মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি
মনোহরদী উপজেলার ৯ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামীকাল। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে প্রচারণা। বেশির ভাগ ইউপির ভোটাররা বলছেন, সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট হলে বিদ্রোহী ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের মধ্যে লড়াই হবে। তা ছাড়া বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচন করছে না বলে কোথাও কোথাও বিদ্রোহীরা সেই ভোট নিজেদের বাক্সে পেতে পারেন। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশের ওপর। এদিকে প্রশাসন বলছে ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিন দেখা গেছে, প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের প্রচার-প্রচারণায় মুখরিত উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। শেষ মুহূর্তের প্রচারে গতকাল দিনভর ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রার্থীরা। উপজেলার নয় ইউপির ছয়টিতেই রয়েছে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী। দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও প্রতিটি ইউনিয়নে বিএনপির কর্মীরা সমর্থন দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের। বিভিন্ন ইউনিয়নের ভোটারদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বিদ্রোহীদের চাপে বেকায়দায় আছেন নৌকার প্রার্থীরা।
গোতাশিয়া ইউপিতে নৌকার প্রার্থী মতিউর রহমানের বিপক্ষে প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বরকত রবিন। স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, এই দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। বড়চাপায় নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান উপাধ্যক্ষ এম সুলতান উদ্দিন। তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলাউদ্দিন মাস্টার। এখানেও এ দুজনের মধ্যে লড়াই হবে বলে মনে করেন স্থানীয় ভোটাররা।
কাঁচিকাটায় নৌকার প্রার্থী নাজিবুর রহমান সেলিমের বিপক্ষে লড়ছেন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রহিম এবং বর্তমান চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন খান কনক। এই ইউপির ভোটাররা বলছেন, এ তিনজনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
চালাকচরে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ফখরুল মান্নান মুক্তু। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সরদার মাহমুদ হাছান ফোটন। স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচন না করলেও স্বতন্ত্র হিসেবে বিএনপির প্রার্থী রয়েছে। তাই এখানে লড়াই আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে হবে। তবে বিএনপির সমর্থকেরা বলছেন, এ সরকারের আমলে ভোট সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাঁদের দাবি নির্বাচন সুষ্ঠু হলে ফোটনের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চন্দনবাড়ীতে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ হিরন। তাঁর বিপক্ষে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল কালাম আজাদ ফরিদ। একদুয়ারিয়াতে নৌকার বিপক্ষে বিদ্রোহী হয়েছেন তিনজন।
শুকুন্দীতে নৌকার প্রার্থী ছাদিকুর রহমান শামীমের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন হাতপাখার প্রার্থী এনামুল কবির মনির।
লেবুতলা ইউপিতে নৌকার প্রার্থী মো. জাকির হোসেন আকন্দ এবং তাঁর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মো. শফিকুল ইসলাম মাঝি ও হাতপাখার মো. আজিজুল ইসলাম।
জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, দলের সব নেতা-কর্মীকে নৌকার বিজয়ের জন্য কাজ করতে হবে। দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সাধারণ ভোটারদেরও চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এস এম কাশেম বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচনে অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলার জন্য ১২ জন নির্বাহী হাকিম, তিন প্লাটুন বিজিবি, তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।’
নরসিংদী জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের হুঁশিয়ার করা হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে চরম শাস্তি পেতে হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে।’
মনোহরদী উপজেলার ৯ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামীকাল। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে প্রচারণা। বেশির ভাগ ইউপির ভোটাররা বলছেন, সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট হলে বিদ্রোহী ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের মধ্যে লড়াই হবে। তা ছাড়া বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচন করছে না বলে কোথাও কোথাও বিদ্রোহীরা সেই ভোট নিজেদের বাক্সে পেতে পারেন। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশের ওপর। এদিকে প্রশাসন বলছে ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিন দেখা গেছে, প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের প্রচার-প্রচারণায় মুখরিত উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। শেষ মুহূর্তের প্রচারে গতকাল দিনভর ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রার্থীরা। উপজেলার নয় ইউপির ছয়টিতেই রয়েছে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী। দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও প্রতিটি ইউনিয়নে বিএনপির কর্মীরা সমর্থন দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের। বিভিন্ন ইউনিয়নের ভোটারদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বিদ্রোহীদের চাপে বেকায়দায় আছেন নৌকার প্রার্থীরা।
গোতাশিয়া ইউপিতে নৌকার প্রার্থী মতিউর রহমানের বিপক্ষে প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বরকত রবিন। স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, এই দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। বড়চাপায় নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান উপাধ্যক্ষ এম সুলতান উদ্দিন। তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলাউদ্দিন মাস্টার। এখানেও এ দুজনের মধ্যে লড়াই হবে বলে মনে করেন স্থানীয় ভোটাররা।
কাঁচিকাটায় নৌকার প্রার্থী নাজিবুর রহমান সেলিমের বিপক্ষে লড়ছেন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রহিম এবং বর্তমান চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন খান কনক। এই ইউপির ভোটাররা বলছেন, এ তিনজনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
চালাকচরে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ফখরুল মান্নান মুক্তু। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সরদার মাহমুদ হাছান ফোটন। স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচন না করলেও স্বতন্ত্র হিসেবে বিএনপির প্রার্থী রয়েছে। তাই এখানে লড়াই আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে হবে। তবে বিএনপির সমর্থকেরা বলছেন, এ সরকারের আমলে ভোট সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাঁদের দাবি নির্বাচন সুষ্ঠু হলে ফোটনের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চন্দনবাড়ীতে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ হিরন। তাঁর বিপক্ষে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল কালাম আজাদ ফরিদ। একদুয়ারিয়াতে নৌকার বিপক্ষে বিদ্রোহী হয়েছেন তিনজন।
শুকুন্দীতে নৌকার প্রার্থী ছাদিকুর রহমান শামীমের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন হাতপাখার প্রার্থী এনামুল কবির মনির।
লেবুতলা ইউপিতে নৌকার প্রার্থী মো. জাকির হোসেন আকন্দ এবং তাঁর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মো. শফিকুল ইসলাম মাঝি ও হাতপাখার মো. আজিজুল ইসলাম।
জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, দলের সব নেতা-কর্মীকে নৌকার বিজয়ের জন্য কাজ করতে হবে। দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সাধারণ ভোটারদেরও চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এস এম কাশেম বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচনে অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলার জন্য ১২ জন নির্বাহী হাকিম, তিন প্লাটুন বিজিবি, তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।’
নরসিংদী জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের হুঁশিয়ার করা হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে চরম শাস্তি পেতে হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে