আশরাফ-উল-আলম, ঢাকা
ঢাকার সাভারে রানা প্লাজা ধসের ১০ বছর পূর্ণ হবে ২৪ এপ্রিল। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই শিল্প দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ১৩৬ জন পোশাকশ্রমিক। এই মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার চলছে ঢিমেতালে। আর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া সেই ভবন নির্মাণে ত্রুটি থাকার অভিযোগে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা আইনে দায়ের করা মামলাটির জট খোলেনি এখনো। দীর্ঘদিন হাইকোর্টে স্থগিত হয়ে আছে এটি। হাইকোর্টে শুনানিরও কোনো উদ্যোগ নেই।
রানা প্লাজা ধসে বিপুলসংখ্যক প্রাণহানি ছাড়াও গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেন আরও ১ হাজার ১৬৯ জন শ্রমিক। এ ঘটনায় মোট তিনটি মামলা হয়। এর মধ্যে শ্রমিকদের মৃত্যুতে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে মামলাটি করে পুলিশ। ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘন করে ভবন নির্মাণের অভিযোগে অপর মামলাটি করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। আর ভবন নির্মাণসংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে আরেকটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাটি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। ওই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই। পরে সাক্ষীর পর্যায়ে এসে থেমে যায় মামলার কার্যক্রম। হাইকোর্টের আদেশে পাঁচ বছর স্থগিত থাকে মামলাটি। পরে গত বছরের জানুয়ারিতে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়। গত বছরের ৩১ জানুয়ারি মামলার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। গত ১ বছর ৩ মাসে ৩৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এ মামলায় অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয়েছে ৫৯৪ জনকে।
আদালত সূত্র বলছে, মামলাটির ৪১ আসামির মধ্যে বর্তমানে কারাগারে আছেন একজন। তিনি হলেন রানা প্লাজা ভবনের মালিক সোহেল রানা। জামিনে আছেন ৩২ আসামি। পলাতক ছয়জন। মারা গেছেন দুই আসামি।
রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পিপি মিজানুর রহমান সজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, শ্রমিকদের মৃত্যুসংক্রান্ত মামলা দীর্ঘদিন স্থগিত থাকায় বিচার বিলম্বিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৩৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলা চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে কত দিন লাগবে, সেটা বলা মুশকিল। তবে যে গতিতে চলছে, তাতে আরও কমপক্ষে দুই বছর সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইমারত নির্মাণ বিধিমালার মামলাটির তদন্ত শেষে সিআইডি সোহেল রানা ও তাঁর বাবা-মাসহ ১৮ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। আসামিদের মধ্যে একমাত্র সোহেল রানা কারাগারে রয়েছেন। পাঁচ আসামি পলাতক, অন্যরা জামিনে আছেন। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন।
ওই আদালতের অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কবির বাবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলায় অভিযোগ গঠন করার পর আসামিপক্ষের মামলা বাতিলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেন। তিনি আরও বলেন, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী করা মামলাটি আসামি সাভার পৌরসভার সাবেক মেয়র রিফাতুল্লাহর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্থগিত রয়েছে। ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার না হলে মামলার কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না।
ভবন নির্মাণসংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে আরেকটি মামলা করে দুদক। রানা প্লাজা ধসের জন্য ছয়জন সরকারি কর্মকর্তাকে অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি করার অনুমতি না পাওয়ার কারণে তিন বছর ঝুলে ছিল এই মামলা। সে সময় জনপ্রশাসন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের যুক্তি ছিল, যাঁরা বড় অপরাধ করেননি, তাঁদের অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি করার অনুমতি দিতে পারবে না তারা। শেষ পর্যন্ত সরকারের অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টায় সাভারের রানা প্লাজা ভবনের তৃতীয় তলায় পিলার ও দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়। খবর পেয়ে বিজিএমইএর কর্মকর্তারা রানা প্লাজা ভবনে আসেন। গার্মেন্টস মালিকদের পরামর্শ দেন, বুয়েটের ভবন বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করা পর্যন্ত সব কার্যক্রম যেন বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু পাঁচ গার্মেন্টস মালিক এবং তাঁদের লোকজন ভয়ভীতি দেখিয়ে পরদিন (২৪ এপ্রিল) শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বাধ্য করেন। এর সঙ্গে যোগ দেন রানা প্লাজা ভবনের মালিক খালেক ও সোহেল রানা। সোহেল রানা সেদিন বলেছিলেন, ‘আগামী ১০০ বছরেও রানা প্লাজা ভেঙে পড়বে না।’ অথচ সেই ২৪ এপ্রিল ভেঙে পড়ে রানা প্লাজা। পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে।
ঢাকার সাভারে রানা প্লাজা ধসের ১০ বছর পূর্ণ হবে ২৪ এপ্রিল। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই শিল্প দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ১৩৬ জন পোশাকশ্রমিক। এই মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার চলছে ঢিমেতালে। আর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া সেই ভবন নির্মাণে ত্রুটি থাকার অভিযোগে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা আইনে দায়ের করা মামলাটির জট খোলেনি এখনো। দীর্ঘদিন হাইকোর্টে স্থগিত হয়ে আছে এটি। হাইকোর্টে শুনানিরও কোনো উদ্যোগ নেই।
রানা প্লাজা ধসে বিপুলসংখ্যক প্রাণহানি ছাড়াও গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেন আরও ১ হাজার ১৬৯ জন শ্রমিক। এ ঘটনায় মোট তিনটি মামলা হয়। এর মধ্যে শ্রমিকদের মৃত্যুতে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে মামলাটি করে পুলিশ। ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘন করে ভবন নির্মাণের অভিযোগে অপর মামলাটি করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। আর ভবন নির্মাণসংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে আরেকটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাটি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। ওই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই। পরে সাক্ষীর পর্যায়ে এসে থেমে যায় মামলার কার্যক্রম। হাইকোর্টের আদেশে পাঁচ বছর স্থগিত থাকে মামলাটি। পরে গত বছরের জানুয়ারিতে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়। গত বছরের ৩১ জানুয়ারি মামলার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। গত ১ বছর ৩ মাসে ৩৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এ মামলায় অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয়েছে ৫৯৪ জনকে।
আদালত সূত্র বলছে, মামলাটির ৪১ আসামির মধ্যে বর্তমানে কারাগারে আছেন একজন। তিনি হলেন রানা প্লাজা ভবনের মালিক সোহেল রানা। জামিনে আছেন ৩২ আসামি। পলাতক ছয়জন। মারা গেছেন দুই আসামি।
রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পিপি মিজানুর রহমান সজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, শ্রমিকদের মৃত্যুসংক্রান্ত মামলা দীর্ঘদিন স্থগিত থাকায় বিচার বিলম্বিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৩৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলা চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে কত দিন লাগবে, সেটা বলা মুশকিল। তবে যে গতিতে চলছে, তাতে আরও কমপক্ষে দুই বছর সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইমারত নির্মাণ বিধিমালার মামলাটির তদন্ত শেষে সিআইডি সোহেল রানা ও তাঁর বাবা-মাসহ ১৮ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। আসামিদের মধ্যে একমাত্র সোহেল রানা কারাগারে রয়েছেন। পাঁচ আসামি পলাতক, অন্যরা জামিনে আছেন। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন।
ওই আদালতের অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কবির বাবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলায় অভিযোগ গঠন করার পর আসামিপক্ষের মামলা বাতিলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেন। তিনি আরও বলেন, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী করা মামলাটি আসামি সাভার পৌরসভার সাবেক মেয়র রিফাতুল্লাহর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্থগিত রয়েছে। ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার না হলে মামলার কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না।
ভবন নির্মাণসংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে আরেকটি মামলা করে দুদক। রানা প্লাজা ধসের জন্য ছয়জন সরকারি কর্মকর্তাকে অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি করার অনুমতি না পাওয়ার কারণে তিন বছর ঝুলে ছিল এই মামলা। সে সময় জনপ্রশাসন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের যুক্তি ছিল, যাঁরা বড় অপরাধ করেননি, তাঁদের অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি করার অনুমতি দিতে পারবে না তারা। শেষ পর্যন্ত সরকারের অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টায় সাভারের রানা প্লাজা ভবনের তৃতীয় তলায় পিলার ও দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়। খবর পেয়ে বিজিএমইএর কর্মকর্তারা রানা প্লাজা ভবনে আসেন। গার্মেন্টস মালিকদের পরামর্শ দেন, বুয়েটের ভবন বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করা পর্যন্ত সব কার্যক্রম যেন বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু পাঁচ গার্মেন্টস মালিক এবং তাঁদের লোকজন ভয়ভীতি দেখিয়ে পরদিন (২৪ এপ্রিল) শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বাধ্য করেন। এর সঙ্গে যোগ দেন রানা প্লাজা ভবনের মালিক খালেক ও সোহেল রানা। সোহেল রানা সেদিন বলেছিলেন, ‘আগামী ১০০ বছরেও রানা প্লাজা ভেঙে পড়বে না।’ অথচ সেই ২৪ এপ্রিল ভেঙে পড়ে রানা প্লাজা। পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে