অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী
আমি ২০০৪ সাল থেকে এই ঘটনাগুলোর সঙ্গে যুক্ত আছি। ২০০৪ সালে শাঁখারীবাজারে ছয়তলা ভবন ভেঙে পড়ে। ২০০৫ সালে স্পেকট্রাম ভবন দুর্ঘটনা, ২০০৬ সালে ফিনিক্স বিল্ডিং ধসে পড়ে। ২০০৮ সালে বসুন্ধরা মার্কেট ও এনটিভি ভবনেও আগুন লাগে। ২০১০ সালে নিমতলীর আগুনে প্রায় ৭০ জন মারা যায়। এরপর ওয়াহেদ ম্যানশন, বনানীর এফ আর টাওয়ারেও একই রকম ঘটনা ঘটে, যা বলে শেষ করা যাবে না। এ রকম ঘটনায় ৯০ শতাংশ কমিটিতে আমি যুক্ত ছিলাম। এগুলো রোধে অনেক সুপারিশও করেছি।
ফায়ার সার্ভিস, রাজউক, সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, ডেসা এ প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনোটায় ঠিকমতো কাজ করে না। এখানে ব্যাপক সমন্বয়হীনতা আছে। একটা বিল্ডিং তৈরি হয়ে গেলে আমরা বিল্ডিংটার আর কোনো দায়িত্ব নিই না। সারা বিশ্বে প্রতি পাঁচ বছর পর পর অকুপেন্সি সার্টিফিকেট (ব্যবহার সনদ) ইস্যু করে। এর মানে হচ্ছে বিল্ডিংয়ের ফায়ার সেফটি, ইলেকট্রিক্যাল সেফটি, গ্যাস সিস্টেম—এই বিষয়গুলো ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা পরীক্ষা করা। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এ কাজটি সিটি করপোরেশন করে থাকে।
২০০৮ সালের ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো ভবন নির্মাণ করা হলে সেটি ব্যবহার বা বসবাসের আগে ব্যবহার সনদ নিতে হবে। এই সনদ না নিয়ে ভবন ব্যবহার করা যাবে না।
প্রতি পাঁচ বছর পরপর তৃতীয় পক্ষ দিয়ে ইলেকট্রিক্যাল স্ট্রাকচার, প্লাম্বিং, গ্যাস সিস্টেম—এগুলো পরীক্ষা করতে হবে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কিন্তু গার্মেন্টস বিল্ডিংগুলো তৃতীয় পক্ষ দিয়ে পরীক্ষা করায়। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষেও (বিআরটিএ) তৃতীয় পক্ষ দিয়ে কাজ করছে। বিআরটিএ লাইসেন্স দিলেও তৃতীয় পক্ষ দিয়ে হাতের ছাপ, কাগজপত্র সব প্রস্তুত করে। তৃতীয় পক্ষ হলো একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্সি ফার্ম, যাদের এ ধরনের কাজ করার সক্ষমতা আছে।
যে বিল্ডিং অনেক আগে হয়ে গেছে, সেগুলোও নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করতে হবে। কারণ, বিল্ডিং তৈরির সময় কেউ ১ হাজার ওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহারের অনুমতি নিল। কিন্তু সময়ের চাহিদা অনুযায়ী ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সক্ষমতা বাড়াতে হতে পারে।
ঢাকার ৬ লাখ বাড়ির মধ্যে মধ্যে মাত্র ১০০ বাড়িতে ব্যবহার সনদ আছে। এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে রাজউকের মনিটরিং বাড়াতে হবে। এবং প্রতি পাঁচ বছর পর পর ব্যবহার সনদ ইস্যু করতে হবে। না হলে এ ধরনের ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে না। আর নিয়মিত পরীক্ষা করা হলে মানুষের মধ্যে সচেতনাও বাড়বে।
অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বুয়েট
আমি ২০০৪ সাল থেকে এই ঘটনাগুলোর সঙ্গে যুক্ত আছি। ২০০৪ সালে শাঁখারীবাজারে ছয়তলা ভবন ভেঙে পড়ে। ২০০৫ সালে স্পেকট্রাম ভবন দুর্ঘটনা, ২০০৬ সালে ফিনিক্স বিল্ডিং ধসে পড়ে। ২০০৮ সালে বসুন্ধরা মার্কেট ও এনটিভি ভবনেও আগুন লাগে। ২০১০ সালে নিমতলীর আগুনে প্রায় ৭০ জন মারা যায়। এরপর ওয়াহেদ ম্যানশন, বনানীর এফ আর টাওয়ারেও একই রকম ঘটনা ঘটে, যা বলে শেষ করা যাবে না। এ রকম ঘটনায় ৯০ শতাংশ কমিটিতে আমি যুক্ত ছিলাম। এগুলো রোধে অনেক সুপারিশও করেছি।
ফায়ার সার্ভিস, রাজউক, সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, ডেসা এ প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনোটায় ঠিকমতো কাজ করে না। এখানে ব্যাপক সমন্বয়হীনতা আছে। একটা বিল্ডিং তৈরি হয়ে গেলে আমরা বিল্ডিংটার আর কোনো দায়িত্ব নিই না। সারা বিশ্বে প্রতি পাঁচ বছর পর পর অকুপেন্সি সার্টিফিকেট (ব্যবহার সনদ) ইস্যু করে। এর মানে হচ্ছে বিল্ডিংয়ের ফায়ার সেফটি, ইলেকট্রিক্যাল সেফটি, গ্যাস সিস্টেম—এই বিষয়গুলো ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা পরীক্ষা করা। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এ কাজটি সিটি করপোরেশন করে থাকে।
২০০৮ সালের ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো ভবন নির্মাণ করা হলে সেটি ব্যবহার বা বসবাসের আগে ব্যবহার সনদ নিতে হবে। এই সনদ না নিয়ে ভবন ব্যবহার করা যাবে না।
প্রতি পাঁচ বছর পরপর তৃতীয় পক্ষ দিয়ে ইলেকট্রিক্যাল স্ট্রাকচার, প্লাম্বিং, গ্যাস সিস্টেম—এগুলো পরীক্ষা করতে হবে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কিন্তু গার্মেন্টস বিল্ডিংগুলো তৃতীয় পক্ষ দিয়ে পরীক্ষা করায়। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষেও (বিআরটিএ) তৃতীয় পক্ষ দিয়ে কাজ করছে। বিআরটিএ লাইসেন্স দিলেও তৃতীয় পক্ষ দিয়ে হাতের ছাপ, কাগজপত্র সব প্রস্তুত করে। তৃতীয় পক্ষ হলো একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্সি ফার্ম, যাদের এ ধরনের কাজ করার সক্ষমতা আছে।
যে বিল্ডিং অনেক আগে হয়ে গেছে, সেগুলোও নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করতে হবে। কারণ, বিল্ডিং তৈরির সময় কেউ ১ হাজার ওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহারের অনুমতি নিল। কিন্তু সময়ের চাহিদা অনুযায়ী ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সক্ষমতা বাড়াতে হতে পারে।
ঢাকার ৬ লাখ বাড়ির মধ্যে মধ্যে মাত্র ১০০ বাড়িতে ব্যবহার সনদ আছে। এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে রাজউকের মনিটরিং বাড়াতে হবে। এবং প্রতি পাঁচ বছর পর পর ব্যবহার সনদ ইস্যু করতে হবে। না হলে এ ধরনের ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে না। আর নিয়মিত পরীক্ষা করা হলে মানুষের মধ্যে সচেতনাও বাড়বে।
অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বুয়েট
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে