নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর নিয়ামতপুরে আমনের ভরা মৌসুমেও দেখা মিলছে না বৃষ্টির। বেশির ভাগ কৃষক সেচের পানিতে আমন ধান রোপণ করেছেন। মাঝেমধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির দেখা মিললেও রোদের তীব্র তাপে তা হারিয়ে যাচ্ছে। জুলাই মাসের শুরু থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টি হয়েছে ১৫১ মিলিমিটার। অথচ গত বছর শুধু জুলাই মাসেই বৃষ্টি হয়েছে ৭৭৪ মিলিমিটার। বৃষ্টি কম হওয়ায় ধানের অনেক খেত ফেটে গেছে। মাঠে মাঠে গভীর-অগভীর নলকূপ চালু করে ফসল বাঁচানোর চেষ্টা করছেন উপজেলার কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় আমনের আবাদ হয়েছে প্রায় ২৯ হাজার হেক্টর জমিতে। এ ছাড়া মাঠে রয়েছে আউশ ধান। কিছুদিনের মধ্যে আউশ কৃষকের ঘরে উঠবে।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার আমনের খেত প্রস্তুত করতে হয়েছে সেচের মাধ্যমে। এ ছাড়াও ধানের চারা রোপণের পর এখন পর্যন্ত সেচ দিতে হয়েছে চারবার। এভাবে অনিয়মিত বৃষ্টি হলে কমপক্ষে আরও আট-নয়বার সেচ দিতে হবে। সে হিসাবে, ২৯ হাজার হেক্টর জমিতে অতিরিক্ত সেচ খরচে ব্যয় হবে প্রায় ২৫ কোটি টাকা।
উপজেলার বিভিন্ন আমনের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, সেচের অভাবে অনেক জমিতে ফাটল ধরেছে। কয়েক দিনের মধ্যে ওই সব জমিতে সেচ দিতে না পারলে ধানগাছ পুড়ে মারা যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিয়ামতপুর সদর ইউনিয়নের মারামারি গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম বলেন, এবার ১০ বিঘা জমিতে আমনের আবাদ করেছেন তিনি। চলমান খরার কারণে শুরু থেকেই তিনি সেচের মাধ্যমে খেত প্রস্তুতসহ আমনের চারা রোপণ করেছেন। এখন পর্যন্ত ধানগাছ বাঁচিয়ে রাখতে চারবার সেচ দিয়েছেন তিনি। বৃষ্টি না হওয়ায় এতে তাঁর অতিরিক্ত প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হবে।
বাতপাড়া গ্রামের বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপের অপারেটর ফিরোজ বলেন, বর্তমানে চাহিদামতো বিদ্যুৎ না পাওয়ায় কৃষকেরা লাইন দিয়েও জমিতে সেচ দিতে পারছেন না।
বাধ্য হয়ে জমিতে পানি চাওয়া কৃষকদের সিরিয়াল করা হয়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে একজন কৃষকের সিরিয়াল আসতে এক সপ্তাহ সময় লেগে যাচ্ছে। তত দিনে ওই সব কৃষকের জমিতে ফাটল দেখা দিচ্ছে।
নিয়ামতপুর জোন বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ জানান, বর্তমান খরা মোকাবিলায় ৫৯৮টি গভীর নলকূপ চালু রয়েছে। এ ছাড়াও ২০৪ কিলোমিটার খাল-বিল ও ৪৩৩টি পুনঃ খনন করা পুকুরে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ রয়েছে, যা থেকে কৃষক সেচের মাধ্যমে আমনের মাঠে ব্যবহার করছেন।
কৃষি কর্মকর্তা আমির আবদুল্লাহ মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, চলতি মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হলে এবার কৃষকদের আমন আবাদে সম্পূরক সেচ দিতে হচ্ছে। এতে বাড়তি ২৫ শতাংশ খরচ বাড়বে। গত বছর একবিঘা জমিতে আমন আবাদে কৃষকের খরচ পড়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। এবার খরচ পড়তে পারে ১৬ থেকে ১৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতি বিঘা জমিতে আমন আবাদে বাড়তি খরচ পড়বে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা।
নওগাঁর নিয়ামতপুরে আমনের ভরা মৌসুমেও দেখা মিলছে না বৃষ্টির। বেশির ভাগ কৃষক সেচের পানিতে আমন ধান রোপণ করেছেন। মাঝেমধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির দেখা মিললেও রোদের তীব্র তাপে তা হারিয়ে যাচ্ছে। জুলাই মাসের শুরু থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টি হয়েছে ১৫১ মিলিমিটার। অথচ গত বছর শুধু জুলাই মাসেই বৃষ্টি হয়েছে ৭৭৪ মিলিমিটার। বৃষ্টি কম হওয়ায় ধানের অনেক খেত ফেটে গেছে। মাঠে মাঠে গভীর-অগভীর নলকূপ চালু করে ফসল বাঁচানোর চেষ্টা করছেন উপজেলার কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় আমনের আবাদ হয়েছে প্রায় ২৯ হাজার হেক্টর জমিতে। এ ছাড়া মাঠে রয়েছে আউশ ধান। কিছুদিনের মধ্যে আউশ কৃষকের ঘরে উঠবে।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার আমনের খেত প্রস্তুত করতে হয়েছে সেচের মাধ্যমে। এ ছাড়াও ধানের চারা রোপণের পর এখন পর্যন্ত সেচ দিতে হয়েছে চারবার। এভাবে অনিয়মিত বৃষ্টি হলে কমপক্ষে আরও আট-নয়বার সেচ দিতে হবে। সে হিসাবে, ২৯ হাজার হেক্টর জমিতে অতিরিক্ত সেচ খরচে ব্যয় হবে প্রায় ২৫ কোটি টাকা।
উপজেলার বিভিন্ন আমনের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, সেচের অভাবে অনেক জমিতে ফাটল ধরেছে। কয়েক দিনের মধ্যে ওই সব জমিতে সেচ দিতে না পারলে ধানগাছ পুড়ে মারা যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিয়ামতপুর সদর ইউনিয়নের মারামারি গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম বলেন, এবার ১০ বিঘা জমিতে আমনের আবাদ করেছেন তিনি। চলমান খরার কারণে শুরু থেকেই তিনি সেচের মাধ্যমে খেত প্রস্তুতসহ আমনের চারা রোপণ করেছেন। এখন পর্যন্ত ধানগাছ বাঁচিয়ে রাখতে চারবার সেচ দিয়েছেন তিনি। বৃষ্টি না হওয়ায় এতে তাঁর অতিরিক্ত প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হবে।
বাতপাড়া গ্রামের বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপের অপারেটর ফিরোজ বলেন, বর্তমানে চাহিদামতো বিদ্যুৎ না পাওয়ায় কৃষকেরা লাইন দিয়েও জমিতে সেচ দিতে পারছেন না।
বাধ্য হয়ে জমিতে পানি চাওয়া কৃষকদের সিরিয়াল করা হয়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে একজন কৃষকের সিরিয়াল আসতে এক সপ্তাহ সময় লেগে যাচ্ছে। তত দিনে ওই সব কৃষকের জমিতে ফাটল দেখা দিচ্ছে।
নিয়ামতপুর জোন বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ জানান, বর্তমান খরা মোকাবিলায় ৫৯৮টি গভীর নলকূপ চালু রয়েছে। এ ছাড়াও ২০৪ কিলোমিটার খাল-বিল ও ৪৩৩টি পুনঃ খনন করা পুকুরে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ রয়েছে, যা থেকে কৃষক সেচের মাধ্যমে আমনের মাঠে ব্যবহার করছেন।
কৃষি কর্মকর্তা আমির আবদুল্লাহ মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, চলতি মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হলে এবার কৃষকদের আমন আবাদে সম্পূরক সেচ দিতে হচ্ছে। এতে বাড়তি ২৫ শতাংশ খরচ বাড়বে। গত বছর একবিঘা জমিতে আমন আবাদে কৃষকের খরচ পড়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। এবার খরচ পড়তে পারে ১৬ থেকে ১৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতি বিঘা জমিতে আমন আবাদে বাড়তি খরচ পড়বে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে