে। আলোচনায় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা। বিপরীতে বিএনপিতে আছেন দলের হেভিওয়েট প্রার্থী। ভোটাররা বলছেন, আওয়ামী লীগ চাইছে বিজয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষা, অন্যদিকে বিএনপি মরিয়া আসন পুনরুদ্ধারে।
আওয়ামী লীগের দাবি, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী পরিবেশ ও বনমন্ত্রী এবং পরবর্তী সময়ে টানা তিনবার সংসদ উপনেতা থাকায় এ আসনে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও সাংগঠনিকভাবে দলের শক্ত ভিত তৈরি করেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর ছেলে লাবু চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি ইউনিয়ন, পাড়া-মহল্লায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো এখন অনেক শক্তিশালী। তিনিই সম্ভাব্য হেভিওয়েট প্রার্থী।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর ২০২২ সালের ৫ নভেম্বর উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হয়ে লাবু চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হন।
তবে এ আসনে আলোচনায় রয়েছেন আরও কয়েকজন। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করে মাঠে বেশ সক্রিয় রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তিবিষয়ক উপকমিটির সদস্য, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বঙ্গবন্ধু সেনা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) আতমা হালিম অন্যতম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন এলাকায় কাজ করেছি। দলকে সুসংগঠিত করেছি। দলের নেতা-কর্মীরা আমাকে ভালোবাসেন। শতকরা ৮০ শতাংশ মানুষ আমাকে চাইছেন। আমি দলের কাছে মনোনয়ন চাইব।’
এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক, নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন মিয়াও আলোচনায় রয়েছেন। তবে স্থানীয়রা বলছেন, বিজয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে দলে ঐক্যের বিকল্প নেই।
কে এম ওবায়দুর রহমানের মৃত্যুর পর মেয়ে শামা ওবায়েদই এ আসনে বিএনপির হাল ধরেন। বর্তমানে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, ফরিদপুর বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন। কে এম ওবায়েদুর রহমানের ব্যক্তি ইমেজে একাধিকবার বিএনপির দখলে যায় আসনটি। শামা ওবায়েদ আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে রয়েছেন। কেন্দ্রঘোষিত সব কর্মসূচি পালনে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তাঁকে রাজপথে দেখা যাচ্ছে। সুখ-দুঃখে নেতা-কর্মীদের পাশে সব সময় থাকেন। বাবার ব্যক্তি ইমেজকে কাজে লাগিয়ে আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন নিয়ে আসন পুনরুদ্ধার করতে চান তিনি।
১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে এবং এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কে এম ওবায়দুর রহমান। ২০০১ সালে নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করে এবং দলীয় প্রার্থী কে এম ওবায়দুর রহমানের হাতেই থাকে আসন। ২০০৭ সালের ২১ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আলী শরীফ বলেন, ‘আমরা সুসংগঠিত আছি। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। এ আসন বিএনপির ঘাঁটি। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে এবং বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে এ আসনে দলের একক প্রার্থী শামা ওবায়েদ বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।’
এ ছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ঢাকা বিভাগের দায়িত্বে থাকা শহীদুল ইসলাম খান বাবুলের নামও আলোচনায় রয়েছে।
বড় এই দুই দলের বাইরে অন্যান্য দলের তেমন কোনো প্রভাব নেই বললেই চলে। এলাকায় হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামীর নিজস্ব ভোটব্যাংক রয়েছে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। হেফাজত অরাজনৈতিক হিসেবে এবং জামায়াতের নিবন্ধন না থাকায় তাদের ভোটগুলো যারা বেশি টানতে পারবে, জয়ী তারাই হবে বলে মনে করেন এলাকার বেশির ভাগ ভোটার।
আগামী নির্বাচনে বড় দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সাবেক দুই এমপির দুই উত্তরসূরির লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে ফরিদপুর-২ আসনে। একজন হলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, এ আসনের বর্তমান এমপি শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী; আরেকজন হলেন বিএনপির সাবেক মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য, সাবেক মন্ত্রী কে এম ওবায়দুর রহমানের মেয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু।
নির্বাচনের প্রায় ৯ মাস বাকি। এ আসনের ভোটের মাঠ নগরকান্দা, সালথা ও সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন এরই মধ্যে সরগরম হয়ে উঠেছে। আলোচনায় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা। বিপরীতে বিএনপিতে আছেন দলের হেভিওয়েট প্রার্থী। ভোটাররা বলছেন, আওয়ামী লীগ চাইছে বিজয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষা, অন্যদিকে বিএনপি মরিয়া আসন পুনরুদ্ধারে।
আওয়ামী লীগের দাবি, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী পরিবেশ ও বনমন্ত্রী এবং পরবর্তী সময়ে টানা তিনবার সংসদ উপনেতা থাকায় এ আসনে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও সাংগঠনিকভাবে দলের শক্ত ভিত তৈরি করেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর ছেলে লাবু চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি ইউনিয়ন, পাড়া-মহল্লায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো এখন অনেক শক্তিশালী। তিনিই সম্ভাব্য হেভিওয়েট প্রার্থী।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর ২০২২ সালের ৫ নভেম্বর উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হয়ে লাবু চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হন।
তবে এ আসনে আলোচনায় রয়েছেন আরও কয়েকজন। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করে মাঠে বেশ সক্রিয় রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তিবিষয়ক উপকমিটির সদস্য, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বঙ্গবন্ধু সেনা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) আতমা হালিম অন্যতম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন এলাকায় কাজ করেছি। দলকে সুসংগঠিত করেছি। দলের নেতা-কর্মীরা আমাকে ভালোবাসেন। শতকরা ৮০ শতাংশ মানুষ আমাকে চাইছেন। আমি দলের কাছে মনোনয়ন চাইব।’
এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক, নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন মিয়াও আলোচনায় রয়েছেন। তবে স্থানীয়রা বলছেন, বিজয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে দলে ঐক্যের বিকল্প নেই।
কে এম ওবায়দুর রহমানের মৃত্যুর পর মেয়ে শামা ওবায়েদই এ আসনে বিএনপির হাল ধরেন। বর্তমানে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, ফরিদপুর বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন। কে এম ওবায়েদুর রহমানের ব্যক্তি ইমেজে একাধিকবার বিএনপির দখলে যায় আসনটি। শামা ওবায়েদ আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে রয়েছেন। কেন্দ্রঘোষিত সব কর্মসূচি পালনে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তাঁকে রাজপথে দেখা যাচ্ছে। সুখ-দুঃখে নেতা-কর্মীদের পাশে সব সময় থাকেন। বাবার ব্যক্তি ইমেজকে কাজে লাগিয়ে আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন নিয়ে আসন পুনরুদ্ধার করতে চান তিনি।
১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে এবং এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কে এম ওবায়দুর রহমান। ২০০১ সালে নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করে এবং দলীয় প্রার্থী কে এম ওবায়দুর রহমানের হাতেই থাকে আসন। ২০০৭ সালের ২১ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আলী শরীফ বলেন, ‘আমরা সুসংগঠিত আছি। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। এ আসন বিএনপির ঘাঁটি। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে এবং বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে এ আসনে দলের একক প্রার্থী শামা ওবায়েদ বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।’
এ ছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ঢাকা বিভাগের দায়িত্বে থাকা শহীদুল ইসলাম খান বাবুলের নামও আলোচনায় রয়েছে।
বড় এই দুই দলের বাইরে অন্যান্য দলের তেমন কোনো প্রভাব নেই বললেই চলে। এলাকায় হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামীর নিজস্ব ভোটব্যাংক রয়েছে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। হেফাজত অরাজনৈতিক হিসেবে এবং জামায়াতের নিবন্ধন না থাকায় তাদের ভোটগুলো যারা বেশি টানতে পারবে, জয়ী তারাই হবে বলে মনে করেন এলাকার বেশির ভাগ ভোটার।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে