ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট
সিলেটের দুটি বিসিক নগরী নানা সমস্যায় জর্জরিত। শিল্পমালিকেরা সমস্যা সমাধানে তাগাদা দিলেও কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেয় না বলে অভিযোগ তাঁদের। অন্যদিকে কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন সমস্যা সমাধানের। শিল্পনগরী দুটি হলো খাদিমনগর ও গোটাটিকর।
জানা গেছে, খাদিমনগরে বিসিক চালু হওয়ার ২৫ বছরেও হয়নি সীমানাপ্রাচীর। অরক্ষিত থাকায় প্রায়ই ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) না থাকায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। নেই রাস্তাঘাট, ড্রেনেজব্যবস্থাও। দুই বছর আগে দরপত্র হলেও রাস্তার কাজ এখনো শুরু হয়নি, আর নালার কাজও ৪০ ভাগ বাকি রয়েছে। অথচ আগামী জুন মাসেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে কাজ দুটির। এক বছর ধরে বিশুদ্ধ পানির গভীর নলকূপ বন্ধ থাকাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত খাদিমনগর শিল্পনগরী। এ ছাড়া এখানে ৭৪টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৭টি উৎপাদনে রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি নির্মাণাধীন আর চারটি বন্ধ রয়েছে। জনবল-সংকট তো আছেই, রয়েছে চাঁদাবাজির অভিযোগও।
একইভাবে অন্য শিল্পনগরী গোটাটিকরও ধুঁকছে নানা সমস্যায়। অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে জলাবদ্ধতা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ বিরাজ করছে বিসিকের অভ্যন্তরে, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। কর্তৃপক্ষ ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৬ লাখ টাকার উন্নয়নকাজ হয়েছে দাবি করলেও বাস্তবে এর কোনো কিছুই চোখে পড়েনি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সিলেট শহরতলির খাদিমনগরে বিসিক শিল্পনগরীর যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৭ সালে। এটি সিলেটের দ্বিতীয় শিল্পনগরী। এখানে ৭৪টি শিল্প ইউনিটের মধ্যে ৬৫টিতে পুরোদমে উৎপাদন চালু রয়েছে। বাকি নয়টির মধ্যে চারটি বন্ধ এবং তিনটিতে চলছে অবকাঠামো নির্মাণ। এসব শিল্পকারখানায় মোট বিনিয়োগ ১৬০ কোটি টাকা। বার্ষিক উৎপাদন হচ্ছে ৩৯২ কোটি টাকা। ৫ হাজার ৭৩০ জন মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে খাদিমনগর বিসিকের বিভিন্ন শিল্পকারখানায়।
দেখা গেছে, সীমানাপ্রচীর না থাকায় চারদিক অরক্ষিত। কোথাও ভাঙাচোরা, কোথাও কাঁচা রাস্তা। বেশির ভাগ এলাকায় ড্রেন নির্মাণকাজ চলছে। নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ বিশুদ্ধ পানির নলকূপ। বিভিন্ন স্থানে ময়লা-অবর্জনার স্তূপ পড়ে রয়েছে। পানি ও বিদ্যুতের লাইনও অপর্যাপ্ত।
খাদিমনগর বিসিকে শিল্পমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ সুমন বলেন, ‘রাস্তাঘাট, ড্রেন ও সীমানাপ্রচীর নেই। আশপাশের গ্রামের লোকজন ওপেন আসা-যাওয়া করে। মাদকসেবীরাও এসে মাদক সেবন ও কেনাবেচা করে। যেকোনো কিছু হলেই পাড়ার লোকজন এসে ঝামেলা বাড়ায়। এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা চাঁদাবাজি। বিদ্যুৎ সমস্যা আমরা মালিকেরা মিলে দৌড়াদৌড়ি করে মোটামুটি সমাধান করেছি।’
১৯৬৪ সালে কাজ শুরু হলেও ১৯৭৮ সালে গোটাটিকর বিসিকের যাত্রা শুরু। ৭২টি শিল্প ইউনিটের মধ্যে বর্তমানে এ বিসিকে ৬৬টি কারখানা উৎপাদনে রয়েছে। এর মধ্যে ৪২টিই মিষ্টি ও খাদ্যজাত পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত। এর মধ্যে মাত্র তিনটি প্রতিষ্ঠানের ইটিপি রয়েছে। এসব শিল্পকারখানায় মোট বিনিয়োগ ১৫ কোটি টাকা। বার্ষিক উৎপাদন হচ্ছে ২৩০ কোটি টাকা। ৪ হাজার ৪০০ জন মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে গোটাটিকর বিসিকের বিভিন্ন শিল্পকারখানায়।
বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গোটাটিকর বিসিকের সবচেয়ে বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা। সামনের সড়কসহ আশপাশের সব স্থাপনা উঁচু। ফলে ভেতরে নালার ব্যবস্থা থাকলেও বিসিকের পানি বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
বিসিক শিল্পমালিক সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় এখানকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ড্রেনেজব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই ময়লা-দুর্গন্ধযুক্ত পানি ঢুকে আমাদের লাখ লাখ টাকার মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। এখানে ভোগান্তির শেষ নেই।’
তবে গোটাটিকর বিসিক শিল্পনগরীর কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আবিদুর রহমান খান বলেন, বিসিকের ভেতরের নালাগুলো সংস্কার করা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৬ লাখ টাকার উন্নয়নকাজ হয়েছে।
বিসিক সিলেটের উপমহাব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) ম. সুহেল হাওলাদার বলেন, ‘খাদিমনগরের ড্রেনের কাজ শেষ হয়েছে। রাস্তার কাজ ঢাকা থেকে দেখছে। ওখান থেকে জানতে হবে। গোটাটিকরে গত বছরে মোটামুটি কিছু কাজ হয়েছে। আমরা আরেকটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। এখন দেখা যাক কী হয়।’
সিলেটের দুটি বিসিক নগরী নানা সমস্যায় জর্জরিত। শিল্পমালিকেরা সমস্যা সমাধানে তাগাদা দিলেও কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেয় না বলে অভিযোগ তাঁদের। অন্যদিকে কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন সমস্যা সমাধানের। শিল্পনগরী দুটি হলো খাদিমনগর ও গোটাটিকর।
জানা গেছে, খাদিমনগরে বিসিক চালু হওয়ার ২৫ বছরেও হয়নি সীমানাপ্রাচীর। অরক্ষিত থাকায় প্রায়ই ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) না থাকায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। নেই রাস্তাঘাট, ড্রেনেজব্যবস্থাও। দুই বছর আগে দরপত্র হলেও রাস্তার কাজ এখনো শুরু হয়নি, আর নালার কাজও ৪০ ভাগ বাকি রয়েছে। অথচ আগামী জুন মাসেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে কাজ দুটির। এক বছর ধরে বিশুদ্ধ পানির গভীর নলকূপ বন্ধ থাকাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত খাদিমনগর শিল্পনগরী। এ ছাড়া এখানে ৭৪টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৭টি উৎপাদনে রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি নির্মাণাধীন আর চারটি বন্ধ রয়েছে। জনবল-সংকট তো আছেই, রয়েছে চাঁদাবাজির অভিযোগও।
একইভাবে অন্য শিল্পনগরী গোটাটিকরও ধুঁকছে নানা সমস্যায়। অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে জলাবদ্ধতা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ বিরাজ করছে বিসিকের অভ্যন্তরে, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। কর্তৃপক্ষ ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৬ লাখ টাকার উন্নয়নকাজ হয়েছে দাবি করলেও বাস্তবে এর কোনো কিছুই চোখে পড়েনি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সিলেট শহরতলির খাদিমনগরে বিসিক শিল্পনগরীর যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৭ সালে। এটি সিলেটের দ্বিতীয় শিল্পনগরী। এখানে ৭৪টি শিল্প ইউনিটের মধ্যে ৬৫টিতে পুরোদমে উৎপাদন চালু রয়েছে। বাকি নয়টির মধ্যে চারটি বন্ধ এবং তিনটিতে চলছে অবকাঠামো নির্মাণ। এসব শিল্পকারখানায় মোট বিনিয়োগ ১৬০ কোটি টাকা। বার্ষিক উৎপাদন হচ্ছে ৩৯২ কোটি টাকা। ৫ হাজার ৭৩০ জন মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে খাদিমনগর বিসিকের বিভিন্ন শিল্পকারখানায়।
দেখা গেছে, সীমানাপ্রচীর না থাকায় চারদিক অরক্ষিত। কোথাও ভাঙাচোরা, কোথাও কাঁচা রাস্তা। বেশির ভাগ এলাকায় ড্রেন নির্মাণকাজ চলছে। নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ বিশুদ্ধ পানির নলকূপ। বিভিন্ন স্থানে ময়লা-অবর্জনার স্তূপ পড়ে রয়েছে। পানি ও বিদ্যুতের লাইনও অপর্যাপ্ত।
খাদিমনগর বিসিকে শিল্পমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ সুমন বলেন, ‘রাস্তাঘাট, ড্রেন ও সীমানাপ্রচীর নেই। আশপাশের গ্রামের লোকজন ওপেন আসা-যাওয়া করে। মাদকসেবীরাও এসে মাদক সেবন ও কেনাবেচা করে। যেকোনো কিছু হলেই পাড়ার লোকজন এসে ঝামেলা বাড়ায়। এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা চাঁদাবাজি। বিদ্যুৎ সমস্যা আমরা মালিকেরা মিলে দৌড়াদৌড়ি করে মোটামুটি সমাধান করেছি।’
১৯৬৪ সালে কাজ শুরু হলেও ১৯৭৮ সালে গোটাটিকর বিসিকের যাত্রা শুরু। ৭২টি শিল্প ইউনিটের মধ্যে বর্তমানে এ বিসিকে ৬৬টি কারখানা উৎপাদনে রয়েছে। এর মধ্যে ৪২টিই মিষ্টি ও খাদ্যজাত পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত। এর মধ্যে মাত্র তিনটি প্রতিষ্ঠানের ইটিপি রয়েছে। এসব শিল্পকারখানায় মোট বিনিয়োগ ১৫ কোটি টাকা। বার্ষিক উৎপাদন হচ্ছে ২৩০ কোটি টাকা। ৪ হাজার ৪০০ জন মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে গোটাটিকর বিসিকের বিভিন্ন শিল্পকারখানায়।
বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গোটাটিকর বিসিকের সবচেয়ে বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা। সামনের সড়কসহ আশপাশের সব স্থাপনা উঁচু। ফলে ভেতরে নালার ব্যবস্থা থাকলেও বিসিকের পানি বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
বিসিক শিল্পমালিক সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় এখানকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ড্রেনেজব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই ময়লা-দুর্গন্ধযুক্ত পানি ঢুকে আমাদের লাখ লাখ টাকার মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। এখানে ভোগান্তির শেষ নেই।’
তবে গোটাটিকর বিসিক শিল্পনগরীর কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আবিদুর রহমান খান বলেন, বিসিকের ভেতরের নালাগুলো সংস্কার করা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৬ লাখ টাকার উন্নয়নকাজ হয়েছে।
বিসিক সিলেটের উপমহাব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) ম. সুহেল হাওলাদার বলেন, ‘খাদিমনগরের ড্রেনের কাজ শেষ হয়েছে। রাস্তার কাজ ঢাকা থেকে দেখছে। ওখান থেকে জানতে হবে। গোটাটিকরে গত বছরে মোটামুটি কিছু কাজ হয়েছে। আমরা আরেকটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। এখন দেখা যাক কী হয়।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে