নাজিম আল শমষের
বাংলাদেশের ফুটবলে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে রেফারিং নিয়ে। রেফারিকে লাথি মারার অভিযোগ সাইফ স্পোর্টিংয়ের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। আলোচনায় আছে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের মন্তব্যও। রেফারিং-জামাল আর নিজের মন্তব্য নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন বাফুফে সভাপতি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাজিম আল শমষের
প্রশ্ন: জামালের বিরুদ্ধে তো রেফারিরা বিদ্রোহই করেছেন। বাফুফে সভাপতি হিসেবে এখানে আপনার করণীয় কী?
সালাউদ্দিন: এখানে তো রাত-বিরাতে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। নিয়মকানুন দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
জামাল ভূঁইয়ার বিপক্ষে ম্যাচ বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ রেফারিরা। রেফারিদের ক্ষোভের মুখে দুঃখ প্রকাশ করেছেন জামাল। পুঞ্জীভূত ক্ষোভ থেকে রেফারিদের এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন সাবেক রেফারি মনসুর আজাদ, ‘রেফারিদের ক্ষোভ সব সময়ই ছিল, কিন্তু এভাবে সেটা প্রকাশ হয়নি। এবার সেটা বের হয়ে এসেছে। হয়তো রেফারিদের আস্থার কিছু ঘাটতি আছে কিন্তু সেটা ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব বাফুফের। যাঁরা ফেডারেশনের দায়িত্বে আছেন, মন্তব্যের সময় তাঁদের কৌশলী হতে হবে। কারণ, সরাসরি মন্তব্যের প্রভাব মাঠে পড়তেই পারে।
প্রশ্ন: রেফারিদের এই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার পেছনে আপনারও কিছু দায় আছে। রেফারিরা আপনার মন্তব্যটা ভালোভাবে নেননি। আপনার কী মনে হয় না, এখানে আপনার মন্তব্য বিতর্কে ঘি ঢেলেছে?
সালাউদ্দিন: আমি বাইরে থেকে মন্তব্য করেছি। কিন্তু রেফারি-খেলোয়াড়, যারা মাঠে থাকছে তারা তো আর হাতে আইন তুলে নিতে পারে না। এখন যেটা হয়েছে, সেটা দুই পক্ষের জন্যই ভালো। জামাল ভূঁইয়া যা করেছে সেটা অন্যায়, রেফারি যা করেছে সেটাও অন্যায়। এখানে অফিস (ফেডারেশন) আছে। যা করার তারাই করবে।
প্রশ্ন: ঘরোয়া ফুটবলে ম্যাচ রেফারিরা এমনিতেই চাপে থাকেন। আপনি যখন একটা দলের হয়ে মন্তব্য করছেন, তখন কি রেফারিরা আরও বাড়তি চাপ অনুভব করবেন না?
সালাউদ্দিন: আমি এটা বলতে চেয়েছি, সবাই সতর্ক হন। আপনারা এটাকে অন্যভাবে নেবেন না। আমার চোখে যেটা লেগেছে, সেটাই বলেছি। আমি একজন ট্যাকটিক্যাল পারসন। ৫০ বছর ধরে এসব দেখছি। আমি দুই পক্ষকেই সতর্ক করতে চেয়েছি। সাইফের পক্ষেও বলিনি, বিপক্ষেও বলিনি। চাই, সবকিছু যেন ভালোভাবে হয়। বসুন্ধরার মাঠে পুলিশের বিপক্ষেও রেফারি ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আমি তাদের সাবধান করতে চেয়েছি, না হলে ভুল হতেই থাকবে। জামালকে সমর্থন দিতে পারব না। কারণ, সে যা করেছে সেটা ভুল। আবার রেফারিরা যা করছে সেটাও ভুল।
প্রশ্ন: জামাল বর্তমান বাংলাদেশ ফুটবলের অধিনায়ক, তারকাখ্যাতি আছে। তাঁকে ঘিরে কি একটু বেশি বিতর্ক হচ্ছে?
সালাউদ্দিন: জামালের জন্য আমার যেটা পরামর্শ থাকবে, তুমি মাথা ঠান্ডা করে ফুটবল খেল। রেফারি বা কেউ যেন তোমাকে বিতর্কে না জড়াতে পারে।
প্রশ্ন: আপনি কিংবদন্তি ফুটবলার, একসময় কোচিং করিয়েছেন। বাংলাদেশের রেফারিং নিয়ে সমস্যা আপনার আরও ভালো জানার কথা। কিন্তু আপনার সময়ে এই সমস্যা দূর হওয়ার পরিবর্তে কেন বিতর্ক আরও বাড়ছে?
সালাউদ্দিন: পদক্ষেপ নিতে পারিনি, সেটা ভুল কথা। ফেডারেশন ভবনে রেফারিদের নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে, প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কেউ যদি নিজেকে না শোধরায় তাহলে যত সুবিধাই দিই, হবে না। আমি লিখিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এএফসি থেকে রেফারি পরামর্শক আনব, রেফারিদের প্রশিক্ষণের জন্য। প্রয়োজনে রেফারির সঙ্গে ১০ বার করে বসছি। কিন্তু কেউ যদি না পারে, আমি তো তার হয়ে মাঠে খেলে দিতে পারব না।
ক্ষমা চাইলেনজামাল
বিতর্কিত পেনাল্টি গোলে শেখ রাসেলের কাছে হারের পর রেফারিকে লাথি মারার অভিযোগ সাইফ স্পোর্টিং অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার বিপক্ষে। সংবাদমাধ্যমে তিনি দাবি করেছিলেন, রেফারি মিথ্যা বলেছেন। তাঁকে ঘিরে রেফারিদের ক্ষোভ বাড়তে থাকায় ক্ষমা চেয়েছেন জামাল। গতকাল এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘রেফারিং নিয়ে আমার মন্তব্যকে ঘিরে অনেক কথা হচ্ছে। এখানে একটা ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। কাউকে আঘাত বা কারও মনে কষ্ট দিতে চাইনি। আমার এমনটা করার ইচ্ছাও ছিল না। কেউ যদি আমার কথায় অপমানিত বা কষ্ট পান, আমি তাঁর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’
প্রশ্ন: রেফারিদের দাবি, বাফুফের কাছে তাদের পারিশ্রমিকের বেশ বড় একটা পাওনা বাকি আছে। এ বিষয় আপনি কী বলবেন?
সালাউদ্দিন: পারিশ্রমিক বাকি থাকার কথাটা ভুল। রেফারিদের কোটি কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে দেখুন, আমি আসার পর তাদের কত টাকা দিয়েছি। বাফুফেকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরতে লোকজন এসব বলছে। সাফে কী হয়েছে? রেফারি এসেছেন, তাঁদের পারিশ্রমিক দিয়েছি, তাঁরা চলে গেছেন। এটা তো নিয়মিত হচ্ছে। আরেকটা জিনিস, আগে রেফারিদের যে পারিশ্রমিক ছিল, আমি আসার পর সেটা ৩০০ গুণ বাড়িয়ে দিয়েছি।
বাংলাদেশের ফুটবলে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে রেফারিং নিয়ে। রেফারিকে লাথি মারার অভিযোগ সাইফ স্পোর্টিংয়ের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। আলোচনায় আছে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের মন্তব্যও। রেফারিং-জামাল আর নিজের মন্তব্য নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন বাফুফে সভাপতি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাজিম আল শমষের
প্রশ্ন: জামালের বিরুদ্ধে তো রেফারিরা বিদ্রোহই করেছেন। বাফুফে সভাপতি হিসেবে এখানে আপনার করণীয় কী?
সালাউদ্দিন: এখানে তো রাত-বিরাতে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। নিয়মকানুন দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
জামাল ভূঁইয়ার বিপক্ষে ম্যাচ বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ রেফারিরা। রেফারিদের ক্ষোভের মুখে দুঃখ প্রকাশ করেছেন জামাল। পুঞ্জীভূত ক্ষোভ থেকে রেফারিদের এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন সাবেক রেফারি মনসুর আজাদ, ‘রেফারিদের ক্ষোভ সব সময়ই ছিল, কিন্তু এভাবে সেটা প্রকাশ হয়নি। এবার সেটা বের হয়ে এসেছে। হয়তো রেফারিদের আস্থার কিছু ঘাটতি আছে কিন্তু সেটা ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব বাফুফের। যাঁরা ফেডারেশনের দায়িত্বে আছেন, মন্তব্যের সময় তাঁদের কৌশলী হতে হবে। কারণ, সরাসরি মন্তব্যের প্রভাব মাঠে পড়তেই পারে।
প্রশ্ন: রেফারিদের এই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার পেছনে আপনারও কিছু দায় আছে। রেফারিরা আপনার মন্তব্যটা ভালোভাবে নেননি। আপনার কী মনে হয় না, এখানে আপনার মন্তব্য বিতর্কে ঘি ঢেলেছে?
সালাউদ্দিন: আমি বাইরে থেকে মন্তব্য করেছি। কিন্তু রেফারি-খেলোয়াড়, যারা মাঠে থাকছে তারা তো আর হাতে আইন তুলে নিতে পারে না। এখন যেটা হয়েছে, সেটা দুই পক্ষের জন্যই ভালো। জামাল ভূঁইয়া যা করেছে সেটা অন্যায়, রেফারি যা করেছে সেটাও অন্যায়। এখানে অফিস (ফেডারেশন) আছে। যা করার তারাই করবে।
প্রশ্ন: ঘরোয়া ফুটবলে ম্যাচ রেফারিরা এমনিতেই চাপে থাকেন। আপনি যখন একটা দলের হয়ে মন্তব্য করছেন, তখন কি রেফারিরা আরও বাড়তি চাপ অনুভব করবেন না?
সালাউদ্দিন: আমি এটা বলতে চেয়েছি, সবাই সতর্ক হন। আপনারা এটাকে অন্যভাবে নেবেন না। আমার চোখে যেটা লেগেছে, সেটাই বলেছি। আমি একজন ট্যাকটিক্যাল পারসন। ৫০ বছর ধরে এসব দেখছি। আমি দুই পক্ষকেই সতর্ক করতে চেয়েছি। সাইফের পক্ষেও বলিনি, বিপক্ষেও বলিনি। চাই, সবকিছু যেন ভালোভাবে হয়। বসুন্ধরার মাঠে পুলিশের বিপক্ষেও রেফারি ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আমি তাদের সাবধান করতে চেয়েছি, না হলে ভুল হতেই থাকবে। জামালকে সমর্থন দিতে পারব না। কারণ, সে যা করেছে সেটা ভুল। আবার রেফারিরা যা করছে সেটাও ভুল।
প্রশ্ন: জামাল বর্তমান বাংলাদেশ ফুটবলের অধিনায়ক, তারকাখ্যাতি আছে। তাঁকে ঘিরে কি একটু বেশি বিতর্ক হচ্ছে?
সালাউদ্দিন: জামালের জন্য আমার যেটা পরামর্শ থাকবে, তুমি মাথা ঠান্ডা করে ফুটবল খেল। রেফারি বা কেউ যেন তোমাকে বিতর্কে না জড়াতে পারে।
প্রশ্ন: আপনি কিংবদন্তি ফুটবলার, একসময় কোচিং করিয়েছেন। বাংলাদেশের রেফারিং নিয়ে সমস্যা আপনার আরও ভালো জানার কথা। কিন্তু আপনার সময়ে এই সমস্যা দূর হওয়ার পরিবর্তে কেন বিতর্ক আরও বাড়ছে?
সালাউদ্দিন: পদক্ষেপ নিতে পারিনি, সেটা ভুল কথা। ফেডারেশন ভবনে রেফারিদের নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে, প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কেউ যদি নিজেকে না শোধরায় তাহলে যত সুবিধাই দিই, হবে না। আমি লিখিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এএফসি থেকে রেফারি পরামর্শক আনব, রেফারিদের প্রশিক্ষণের জন্য। প্রয়োজনে রেফারির সঙ্গে ১০ বার করে বসছি। কিন্তু কেউ যদি না পারে, আমি তো তার হয়ে মাঠে খেলে দিতে পারব না।
ক্ষমা চাইলেনজামাল
বিতর্কিত পেনাল্টি গোলে শেখ রাসেলের কাছে হারের পর রেফারিকে লাথি মারার অভিযোগ সাইফ স্পোর্টিং অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার বিপক্ষে। সংবাদমাধ্যমে তিনি দাবি করেছিলেন, রেফারি মিথ্যা বলেছেন। তাঁকে ঘিরে রেফারিদের ক্ষোভ বাড়তে থাকায় ক্ষমা চেয়েছেন জামাল। গতকাল এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘রেফারিং নিয়ে আমার মন্তব্যকে ঘিরে অনেক কথা হচ্ছে। এখানে একটা ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। কাউকে আঘাত বা কারও মনে কষ্ট দিতে চাইনি। আমার এমনটা করার ইচ্ছাও ছিল না। কেউ যদি আমার কথায় অপমানিত বা কষ্ট পান, আমি তাঁর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’
প্রশ্ন: রেফারিদের দাবি, বাফুফের কাছে তাদের পারিশ্রমিকের বেশ বড় একটা পাওনা বাকি আছে। এ বিষয় আপনি কী বলবেন?
সালাউদ্দিন: পারিশ্রমিক বাকি থাকার কথাটা ভুল। রেফারিদের কোটি কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে দেখুন, আমি আসার পর তাদের কত টাকা দিয়েছি। বাফুফেকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরতে লোকজন এসব বলছে। সাফে কী হয়েছে? রেফারি এসেছেন, তাঁদের পারিশ্রমিক দিয়েছি, তাঁরা চলে গেছেন। এটা তো নিয়মিত হচ্ছে। আরেকটা জিনিস, আগে রেফারিদের যে পারিশ্রমিক ছিল, আমি আসার পর সেটা ৩০০ গুণ বাড়িয়ে দিয়েছি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে