চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় আজ মঙ্গলবার থেকে দুই মাস সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল মধ্যরাত থেকে এ নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এ নিষেধাজ্ঞা।

এদিকে মৎস্য বিভাগ এ কর্মসূচি সফল করতে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানা গেছে। তবে এ সময়ে সরকারি সহযোগিতা আরও বাড়ানোর দাবি করছেন জেলেরা।

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৬ সাল থেকে মেঘনা নদীর চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকাসহ দেশের ৫টি অঞ্চলে এ কর্মসূচি চলে আসছে।

প্রতিবছরের মার্চ এবং এপ্রিল মাসে ৬০-৭০ ভাগ জাটকা ধরা পড়ে। তাই ইলিশের পাঁচটি প্রধান বিচরণক্ষেত্র নিম্ন পদ্মা ও মেঘনা নদী, শাহবাজপুর চ্যানেল, তেঁতুলিয়া নদী ও আন্ধারমানিক নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুরের হাইমচর, মতলব দক্ষিণ, মতলব উত্তর ও চাঁদপুর সদরে প্রায় ৫০ হাজার জেলে রয়েছেন। এই দুই মাসে প্রথমবার কেউ নদীতে জাল ফেললে এক মাস থেকে সর্বোচ্চ ছয় মাস সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

পরে প্রতিবার আইন ভঙ্গের জন্য কমপক্ষে ২ মাস থেকে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান কালু বলেন, নিষিদ্ধ সময়েও একটি চক্র বিভিন্ন উপায়ে জাটকা ধরার চেষ্টা করে। তবে মাছ ব্যবসায়ীরা এ সময় আড়ত বন্ধ রাখেন বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এ বছর অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন স্থানে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানো হয়েছে। চাঁদপুরের মৎস্য কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, বন্ধের মৌসুমে প্রতি জেলে চার ধাপে ১৬০ কেজি চাল পাবেন।