আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
দেশের কারাগারগুলোয় তৈরি হওয়া পণ্য বিক্রি থেকে যে লাভ হয়, তার ভাগ চেয়েছেন কারারক্ষীরা। সেই সঙ্গে উৎপাদিত পণ্যের লাভের অর্থ কোন খাতে কী পরিমাণ ব্যয় হয়; তার স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নিশ্চিত করাসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। কারারক্ষীদের এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন।
কারা অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশের ৬৮ কারাগারে কারাবেকারি ও কারাক্যানটিনে তৈরি করা খাদ্যসামগ্রী বিক্রি হয়। কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় কারাগারগুলোতে বিক্রি ভালো, জেলা কারাগারগুলোতে বিক্রি কম। এখানে উৎপাদিত পণ্যের লাভের একটি অংশ কারারক্ষীদের কল্যাণে ব্যয় করার কথা থাকলেও তা করা হয় না। মাসে এক দিন ‘বড়খানা (ভালো খাবার)’ দিয়ে লভ্যাংশের ব্যয় দেখিয়ে দেন জেলার ও জেল সুপার। এ নিয়ে কারারক্ষীদের মধ্যে ক্ষোভ আছে।
কারারক্ষীরা এখন থেকে এই অর্থ তাঁদের কল্যাণে ব্যয়ের দাবি জানিয়েছেন। কেউ নগদ টাকা বেতনের সঙ্গে সংযুক্তির দাবিও তুলেছেন। কারারক্ষীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কারা অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন লভ্যাংশের অর্থ দিয়ে কারারক্ষীদের প্রতি মাসে সেবামূলক পণ্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর মধ্যে সাবান, ডিটারজেন্ট বা খাদ্যসামগ্রী থাকতে পারে। যে মাসে যে রকম লাভ হবে, সেই মাসে সেভাবে কারারক্ষীদের একটি প্যাকেজ করে পণ্যসামগ্রী দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক আজকের পত্রিকাকে বলেন, কারারক্ষীদের কিছু দাবি ছিল, যেগুলো আমরা সমাধান করতে পেরেছি, সেগুলো আমরাই সমাধান করেছি। কিছু দাবি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বিষয়। সেগুলো মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আইজি প্রিজন আরও বলেন, কারাক্যানটিন ও কারাবেকারিতে উৎপাদিত পণ্যের লাভের একটি অংশ কারারক্ষী এবং তাঁদের পরিবারের কল্যাণে ব্যয় করার কথা। তবে সেটায় কিছুটা অস্বচ্ছতা ছিল। যে পরিমাণ অর্থ আসার কথা, সেই অর্থ হিসাবে জমা হতো না, এটা নিয়ে অস্বচ্ছতা ছিল। সেটা ঠিক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে ৬৮ কারাগারে সাড়ে ১০ হাজার কারারক্ষী রয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন কারাগারের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন কারারক্ষীরা। তাঁরা বিভিন্ন দাবিদাওয়া পাঠান কারা অধিদপ্তরে। কারারক্ষীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কারা অধিদপ্তর ১০টি প্রস্তাব পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। ১ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক কারারক্ষীদের ১০ দফা দাবির কথা তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন গ্রেড ও মর্যাদার বৈষম্য দূরীকরণ, কারা বিভাগকে প্রিজন সার্ভিস বাহিনী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান এবং কারাগারকে কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান ঘোষণা করা; অন্যান্য দপ্তর বা বাহিনীর মতো কারাগারের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য আজীবন রেশন সুবিধা প্রদান করা; কারারক্ষী পদ থেকে পর্যায়ক্রমে পদোন্নতি শেষে ডেপুটি জেলার ও তদূর্ধ্ব পদে পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি করা; যৌক্তিকভাবে কারাগারের জনবল বৃদ্ধি করা; অসুস্থ বন্দীকে স্থানীয় হাসপাতালে আনা-নেওয়ার সময় বন্দী নিরাপত্তার জন্য গার্ডিং স্টাফদের আগ্নেয়াস্ত্র বহন এবং আদালতে বন্দী হাজিরা ও বন্দীকে অন্য কারাগারে স্থানান্তরকালে নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগী হিসেবে গার্ডিং স্টাফের দায়িত্ব পালনের অনুমতি প্রদান করা; কারা বিভাগের পোশাকের রং, প্যাটার্ন ও র্যাঙ্ক ব্যাজ পরিবর্তন এবং পোশাক ও সরঞ্জামাদির প্রাপ্যতা বৃদ্ধি; কারাগারের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য ঝুঁকি ভাতা প্রবর্তন এবং ঝুঁকি ভাতা মূল বেতনের ৩০ শতাংশ হারে প্রদান; কারা কর্মকর্তাদের পাশাপাশি গার্ডিং স্টাফকে শান্তিরক্ষা মিশনে অন্তর্ভুক্তকরণ; কারাগার ও ব্যক্তি নিরাপত্তায় কারা কর্মকর্তাদের জন্য আগ্নেয়াস্ত্রের প্রাধিকার প্রদান এবং কারা অধিদপ্তরের জন্য সেকশন অফিসার পদ সৃজন করা।
দেশের কারাগারগুলোয় তৈরি হওয়া পণ্য বিক্রি থেকে যে লাভ হয়, তার ভাগ চেয়েছেন কারারক্ষীরা। সেই সঙ্গে উৎপাদিত পণ্যের লাভের অর্থ কোন খাতে কী পরিমাণ ব্যয় হয়; তার স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নিশ্চিত করাসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। কারারক্ষীদের এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন।
কারা অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশের ৬৮ কারাগারে কারাবেকারি ও কারাক্যানটিনে তৈরি করা খাদ্যসামগ্রী বিক্রি হয়। কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় কারাগারগুলোতে বিক্রি ভালো, জেলা কারাগারগুলোতে বিক্রি কম। এখানে উৎপাদিত পণ্যের লাভের একটি অংশ কারারক্ষীদের কল্যাণে ব্যয় করার কথা থাকলেও তা করা হয় না। মাসে এক দিন ‘বড়খানা (ভালো খাবার)’ দিয়ে লভ্যাংশের ব্যয় দেখিয়ে দেন জেলার ও জেল সুপার। এ নিয়ে কারারক্ষীদের মধ্যে ক্ষোভ আছে।
কারারক্ষীরা এখন থেকে এই অর্থ তাঁদের কল্যাণে ব্যয়ের দাবি জানিয়েছেন। কেউ নগদ টাকা বেতনের সঙ্গে সংযুক্তির দাবিও তুলেছেন। কারারক্ষীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কারা অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন লভ্যাংশের অর্থ দিয়ে কারারক্ষীদের প্রতি মাসে সেবামূলক পণ্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর মধ্যে সাবান, ডিটারজেন্ট বা খাদ্যসামগ্রী থাকতে পারে। যে মাসে যে রকম লাভ হবে, সেই মাসে সেভাবে কারারক্ষীদের একটি প্যাকেজ করে পণ্যসামগ্রী দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক আজকের পত্রিকাকে বলেন, কারারক্ষীদের কিছু দাবি ছিল, যেগুলো আমরা সমাধান করতে পেরেছি, সেগুলো আমরাই সমাধান করেছি। কিছু দাবি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বিষয়। সেগুলো মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আইজি প্রিজন আরও বলেন, কারাক্যানটিন ও কারাবেকারিতে উৎপাদিত পণ্যের লাভের একটি অংশ কারারক্ষী এবং তাঁদের পরিবারের কল্যাণে ব্যয় করার কথা। তবে সেটায় কিছুটা অস্বচ্ছতা ছিল। যে পরিমাণ অর্থ আসার কথা, সেই অর্থ হিসাবে জমা হতো না, এটা নিয়ে অস্বচ্ছতা ছিল। সেটা ঠিক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে ৬৮ কারাগারে সাড়ে ১০ হাজার কারারক্ষী রয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন কারাগারের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন কারারক্ষীরা। তাঁরা বিভিন্ন দাবিদাওয়া পাঠান কারা অধিদপ্তরে। কারারক্ষীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কারা অধিদপ্তর ১০টি প্রস্তাব পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। ১ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক কারারক্ষীদের ১০ দফা দাবির কথা তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন গ্রেড ও মর্যাদার বৈষম্য দূরীকরণ, কারা বিভাগকে প্রিজন সার্ভিস বাহিনী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান এবং কারাগারকে কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান ঘোষণা করা; অন্যান্য দপ্তর বা বাহিনীর মতো কারাগারের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য আজীবন রেশন সুবিধা প্রদান করা; কারারক্ষী পদ থেকে পর্যায়ক্রমে পদোন্নতি শেষে ডেপুটি জেলার ও তদূর্ধ্ব পদে পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি করা; যৌক্তিকভাবে কারাগারের জনবল বৃদ্ধি করা; অসুস্থ বন্দীকে স্থানীয় হাসপাতালে আনা-নেওয়ার সময় বন্দী নিরাপত্তার জন্য গার্ডিং স্টাফদের আগ্নেয়াস্ত্র বহন এবং আদালতে বন্দী হাজিরা ও বন্দীকে অন্য কারাগারে স্থানান্তরকালে নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগী হিসেবে গার্ডিং স্টাফের দায়িত্ব পালনের অনুমতি প্রদান করা; কারা বিভাগের পোশাকের রং, প্যাটার্ন ও র্যাঙ্ক ব্যাজ পরিবর্তন এবং পোশাক ও সরঞ্জামাদির প্রাপ্যতা বৃদ্ধি; কারাগারের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য ঝুঁকি ভাতা প্রবর্তন এবং ঝুঁকি ভাতা মূল বেতনের ৩০ শতাংশ হারে প্রদান; কারা কর্মকর্তাদের পাশাপাশি গার্ডিং স্টাফকে শান্তিরক্ষা মিশনে অন্তর্ভুক্তকরণ; কারাগার ও ব্যক্তি নিরাপত্তায় কারা কর্মকর্তাদের জন্য আগ্নেয়াস্ত্রের প্রাধিকার প্রদান এবং কারা অধিদপ্তরের জন্য সেকশন অফিসার পদ সৃজন করা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে