মো. ফরিদ রায়হান, অষ্টগ্রাম
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে ফেলা হচ্ছে পলিথিন, চিপসের প্যাকেটসহ হাটবাজারের ময়লা ও অপচনশীল প্লাস্টিক বর্জ্য। এসব বর্জ্য বৃষ্টি আর বর্ষার পানিতে ভেসে গিয়ে জমছে ধলেশ্বরী নদীর তলদেশে। কোথাও নেই ময়লা সংরক্ষণের পাত্র ও বর্জ্য শোধনাগার। তবে দিনের পর দিন এমনটা হয়ে এলে নির্বিকার পরিবেশ অধিদপ্তর। নদীদূষণে প্রশাসনের এমন উদাসীনতায় উদ্বেগ জানিয়েছেন পরিবেশ আন্দোলনকর্মীরা। এসব সমস্যা সমাধানে দ্রুত ময়লা সংরক্ষণাগার, শোধনাগার নির্মাণ ও সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় ও সচেতন মহল জানিয়েছে, অষ্টগ্রামের হাটবাজারের ময়লা, প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলার কোনো নির্ধারিত স্থান নেই। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম না থাকায় যে যার ইচ্ছেমতো যত্রতত্র ফেলছে ময়লা। পচনশীল ময়লার দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে বাতাস। অপচনশীল প্লাস্টিক বর্জ্য বৃষ্টি ও বর্ষার পানির সঙ্গে নেমে যাচ্ছে নদীতে। এতে করে পরিবেশ ও নদীর তলদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা।
গতকাল শনিবার দুপুরে অষ্টগ্রাম উপজেলা সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন হাটবাজারে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সদর ইউনিয়নের কাচারি খালসংলগ্ন বড় বাজারের কোর্ট বিল্ডিং ব্রিজ ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মার্কেট ব্রিজ। গোয়ালসিংয়ের খালসংলগ্ন অষ্টগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে ও মদিনা মার্কেট এলাকায় খালের উত্তর পাড়ে খোলা জায়গায় দেখা গেছে ময়লা ও প্লাস্টিক বর্জ্যের স্তূপ। অবাধে ময়লা ফেলার দৃশ্য চোখে পড়লেও দূষণ বন্ধে কোথাও কোনো সরকারি নির্দেশনা দেখা যায়নি।
খোলা আকাশের নিচে এভাবে ফেলা রাখা ময়লা ও বর্জ্যের দুর্গন্ধে পার্শ্ববর্তী রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা কষ্টকর। মাঝেমধ্যে কাক ও কুকুর ময়লার অংশবিশেষ টেনে নিয়ে যায় লোকালয়ে। এতে বিভিন্ন রোগের জীবাণুতে সংক্রমিত হতে পারেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে স্থানীয় পরিবেশ। বিপাকে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
অষ্টগ্রাম বড় বাজারের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নিয়মিত পরিষ্কার করা ময়লা ও প্লাস্টিক বর্জ্য, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কার্যালয়সংলগ্ন (পুরোনো) কাচারি খাল, উপজেলা প্রশাসনের আবাসিক এলাকা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাতায়াতের প্রধান রাস্তা কোর্ট বিল্ডিং ব্রিজের নিচে ময়লা জমিয়ে রাখছেন।
খালের পাড়ে অরক্ষিতভাবে ফেলা দেওয়া ময়লা ও অপচনশীল প্লাস্টিক বর্জ্য, বর্ষা ও বৃষ্টির পানির সঙ্গে নেমে যাচ্ছে ধলেশ্বরী নদীতে। এতে ভরাট হচ্ছে নদী ও খাল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সচেতনতার অভাব ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উদাসীনতায় প্রতিদিন এভাবে দূষণ বাড়ছে। ভরাট হচ্ছে নদী, খাল। সদর ইউনিয়নের শাহজাহান মিয়া (২৮) বলেন, এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা মুশকিল। বাধ্য না হলে এখান দিয়ে যাই না। এত মানুষের মাঝে এমন নোংরা পরিবেশ মানা যায় না। এখানে ময়লা ফেলা বন্ধ করা দরকার।
স্থানীয় বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, ডাস্টবিন স্থাপন না করায় যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। প্রায় সময় দুর্গন্ধে দোকানে থাকা মুশকিল হয়ে পড়ে। দূরে কোথাও ময়লা ফেলা ও ময়লা শোধনাগার নির্মাণ করা দরকার।
পরিবেশভিত্তিক সংগঠন ‘হাওরাঞ্চলবাসী’ ঢাকা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বাবু বলেন, ইতিমধ্যে প্লাস্টিক বর্জ্য হাওরের পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুকুর, ধানখেত ও নদীর ইকোসিস্টেম বিনষ্ট করছে প্লাস্টিক বর্জ্য। হাওরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না। রয়েছে সচেতনতার অভাব। তিনি আরও বলেন, হাওরের জীবনধারা ও পরিবেশ রক্ষায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
অষ্টগ্রাম সদর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু বলেন, ‘বিষয়টি দৃষ্টিকটু ও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। আমরা সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।’ কিশোরগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট রুবাইয়াত তাহরীম সৌরভ বলেন, এভাবে ময়লা ও প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা উচিত নয়। আগামী জেলা নদী রক্ষা সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে ফেলা হচ্ছে পলিথিন, চিপসের প্যাকেটসহ হাটবাজারের ময়লা ও অপচনশীল প্লাস্টিক বর্জ্য। এসব বর্জ্য বৃষ্টি আর বর্ষার পানিতে ভেসে গিয়ে জমছে ধলেশ্বরী নদীর তলদেশে। কোথাও নেই ময়লা সংরক্ষণের পাত্র ও বর্জ্য শোধনাগার। তবে দিনের পর দিন এমনটা হয়ে এলে নির্বিকার পরিবেশ অধিদপ্তর। নদীদূষণে প্রশাসনের এমন উদাসীনতায় উদ্বেগ জানিয়েছেন পরিবেশ আন্দোলনকর্মীরা। এসব সমস্যা সমাধানে দ্রুত ময়লা সংরক্ষণাগার, শোধনাগার নির্মাণ ও সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় ও সচেতন মহল জানিয়েছে, অষ্টগ্রামের হাটবাজারের ময়লা, প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলার কোনো নির্ধারিত স্থান নেই। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম না থাকায় যে যার ইচ্ছেমতো যত্রতত্র ফেলছে ময়লা। পচনশীল ময়লার দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে বাতাস। অপচনশীল প্লাস্টিক বর্জ্য বৃষ্টি ও বর্ষার পানির সঙ্গে নেমে যাচ্ছে নদীতে। এতে করে পরিবেশ ও নদীর তলদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা।
গতকাল শনিবার দুপুরে অষ্টগ্রাম উপজেলা সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন হাটবাজারে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সদর ইউনিয়নের কাচারি খালসংলগ্ন বড় বাজারের কোর্ট বিল্ডিং ব্রিজ ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মার্কেট ব্রিজ। গোয়ালসিংয়ের খালসংলগ্ন অষ্টগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে ও মদিনা মার্কেট এলাকায় খালের উত্তর পাড়ে খোলা জায়গায় দেখা গেছে ময়লা ও প্লাস্টিক বর্জ্যের স্তূপ। অবাধে ময়লা ফেলার দৃশ্য চোখে পড়লেও দূষণ বন্ধে কোথাও কোনো সরকারি নির্দেশনা দেখা যায়নি।
খোলা আকাশের নিচে এভাবে ফেলা রাখা ময়লা ও বর্জ্যের দুর্গন্ধে পার্শ্ববর্তী রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা কষ্টকর। মাঝেমধ্যে কাক ও কুকুর ময়লার অংশবিশেষ টেনে নিয়ে যায় লোকালয়ে। এতে বিভিন্ন রোগের জীবাণুতে সংক্রমিত হতে পারেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে স্থানীয় পরিবেশ। বিপাকে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
অষ্টগ্রাম বড় বাজারের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নিয়মিত পরিষ্কার করা ময়লা ও প্লাস্টিক বর্জ্য, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কার্যালয়সংলগ্ন (পুরোনো) কাচারি খাল, উপজেলা প্রশাসনের আবাসিক এলাকা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাতায়াতের প্রধান রাস্তা কোর্ট বিল্ডিং ব্রিজের নিচে ময়লা জমিয়ে রাখছেন।
খালের পাড়ে অরক্ষিতভাবে ফেলা দেওয়া ময়লা ও অপচনশীল প্লাস্টিক বর্জ্য, বর্ষা ও বৃষ্টির পানির সঙ্গে নেমে যাচ্ছে ধলেশ্বরী নদীতে। এতে ভরাট হচ্ছে নদী ও খাল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সচেতনতার অভাব ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উদাসীনতায় প্রতিদিন এভাবে দূষণ বাড়ছে। ভরাট হচ্ছে নদী, খাল। সদর ইউনিয়নের শাহজাহান মিয়া (২৮) বলেন, এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা মুশকিল। বাধ্য না হলে এখান দিয়ে যাই না। এত মানুষের মাঝে এমন নোংরা পরিবেশ মানা যায় না। এখানে ময়লা ফেলা বন্ধ করা দরকার।
স্থানীয় বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, ডাস্টবিন স্থাপন না করায় যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। প্রায় সময় দুর্গন্ধে দোকানে থাকা মুশকিল হয়ে পড়ে। দূরে কোথাও ময়লা ফেলা ও ময়লা শোধনাগার নির্মাণ করা দরকার।
পরিবেশভিত্তিক সংগঠন ‘হাওরাঞ্চলবাসী’ ঢাকা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বাবু বলেন, ইতিমধ্যে প্লাস্টিক বর্জ্য হাওরের পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুকুর, ধানখেত ও নদীর ইকোসিস্টেম বিনষ্ট করছে প্লাস্টিক বর্জ্য। হাওরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না। রয়েছে সচেতনতার অভাব। তিনি আরও বলেন, হাওরের জীবনধারা ও পরিবেশ রক্ষায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
অষ্টগ্রাম সদর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু বলেন, ‘বিষয়টি দৃষ্টিকটু ও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। আমরা সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।’ কিশোরগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট রুবাইয়াত তাহরীম সৌরভ বলেন, এভাবে ময়লা ও প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা উচিত নয়। আগামী জেলা নদী রক্ষা সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে