উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
নিয়ম অনুযায়ী কোনো কর্মকর্তা অবসরে গেলে বা পদ শূন্য হলে স্বাভাবিকভাবেই নিচের পদের যোগ্য কাউকে পদোন্নতি দিতে হয়। কিন্তু প্রশাসনে পদোন্নতির ক্ষেত্রে অতীতের কোনো সরকার সেই নিয়ম মেনে চলেনি, এখনো মানা হচ্ছে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্বে আসার পর গত দুই সপ্তাহেই প্রশাসনের উপসচিব থেকে সচিব পর্যায়ে ৪৭৯ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এমন গণপদোন্নতিতে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে প্রশাসনের সাংগঠনিক কাঠামো। ভেঙে পড়েছে পিরামিড।
প্রশাসনের সাংগঠনিক কাঠামো বোঝাতে যে পিরামিড চিত্রায়িত হয়, তাতে নিচ থেকে ওপরের দিকে কর্মকর্তার সংখ্যা কমতে থাকে। কিন্তু দেশের প্রশাসনে এখন উল্টো চিত্র বিরাজ করছে। নিম্নস্তরে কর্মকর্তার চরম সংকট থাকলেও পিরামিডের উচ্চ-মধ্যম পর্যায়ে কর্মকর্তার সংখ্যা অনুমোদিত পদের দুই-তিন গুণ বেশি। পদ ফাঁকা না থাকলেও অপরিকল্পিতভাবে পদোন্নতি দেওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রশাসন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, ৪১ বছর আগের জনবলকাঠামোতেই চলছে বর্তমান প্রশাসন। সরকারের উচিত বাস্তবতার নিরিখে জনবলকাঠামোর সংস্কার করা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২৭ আগস্টের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রশাসনে সিনিয়র সচিব ও সচিবের অনুমোদিত পদ রয়েছে ৬৯টি; কিন্তু কর্মরত আছেন ৭২ জন। অতিরিক্ত সচিবের ১৪২টি পদের বিপরীতে কর্মকর্তা রয়েছেন ৫২৪ জন। অর্থাৎ এ পদে প্রয়োজনের তুলনায় ৩৮২ জন বেশি কর্মকর্তা আছেন। যুগ্ম সচিবের ৩৩২টি পদে রয়েছেন ৮৮৬ জন কর্মকর্তা। এ স্তরেও ৫৫৪ জন অতিরিক্ত কর্মকর্তা রয়েছেন। উপসচিবের অনুমোদিত পদসংখ্যা ৯৯৮ হলেও এ পদে কর্মরত আছেন ১ হাজার ৫৯১ জন। এর ঠিক বিপরীত চিত্র সহকারী সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব পদে। সিনিয়র সহকারী সচিব পদে অনুমোদিত পদের সংখ্যা ২ হাজার ৯৭৫টি; কিন্তু কর্মরত আছেন ১ হাজার ২১৭ জন। সহকারী সচিব পদে কর্মরত ১ হাজার ২১৭ জন হলেও পদসংখ্যা ১ হাজার ৩৯৩টি।
আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়েও প্রায় অভিন্ন চিত্র ছিল প্রশাসনের। তখন ৬৯টি সিনিয়র সচিব/সচিব পদের বিপরীতে কর্মরত ছিলেন ৭৮ জন। এ ছাড়া অতিরিক্ত সচিবের ১৪২টি পদের বিপরীতে ৩৯৩ জন, যুগ্ম সচিবের ৩৩২টি পদের বিপরীতে ৬৬১ এবং উপসচিবের ৯৯৮ পদের বিপরীতে ছিলেন ১ হাজার ৪৭৩ জন। ২ হাজার ৯৭৫টি সিনিয়র সহকারী সচিব পদের বিপরীতে কর্মকর্তা ছিলেন ২ হাজার ১৭১ জন। সহকারী সচিব পদে ১ হাজার ২১৭ জন কর্মরত থাকলেও পদসংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩৯৩টি।
বিষয়টি নিয়ে তখন কথা হয়েছিল তৎকালীন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে। আজকের পত্রিকা’কে তিনি বলেন, ‘চার দশক আগে ১৯৮৩ সালে এনাম কমিটি গঠিত হয়েছিল। ওই কমিটির জনবলকাঠামো অনুযায়ী চলছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তর। প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু কিছু দপ্তরে নতুন পদ সৃজনের মাধ্যমে জনবলকাঠামো হালনাগাদ করা হচ্ছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আমরা চেষ্টা করছি প্রশাসনের আকৃতি পিরামিডে ফেরত আনার। এ জন্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি কম দেওয়া হচ্ছে।’
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে আসে। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে সংযুক্ত থাকা উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দেখভাল করছেন। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে আসার পর শেখ হাসিনার সময়ে চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়া অন্তত এক ডজন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল হয়েছে। পাশাপাশি অবসরে থাকা ৫ কর্মকর্তাকে সচিব পদে চুক্তিতে নিয়োগের পর তাঁদের সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এরপর ১১৮ সিনিয়র সহকারী সচিবকে উপসচিব, ২২৫ জন উপসচিবকে যুগ্ম সচিব এবং ১৩১ জন যুগ্ম সচিবকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। অর্থাৎ গত দুই সপ্তাহে প্রশাসনের চার স্তরে মোট ৪৭৯ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এতে প্রশাসনের পিরামিড আকৃতি লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে।
পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত প্রতি ক্ষেত্রে পদের অতিরিক্ত কর্মকর্তা রয়েছেন এখন। উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত তিন স্তরে অনুমোদিত পদ রয়েছে ১ হাজার ৪৭২টি, অথচ কর্মরত আছেন ৩ হাজার ১ জন কর্মকর্তা। পদ খালি না থাকায় পদোন্নতি পাওয়ার পরও অনেক কর্মকর্তাকে নিচের পদে কাজ করতে হচ্ছে। এমনকি কোনো কোনো যুগ্ম সচিবকে দিয়ে সিনিয়র সহকারী সচিবের কাজও করানো হচ্ছে। আবার নিচের দুই স্তরে (সিনিয়র সহকারী সচিব ও সহকারী সচিব) অনুমোদিত পদের চেয়ে কর্মকর্তা অনেক কম থাকায় জনপ্রশাসনের সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে। এ দুই স্তরের অনুমোদিত ৪ হাজার ৩৬৮টি পদে কর্মরত রয়েছেন ৩ হাজার ২৭০ জন কর্মকর্তা। এ দুটি স্তরে শূন্য পদের সংখ্যা ১ হাজার ৯৮টি। ফলে জনপ্রশাসনের প্রচলিত পিরামিড আকৃতি ভেঙে পেটমোটা পাতিলের আকার ধারণ করেছে।
পদ ছাড়া পদোন্নতির কারণেই এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন প্রশাসনবিষয়ক কলামিস্ট ও প্রশাসনবিষয়ক বহু গ্রন্থের প্রণেতা মো. ফিরোজ মিয়া। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিগত সরকারগুলো পদ ছাড়া পদোন্নতি দিয়ে প্রশাসনের সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে ফেলেছে। প্রশাসনের ভারসাম্য আগেই নষ্ট হয়েছে। এখন আবার ‘বঞ্চিত’দের বঞ্চনা দূর করতে গণহারে পদোন্নতি দেওয়ায় একধরনের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনকে আরও গতিশীল করতে হলে ৪১ বছর আগের জনবলকাঠামোর শিগগির প্রশাসনিক ও আইনি সংস্কার করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
আরও খবর পড়ুন:
নিয়ম অনুযায়ী কোনো কর্মকর্তা অবসরে গেলে বা পদ শূন্য হলে স্বাভাবিকভাবেই নিচের পদের যোগ্য কাউকে পদোন্নতি দিতে হয়। কিন্তু প্রশাসনে পদোন্নতির ক্ষেত্রে অতীতের কোনো সরকার সেই নিয়ম মেনে চলেনি, এখনো মানা হচ্ছে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্বে আসার পর গত দুই সপ্তাহেই প্রশাসনের উপসচিব থেকে সচিব পর্যায়ে ৪৭৯ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এমন গণপদোন্নতিতে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে প্রশাসনের সাংগঠনিক কাঠামো। ভেঙে পড়েছে পিরামিড।
প্রশাসনের সাংগঠনিক কাঠামো বোঝাতে যে পিরামিড চিত্রায়িত হয়, তাতে নিচ থেকে ওপরের দিকে কর্মকর্তার সংখ্যা কমতে থাকে। কিন্তু দেশের প্রশাসনে এখন উল্টো চিত্র বিরাজ করছে। নিম্নস্তরে কর্মকর্তার চরম সংকট থাকলেও পিরামিডের উচ্চ-মধ্যম পর্যায়ে কর্মকর্তার সংখ্যা অনুমোদিত পদের দুই-তিন গুণ বেশি। পদ ফাঁকা না থাকলেও অপরিকল্পিতভাবে পদোন্নতি দেওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রশাসন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, ৪১ বছর আগের জনবলকাঠামোতেই চলছে বর্তমান প্রশাসন। সরকারের উচিত বাস্তবতার নিরিখে জনবলকাঠামোর সংস্কার করা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২৭ আগস্টের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রশাসনে সিনিয়র সচিব ও সচিবের অনুমোদিত পদ রয়েছে ৬৯টি; কিন্তু কর্মরত আছেন ৭২ জন। অতিরিক্ত সচিবের ১৪২টি পদের বিপরীতে কর্মকর্তা রয়েছেন ৫২৪ জন। অর্থাৎ এ পদে প্রয়োজনের তুলনায় ৩৮২ জন বেশি কর্মকর্তা আছেন। যুগ্ম সচিবের ৩৩২টি পদে রয়েছেন ৮৮৬ জন কর্মকর্তা। এ স্তরেও ৫৫৪ জন অতিরিক্ত কর্মকর্তা রয়েছেন। উপসচিবের অনুমোদিত পদসংখ্যা ৯৯৮ হলেও এ পদে কর্মরত আছেন ১ হাজার ৫৯১ জন। এর ঠিক বিপরীত চিত্র সহকারী সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব পদে। সিনিয়র সহকারী সচিব পদে অনুমোদিত পদের সংখ্যা ২ হাজার ৯৭৫টি; কিন্তু কর্মরত আছেন ১ হাজার ২১৭ জন। সহকারী সচিব পদে কর্মরত ১ হাজার ২১৭ জন হলেও পদসংখ্যা ১ হাজার ৩৯৩টি।
আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়েও প্রায় অভিন্ন চিত্র ছিল প্রশাসনের। তখন ৬৯টি সিনিয়র সচিব/সচিব পদের বিপরীতে কর্মরত ছিলেন ৭৮ জন। এ ছাড়া অতিরিক্ত সচিবের ১৪২টি পদের বিপরীতে ৩৯৩ জন, যুগ্ম সচিবের ৩৩২টি পদের বিপরীতে ৬৬১ এবং উপসচিবের ৯৯৮ পদের বিপরীতে ছিলেন ১ হাজার ৪৭৩ জন। ২ হাজার ৯৭৫টি সিনিয়র সহকারী সচিব পদের বিপরীতে কর্মকর্তা ছিলেন ২ হাজার ১৭১ জন। সহকারী সচিব পদে ১ হাজার ২১৭ জন কর্মরত থাকলেও পদসংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩৯৩টি।
বিষয়টি নিয়ে তখন কথা হয়েছিল তৎকালীন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে। আজকের পত্রিকা’কে তিনি বলেন, ‘চার দশক আগে ১৯৮৩ সালে এনাম কমিটি গঠিত হয়েছিল। ওই কমিটির জনবলকাঠামো অনুযায়ী চলছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তর। প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু কিছু দপ্তরে নতুন পদ সৃজনের মাধ্যমে জনবলকাঠামো হালনাগাদ করা হচ্ছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আমরা চেষ্টা করছি প্রশাসনের আকৃতি পিরামিডে ফেরত আনার। এ জন্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি কম দেওয়া হচ্ছে।’
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে আসে। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে সংযুক্ত থাকা উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দেখভাল করছেন। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে আসার পর শেখ হাসিনার সময়ে চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়া অন্তত এক ডজন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল হয়েছে। পাশাপাশি অবসরে থাকা ৫ কর্মকর্তাকে সচিব পদে চুক্তিতে নিয়োগের পর তাঁদের সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এরপর ১১৮ সিনিয়র সহকারী সচিবকে উপসচিব, ২২৫ জন উপসচিবকে যুগ্ম সচিব এবং ১৩১ জন যুগ্ম সচিবকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। অর্থাৎ গত দুই সপ্তাহে প্রশাসনের চার স্তরে মোট ৪৭৯ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এতে প্রশাসনের পিরামিড আকৃতি লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে।
পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত প্রতি ক্ষেত্রে পদের অতিরিক্ত কর্মকর্তা রয়েছেন এখন। উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত তিন স্তরে অনুমোদিত পদ রয়েছে ১ হাজার ৪৭২টি, অথচ কর্মরত আছেন ৩ হাজার ১ জন কর্মকর্তা। পদ খালি না থাকায় পদোন্নতি পাওয়ার পরও অনেক কর্মকর্তাকে নিচের পদে কাজ করতে হচ্ছে। এমনকি কোনো কোনো যুগ্ম সচিবকে দিয়ে সিনিয়র সহকারী সচিবের কাজও করানো হচ্ছে। আবার নিচের দুই স্তরে (সিনিয়র সহকারী সচিব ও সহকারী সচিব) অনুমোদিত পদের চেয়ে কর্মকর্তা অনেক কম থাকায় জনপ্রশাসনের সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে। এ দুই স্তরের অনুমোদিত ৪ হাজার ৩৬৮টি পদে কর্মরত রয়েছেন ৩ হাজার ২৭০ জন কর্মকর্তা। এ দুটি স্তরে শূন্য পদের সংখ্যা ১ হাজার ৯৮টি। ফলে জনপ্রশাসনের প্রচলিত পিরামিড আকৃতি ভেঙে পেটমোটা পাতিলের আকার ধারণ করেছে।
পদ ছাড়া পদোন্নতির কারণেই এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন প্রশাসনবিষয়ক কলামিস্ট ও প্রশাসনবিষয়ক বহু গ্রন্থের প্রণেতা মো. ফিরোজ মিয়া। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিগত সরকারগুলো পদ ছাড়া পদোন্নতি দিয়ে প্রশাসনের সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে ফেলেছে। প্রশাসনের ভারসাম্য আগেই নষ্ট হয়েছে। এখন আবার ‘বঞ্চিত’দের বঞ্চনা দূর করতে গণহারে পদোন্নতি দেওয়ায় একধরনের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনকে আরও গতিশীল করতে হলে ৪১ বছর আগের জনবলকাঠামোর শিগগির প্রশাসনিক ও আইনি সংস্কার করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
আরও খবর পড়ুন:
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে