তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
করোনার বিধিনিষেধ উঠে গেছে। সবকিছুই এখন স্বাভাবিক। দুই বছরের ‘বন্দী’ জীবনযাপনের খোলস ছেড়ে মানুষ এবার শিকড়ের কাছে ফিরবে। তাই ঈদ যত এগিয়ে আসছে, কানের কাছে ভেসে আসছে স্বজনের ডাক–ও ভাই, কবে আসছেন?
সত্যিই এবার ঘরে ফেরার জন্য উদ্বিগ্ন মানুষ। কিন্তু মানুষের সেই আকাঙ্ক্ষা ফেরা নির্বিঘ্ন হবে তো? পথের ঝক্কি পেরিয়ে সময়মতো প্রিয়জনের কাছে পৌঁছাতে পারবেন? করোনার আগের বছরগুলোতে ঘরে ফেরা নিয়ে যে বিড়ম্বনা হয়েছে, তাতে ঘরমুখী মানুষগুলো যেন ‘ঘরপোড়া গরু’।
সরকারের তরফ থেকে এবারও বলা হচ্ছে, সবকিছু ঠিকঠাকই থাকবে। সড়ক, রেল ও নৌপথে যাত্রী পরিবহনের সব প্রস্তুতিই আছে। ঈদের যাত্রাপথ যেন সচল থাকে এবং কোনো ধরনের ভোগান্তি না হয়, সে জন্য প্রস্তুতিরও কমতি নেই। কিন্তু শেষমেশ সেই প্রস্তুতি কতটা থাকবে, সেটাই দেখার বিষয়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলে দিয়েছেন, ঈদে নৌ-চলাচল নিরাপদ রাখতে লঞ্চযাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে। ঈদ থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এনআইডি ছাড়া কাউকে লঞ্চের টিকিটও দেওয়া হবে না। প্রশ্ন উঠেছে, এসব করে কি লঞ্চে উপচে পড়া ভিড় কমানো যাবে?
লঞ্চের এই নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে এরই মধ্যে কথা বলতে শুরু করেছেন সবাই। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদের মৌসুমে সেটি বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। কারণ টিকিট কীভাবে চেক করা হবে তার কোনো ব্যবস্থা আছে কি না, পর্যাপ্ত লোকবল আছে কি না, সে বিষয়গুলো সামনে চলে আসে। সে ক্ষেত্রে হঠাৎ নতুন সিদ্ধান্তে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়তে পারে। তা ছাড়া করোনার দুই বছর পরে সড়কে যাত্রীর চাপ সামলানো চ্যালেঞ্জ হবে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামান বাদল বলেছেন, ‘এনআইডি ছাড়া টিকিট বিক্রির বিষয়টি কেবিনের যাত্রীদের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করা গেলেও সাধারণ যাত্রীর বেলায় সেটা সম্ভব না। তা ছাড়া যাঁর হাতে এনআইডি থাকবে না, তিনি কি লঞ্চঘাটে ঈদ পার করবেন?’
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বলেছে, ভিড় কমাতে এবার ঈদে ৫১টি ফেরি চলাচল করবে। ঈদের আগে রাতের বেলায় স্পিডবোট এবং বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। ঈদের আগে পাঁচ দিন এবং ঈদের পরের পাঁচ দিন দিনের বেলায়ও বালুবাহী বাল্কহেড চলবে না। ঈদের আগে তিন দিন ও ঈদের পরে তিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের ফেরি পারাপার বন্ধ থাকবে। কোনো ক্রমেই লঞ্চের যাত্রী ও মালামাল পরিমাণের চেয়ে বেশি নেওয়া যাবে না। লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করা যাবে না। কিন্তু কে দেখবে এসব?
বেশি ট্রেন চলবে
ট্রেনের যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এবার নিয়মিত ট্রেনের বাইরে কিছু বিশেষ ট্রেন চালানোর কথা ভাবছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আজ সোমবার এ নিয়ে বৈঠক হবে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে। সেখানে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন সভাপতিত্ব করবেন।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৬ থেকে ৭ জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হতে পারে এমন প্রস্তুতি আছে সংশ্লিষ্টদের। তবে সেটা যাত্রী চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে হতে পারে। বর্তমানে ২০১টি ইঞ্জিন বিভিন্ন ট্রেনের সঙ্গে চলাচল করছে। ঈদের সময় আরও ১৮টি ইঞ্জিন দিতে পারবে লোকোমোটিভ বিভাগ। সেই হিসাবে মোট ২১৮টি ইঞ্জিন প্রস্তুত থাকবে।
রেলের ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে সব মিলে মোট ৩৫১টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করছে। ঈদের সময় এই ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
এবার নিয়ম অনুযায়ী পাঁচ দিন আগে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। সেই হিসাবে রেলের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৩ এপ্রিল থেকে অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হতে পারে। রেলের খসড়া একটি প্রস্তাব অনুযায়ী, ২৩ এপ্রিল দেওয়া হতে পারে ২৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট। ২৪ এপ্রিল দেওয়া হতে পারে ২৮ এপ্রিলের টিকিট। ২৫ এপ্রিল দেওয়া হতে পারে ২৯ এপ্রিলের টিকিট। ২৬ এপ্রিল দেওয়া হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট। ২৭ এপ্রিল দেওয়া হতে পারে ১ মের অগ্রিম টিকিট। আগামী ২ মে ঈদুল ফিতর ধরে এই হিসাব করা হয়েছে। যদি ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ১০ দিন আগে থেকে দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে ১৮ এপ্রিল থেকে অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হতে পারে।
রেলওয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘ঈদে বিশেষ ট্রেন চালানোর বিষয়ে সোমবার আমাদের একটি মিটিং আছে। মিটিং শেষে বিশেষ ট্রেন কতটা পরিচালনা করা হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’
সড়ক মেরামত হবে
ঈদ ও বর্ষা সামনে রেখে সারা দেশের ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও মহাসড়কগুলো দ্রুত মেরামত করে যান চলাচলের জন্য সচল রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দায়সারাভাবে কাজ না করে নিজ নিজ জায়গা থেকে সবাইকে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। সড়কে কোথাও যেন যানজট না হয় সেদিকে কঠোরভাবে মনিটরিং করতে বলা হয়েছে।
ঈদে সড়কে যেন নির্বিঘ্ন যানবাহন চলাচল করতে পারে, তার জন্য ১৫ এপ্রিলের মধ্যে সব সড়ক-মহাসড়কের মেরামতকাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর। এই সময়ের মধ্যেই রাস্তার খানাখন্দ ভরাট করে যান চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা-রংপুর মহাসড়কে বিশাল প্রস্তুতি নিচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। এই মহাসড়কের নির্মাণাধীন ব্রিজ, আন্ডারপাস খুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা হচ্ছে। সিরাজগঞ্জের নতুন নকলা ব্রিজ ঈদের আগেই খুলে দেওয়া হবে। ভূঞাপুরে বাইপাস সড়কগুলো মেরামত করে দেওয়া হচ্ছে। সড়ক কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এ মহাসড়কে এবার যানজট কিছুটা কম হবে।
শ্যামলী এন আর ট্র্যাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশের বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শুভংকর ঘোষ রাকেশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে নির্মাণকাজ চলছে, এতে যানজট হতেই পারে। সে কারণে হাতে সময় নিয়েই যাত্রীদের পথে নামতে হবে।
জানতে চাইলে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, ‘ঈদের সময় যানবাহনগুলো যাতে ঠিকঠাক চলতে পারে, সে জন্য সড়কব্যবস্থার উন্নতি করা দরকার। এর জন্য সরকারকে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। না হলে মানুষের ভোগান্তি কমবে না।
করোনার বিধিনিষেধ উঠে গেছে। সবকিছুই এখন স্বাভাবিক। দুই বছরের ‘বন্দী’ জীবনযাপনের খোলস ছেড়ে মানুষ এবার শিকড়ের কাছে ফিরবে। তাই ঈদ যত এগিয়ে আসছে, কানের কাছে ভেসে আসছে স্বজনের ডাক–ও ভাই, কবে আসছেন?
সত্যিই এবার ঘরে ফেরার জন্য উদ্বিগ্ন মানুষ। কিন্তু মানুষের সেই আকাঙ্ক্ষা ফেরা নির্বিঘ্ন হবে তো? পথের ঝক্কি পেরিয়ে সময়মতো প্রিয়জনের কাছে পৌঁছাতে পারবেন? করোনার আগের বছরগুলোতে ঘরে ফেরা নিয়ে যে বিড়ম্বনা হয়েছে, তাতে ঘরমুখী মানুষগুলো যেন ‘ঘরপোড়া গরু’।
সরকারের তরফ থেকে এবারও বলা হচ্ছে, সবকিছু ঠিকঠাকই থাকবে। সড়ক, রেল ও নৌপথে যাত্রী পরিবহনের সব প্রস্তুতিই আছে। ঈদের যাত্রাপথ যেন সচল থাকে এবং কোনো ধরনের ভোগান্তি না হয়, সে জন্য প্রস্তুতিরও কমতি নেই। কিন্তু শেষমেশ সেই প্রস্তুতি কতটা থাকবে, সেটাই দেখার বিষয়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলে দিয়েছেন, ঈদে নৌ-চলাচল নিরাপদ রাখতে লঞ্চযাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে। ঈদ থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এনআইডি ছাড়া কাউকে লঞ্চের টিকিটও দেওয়া হবে না। প্রশ্ন উঠেছে, এসব করে কি লঞ্চে উপচে পড়া ভিড় কমানো যাবে?
লঞ্চের এই নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে এরই মধ্যে কথা বলতে শুরু করেছেন সবাই। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদের মৌসুমে সেটি বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। কারণ টিকিট কীভাবে চেক করা হবে তার কোনো ব্যবস্থা আছে কি না, পর্যাপ্ত লোকবল আছে কি না, সে বিষয়গুলো সামনে চলে আসে। সে ক্ষেত্রে হঠাৎ নতুন সিদ্ধান্তে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়তে পারে। তা ছাড়া করোনার দুই বছর পরে সড়কে যাত্রীর চাপ সামলানো চ্যালেঞ্জ হবে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামান বাদল বলেছেন, ‘এনআইডি ছাড়া টিকিট বিক্রির বিষয়টি কেবিনের যাত্রীদের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করা গেলেও সাধারণ যাত্রীর বেলায় সেটা সম্ভব না। তা ছাড়া যাঁর হাতে এনআইডি থাকবে না, তিনি কি লঞ্চঘাটে ঈদ পার করবেন?’
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বলেছে, ভিড় কমাতে এবার ঈদে ৫১টি ফেরি চলাচল করবে। ঈদের আগে রাতের বেলায় স্পিডবোট এবং বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। ঈদের আগে পাঁচ দিন এবং ঈদের পরের পাঁচ দিন দিনের বেলায়ও বালুবাহী বাল্কহেড চলবে না। ঈদের আগে তিন দিন ও ঈদের পরে তিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের ফেরি পারাপার বন্ধ থাকবে। কোনো ক্রমেই লঞ্চের যাত্রী ও মালামাল পরিমাণের চেয়ে বেশি নেওয়া যাবে না। লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করা যাবে না। কিন্তু কে দেখবে এসব?
বেশি ট্রেন চলবে
ট্রেনের যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এবার নিয়মিত ট্রেনের বাইরে কিছু বিশেষ ট্রেন চালানোর কথা ভাবছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আজ সোমবার এ নিয়ে বৈঠক হবে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে। সেখানে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন সভাপতিত্ব করবেন।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৬ থেকে ৭ জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হতে পারে এমন প্রস্তুতি আছে সংশ্লিষ্টদের। তবে সেটা যাত্রী চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে হতে পারে। বর্তমানে ২০১টি ইঞ্জিন বিভিন্ন ট্রেনের সঙ্গে চলাচল করছে। ঈদের সময় আরও ১৮টি ইঞ্জিন দিতে পারবে লোকোমোটিভ বিভাগ। সেই হিসাবে মোট ২১৮টি ইঞ্জিন প্রস্তুত থাকবে।
রেলের ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে সব মিলে মোট ৩৫১টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করছে। ঈদের সময় এই ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
এবার নিয়ম অনুযায়ী পাঁচ দিন আগে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। সেই হিসাবে রেলের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৩ এপ্রিল থেকে অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হতে পারে। রেলের খসড়া একটি প্রস্তাব অনুযায়ী, ২৩ এপ্রিল দেওয়া হতে পারে ২৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট। ২৪ এপ্রিল দেওয়া হতে পারে ২৮ এপ্রিলের টিকিট। ২৫ এপ্রিল দেওয়া হতে পারে ২৯ এপ্রিলের টিকিট। ২৬ এপ্রিল দেওয়া হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট। ২৭ এপ্রিল দেওয়া হতে পারে ১ মের অগ্রিম টিকিট। আগামী ২ মে ঈদুল ফিতর ধরে এই হিসাব করা হয়েছে। যদি ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ১০ দিন আগে থেকে দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে ১৮ এপ্রিল থেকে অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হতে পারে।
রেলওয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘ঈদে বিশেষ ট্রেন চালানোর বিষয়ে সোমবার আমাদের একটি মিটিং আছে। মিটিং শেষে বিশেষ ট্রেন কতটা পরিচালনা করা হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’
সড়ক মেরামত হবে
ঈদ ও বর্ষা সামনে রেখে সারা দেশের ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও মহাসড়কগুলো দ্রুত মেরামত করে যান চলাচলের জন্য সচল রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দায়সারাভাবে কাজ না করে নিজ নিজ জায়গা থেকে সবাইকে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। সড়কে কোথাও যেন যানজট না হয় সেদিকে কঠোরভাবে মনিটরিং করতে বলা হয়েছে।
ঈদে সড়কে যেন নির্বিঘ্ন যানবাহন চলাচল করতে পারে, তার জন্য ১৫ এপ্রিলের মধ্যে সব সড়ক-মহাসড়কের মেরামতকাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর। এই সময়ের মধ্যেই রাস্তার খানাখন্দ ভরাট করে যান চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা-রংপুর মহাসড়কে বিশাল প্রস্তুতি নিচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। এই মহাসড়কের নির্মাণাধীন ব্রিজ, আন্ডারপাস খুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা হচ্ছে। সিরাজগঞ্জের নতুন নকলা ব্রিজ ঈদের আগেই খুলে দেওয়া হবে। ভূঞাপুরে বাইপাস সড়কগুলো মেরামত করে দেওয়া হচ্ছে। সড়ক কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এ মহাসড়কে এবার যানজট কিছুটা কম হবে।
শ্যামলী এন আর ট্র্যাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশের বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শুভংকর ঘোষ রাকেশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে নির্মাণকাজ চলছে, এতে যানজট হতেই পারে। সে কারণে হাতে সময় নিয়েই যাত্রীদের পথে নামতে হবে।
জানতে চাইলে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, ‘ঈদের সময় যানবাহনগুলো যাতে ঠিকঠাক চলতে পারে, সে জন্য সড়কব্যবস্থার উন্নতি করা দরকার। এর জন্য সরকারকে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। না হলে মানুষের ভোগান্তি কমবে না।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে